কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পশ্চিমাদের দমনে জোট বাঁধছে ইরান-উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি : সংগৃহীত

চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তির বাইরে বর্তমানে আমেরিকার সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরমাণু শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাব্য পরমাণু শক্তিধর দেশ ইরান। চলমান ভূরাজনৈতিক পরিস্তিতিতে তেহরান ও পিয়ংইয়ং উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি নিয়ে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের জোট নিয়ে বেশ শঙ্কিত ন্যাটো। শুধু তাই নয় এ দুই দেশের পরমাণু কৌশল নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব মোকাবেলায় নিজেদের মধ্যে পরমাণু ও ড্রোনবিষয়ক তথ্য বিনিময় করতে পারে ইরান ও উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে রাশিয়া ও চীনের বাইরে নতুন মিত্র খুঁজছে উত্তর কোরিয়া। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবল মার্কিনবিরোধী দেশ ইরানের ওপর আস্থা রাখতে চাইছেন কিম জং উন।

সিওলে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়া স্টাডিস-এর অধ্যাপক কিম সুং কিয়ুং জানান, উত্তর কোরিয়া মনে করছে, আমেরিকার বিরোধিতা ও ইরানের পাশে দাঁড়ানোর একটা ভালো সুযোগ তাদের সামনে এসেছে। পাশাপাশি তেহরানের কাছে অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি বিক্রি করার একটা সুযোগও পাওয়া গেছে বলে মনে করছে পিয়ংইয়ং। দুই দেশের ওপরই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যার মধ্যেই কিছুটা আর্থিক সুবিধা পেতে চাইছে উত্তর কোরিয়া।

গত এপ্রিলে ইরানে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এর আগে ২০১৯ সালে একই ধরনের প্রতিনিধিদল পাঠায় পিয়ংইয়ং। এসব সফরে দুই দেশের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে দুই দেশই মুখ বন্ধ রেখেছে। তবে সামরিক প্রযুক্তি, পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কথা হয়েছে বলে জল্পনা চলছে।

ট্রয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিওল ক্যাম্পাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড্যানিয়েল পিংকস্টন জানান, তেহরান ও পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আছে। এদের মধ্যে একটি ধর্মতান্ত্রিক ইসলামিক দেশ এবং অপরটি এক নেতা-ভিত্তিক কমিউনিস্ট দেশ হলেও দুই জায়গাতেই কর্তৃত্ববাদী শাসন রয়েছে। দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া বর্তমানে সেসব দেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যারা সামরিক ও আর্থিক দিক দিয়ে তাদের সাহায্য করবে। অধ্যাপক পিংকস্টন মনে করেন, ইরান ও কোরিয়া আরো কাছাকাছি আসবে। তারা একে অন্যকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সাহায্য দেবে। তিনি জানান, অতীতে উত্তর কোরিয়া ইরানকে পরমাণু প্রযুক্তি দিয়েছে।

অনেকের মতে এখন উত্তর কোরিয়া নিজেরা যেসব অস্ত্র তৈরি করেছে, তা ইরানকে দিতে পারে। পরমাণু পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য তারা ইরানকে দিতে পারে। তারা মহাকাশ প্রযুক্তিও দিতে পারে। এছাড়া দুই দেশই ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে উৎসাহী। এর বাহিরে উত্তর কোরিয়ার কাছে ইরান থেকে তেল পাওয়াটাও খুব জরুরি। ইরান রাশিয়ার মাধ্যমে এই তেল উত্তর কোরিয়ার কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বের সবচেয়ে ‘দয়ালু বিচারক’ ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

রাশিয়ার তেল কেনায় ভারত শাস্তি পেল, চীন পেল না কেন?

সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সারওয়ার আলম

টিউমারের ভারে থমকে আছে শিশু মুকাব্বিরের দুরন্তপনা

১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নিখোঁজ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা উদ্ধার

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত মাহবুবুল আনামের

চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

এবার কোথায় বসবেন তারা

খাবার প্লেটের আকারের সঙ্গে স্বাস্থ্যের কী সম্পর্ক রয়েছে

১০

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৫ বাংলাদেশি

১১

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

১২

বিপিএল খেলা তারকা ক্রিকেটার প্রথমবার নাম লেখালেন সিপিএলে

১৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

১৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

১৫

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

১৬

এ যেন বক-পানকৌড়ির অভয়ারণ্য

১৭

সিপিএলে ব্যাট হাতে সাকিব ব্যর্থ হলেও জয় পেয়েছে দল

১৮

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির প্রতিবাদে মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৯

লুটের ২ শতাংশ পাথরও উদ্ধার হয়নি

২০
X