জলদস্যুরা যোগাযোগ না করলে আলোচনার সুযোগ নেই : কেএসআরএম
আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মালিকানাধীন সংস্থা কেএসআরএম এবং এর সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা এখনও জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া অফিসার মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কর্মকর্তারা বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। ক্রুরা নিরাপদে আছেন এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তিনি জানান, জলদস্যুরা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত নাবিক বা জাহাজ উদ্ধারের জন্য আলোচনা শুরু করার কোন সুযোগ নেই। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সম্পূর্ণভাবে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তারা সোমালিয়া উপকূলের দিকে যাচ্ছে। উপকূলে পৌঁছাতে তাদের হয়তো আরও একদিন সময় লাগবে। মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা সাধারণত জাহাজ ছিনতাই করার পর মুক্তিপণ দাবি করার আগে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। সাধারণত বিদেশি কোনো মধ্যস্ততাকারীর মাধ্যমে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা হয় উল্লেখ করে মিজানুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক জাহাজের বিমাকারী সংস্থা ইতোমধ্যে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে।
১৩ মার্চ, ২০২৪

‘ভবিষ্যৎ স্থপতিদের অনুপ্রাণিত করতে কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস’
ভবিষ্যৎ স্থপতিদের অনুপ্রণিত করার জন্য পঞ্চমবারের মতো ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস বেস্ট আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস’ অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের তিনজন উদীয়মান মেধাবী স্থপতিকে সম্মাননা দেওয়া হবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেএসআরএম ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইএবি মিলনায়তনে কেএসআরএম ও আইএবির পক্ষ থেকে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।  এ সময় বক্তারা বলেন, আইএবির সহায়তায় কেএসআরএমের আয়োজিত একটি মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্ট’। এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের আইএবি স্বীকৃত আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সেরা দূরদর্শী প্রকল্পগুলোকে সমাদৃত করা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেএসআরএম ও আইএবির মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে ২০১৯ সালে। সেই থেকে জুরি বোর্ড নির্বাচিত উদীয়মান তিনজন স্থপতিকে প্রতিবছর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় কেএসআরএমের পক্ষ থেকে। চুক্তির শর্তানুযায়ী, এবার আইএবি স্বীকৃত দেশের স্বনামধন্য ১৩টি আর্কিটেকচার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক পর্যায়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সেরা তিন প্রতিযোগী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত প্রজেক্টের মধ্য থেকে সেরা তিনজনকে বাছাই করবে দেশের জ্যেষ্ঠ পাঁচজন স্থপতি নিয়ে গঠিত জুরি বোর্ড।   একইদিন (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আইএবি সেন্টারে প্রজেক্টগুলোর প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৩ ফেব্রুয়ারি আইএবি সেন্টার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ১ লাখ টাকার সম্মাননা, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী ৭৫ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ৫০ হাজার টাকার সম্মাননা। এছাড়াও ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হবে বিজয়ীদের।  কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেট রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) কর্নেল আশফাকুল ইসলাম (অব.) ইঞ্জিনিয়ার তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালে প্রবর্তিত এ অ্যাওয়ার্ডটি স্থাপত্যের স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী এবং ডিপার্টমেন্টগুলোকে অনুপ্রাণিত করার জন্য বার্ষিকভাবে দেওয়া হয়। প্রদর্শনী এবং প্রকাশনা মিলিয়ে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস’ মেধাবী শিক্ষার্থী-প্রকল্পগুলো উপস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কেএসআরএম সব জায়গায় পরিচিত। দেশের সব মেগা প্রকল্পে কেএসআরএমের অংশগ্রহণ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রড সরবরাহ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন আইএবি সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান। উপস্থিত ছিলেন জুড়ি সদস্য ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি শাহেলা জোয়ার্দার জুড়ি সদস্য ও মরফো জেনেসিস পরিচালক স্থপতি শুভ্র শোভন চৌধুরী, আইএবির সহসভাপতি (জাতীয় অ্যাফেয়ার্স) ও ইসি সদস্য স্থপতি মোহাম্মদ আলী নকি, কেএসআরএমের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরী, গণমাধ্যম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইএবি সম্পাদক (শিক্ষা) স্থপতি ড. নওরোজ ফাতেমী, অ্যাওয়ার্ড সমন্বয়কারী স্থপতি সৈয়দা সাইখা সুদাহ্, কেএসআরএমের সিনিয়র ব্যবস্থাপক এএসএম নেওয়াজ মোহাম্মদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম, তাহুমুল হক বাবু প্রমুখ। এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ  বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি), ব্র্যাক  বিশ্ববিদ্যালয়, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি। 
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X