মার্শাল আর্ট কিং রুবেলের আদ্যোপান্ত (ভিডিও)
সিনেমার শেষ সিন।  টেলিভিশনের সামনে বসা ছোট-বড় সব বয়সের দর্শক। পর্দায় দেখা যাচ্ছে ভিলেন তার জনা-ত্রিশেক সঙ্গী নিয়ে নায়কের পরিবার ও তার প্রেমিকাকে একটি পরিত্যক্ত এলাকায় জিম্মি করে রেখেছে। জিম্মি হওয়া সবার আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে পরিবেশ। উপরওয়ালাকে স্মরণ করছে বারবার। এরমধ্যেই পর্দা কাঁপিয়ে কে যেন হাজির হয়ে শূন্যে দুই পা উঠিয়ে ভিলেনের দুজন সঙ্গীর থুতনি ভঁচকে দিল! এরপর সমানতালে চলল ফাইট! গতানুগতিক ঢিসুম-ঢিসুম না, চমৎকার সব মার্শাল আর্ট স্টান্ট দেখিয়ে এক নিমিষেই সবাইকে কুপোকাত! আশি-নব্বইয়ের দশকে অ্যাকশন ছবির জয়জয়কার ছিল ঢাকাই সিনেমাতে।  নায়ক জসীমের হাত ধরে সিনেমার অ্যাকশনে এসেছিল বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সেই বদলের পালে নতুন হাওয়া এনে দিয়েছিলেন মাসুম পারভেজ, যাকে সবাই রুবেল নামে চেনেন। চলচ্চিত্রে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন কুংফু-কারাতের নান্দনিক সব কৌশল নিয়ে। বিশেষত রুবেলের সিনেমাগুলোর প্রতি তরুণ দর্শকের আগ্রহ ছিল দারুণ। তার ছবি হলে এলেই হুমড়ি খেয়ে পড়তেন দর্শক। কারণ রুবেলের কুংফু দেখার আনন্দটা মিস করতে চাইতেন না কেউ। শুধু সিনেমা হলে নয়, পাড়ার চায়ের দোকান বা বাড়িতে, সিনেমা শুরু হওয়ার দশ মিনিট আগে থেকেই ভিড় করতেন সিনেপ্রেমিরা। রুবেলের বেশির ভাগ ছবিই ছিল ব্যবসা সফল। অনেকেই এই নায়ককে ঢাকাই ছবির ব্রুস লি মনে করতেন। কারণ তাকে দেখে দর্শক ব্রুস লির সিনেমার মারামারির মতো উপভোগ করত,  যিনি বন্দুক বা কোনো অস্ত্র ছাড়াই শত্রুদের ঘায়েল করতেন। ১৯৬০ সালের ৩ মে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।  শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে তার। প্রায় ৩০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন রুবেল। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই নায়ক অভিনয় করেছেন দুই বাংলার প্রায় ৫০ জন নায়িকার সঙ্গে।  ৯০ দশকের একেবারে শেষের দিকে রুবেল নিজে প্রযোজনা ও পরিচালনায় শুরু করেন। রুবেলের প্রযোজিত ও পরিচালিত ছবিগুলো হচ্ছে, বিচ্ছু বাহিনী, মায়ের জন্য যুদ্ধ, প্রবেশ নিষেধ, বাঘে বাঘে লড়াই, টর্নেডো কামাল, বিষাক্ত চোখ, রক্তপিপাসা, অন্ধকারে চিতা ইত্যাদি।  রুবেল একজন সফল অভিনেতাই নন, পাশাপাশি ফাইট ডিরেক্টর হিসেবেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তার সবগুলো ছবিতেই ‘দ্যা একশন ও্যারিয়রস’ নামে নিজস্ব ফাইটিং গ্রুপ ছিল। বলতে গেলে সেই সময়ে বাংলাদেশে মার্শাল আর্টকে জনপ্রিয় করে তোলেন রুবেল, যে কারণে তখন অনেক কিশোর তরুণ মার্শাল আর্ট শিখতে উৎসাহী হয়। রুবেল তার বিভিন্ন ছবিতে মার্শাল আর্টয়ের ভিন্ন ভিন্ন নতুন কলাকৌশল উপস্থাপন করতেন। যেগুলোর মধ্য ‘ড্রাংকিং কংফু’ (শত্রু সাবধান), উইপিং কংফু (বাঘের থাবা), ড্যান্সিং কংফু (ভণ্ড), ব্লাইনড কংফু (চারিদিকে শত্রু) সহ দুর্দান্ত সব কলাকৌশল উপস্থাপন করেন।
০৩ মে, ২০২৪

ভক্তদের জন্য সুখবর / আবারও ডন হয়ে আসছেন শাহরুখ
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। বলিউডে তার আধিপত্য নিয়ে নতুন করে আর ব্যাখ্যা দেওয়ার কিছু নেই। ২০২৩ সালটি তার জন্য স্বপ্নের মতো কেটেছে। একে একে ২ সিনেমা ইতিহাস গড়ে আয় করেছে হাজার কোটি রুপির বেশি। তবে ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদও ছিল। যে তিনি আর ডন চরিত্রে অভিনয় করবেন না। এবার সুখবর দিলো ভারতীয় গণমাধ্যম কুইমুই। আবারও ডন হয়ে আসছেন তিনি। আগেই ফারহান আখতারের ডন ফ্রাঞ্চাইজি থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন শাহরুখ। ঘোষণা হয়ে গেছে নতুন ডনের নামও। তবে শাহরুখ আসছেন  নির্মাতা সুজয় ঘোষের স্পাই থ্রিলার সিনেমা ‘দ্য কিং’- ডন হয়ে। ভারতীয় এই গণমাধ্যম এমনটাই নিশ্চিত করেছে। যেখানে বলা হয়, এই ডন আরও ভয়ংকর রুপ নিয়ে আসছেন। এই সিনেমায় বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে শাহরুখ কন্যা সুহানা খানের। বিগ বাজেটের এই সিনেমাটি নির্মাণ করা হবে ২০০ কোটি রুপি খরচ করে। এমন খবরে ইতোমধ্যেই শাহরুখ ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে।  এটি প্রযোজনা করছে পাঠান নির্মাতা সিদ্ধার্থ আনন্দ এবং গৌরী খানের রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট।    
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ভাইরাল কিং জায়েদ খানের ‘বিড়ি’ (ভিডিও)
কৌশিক হোসেন তাপসের কথা-সুর ও সংগীত পরিচালনায় ঈদ ব্লকবাস্টার হিসেবে মুক্তি পেয়েছে নতুন গান ‘বিড়ি’। সংগীতশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদের কণ্ঠে  এ গানের ভিডিওতে নব্বই দশকের হিরোর লুকে হাজির হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।  কেউ সুখে টানে, কেউ দুঃখে টানে, কেউ বুইঝা টানে, কেউ না বুইঝা টানে, টানতে টানতে টানতে সব শেষ হইয়া যায়, বিড়ি খাইলে হয় ক্যানসার, সব প্রশ্নের থাকে না আনসার- এমন অদ্ভুত কথার গানটির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর নতুন গান নিয়ে এলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ। গানটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত এ শিল্পী বলেন, “দীর্ঘ বিরতির পর নতুন গান আসছে, স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ আনন্দিত আমি। প্রিয় সংগীত পরিচালক তাপস ভাইয়ের কথা, সুর এবং সংগীতায়োজনে গাওয়া গানগুলোর মধ্যে ‘বিড়ি’ গানটিই প্রথম রিলিজ হতে যাচ্ছে। এ রকম সহজ কিন্তু অর্থবহ গান নিজের কণ্ঠে  ধারণ করতে পারা যে কোনো শিল্পীর জন্য সৌভাগ্যের। গানটির নাম মজার হলেও গানটি ভীষণ অর্থবহ।” জীবনে আমরা অনেক সম্পর্ক, বেদনা, ব্যথা, দুঃখ, দায়িত্বসহ অনেক কিছুই কারণে-অকারণে টেনে, বয়ে বা বহন করে চলি। কে কোনটা কেন টানে অনেক সময় সেই প্রশ্নের উত্তর থাকে না। অনেক সময় সেই প্রশ্নের উত্তর লাগেও না, বুঝে নিতে হয়। রসাত্মক ভঙ্গিতে প্রকাশ হলেও এটিই এ গানের মূল দর্শন বলে জানান পারভেজ সাজ্জাদ। কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, হাসানসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর অগণিত জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিওর নির্মাতা তাপস ১৬ বছর পর নির্মাণে ফিরলেন নিজের গানেই।  গত ৭ এপ্রিল রাজধানীর এফডিসিতে এ গানের চিত্রধারণ করা হয়।    এ গানের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মিউজিক ভিডিওতে নাম লেখালেন ঢালিউডের ভাইরাল কিংখ্যাত হিরো জায়েদ খান। তিনি বলেন, “প্রথমবারের মতো মিউজিক ভিডিওতে কাজ করলাম। এটা সম্পূর্ণ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কাজটা করে দারুণ আনন্দিত। ঈদ উৎসবে এটি দর্শকদের দারুণ আনন্দ দিবে বলে মনে করছি। গানটিতে কাজ করার মূল কারণ তাপস ভাই। তিনি যেটা করবেন সেটা দারুণ কিছু হবে পরিপূর্ণভাবে এমন বিশ্বাস ছিল। নির্মাতা হিসেবেও একবারও মনে হয়নি তিনি অনেকদিন পর ক্যামেরার পেছনে বসলেন। সবমিলিয়ে আমার পারফরমেন্স দর্শকের পছন্দ হবে বলে আত্মবিশ্বাসী আমি।” টিএম রেকর্ডসের ব্যানারে চাঁদ রাতে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয় গানটি।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

সেই দিনটি / মার্টিন লুথার কিং
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বিখ্যাত আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী। খ্রিষ্টীয় ধর্মবিশ্বাস ও মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নাগরিক ও মানবাধিকার আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যান। ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জর্জিয়ার আটলান্টায় মার্টিন লুথার কিং জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল কিং সিনিয়র ও আলবার্টা উইলিয়ামস কিংয়ের তিন সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৫৫ সালে তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি লাভ করেন। কৃষ্ণাঙ্গদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করে যাওয়া মানুষটি মার্টিন লুথার কিং। ১৯৫০ মধ্যবর্তী সময় থেকে আমৃত্যু ছিলেন আমেরিকান সিভিল রাইট মুভমেন্টের নেতা। পৃথিবী জুড়ে এ কিংবদন্তির বিখ্যাত ভাষণ ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’-এর জন্য তিনি বেশি জনপ্রিয়। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিতে তার ঐতিহাসিক ভাষণের শিরোনাম ছিল—আই হ্যাভ আ ড্রিম। সর্বকনিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নোবেলজয়ী হিসেবে তার নামই সবার আগে ইতিহাসে আসে। কিন্তু তার পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, এমনকি শান্তিতে পাওয়া নোবেল পুরস্কারও তাকে আততায়ীর হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। সময়টা ছিল ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। মেমফিসে অবস্থিত লরাইন মোটেলে অবস্থান করছিলেন মার্টিন লুথার কিং। সেখানকার সিটি স্যানিটেশন কর্মীদের ধর্মঘটকে সমর্থন দেওয়ার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। বায়োগ্রাফার টেইলর ব্রাঞ্চের লেখা মার্টিন লুথারের জীবনী থেকে জানা যায়, সেদিন লুথার সর্বশেষ কথা বলেন বেন ব্রাঞ্চ নামক একজন গায়কের সঙ্গে। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইভেন্টটাতে বেন যাতে ‘Take my hand, precious lord’ গানটা গেয়ে শোনান সেই অনুরোধই করেছিলেন মার্টিন লুথার কিং। তখন সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিট। লুথার কিং মোটেলের ৩০৬ নম্বর কামরার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক এক শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী যুবকের গুলিতে নিহত হন। গুলি করার পর বুলেটটি লুথারের ডান গাল ভেদ করে, স্পাইনাল কর্ড হয়ে ঘাড়ের শিরা ছিঁড়ে ফেলে। তিনি জ্ঞান হারিয়ে বারান্দায় পড়ে যান। ওইদিন রাত ৭টা ৫ মিনিটে সেন্ট জোসেফ হসপিটালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় দুই মাস পর জুন মাসের ৮ তারিখে লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে জেমস ধরা পড়ে। হত্যাকাণ্ডের দায়ে তার ৯৯ বছরের কারাদণ্ড হয় এবং কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৯৮ সালে ৭০ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। জানা যায়, মার্টিন লুথার কিংকে হত্যার আগের দিন ৩ এপ্রিল ১৯৬৮ সালেই হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সহকর্মীরা তাকে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অকুতোভয় লুথার কিং তা অগ্রাহ্য করেন। সবাইকে হিংসা ত্যাগের আহ্বান জানান। পরদিন ৪ এপ্রিল ঘটে যায় সেই ঘটনা। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ইডেনে ধূমপান করে বিতর্কে কিং খান  
শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিল। আসরের দ্বিতীয় দিনেই মাঠে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচটিতে দুবারের শিরোপাজয়ীরা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপেক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেলেও উপরি পাওনা হিসেবে পেয়েছে নানা বিতর্ক।  মাঠে অসংযত আচরণের জন্য শাস্তি পেতে হয়েছে কলকাতার শেষ ওভারের নায়ক হর্ষিত রানাকে। কেকেআরের তরুণ পেস বোলারের সঙ্গে সমালোচনার মুখে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক শাহরুখ খানও। ইডেন গার্ডেনসের বিশেষ বক্সে বলিউড বাদশাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে শনিবার (২৩ মার্চ) কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যে ম্যাচ চলার সময়। এই ঘটনাতেও সামাজিক মাধ্যমে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে।   #ShahRukhKhan is smoking in the stadium and Hakla is an inspiration (Irony) pic.twitter.com/MqukSRF9AY — Prince (@purohit_pr78001) March 23, 2024 আইপিএলের ২০২৪ সালের আসরে কেকেআরের প্রথম ম্যাচ দেখতে শনিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় কলকাতায় আসেন শাহরুখ। বিমানবন্দর থেকে স্টেডিয়ামে চলে যাওয়া কিং খানকে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা ছিল সর্বত্র। উচ্ছ্বসিত জনতার দিকে হাত নাড়তে বা চুমু ছুড়ে দিতেও কার্পণ্য করেননি শাহরুখ। দল জেতার পর মাঠে নেমে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন সমর্থনের জন্য। তবু বিতর্কে জড়িয়েছেন কেকেআরের অন্যতম কর্ণধার। ম্যাচ চলাকালীন ইডেনের স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে শাহরুখের ধূমপানের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যেই। শাহরুখ ইডেনের বস্কের ভেতরে ধূমপান করলেও তা ধরা পড়ে যায় টেলিভিশনের ক্যামেরায়। খেলার মাঠে তার ধূমপান ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শুরু হয়েছে সমালোচনা। কেকেআর সমর্থকদের মন জিতেও সমালোচিত হতে হল শাহরুখকে। কড়া নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা দেশলাই, লাইটার, ছাতা, পানির বোতলসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ইডেনে ঢুকতে পারেন না। তা হলে তারকা বলেই কি ছাড় পেয়েছেন শাহরুখ? এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ইডেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। ক্রিকেট মাঠে ধূমপানের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। অতীতে শেন ওয়ার্নের মতো ক্রিকেটারকেও মাঠে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছিল। কয়েক দিন আগে পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমকে সাজঘরের মধ্যে ধূমপান করতে দেখা যায়।
২৪ মার্চ, ২০২৪

কিং ব্যাক মুন্নার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দেশের ফুটবলে সোনালী সময়ের কিং ব্যাক খ্যাত জাতীয় দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক মোনেম মুন্নার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন দেশসেরা এই ডিফেন্ডার। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। ১৯৮১ সালে পাইওনিয়ার দিয়ে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ক্ষণজন্মা এ ফুটবলার। পরের বছর শান্তিনগর ক্লাবের হয়ে খেলেন দ্বিতীয় বিভাগের ফুটবল। ১৯৮৩ সালে মুন্নাকে দলে ভিড়িয়ে দ্বিতীয় বিভাগ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। দুই মৌসুমে এ ক্লাবের হয়ে ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে খেলেন তিনি। পরের বছর যোগ দেন ব্রাদার্স ইউনিয়নে। এরপর ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত খেলেন ঢাকা আবাহনীর হয়ে। ১৯৯১ সালে ঢাকা লিগে ২০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়ে রেকর্ড গড়েন মুন্না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতেও মোনেম মুন্না ছিলেন অপরিহার্য। দেশসেরা ফুটবলার হিসেবে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত খেলেন ভারতের ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে। ১৯৯৯ সালের রমজান মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান এ তারকা ফুটবলার। সেখানেই তার কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। ২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি গুরুতর অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মুন্নাকে। প্রায় তিন সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শাহরুখকে নিয়ে মন্তব্য, অভিনেত্রীকে নেটিজেনদের তুলাধুনা
‘শাহরুখ সুন্দর নন, অভিনয়ও পারেন না।’- পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহনুর বালোচ এর এমন মন্তব্যে নেটপাড়ায় চলছে তর্ক-বিতর্ক। রীতিমতো নেটিজেনদের হাতে তুলাধুনা অবস্থা এ অভিনেত্রীর। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন তিনি। বলিউডের ‘কিং অব রোম্যান্স’ বলা হয় শাহরুখ খানকে। বিশ্বের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে রয়েছে তার অনুরাগীরা। বেফাঁস এমন মন্তব্যে অনুরাগীরা অভিনেত্রীর ওপর বেজায় চটেছেন। এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায় অভিনেত্রী মাহনুর বালোচকে। এ সময় তিনি বলেন, শাহরুখের ব্যক্তিত্ব খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু সুন্দর দেখতে বলতে যা বোঝায় তিনি কোনোভাবেই সেটা নন। তিনি বলেন, শাহরুখের অভিনয় দক্ষতা নেই। তবে উনি খুব দক্ষ ব্যবসায়ী। নিজের প্রচারটা ভালোই জানেন। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি ভুলও হতে পারি। এরই মধ্যে অভিনেত্রীর এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। শাহরুখের অনুরাগীরা কেউ কেউ লিখেছেন, সারা বিশ্ব শাহরুখকে চেনেন। কিন্তু আপনি কে? অন্যরা বলছেন, প্রচারের আলোয় আসার সব থেকে ভালো পথ হলো বৈগ্রহিক অভিনেতা শাহরুখের বিরুদ্ধে কথা বলা। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে মূলত টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় মাহনুরের। এরপর একাধিক টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ম্যায় হুঁ শাহিদ আফ্রিদি’ ছবিতে অভিনয় করেন মাহনুর।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সেই দিনটি / মার্টিন লুথার কিং
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বিখ্যাত আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী। তার খ্রিষ্টীয় ধর্মবিশ্বাস ও মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নাগরিক ও মানবাধিকার আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যান। ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জর্জিয়ার আটলান্টায় মার্টিন লুথার কিং জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল কিং সিনিয়র ও আলবার্টা উইলিয়ামস কিংয়ের তিন সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৫৫ সালে তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি লাভ করেন। কৃষ্ণাঙ্গদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করে যাওয়া মানুষটি মার্টিন লুথার কিং। ১৯৫০ মধ্যবর্তী সময় থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন আমেরিকান সিভিল রাইট মুভমেন্টের নেতা। পৃথিবীজুড়ে এ কিংবদন্তির বিখ্যাত ভাষণ, ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’-এর জন্য তিনি বেশি জনপ্রিয়। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিতে তার ঐতিহাসিক ভাষণের শিরোনাম ছিল—আই হ্যাভ আ ড্রিম। সর্বকনিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নোবেলজয়ী হিসেবে তার নামই সবার আগে ইতিহাসে আসে। কিন্তু তার পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, এমনকি শান্তিতে পাওয়া নোবেল পুরস্কারও তাকে আততায়ীর হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল, সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিট। লুথার কিং জেমস আর্ল রে নামক এক শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী যুবকের গুলিতে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় দুই মাস পর জুন মাসের ৮ তারিখে লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে জেমস ধরা পড়ে। হত্যাকাণ্ডের দায়ে তার ৯৯ বছরের কারাদণ্ড হয়।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

ভারতকে হারিয়ে ক্যারিবীয়দের সিরিজ জয়
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফোর্ড লডারহিলে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের করা ১৬৫ রান উইন্ডিজ ছাড়িয়ে গেছে ৮ উইকেট এবং ১২ বল বাকি থাকতেই।  আজকের ম্যাচে ভারতের সামনে ছিল ইতিহাস গড়ার হাতছানি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দুই ম্যাচে হেরেও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের রেকর্ড করতে পারেনি কোনো দলই। সেই গল্পের দেখা মিলল না আজও। পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ভারত হেরে যাওয়ায় ক্যারিবীয়রা হোম সিরিজটা জিতল ৩-২ ব্যবধানে। গায়ানার প্রভিডেন্স ও যুক্তরাষ্ট্রের লডারহিলে সিরিজের তৃতীয় এবং চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জয়ে সিরিজে সমতায় ফেরা ভারত আজ প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে। যেখানে সবচেয়ে বড় অবদান টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবের। তিনে নেমে ৪৫ বলে ৬১ রান করেছেন। মেরেছেন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৪৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে সূর্যের সঙ্গী তিলক ভর্মা করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান। ২টি ছক্কা মেরেছেন এই সিরিজেই ভারতের জার্সিতে প্রথম খেলা ২০ বছর বয়সী ব্যাটার। সূর্যকুমার ও তিলক জুটি বাঁধেন তৃতীয় ওভারেই ভারত ১৭ রানে প্রথম দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর। লডারহিলেই সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়া যশস্বী জয়সোয়াল ও শুভমান গিল আজ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন ৬ রানেই। ম্যাচের প্রথম ওভারে ৫ রান করা জয়সোয়াল ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সেই আকিল আর্ম বলে এলবিডব্লু করেন শুভমানকে। দুই ওপেনার ও তিলকের বিদায়ের পর ভারতের হয়ে একাই লড়ে গেছেন সূর্যকুমার। সঞ্জু স্যামসন (৯ বলে ১৩), হার্দিক পান্ডিয়ারা (১৮ বলে ১৪) সুবিধা করতে না পারায় ভারতের সংগ্রহ বেশি দূর এগোয়নি।   ১৯তম ওভারে হ্যাটট্রিকের সুযোগ হারানো ক্যারিবীয় পেসার রোমারিও শেফার্ড ৩১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর সেরা বোলিং। এবারের সিরিজটা শেফার্ড শেষ করলেন ৯ উইকেট নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে যা এক টি-টোয়েন্টি সিরিজে যৌথ সর্বোচ্চ।     ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ২ ওভার হাতে রেখেই। রান তাড়ায় দলটির জয়ের নায়ক ব্রেন্ডন কিং। ক্যারিবীয় ওপেনার ৮৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর ৫৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ৫ চার ও ৬ ছক্কায়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কিংয়ের এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস। রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একটি করে ছক্কা ও চার মেরেই বিদায় নেন কাইল মেয়ার্স। ক্রিজে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ‍্যে তিনটি ছক্কা মেরে সুব বেঁধে দেন নিকোলাস পুরান। দারুণ সঙ্গত করেন কিং। শতরানের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় ক‍্যারিবিয়ানরা। পুরানের বিদায়ে ভাঙে ১০৭ রানের জুটি। বিস্ফোরক বাঁহাতি ব‍্যাটসম‍্যান ৩৫ বলে চার ছক্কা ও এক চারে করেন ৪৭ রান। ভারতের হয়ে উইকেট দুটি শিকার করেন আরশদীপ সিংহ ও তিলক ভার্মা।
১৪ আগস্ট, ২০২৩
X