ধান ক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বোডিংয়ের অংশের ধান কাটতে গিয়ে ইউনুস আলী (৬০) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করার অীভিযোগ উঠেছে।   শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দর্বনগ্রামে নিহতের মালিকানাধীন বোডিংয়ের ধান কাটতে গেলে মাঠের মধ্যেই নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।  এ সময় গুরুতর যখম হন আরও চারজন। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত ইউনুস আলী খোদ্দর্বন এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে এবং হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মুক্তার হোসেনের সম্বন্ধী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর পূর্বে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সম্পর্কের জেরে মুক্তার শেখের মেয়ে জুঁইয়ের সঙ্গে ইউনুস আলীর ছেলে হোসেনের পারিবারিকভাবে মৌখিক বিয়ে দেওয়া হয়। বনি-বনা না হওয়ায় বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় উভয় পক্ষের সমঝোতায় কনে পক্ষকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান সাপেক্ষে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়। পরবর্তীতে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে একাধিক দিন ধার্য করেও ছেলেপক্ষ কনে পক্ষকে মিটমাটের ধার্যকৃত টাকা না দিলে বাড়তে থাকে অন্ত কলহ। উল্লেখ্য, ঘটনার কয়েকদিন পূর্বেও ধান কাটতে গিয়ে একইভাবে বাধার সম্মুখীন হন ইউনুস আলী। সহিংসতা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আঁচ করে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ ও দায়ের করেন তিনি। মুক্তার হোসেনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ পূর্বক ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ দেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাতেও। অভিযোগ প্রদানের একদিনের মাথায় সকালে মুক্তার হোসেনের হাতেই খুন হন তিনি। এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির ছেলে হোসেন আলী জানান, সকালে পানি সেচের ভাগের ধান কাটতে গেলে তার মামা মুক্তারসহ ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র কাঁচি, রামদা, হাসুয়া নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনিসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্ষয়-ক্ষতির ভয়ে মালামাল নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সহিংসতা এড়াতে এলাকায় মোতায়ন রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ। কুমারখালী সদর হাসপাতালের আর এম ও ডা. সাইদ সাকিব বলেন, সকালে শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দর্বন গ্রাম থেকে কয়েক জন মারামারির রোগী এসেছিল। এদের মধ্যে ইউনুস আলীর হাসপাতালের আসার পূর্বে মারা গেছে। সেই সঙ্গে দুইজন কুমারখালীতে চিকিৎসাধীন আছে এবং একজনের অবস্থা আংশকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে একজন নিহত হয়েছে। অপরাধীধের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তিনাথ জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। সকালে ইউনুস আলী ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মুক্তার হোসেনের লোকজন। এঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে

ধানক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করল বোন জামাই
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইউনুস আলী নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বোন জামাই মুক্তার শেখ ও তার লোকজন। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ চারজন। শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রামে মাঠে ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ইউনুস আলী শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দবন এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ক্ষয়ক্ষতি ও হত্যাচেষ্টার কথা জানিয়ে কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন ইউনুস আলী। মুক্তার শেখকে প্রধান করে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ দেন তিনি। এ ঘটনার একদিন পরেই মুক্তার শেখের হাতেই খুন হন ইউনুস আলী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে মুক্তার শেখের মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইউনুস আলীর ছেলের। এ সম্পর্কে মুক্তার শেখ ও ইউনুস আলী দুজনে বেয়াই। বিয়ের পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সকালে ইউনুস আলী বেশ কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে মাঠে ধান কাটতে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে মুক্তার শেখ। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।  কুমারখালী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সাইদ সাকিব বলেন, শনিবার সকালে শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রাম থেকে কয়েকজন মারামারির রোগী এসেছিল। তার মধ্যে ইউনুস আলী হাসপাতালের আসার আগেই মারা গেছেন। আহত দুজন কুমারখালীতে চিকিৎসাধীন আছে এবং একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সকালে ইউনুস আলী ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মুক্তার হোসেনের লোকজন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪

যুবলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পাঠান হলো হাসপাতালে
পটুয়াখালীর বাউফলে নির্বাচনী প্রতিহিংসার জেরে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত ইউপি সদস্য সুমন উপজেলার বগা ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি। তাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শাপলাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক ও ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান সুমনকে ঘটনাস্থলে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  এর আগে বুধবার রাতে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা রাজনগর এলাকায় আনারস প্রতীকের সমর্থকদের ধাওয়া করে। বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, একটি ঘটনার সঙ্গে আরেকটি ঘটনা জড়িত হতে পারে। কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। আগামী ২১ মে বাউফল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। অন্যদিকে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মোশারফ হোসেন খান।
১৬ মে, ২০২৪

দাওয়াতে নিয়ে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখম
যশোরের ঝিকরগাছায় দাওয়াতে নেওয়ার কথা বলে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ জামতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।  গুরুতর ইমামের নাম হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার কীর্তিপুর বায়তুন নুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব। আটক রুবেল হোসেন ঝিকরগাছা কীর্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও তরকারি ব্যবসায়ী। আহতের স্বজনরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় হাফেজ আব্দুল্লাহ ঝিকরগাছা ক্রিকেট একাডেমিতে বাচ্চাদের আরবি পড়াচ্ছিলেন। সে সময় রুবেল নামে এক যুবক এসে তাকে দাওয়াতের কথা বলে মনিরামপুর নিয়ে যায়। রাতে রাকিব নামের এক ছেলে মসজিদের ইমামের মোবাইলে কল দিলে তার চিৎকার শুনতে পান। পরে জানতে পারে তাকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ জামতলা এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইমামকে উদ্ধার করে। পরে আহত ইমামকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ইমামের প্রতিবেশী মিলন হোসেন বলেন, রুবেল দাওয়াতের কথা বলে তাকে মনিরামপুর নিয়ে গেছিল। পথিমধ্যে ফাঁকা জায়গায় ইমামকে রেখে কোথাও চলে যায়। সেখানেই অতর্কিত কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। বিষয়টি জানতে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।
১৩ মে, ২০২৪

যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রামের রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসি ও ৯ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১২ মে)  দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন, মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের মধ্যে একজন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ৫ জনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী, মমতা আমির হোসেন।  যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন। মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল আজিম উদ্দিন আনোয়ার হোসেন সোহেল আতিকুর রহমান নান্টু ও ইউসুফ হারুন মামুন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। তৎসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে জামাল উদ্দিনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলা করার পর চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জামাল ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের ওপরে চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের পিপি জহিরুল হক সেলিম বলেন, মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন ও মামলা থেকে ৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও দুইজন খালাসপাপ্ত উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক আছেন।
১২ মে, ২০২৪

গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লা সদরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে জনু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১১ মে) গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকার গোমতী নদীর বাঁধে এ ঘটনা ঘটে।  কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, নগরীর সংরাইশ এলাকার বাসিন্দা জনু মিয়া রাতে বাসায় ফিরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ৩টার দিকে কয়েকজন লোক এসে দরজার কড়া নাড়ে। এ সময় তার সঙ্গে কথা আছে বলে ঘর থেকে ডেকে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হন একজন। দীর্ঘক্ষণ জনু মিয়া ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন বের হয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় তার রক্তাক্ত মরদেহ পায়। ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে নিহত জনু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
১২ মে, ২০২৪

মেহেরপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক
মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামে সালেহা খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। নিহত সালেহা খাতুন ৩ সন্তানের জননী। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ঘাতক স্বামী  এলাহি বক্সকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। শুক্রবার (১০ মে) সকালের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের ভিটাপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘাতক এলাহি বক্স একই গ্রামের খোদা বাক্সের ছেলে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে নিহত সালেহা খাতুন বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে তার স্বামী ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে তাকে উপুর্যপুরি কোপাতে শুরু করেন। পরে সালেহার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া, ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামাল কালবেলাকে বলেন, ‘এলাহি বক্স একজন মানসিক রোগী। দিনের অধিকাংশ সময় সে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ঘোরাফেরা করে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।’ মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকাবাসী ঘাতক স্বামীকে পুলিশে দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
১০ মে, ২০২৪

ভোট দিতে যাওয়ার পথে কুপিয়ে জখম
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের এক সমর্থককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত শামছুদ্দিন সর্দার (৫৫) সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। জানা যায়, শামছুদ্দিন সর্দার তার ভোটকেন্দ্র এসহাক মুন্সীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় আনারস প্রতীকের সমর্থকরা তাকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে। এর পরেও ভোট দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা শামছুদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে এবং মাথায় ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।  পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। চরজব্বর থানার ওসি কাওসার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ মে, ২০২৪

মোবাইলে গোপন ছবি, ডিলিট না করায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ কোম্পানির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব সাহরিয়ার মুরাদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেলে উপজেলার শামলাপুর বাজারে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রাকিব সাহরিয়ার টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে। তিনি বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত মুরাদের স্বজনরা জানান, আদিল ও রফিকের সঙ্গে কয়েকদিন আগে মুরাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে আজ বিকেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুরাদ ও তার ভাই মামুনকে শামলাপুর বাজারে কোপানো হয়। আহত অবস্থায় মুরাদ ও মামুনকে শামলাপুর বাজার থেকে নিয়ে আসেন তাদের এক প্রতিবেশি। গাড়িতে মুরাদের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুরাদকে মৃত ঘোষণা করে। তার ভাই মামুন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বলেন, নিহত মুরাদ বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।  টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, মুরাদ ও রফিকুল দুই বন্ধু ছবি আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রফিকুলের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় মুরাদ। লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি, মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ মে, ২০২৪

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর থানায় স্বামী!
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিল্পী বেগম নামে প্রবাসফেরত স্ত্রীকে নিজ হাতে গলাকেটে হত্যার পর রক্তমাখা অস্ত্র নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন স্বামী সফর আলী।  রোববার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে কমলগঞ্জ সদর ইউপির বাঘমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সফর আলী বাঘমারা গ্রামের কুদ্দুছ আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের রমজানের চার দিন আগে সৌদি আরবে যান এক সন্তানের জননী শিল্পী বেগম। শনিবার রাতে সৌদি আরব থেকে দেশের উদ্দেশ্যে ফেরত এসে রোববার সকালে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ি ফেরার পরপরই পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্বামী সফর আলী দেশীয় দা দিয়ে গলাকেটে স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছেন।
০৫ মে, ২০২৪
X