ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবির কার্জন ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যান্টিন ও ফার্মেসির দাবিতে মানববন্ধন

ঢাবির দোয়েল চত্বরে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
ঢাবির দোয়েল চত্বরে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া ও ফার্মেসি স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাবির দোয়েল চত্বরে এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাবির কার্জন হলে একটি ক্যান্টিন থাকলেও সেখানে মানসম্মত ও পর্যাপ্ত খাবার থাকে না। এ ছাড়া, বসারও কোনো পরিবেশ নেই। মোকাররম ভবনে সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনে অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে কিছু টং ও খাবারের দোকান রয়েছে, সেখানেও পর্যাপ্ত এবং মানসম্মত খাবার পাওয়া যায় না। নারী শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে ফার্মেসি সেবার প্রয়োজন হলেও কোনো সেবা শিক্ষার্থীরা পায় না। এসব সেবা পেতে কার্জন হল ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন স্থাপনের দাবি জানিয়েছে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানায়। তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করতে হবে; মোকাররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে; কার্জন হল এলাকায় ফার্মেসি/ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করতে হবে।

মানববন্ধনে ঢাবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন বলেন, আমাদের ঢাবির কার্জন-মোকাররম এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ১২-১৪ হাজারের মতো। অথচ আমাদের এখানে খাবার খাওয়ার জন্য শুধু ম্যাথ ক্যান্টিন, সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনের খাবারের দোকান, জহিরের ক্যান্টিন এবং আইএনএফএস এর খাবারের দোকান বাদে আর কোথাও খাবারের ব্যবস্থা নাই। অনেক সময় দাঁড়িয়ে খেতে হয়। বৃষ্টির দিনে দাঁড়ানোর মতো পরিবেশও থাকে না। অনেক সময় প্রস্রাবের গন্ধে দাঁড়ানোই যায় না। তাই আমরা চাই কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন ও মোকাররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করা হোক।

মীম জামান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কার্জন এলাকার মোট শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেক নারী। তাদের জন্য কোনো ফার্মেসি নেই। আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মেসিতে যেতে বলা হয়। ইমার্জেন্সি অবস্থায় আমাদের ৩০-৪০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে এত দূরে যেতে হয়। আমরা আমাদের পর্যাপ্ত মেডিসিন সেবা পাই না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে আমাদের অন্য কোথাও গিয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ সংগ্রহ করতে হয়। তাই আমরা মনে করি কার্জন এলাকায় ফার্মেসি অথবা ডিজিটাল ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করাটা জরুরি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৬ ডিসেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

৬ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

নতুন ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শনিবার

নতুন প্রজন্ম শান্তিপূর্ণ রাজনীতি প্রত্যাশা করে : ইশরাক

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা আজ

‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের আপনজন’

২০ বছরের ব্যবসা বাঁচাতে ছাড়লেন চেয়ারম্যান পদ

তাসনিম অনন্যার অনুসন্ধানে মহাবিশ্বের চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন

২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?

১০

বিশ্বকাপের গ্রুপ অব ডেথে ফ্রান্স

১১

নুরুদ্দিন অপুর হাত ধরে আ.লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান

১২

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল

১৩

২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা

১৪

রাতে আবার হাসপাতালে গেলেন জুবাইদা রহমান

১৫

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ

১৬

খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে রক্তক্ষরণ

১৭

‘বাঁধের মাটি বড় বড় খণ্ড হয়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভেঙে পড়ে’

১৮

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

১৯

দেড় হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

২০
X