অফিসার্স ক্লাবের সম্পাদক মেজবাহ কোষাধ্যক্ষ ফারুকী
সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাবের নির্বাহী কমিটির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ২ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৬৫৮ ভোট। আর কোষাধ্যক্ষ পদে বিজয়ী হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী (২২৯৭)। গত শুক্রবার রাতে নির্বাচন শেষে গতকাল শনিবার ভোরে নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করে। এর আগে ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাহী কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিসার্স ক্লাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন এম খালিদ মাহমুদ (২৩৮৮), খোন্দকার মোস্তান হোসেন (২৩৪৯) ও অধ্যাপক ড. ফরদৌসী খান (১৯১৩)। যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন তানিয়া খান (২৪৬৫), অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু (২২৯৯) ও আখতারুজ্জামান (২২৫৫)। এ ছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জসিম উদ্দিন, জসীম উদ্দিন হায়দার, ড. সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মো. আলমগীর হোসেন, ড. মো. জাকেরুল আবেদীন (আপেল), মো. দেলোয়ার হোসেন, ডা. রত্না পাল, আছমা সুলতানা (বন্যা), স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান, আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, এ এস এম মামুনুর রহমান খলিলী ও ড. নাশিদ রিজওয়ান মনির। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদাধিকার বলে অফিসার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান। ফলে এ পদে ভোট হয় না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে মো. মাহবুব হোসেন বর্তমানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জবির নতুন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ধারা ১২ (১) অনুসারে অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে জগন্নাথ বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ করা হলো, কোষাধ্যক্ষ পদে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর হবে এবং তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫-এর ধারা ১২-এর উপধারা ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ অনুযায়ী কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর কোষাধ্যক্ষ্যের দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। গত ২৬ নভেম্বর তার মেয়াদ শেষ হয়। প্রসঙ্গত, এ বছর শিক্ষক সমিতিসহ আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সবসংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি-ট্রেজারার নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে জোর দাবি জানান।  
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

জবি থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি শিক্ষক সমিতির
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা। বুধবার (১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে এ দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন।  এর আগে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) শিক্ষক সমিতির সাধরণ সভায় জবি আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের দুপক্ষের এক যৌথ সর্বসম্মতিক্রমে এসব প্রস্তাবনা পাশ করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ট্রেজারারের মেয়াদ শেষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে উক্ত পদসমূহে (উপাচার্য এবং ট্রেজারার) নিয়োগ প্রদান করার জন্য শিক্ষকবৃন্দ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। এসময় তারা উপাচার্যে মেয়াদ শেষ হলে ওই পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে নিয়োগ দেয়ারও দাবি জানান তারা। শিক্ষক নেতারা জানান, জবিতে বর্তমানে গ্রেড-১ পদে ৩৬ জন, গ্রেড-২ পদে ৪৬ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৭৪ জন মিলিয়ে সর্বমোট ১৫৬ জন অধ্যাপক আছেন। এর মধ্যে দুজন অধ্যাপককে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে এবং দুজন অধ্যাপককে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং তারা সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে নিজ শিক্ষকদেরই যোগ্যতা আছে বলে মনে করেন তারা। এ বিষয়ে জবি নীল দলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, বাইরের ভাড়াটিয়া উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষগণ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের মনে করে না। তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা বৃদ্ধি ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে গুরুত্ব দেয় না।১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়টি আক্ষরিক অর্থে এখনো একটি কলেজের অবকাঠামোর মধ্যে রয়েই গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পরিচালনার জন্য সক্ষম ও যোগ্য। একই কথা বলেন নীলদলের অপর অংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর আলম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সকলের দাবি এক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকেই ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া হোক। এ ছাড়া এ নীলদলের সাবেক সভাপতি ও ডীন অধ্যাপক ড.জাকারিয়া মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে বিষয়ে একমত হয়েছে এটার সাথে আমি একমত। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক যোগ্য শিক্ষক আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে শিক্ষকরা সবাই একমত হয়েছে। শিক্ষকরা তাদের দাবি জানিয়েছে।
০১ নভেম্বর, ২০২৩
X