এলসভিয়ার থেকে ফ্রি ই-বুকের সুবিধা পাবে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এলসভিয়ারস (Elsevier) ই-বুক অ্যাক্সেস এবং ডাউনলোডের উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়েছে।  জানা যায়, এলসভিয়ার ই-বুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ১ বছরের জন্য সাবক্রাইব করা হয়েছে। এলসভিয়ার ই-বুকের এক্সেস এবং ডাউনলোডের আওতায় ৪১০০ ই-বুকের সুবিধা পাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইপি রেঞ্জের মধ্যে থাকলেই শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এলসভিয়ার ফ্রি এক্সেসের লিংক  https://www.sciencedirect.com/. বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ উদ্বোধনীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার শাখা।  বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে এবং লাইব্রেরিয়ান (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নুল আবেদিন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. ছাদেজা আখতার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলসভিয়ার ই-বুকের এক্সেস একটি যুগান্তকারী ঘটনা। পরে সময়ে এই এক্সেসের সঠিক ব্যবহার এবং যথাযথ সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।  অনুষ্ঠানের সভাপতি আবু হাদী নূর আলী খান তার বক্তব্যে জানান, লাইব্রেরিতে প্রচুর হার্ডকপি বই রয়েছে। সেগুলোর ব্যবহার কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে স্প্রিঞ্জার কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছাও আমাদের রয়েছে। যদিও আমরা আপাতত ই-বুকের এক্সেস এক বছরের জন্য নিয়েছি, পরে এই এক্সেসের সঠিক মূল্যায়ন দেখতে পেলে আমরা পরবর্তীতে আরও বড় চুক্তিতে আবদ্ধ হবো।  প্রধান অতিথি বাকৃবি উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে জানান, ইদানীং হার্ডকপির চেয়ে সফটকপি বেশি গুরত্বপূর্ণ। এটি কম সময় সাপেক্ষ ও কম পরিশ্রমের। টাকা দিয়ে জিনিস কিনলে হবে না। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আমাদের প্রয়োজনীয় বইগুলো সেখানে থাকতে হবে। ব্যয় করা অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। স্ব স্ব অনুষদে ফোকাল পয়েন্ট বানাতে হবে যাতে তাদের অনুষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বইগুলো তারা ডাউনলোড করে রাখেন।
১৩ ঘণ্টা আগে

প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকুয়েন্স উন্মোচন
দেশীয় শিং মাছের প্রজাতিকে টিকিয়ে রেখে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকুয়েন্স (জীবন রহস্য) উন্মোচন এবং পুরুষ ও স্ত্রী মাছ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম। বাকৃবির ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের এই অধ্যাপকের সঙ্গে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন তারই বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী নিত্যানন্দ, স্বর্ণা, হালিমা, জেসমিন, কানিজ ও সারা। ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এ গবেষণা শুরু করলেও পরে জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অব সায়েন্সের (জেএসপিএস) অর্থায়নে ২০২২ থেকে ২০২৪ সময়কালে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়। দেশীয় শিং মাছের ৮টি ফ্যামিলির প্রায় ৮০০টি পোনার নমুনা নিয়ে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকুয়েন্সিং ও জিন শনাক্তকরণের কাজ করা হয়। সর্বাধুনিক জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি ও সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে বায়োইনফরমেটিকস অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ওই জিনোম সিকুয়েন্স সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন এবং পুরুষ ও স্ত্রী মাছ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণ গবেষণা ও এটির ফল সকলের সামনে তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. তাসলিমা খানম। বুধবার (১৫ মে) বেলা ১১টার দিকে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিসহ ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম জানান, দেশীয় শিং মাছ বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের একটি জনপ্রিয় ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মাছের প্রজাতি। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে শিং মাছের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম শিং মাছে ২২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লৌহ উপাদান পাওয়া যায় যা লোহিত রক্তকণিকার প্রধান উপাদান। এছাড়াও এতে রয়েছে উন্নতমানের আমিষ ও ক্যালসিয়াম। পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণের পাশাপাশি খেতে সুস্বাদু, কম কাঁটা ও স্বল্প চর্বিযুক্ত হওয়ায় মাছটি বিশেষভাবে সুপরিচিত। জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, অতিরিক্ত আহরণ ও প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে দেশীয় এ মাছটি বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন। ইয়ার বুকস অব ফিশারিজ স্ট্যাটিটিক্স অব বাংলাদেশের ২০২০ থেকে ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্বাদুপানির মোট উৎপাদিত মাছের ২ দশমিক ৫২ শতাংশ আসে শিং ও মাগুর মাছ থেকে। স্ত্রী শিং মাছের বৃদ্ধি পুরুষ শিং মাছ অপেক্ষা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। তাই এই মাছের বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন অন্যতম একটি উপায়। সফলভাবে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনের জন্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে শিং মাছের জিন নিয়ে গবেষণা শুরু করি। ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সংগৃহীত দেশীয় শিং মাছের নমুনা দিয়ে অধ্যাপক তাসলিমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ, জাপান ও সুইডেনের একদল গবেষক গবেষণা কাজ শুরু করেন।  গবেষণার ফল সম্পর্কে প্রধান গবেষক বলেন, গবেষণায় উদ্ভাবিত ড্রাফট জিনোম (প্রথমবার শনাক্তকৃত জিনোম) দিয়ে পুরুষ ও স্ত্রী শিং মাছ শনাক্ত করা সম্ভব যা যে কোনো দেশীয় সকল প্রজাতির মাছের ক্ষেত্রে এই প্রথম। এর মাধ্যমে শুধু স্ত্রী শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে করে প্রাকৃতিক জলাশয় ছাড়াও কৃত্রিম পদ্ধতিতে অধিক ফলনশীল স্ত্রী শিং মাছ চাষ করা সম্ভব হবে। শিং মাছের জিনোম থেকে শুধু পুরুষ ও স্ত্রী শিং মাছ নির্ধারণকারী জিন ছাড়াও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য দায়ী জিন শনাক্তকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রচলিত হরমোন প্রয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তে মার্কার অ্যাসিসটেড সিলেকশন (এমএএস) পদ্ধতির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্ত্রী শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে যা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব।  সংবাদ সম্মেলনে প্রধান গবেষক ড. তাসলিমা দাবি করে আরও বলেন, ‘গবেষণা কাজের ফল চলতি বছরের মার্চে জাপানিজ সোসাইটি অব ফিশারিজ সায়েন্স আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ওই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে কনফারেন্স পেপার হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটির উপাত্ত ওই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থিত আন্তজার্তিক মানের ৩০০ বিজ্ঞানীর সামনে উপস্থাপিত হয়। এ ছাড়াও এই গবেষণার ফল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ হিসেবে প্রকাশের জন্যে বর্তমানে সম্পাদনা পর্যায়ে রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ গবেষণা নিয়ে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য শিং মাছ অনেক উপকারী। বিশেষ করে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য এটি বিশেষভাবে সমাদৃত। দেশীয় মাছের অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় ভিন্নধর্মী এ প্রজাতিতে স্ত্রী মাছের উৎপাদন বেশি। আর পুরুষ ও স্ত্রী মাছ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণের এই গবেষণার ফল স্ত্রী শিং মাছ শনাক্ত করে শিং মাছের উৎপাদন বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি বিলুপ্তপ্রায় এ মাছটি সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
১৫ মে, ২০২৪

উদ্ভাবনে কৃষকরা উপকৃত হবেন ও ফসলের উৎপাদন বাড়বে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হবেন। কারণ উৎপাদনের জন্য যে আধুনিক ও কৌশলগত জ্ঞান প্রয়োজন, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকরা জানতে পারবেন। এর ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি হবে, কৃষকের গোলা আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।  বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করার ফলে কৃষি বিষয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই। বাজেটে ঘাটতি বা যে সমস্যাই থাকুক, সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে কৃষিখাতে যেসব নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আছে, তা আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছি। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে কৃষিকাজে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশেও স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আমাদের জোর দিতে হবে।  কৃষিখাতে বাজেট আরও বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।  সভাপতির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, আমাদের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের প্রতিদিনের নিয়মিত কাজের পাশাপাশি উদ্ভাবনের দিকেও নজর রাখতে হবে। কী উদ্ভাবন করলে বা নতুন উদ্যোগ নিলে দেশের কৃষকরা আরও বেশি করে উপকৃত হবে, ফসলের আরও উৎপাদন বাড়বে- সেদিকে আরও মনোনিবেশ করতে হবে।  অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ফারজানা মমতাজ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস ও অন্যান্য সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।  উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গৃহীত উদ্ভাবন প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মামলা ও সম্পত্তির স্মার্ট ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্মার্ট রাইস প্রোফাইল মোবাইল অ্যাপ, বিএডিসির সেচ চার্জ আদায় পদ্ধতি ডিজিটালাইজকরণ, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির আইওটি ভিত্তিক মাটিছাড়া চাষ ও ভার্টিক্যাল ফার্মিং, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইওটিভিত্তিক প্রিপেইড মিটার ফর স্মার্ট ইরিগেশন প্রভৃতি।  আইওটিভিত্তিক মাটি ছাড়া চাষ ও ভার্টিক্যাল ফার্মিং উদ্ভাবনের জন্য জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।
১৫ মে, ২০২৪

এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।  রোববার (১২ মে) এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের ঢাকার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকারে তারা এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি এবং আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় উপাচার্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ১৯৭১ সালে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এ উদ্যোগ তার ভিতকে আরও মজবুত করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জনগণ ফিলিস্তিনি বন্ধুদের প্রতি সবসময় সহানুভূতিশীল বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান।  
১৪ মে, ২০২৪

সিকৃবিতে ছাত্রলীগের ২ নেতা বহিষ্কার
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মো. তানভীর হোসেন স্বাধীন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়াজুল ইসলাম (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) এবং আরমান হোসেন (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এর আগে রোববার (১২ মে) বিকেলে সিকৃবির আব্দুস সামাদ আজাদ হলের সিট সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন এই দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা। এতে ১৭ জন হতাহত হন। এই ঘটনার রেশ ধরেই কেন্দ্রীয় কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই শৃংখলা পরিপন্থী কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে না এবং তা প্রশ্রয়ও দেয় না। তবে গতকালের হলের সিট সংক্রান্ত সাধারণ একটা ঘটনা আসলে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আমরা রাতে বিষয়টি নিয়ে সকল নেতাকর্মীরা বসেছিলাম। আমরা সমাধানের পথে এগিয়েও গিয়েছিলাম। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এমন ঘোষণা এসেছে। যাই হোক আর কিছু বলবো না, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।  তবে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। জানা যায়, এর আগে গেল শুক্রবার (১০ মে) রাতে সিকৃবি ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার দুদিন না পেরোতেই সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এবং বহিষ্কার হলো দুই নেতা। এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ইমাদুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে আশিকুর রহমান কল রিসিভ করেননি এবং ইমাদুল হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
১৩ মে, ২০২৪

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ
জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি ‘প্রভাষক’ পদে একাধিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদন করতে পারবেন আগামী ২৯ মে পর্যন্ত।  প্রতিষ্ঠানের নাম : খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) কর্মস্থল : খুলনা আবেদন শুরুর তারিখ : ০৯ মে, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ২৯ মে, ২০২৪ (রাত ১২টা) পর্যন্ত ১. বিভাগের নাম : বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি পদের নাম : প্রভাষক অনুষদ : কৃষি  বেতন স্কেল : ২২০০০-৫৩০৬০/- (গ্রেড-৯) ২. পদ নাম : প্রভাষক বিভাগের নাম : একোয়াকালচার অনুষদ : ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান সায়েন্সেস  বেতন স্কেল : ২২০০০-৫৩০৬০/- (গ্রেড-৯)  শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা : ১) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ০৪ (চার) বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ২) সংশ্লিষ্ট অনুষদ/বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। ৩) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ০৪ (চার) বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা সমমান পরীক্ষায় মেধাভিত্তিক শীর্ষ ১০% ছাত্র/ছাত্রী প্রভাষক পদে আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বি.দ্র. নিয়োগ প্রার্থীদের জন্য শর্তাবলী ও জ্ঞাতব্য বিষয়সমূহ ক্ষেত্র বিশেষ প্রযোজ্য হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের ঠিকানা : রেজিস্ট্রার, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (অস্থায়ী অফিস : বাড়ি নং- ২০০, রোড নং-১২, ১ম ফেইজ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, খুলনা- ৯১০০)
১৩ মে, ২০২৪

সরকার স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হলে কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে টেকসই কৃষি উৎপাদন, কৃষকের আয় বৃদ্ধি; জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং কৃষিকে লাভজনক করাই সরকারের উদ্দেশ্য। সেলক্ষ্যে বর্তমান সরকার কৃষিক্ষেত্রে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাইয়ে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।  মন্ত্রী বলেন, আবাদি জমি কমছে, বিপরীতে বাড়ছে জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি। এমন পরিস্থিতিতে বর্ধিত জনসংখ্যার বর্ধিত খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে। খামারি অ্যাপ এরকম একটি স্মার্ট প্রযুক্তি। ‘খামারি’ অ্যাপ ব্যবহার করলে ফসল উৎপাদন খরচ কমবে ও ফলন বৃদ্ধি পাবে।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার প্রতিবছর সারে বিশাল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। ২০২৩ সালে সারে মোট ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। ‘খামারি’ অ্যাপ ব্যবহার করলে সারের সুষম প্রয়োগ হবে এবং সারের অপচয় রোধের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে অ্যাপসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া কৃষি উপকরণ বিতরণ, সার, বীজসহ নানাভাবে কৃষকের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষকরা যদি অধিক মূল্য না পায় তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশে অধিক ফসল ফলানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটবে।  মন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে সরকার এই নীতি গ্রহণ করায় কৃষকরা এখন লাভবান হচ্ছেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ারের সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ময়েজ উদ্দিন শরীফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার  প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  বিকালে মন্ত্রী হবিগঞ্জের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পার্টনার প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালায় যোগ দেন। এ সময় মন্ত্রী সিলেট অঞ্চলের অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় আনতে নিবিড় ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, অনাবাদি জমির ডেটাবেজ তৈরি করে কোনো জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, তার সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) শীর্ষক প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক এবং ইফাদের এর অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্প। প্রকল্পটি ৭ হাজার কোটি টাকার। 
১২ মে, ২০২৪

বাকৃবিতে গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন
সম্প্রতি গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সংসদ। রোববার (১২ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি।  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক তারেক আবদুল্লাহ বিন আনোয়ারসহ ছাত্রইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত বিশ্বাস।   মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আজ সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। সারা দেশে যখন গাছের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে, ঠিক তখনই বাকৃবিতে ক্রমাগত বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। উন্নয়নের নামে গাছ কাটার এ সংস্কৃতি পরিবেশের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না। উন্নত পদ্ধতিতে গাছ না কেটেও ভবন নির্মাণ করা যায় কিংবা বিকল্প জায়গায় ভবন নির্মাণ করা যায়। কিন্তু তা না করে কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার পদ্ধতিকেই গ্রহণ করেছে। বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গাছ লাগানো হয়নি। আবার লাগানো হলেও তা যথাযথ পরিচর্যা করা হয়নি। অথচ গাছ কাটার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো বাছবিচার নেই। এ সময় সাধারণ সম্পাদক তারেক আবদুল্লাহ বিন আনোয়ার বলেন, গাছ না কেটে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন বৃক্ষরোপণ ও তাদের যথাযথ পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। যদি ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এ বৃক্ষনিধনের আত্মঘাতী কর্মসূচি থেকে সরে না আসে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতিক সময়ে বাকৃবি ক্যাম্পাসে বড় বড় গাছ কাটার ঘটনা ঘটছে। অবকাঠামো নির্মাণের নামে এসব বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটেছে। গত ২ মে ভেটেরিনারি অনুষদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণে প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি পুরোনো একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলা হয়। এ ছাড়াও প্রায় ২ বছর আগে প্রক্টর অফিসের সামনের মে ফ্লাওয়ার গাছ কাটা হয়। বেশকিছু দিন পূর্বে তাপসী রাবেয়া হলের সামনেও গাছ কাটা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফার্স্ট গেট থেকে ফসিল পর্যন্ত রাস্তাটির চার লেন উন্নীতকরণের প্রকল্পে এ রাস্তার ২ ধারের অনেক পুরোনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলা হয় এবং বড় বড় গাছ কাটার পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের রয়েছে।
১২ মে, ২০২৪

ধানের পরিবর্তে চিটা, সর্বস্বান্ত কৃষক
যশোরের অভয়নগরে তেজগোল্ড জাতের ধান চাষ করে ধানের পরিবর্তে চিটা হয়ে শতাধিক কৃষক সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ১৫০ বিঘা জমিতে ৭৮ জন চাষিদের ধানক্ষেতে চিটা হয়ে গেছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেয়াপাড়া এলাকার মাঠে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে গ্রামের ৭৮ জন চাষিকে ফ্রিতে তেজগোল্ড জাতের ধান বীজ দেওয়া হয়। আমরা সবাই মিলে একযোগে এ ধান চাষ করি ভালো ফলনের আশায়। গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রম করে পেলাম ধানের পরিবর্তে চিটা। উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠকর্মীদের পরামর্শে সরিষার আবাদ শেষে হওয়ার পর আমরা ৭০-৮০ জন তেজগোল্ড ধানের বীজ নিয়ে চাষ করি। ধানের গাছ ও গোছা ভালো হলেও এখন ধান কাটার সময়ে আমরা সব ধান চিটা পাচ্ছি। ধানচাষি আয়ুব মোল্লা, শহিদুল গাজী, রেজাউল ইসলাম, শাহাজান হোসেন, জাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠকর্মী দেব্রত বাবু ও অন্য মাঠকর্মীদের পরামর্শে আমরা তেজগোল্ড জাতের ধান বীজ নিয়ে চাষ করি। দারিদ্র্যতার কারণে ধারদেনা করে ধান চাষে পানি ও সার কীটনাশক ব্যবহার করি। তাছাড়া কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার দেয় সেগুলোই ব্যবহার করি। ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। পানি ৪ হাজার টাকা, চাষের সময় ২ হাজার ৪শ, কীটনাশক বালাই নাশক ২ হাজার, কাটার জন্য ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। পরিশেষে ধান কাটার সময় দেখি সব ধান চিটা হয়ে গেছে।  তারা আরও বলেন, আমরা চাষিরা এখন কোথায় কার কাছে যাব। আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়েই জীবনযাপন করতে হবে। শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, কৃষকের কোনো ক্ষতি আমরা কখনো চাই না। মাঠকর্মীদের পরামর্শে যে ঘটনা ঘটেছে এতে কৃষকদের ভাগ্যে চরম বিপর্যয় নামবে। কৃষি কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাই। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, দেয়াপাড়া ধান চাষিদের যে ক্ষতি হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় তা করব। চাষিদের ধানক্ষেতের এই অবস্থার সঠিক তদন্ত করা হবে।
০৬ মে, ২০২৪

জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কৃষি শ্রমিক নিহত
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। রোববার (৫ মে) জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কের দাদড়াজন্তি গ্রাম নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন জিতেন বর্মণ (৪৫) ও ইদ্রিস আলী (৪৮)। জিতেন পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইদ্রিস বড় মানিক গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন- সুনীল চন্দ্র, ইসমাইল হোসেন, আলমগীর হোসেন ও মন্টু মিয়া। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত মন্টু মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাধীন সুনীল চন্দ্র বলেন, তারা নওগাঁর রানীনগর থেকে বোরো ধান কেটে সেখানকার সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি এ দুর্ঘটনা ঘটে।  জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক  ডা. সরদার  রাশেদ মোবারক বলেন, দুজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। আহত চারজনের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
০৫ মে, ২০২৪
X