রাবির হল ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ক্যান্টিন মালিক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন এক নারী কর্মচারী। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন ওই নারী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যান্টিন মালিক। অভিযোগকারী ওই নারী বলেন, হাফিজুরের সঙ্গে আমার তিন বছরের সম্পর্ক। আমায় বিভিন্ন কথা বলে, আশ্বাস দিয়ে ব্যবহার করত। আজকে দুপুরবেলা আমি কাজ করছিলাম ক্যান্টিনে ওই লোক ছাড়া আর কেউ ছিল না। তখন সে আবার আমার শ্লীলতাহানি করে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এলাকায় মানসম্মান আছে। একটা বড় ছেলে আছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমি অভিযোগ করতে চাচ্ছি না। ক্যান্টিন মালিক হাফিজুর রহমান ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই মহিলা ক্যান্টিন থেকে চাল চুরি করে পেছনের দরজা দিয়ে পালাচ্ছিল। আমি দেখতে পেয়ে ওকে আটক করি। কয়েকটা চড় মেরেছি। তখন সে নিজেই কাপড় ছিঁড়ে বলে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিবে। তারপর হলো গেটে এসে চেঁচামেচি শুরু করে। আরিফুল ইসলাম নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যান্টিন সিলগালা করায় ভোগান্তি হবে। এরপর ক্যান্টিনের দায়িত্ব যাকেই দেওয়া হোক না কেন, সেখানে ক্যান্টিনের বৈশিষ্ট যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। তবে আজ এ ঘটনায় ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় আমরা কিছুটা ভোগান্তির মুখোমুখি হলেও বৃহৎ স্বার্থে এটা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন কালবেলাকে বলেন, দুপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টিন সিলগালা করা হয়েছে। শিগগির একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ক্যান্টিন খোলা হবে।
০৩ মে, ২০২৪

মেট্রোরেলের ক্যান্টিন ভাড়া তদন্তের নির্দেশ
মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের স্টাফ ক্যান্টিন মাসিক এক হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে সড়ক ও পরিবহন সচিবকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে বিজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। গত ১৪ মার্চ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাড়া দেওয়ার এ তথ্য জানা যায়।
২২ মার্চ, ২০২৪

মেট্রোরেলের ক্যান্টিন ভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা!
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য মাসিক ভাড়া দেওয়া হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকায়। এতো কম টাকায় ভাড়া দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। গত ১৪ মার্চ ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাড়া দেওয়ার তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাড়া হিসেবে মাসিক এক হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত সর্বমোট ১২ হাজার টাকা মূল্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দাখিলকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজের দরপত্রটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। এই নোটিশ জারি করার সাত দিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত রয়েছেন মর্মে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান করা হয় ডিএমটিসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়াও কার্য সম্পাদন জামানত হিসেবে তিন লাখ টাকা আগামী ২৮ মার্চ জমা দিতে বলা হয়। ভাড়ার বিষয়ে ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা ওপেন টেন্ডার হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে এটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই সব পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চার মাস আগের ঘটনা এখন কেন জিজ্ঞাস করছেন? জানা যায়, ডিপোতে তিন শিফটে কাজ হয়। গড়ে ১৫০ জনের মত কর্মকর্তা-কর্মচারী ডিপোতে কাজে থাকেন। এছাড়া ডিপোতে কর্মীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মশালারও আয়োজন হয়ে থাকে। বিজ্ঞপ্তিটি ফেসবুকে মেট্রোরেল প্যাসেঞ্জার কমিউনিটি নামে একটি গ্রুপে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনা করেছেন। হোসেন মোহাম্মদ শিশির নামে একজন লিখেছেনে, ‘এই যে সবে চুরি শুরু হচ্ছে। এরপর প্রতিটি স্টেশনের ফুড কর্ণার এভাবে ইজারা দেয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে অন্যান্য বিভাগ। ২০ বছর পর মেট্রোরেল থাকবে লসে। বিমান, রেল, ব্যাংকসহ সরকারি বাকী প্রতিষ্ঠানগুলোও এইভাবে লোকসানি খাত হইছে।’ শাহ কামাল নামে অপর একজন লিখেছেন, ‘এই টেন্ডার আগেও একবার হয়েছিল তখন কোনো পক্ষ নিতে আসেনি কেননা এটা শুধুমাত্র স্টাফ ক্যান্টিন। এই স্টাফ ক্যান্টিনে খাবার খাবে শুধুমাত্র যারা ডিপোতে থাকবেন। আবার যারা ডিপোতে থাকবেন তারা সকলেই যে খাবে তা কিন্তু না। কেননা ম্যাক্সিমাম কর্মকর্তা, কর্মচারী নিজ বাসা থেকে দুপুরের লাঞ্চ নিয়ে আসেন। যারা মেট্রোরেল স্টেশনে কর্মরত তারা কিন্তু ডিপোতে এসে খেতে পারবেন না দায়িত্বের জন্য। তাই স্টাফ ক্যান্টিন যারা চালাবে এমনও হতে পারে তারা লসে থাকবে। এটা নামমাত্র মূল্যে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে চাহিদার ভিত্তিতে ভাড়াও বাড়বে। ‘
১৭ মার্চ, ২০২৪

ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছেঁড়া সেই ছাত্রলীগ নেতা হল থেকেও বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল ক্যান্টিনের বকেয়া টাকা চাওয়ায় এর মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন অভিকে এবার হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যান্টিনের মালিককে মারধরের ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া আরাফাতের ছাত্রত্ব না থাকায় অবৈধভাবে অবস্থান করায় আজকের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসাইন সেদিনের বিল ও বকেয়া চাইলে ওই ছাত্রলীগ নেতা তাকে ও তার ম্যানেজারকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় ক্যান্টিন মালিকের মুখ থেকে দাড়ি ও পরনের শার্ট-গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর ভুক্তভোগী হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে হল প্রশাসন। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে আরাফাতকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছিঁড়ল ছাত্রলীগ নেতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর বাকি টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে হলের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনের কাউন্টারের সামনে দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ক্যান্টিন মালিকের শার্ট ও গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে এবং ক্যান্টিন ম্যানেজারকেও মারধর করে। ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আরাফাত হোসাইন অভি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী ক্যান্টিন মালিকের নাম মো. ফাহিম হোসেন (৩৫)। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার বর্ণনায় ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা অভি আজকে খাবার খেতে আসছে। কালকে আসেনি। এর আগে পরশু দিন আবার খাবার নিয়ে গেছে, বিল দেয়নি। পরশু দিন একবার বলছি, ভাই আমার আগের কয়ডা টাকা আছে, আর আজকের বিলটা। ওইদিন কইছে, তোমাকে পরে দিব। আজ আবার খাইতে আসছে। তখন কইলাম, ভাই বিলটা দেন। এর আগেরও কিছু বিল আছে। এরপর সে কইতাছে, পরে দিমু তোমারে, লিখা রাখ। পরে আমি কইছি, আচ্ছা লিখা রাখতেছি। এরপর তার সঙ্গে আমার কথা শেষ। এটা ম্যানেজারকে লিখতে বলতেছি, ৬টা খানার সঙ্গে এই বিলটা লেখ। পরে উনি আর বাকি খাইব না। তিনি আরও বলেন, এরপর দুই-তিন মিনিট চইলা গেছে। তখন ঘুইরা আইসা বলতাছে, এই ফাহিম এদিকে আয়। পরে গেছি। যাওয়ার পর কইতাছে, কার লগে কীভাবে কী কইতে হয় জানস না? তখন আমি বললাম, আমি কী কইছি ভাই? আমি তো বিলটা চাইলাম খালি। আমি কইছি না, বিল পরে দিমু? এটা বলেই সে আমার দাঁড়ি ধইরা এক মুষ্টি দাড়ি ছিঁড়ে ফেলছে। তখন যা মুখে আসছে তাই বলে গালি দিছে আর আমাকে ও ম্যানেজারকে কিল, ঘুষি, লাথি দেওয়া শুরু করল। এসময় আমার শার্ট এবং গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে সে। আমি এই ব্যাপারে সূর্যসেন হল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিব। অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত হোসাইন অভি বলেন, আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চাইলে আমি বললাম- আমার বিকাশে সমস্যা, টাকা তুলতে পারছি না। আমি প্রমাণও দেখাইলাম। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন, আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেয়। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম, আপনি এটা কেমন কথা বললেন, সমস্যা তো থাকতে পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাঁড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। তিনি আমাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। আমি কোনো মারধর করিনি। এ প্রসঙ্গে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অভি নামের কাউকে চিনি বলে মনে হচ্ছে না। সে যদি আমার অনুসারীই হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনা তো মানা যায় না। এটা দুঃখজনক। ছাত্রলীগের যে কোনো নেতাকর্মী কোনো অপরাধ করে থাকলে, তা আমাদের কানে আসলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। এ বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি। ক্যান্টিন মালিককে একটি অভিযোগ দিতে বলেছি। এরপর অভিযোগপত্র পেলে তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বুটেক্সের নজরুল হলে অবৈধ ক্যান্টিন উচ্ছেদে কঠোর নির্দেশনা
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলে ক্যান্টিন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাত কর্মদিবসের মধ্যে যাবতীয় মালামাল ও সরঞ্জাম নিয়ে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) হল প্রভোস্ট ড. মো. মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষরিত নোটিশে তা নির্দেশ করা হয়। ক্যান্টিনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে খাবার রান্না করা, দীর্ঘদিন ধরে হলের ডাইনিংয়ের দেয়াল ভেঙে ভেতরের জায়গা দখল করে তা পরিচালনা করা, অবৈধভাবে হলের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করা, বিভিন্ন সময়ে ডাইনিংয়ের গ্লাস-প্লেট-বাটি ইত্যাদি ডাইনিং থেকে নিয়ে যাওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ডাইনিংয়ের খাবার সরবরাহে বাধা প্রদান, হলের স্টাফদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, হলের মধ্যে প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করা, ক্যান্টিনের খাবারের জন্য হলে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ, হলের সীমানা প্রাচীর ভেঙে বহিরাগতদের নিয়মিত খাবার প্রদান করাসহও বিভিন্ন অভিযোগও ক্যান্টিনের বিরুদ্ধে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি বলা হয়, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে হল ত্যাগ না করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্যান্টিন পরিচালনাকারী মো. জিকরুল হক বলেন, এ ব্যাপারে নেতারা জানে। আমাকে এখানে আগের কমিটির নেতারা আনছে। বর্তমান নেতারা আমাকে নিশ্চিন্তে থাকতে বলছে, তারাই বিষয়টা দেখবে।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

লোকসান নিয়ে পালালেন ববি হলের ক্যান্টিন পরিচালক সুমন
লোকসান ও ঋণের সম্মুখীন হয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিন পরিচালক সুমন পালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। আপাতত হলের ক্যান্টিন বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে হলের ক্যান্টিনে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিন বন্ধ দেখতে পান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন ও বাইরের খাবারের হোটেল থেকে নাস্তা করেন তারা। ক্যান্টিনের বাবুর্চি বেলাল জানান, হলের ক্যান্টিন চালাতে গিয়ে লোকসান ও ঋণের সম্মুখীন হয় সুমন। আজ মাসের শেষ দিন ক্যান্টিনে আয়-ব্যয়ের হিসাব করার কথা। ক্যান্টিনের গ্যাস মালিকদের ও অন্যদের টাকা পরিশোধ করার চাপ সহ্য করতে না পেরেই তিনি ও তার লোকজন পালিয়েছে। জানা যায়, বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতের খাবার পরিবেশনের পর বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকেই খোঁজ নেই সুমন ও তার কর্মচারীদের। তারা ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্বে নতুন ছিলেন। সুমন ও তার লোকজন পালিয়ে যাওয়ার কারণে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় এই মুহূর্তে ক্যান্টিন চালু করা সম্ভব নয় বলে জানান বাবুর্চি বেলাল। পলাতক ক্যান্টিন পরিচালক সুমনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শুভ মণ্ডল জানান, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্যান্টিনে গিয়ে দেখতে পাই খাবার নেই। পরে শুনি ক্যান্টিনের পরিচালক ও তার লোকজন পালিয়েছে। এখন অন্য হলের ক্যান্টিন আর বাইরের হোটেল থেকে খেতে হবে। এ ভোগান্তি দূর করার জন্য কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্তে দ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
৩১ আগস্ট, ২০২৩
X