চাকরি দিচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিউনিটি ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি ‘ ব্রাঞ্চ ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম: কমিউনিটি ব্যাংক পদের নাম: ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসা, ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, অর্থনীতি বা প্রাসঙ্গিক যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী ও পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন বয়স: নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৮ বছর বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী সব সুবিধা কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন আবেদনের শেষ সময়: ২২ অক্টোবর, ২০২৩
০৯ অক্টোবর, ২০২৩

স্মার্ট অগ্রযাত্রায় কমিউনিটি ব্যাংক
দেশের চতুর্থ প্রজন্মের যে কয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একেবারেই ব্যতিক্রমী অথচ শতভাগ ব্যাংকিং সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হলো কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (সিবিবিএল)। এটি বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। শতভাগ পুলিশ সদস্য মালিকানাধীন এই ব্যাংকটিকে বেশিরভাগ মানুষ ‘কমিউনিটি ব্যাংক’ হিসেবেই চেনে। ব্যাংকিং খাতে ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর হাঁটিহাঁটি পা-পা করে ‘কমিউনিটি ব্যাংক’। গত ১১ সেপ্টেম্বর দেশে তার কার্যক্রম পরিচালনার চার বছর পূর্ণ করল। একই সঙ্গে অমিত সম্ভাবনার নেতৃত্ব দিতে পাঁচ বছরে যাত্রা শুরু হলো। কেমন কাটল সময়টি। কালবেলার কাছে থাকা ব্যাংকটির এ সময়ের সার্বিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনা এবং দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বলছে, এই অল্প সময়ে কমিউনিটি ব্যাংকের সাফল্যের পাল্লা বেশ ভারি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে নানা ধরনের সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে পার হলেও সেখানে কমিউনিটি ব্যাংক শতভাগ নিরাপদ। তদুপরি সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি টেকসই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আর তা নিশ্চিত করার পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং গ্রাহকের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতির কার্যক্রমের বিস্তার। তারই ধারাবাহিকতায় এই ব্যাংক এরই মধ্যে দেশব্যাপী ১৮০টি এটিএম বুথ স্থাপন করেছে। অত্যন্ত দক্ষতা, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন চালুকৃত ব্যাংকে কোর ব্যাংকিং চালু করার ৪৮ দিনের মধ্যেই কমিউনিটি ব্যাংক ‘ফিনাকল ইনফোসিস ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। এত অল্প সময়ে কোর ব্যাংকিং এমন সুচারুভাবে সম্পন্ন করার নজির বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে নেই। এ ছাড়া গ্রাহকরা আইটিসিএল ও এনপিএসবি সুবিধার আওতায় দেশের অন্যান্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন। ব্যাংকটির ডিজিটাল ট্রানজেকশন সুবিধা ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদসহ ইএফটির মতো সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারছেন। অর্থাৎ, শুরু থেকেই কমিউনিটি ব্যাংক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিনিয়োগ করে আসছে। ইনফোসিস-ফিনাকলের মতো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোর ব্যাংকিং সিস্টেম প্রতিস্থাপনসহ আইটি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীভূত ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা, ইন্টিগ্রেটেড বিজনেস অ্যানালাইটিক্স, এমআইএস অ্যান্ড রিপোর্টিং পোর্টাল, ফিনটেক এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবভিত্তিক সিকিউরিটি ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিটি হেল্প-ডেস্ক পোর্টাল, কাস্টমার অনবোর্ডিং এবং ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল, ই-লার্নিং ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল, লোন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ক্লাউড-রেডি আর্কিটেকচার গঠনের মাধ্যমে এনভাইরনমেন্টাল স্যোশাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (ইএসজি) সক্ষমতা অর্জন করে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করেছে। সব মিলে এই ডিজিটাল ট্রানজেকশন সুবিধা ব্যবহার করে কমিউনিটি ব্যাংক এখন স্মার্ট ব্যাংকিংয়ের নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির ৯৯ শতাংশ সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি মাসে ১২ লাখ গ্রাহক ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা নিচ্ছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়। তবে শুরুতে প্রধান কার্যালয়সহ ছয়টি কার্যালয়ের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ব্যাংকটির ১৮টি শাখা ও ২টি উপশাখা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের ৬৪টি জেলায় ১১১টি সেবা ডেস্ক, ১৭৭টি এটিএম ও সিআরএম বুথ এবং ১৫০টিরও বেশি পস মেশিন, ডেডিকেটেড কল সেন্টারের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষকে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। আগামী দিনে ব্যাংকটিকে ব্যাপকভাবে প্রসারের পরিকল্পনা রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মসিউল হক চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, মূলত প্রধানমন্ত্রীর আনুকূল্যে এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের সব পুলিশ সদস্যদের বেতনের টাকা থেকেই ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধনের জোগান দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন পুলিশের আইজিপি। তার সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও পেশাদার ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। পর্ষদে যেসব পুলিশ সদস্য রয়েছেন তারাও মনোনীত পরিচালক। কারণ, এই ব্যাংকের শতভাগ মালিকানা বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের। এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকেই পর্ষদ চেয়েছে স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে। এজন্য আমরা কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার নিয়েছি ইনফোসিস ফিনাকেল। কেননা, যে কোনো প্রতিষ্ঠানের আইটি ব্যবস্থাপনার শক্তির ওপর সুশাসন নির্ভর করে। সেইসঙ্গে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদও রয়েছে। কমপ্লায়েন্সর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রেটিং এজেন্সিগুলো থেকে প্রাপ্ত ক্রেডিট রেটিং মানও প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যা ২০২০ সালে এই রেটিং ছিল A, ২০২১ সালে এই রেটিং ছিল A+ আর ২০২২ সালে এই রেটিং বেড়ে হয়েছে AA-। অর্থাৎ, ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের খেলাপি ঋণ মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ, যা ব্যাংক খাতে সবচেয়ে কম। পুলিশের ব্যাংক হলেও এই ব্যাংকের সেবা সব মানুষের জন্য। চার বছর শেষে পাঁচ বছরে আমাদের অঙ্গীকার পুলিশের বাইরেও করপোরেট, এসএমই এবং কৃষি খাতে আরও বেশি মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা। এভাবেই সারা দেশে আমরা ছড়িয়ে পড়ব। রূপকল্প ২০৪১-এর সঙ্গে আমাদের কমিউনিটি ব্যাংক একসঙ্গে কাজ করে যাবে। ২০৪১-এর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ পে-রোল অর্থাৎ, বেতনের বিপরীতে পর্যাপ্ত ঋণ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা চালু করেছে। যেমন, আগে চরাঞ্চলসহ দুর্গম এলাকার কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা এক মাসের বেতন পেতে পেতে পরবর্তী মাস চলে আসত। কারণ, তখন তিনি ক্যাশে বেতন পেতেন। এখন এএফটির মাধ্যমে তাদের কাছে একই দিনে বেতন পৌঁছে দিতে পারছি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে। ফলে তাকে আর বেতনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একই দিনে তিনি তার পরিবারের কাছেও প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে পারছেন। ফলে তার জীবনে সাচ্ছন্দ ও প্রশান্তি চলে এসেছে। এর ফলে তিনি কাজে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারছেন। শুধু তাই নয়, তারা আগে কোনো ব্যাংক ঋণ পেতেন না। এখন তারা বেতনের বিপরীতে ঋণ পাচ্ছেন। আমরা বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে এটা শুরু করেছি; কিন্তু আগামী দিনে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য যেসব সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, আমরা এই পে-রোলের ওপরে উৎকর্ষতা নিয়ে সাপোর্ট দিয়ে যাব, যা অন্য কোনো ব্যাংক সেভাবে করতে পারেনি। আস্থা বাড়ছে গ্রাহকের: এসব কর্মকাণ্ডের ফলে কমিউনিটি ব্যাংকে গ্রাহকের আস্থা বাড়ছে। ফলে অব্যাহতভাবে বাড়ছে ব্যাংকটির আমানত। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে পরের বছর ডিসেম্বরে ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা, যা গত আগস্ট শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, তিন বছরেরও কম সময়ে ব্যাংকটির আমানত বেড়েছে ৪ হাজার ২১৩ কোটি বা প্রায় তিন গুণ। একই সময়ে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা বা প্রায় ৩ গুণ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, যা গত আগস্ট পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই স্বচ্ছতার সঙ্গে ঋণ বিতরণ করছে ব্যাংকটি, যা এখনো চালু রয়েছে। কমিউনিটি ব্যাংক থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ঋণ পাচ্ছেন। সেখানেও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রয়োজনীয় সিআইবি রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ঋণ বিতরণ করা হয়। মোট ঋণের ৪০ ভাগই করপোরেট ও সাধারণ গ্রাহককে প্রদান করা হয়েছে। ৭০ শতাংশ আমানত করপোরেট এসএমইদের: বর্তমানে সারা দেশের পুলিশ সদস্যদের বেতন এই ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের এটি একটি বড় খাত হলেও মাত্র ৩০ শতাংশ আমানত আসছে বেতনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে। আর বাকি ৭০ শতাংশ আমানত এসেছে রিটেইল, করপোরেট এবং এসএমই খাত থেকে। ফলে যে কোনো ব্যাংকের মতোই কমিউনিটি ব্যাংকও একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতোই কাজ করছে ব্যাংকটি। অর্থাৎ, অন্যান্য ব্যাংক যে নিয়ম অনুযায়ী চলে কমিউনিটি ব্যাংকও সেই নিয়ম অনুযায়ী চলছে। তবে বিদ্যমান ব্যাংকগুলো থেকে পুলিশ সদস্যরা যে ধরনের সুবিধা পান তার চেয়ে কিছুটা বেশি সুবিধা পান কমিউনিটি ব্যাংক থেকে। ২০২০ সালে ব্যাংকটির অপারেটিং মুনাফা ছিল—৮ দশমিক ৯ কোটি, যা ২০২৩ সালে হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। তবে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭০ কোটি টাকা। ব্যাংকের এই লভ্যাংশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। ট্রাস্টের মাধ্যমে ওই টাকা ব্যয় হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে। কোনো পুলিশ সদস্য আহত হলে তার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা হচ্ছে ওই লভ্যাংশ থেকে। নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরাও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। তা ছাড়া তাদের সন্তানের শিক্ষা সহায়তাও এখান থেকে দেওয়া হচ্ছে। আস্থার সংকট নেই ব্যাংকে: সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার পুলিশ সদস্যর কাছ থেকে ব্যাংক স্থাপনের প্রয়োজনীয় মূলধনের জোগান দেওয়া হয়। ব্যাংকটির পরিচালনায়ও রয়েছেন পুলিশ সদস্যরাই। পরিচালনা পর্ষদের প্রধান আইজিপি। পর্ষদের সদস্যরা কেউই স্থায়ী নন। পদাধিকারবলে (পুলিশে যার যে পদ) পরিচালনা বোর্ডের পদবি নির্ধারণ করা হচ্ছে। কেউ চাকরি থেকে অবসর নিলে তিনি পর্ষদের পদে বহাল থাকতে পারবেন না। এতে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এখানে স্বচ্ছতার মাত্রা কিছুটা বেশি। তাই অন্যান্য ব্যাংকে আস্থার সংকট থাকলেও এই ব্যাংকে তা নেই। হরেক অ্যাওয়ার্ড অর্জন: কমিউনিটি ব্যাংক সম্প্রতি ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘ইমার্জিং এশিয়া ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩’ অর্জন করেছে। তিনটি ক্যাটাগরিতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ কমিউনিটি ব্যাংককে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ক্যাটাগরি তিনটি হলো–দ্য বেস্ট বাংলাদেশি ব্যাংক পারফরম্যান্স অন অ্যাসেট কোয়ালিটি, দ্য বেস্ট বাংলাদেশি ব্যাংক পারফরম্যান্স অন সিএএসএ এবং দ্য বেস্ট বাংলাদেশি ব্যাংক পারফরম্যান্স অন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে অপেক্ষাকৃত নতুন ব্যাংক হওয়া সত্ত্বেও কমিউনিটি ব্যাংকের দ্রুত বর্ধনশীল চলতি ও সঞ্চয়ী গ্রাহক সংখ্যা, স্থিতিশীল ও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন এবং ন্যূনতম অনাদায়ী ঋণ এ পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ইমার্জিং এশিয়া ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ড পেল কমিউনিটি ব্যাংক
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত ‘ইমার্জিং এশিয়া ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ডস’ পেয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ। তিন ক্যাটাগরিতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যাংকটিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্যাটাগরি তিনটি হলো দ্য বেস্ট বাংলাদেশি ব্যাংক পারফরম্যান্স অন অ্যাসেট কোয়ালিটি, দ্য বেস্ট বাংলাদেশি ব্যাংক পারফরম্যান্স অন কাসা এবং দ্য বেস্ট বাংলাদেশি ব্যাংক পারফরম্যান্স অন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট। অপেক্ষাকৃত নতুন ব্যাংক হওয়া সত্ত্বেও কমিউনিটি ব্যাংকের দ্রুত বর্ধনশীল চলতি ও সঞ্চয়ী গ্রাহক সংখ্যা, স্থিতিশীল ও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন এবং ন্যূনতম অনাদায়ী ঋণ এই পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
০৪ আগস্ট, ২০২৩
X