বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবির কার্জন ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যান্টিন ও ফার্মেসির দাবিতে মানববন্ধন

ঢাবির দোয়েল চত্বরে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
ঢাবির দোয়েল চত্বরে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া ও ফার্মেসি স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাবির দোয়েল চত্বরে এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাবির কার্জন হলে একটি ক্যান্টিন থাকলেও সেখানে মানসম্মত ও পর্যাপ্ত খাবার থাকে না। এ ছাড়া, বসারও কোনো পরিবেশ নেই। মোকাররম ভবনে সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনে অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে কিছু টং ও খাবারের দোকান রয়েছে, সেখানেও পর্যাপ্ত এবং মানসম্মত খাবার পাওয়া যায় না। নারী শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে ফার্মেসি সেবার প্রয়োজন হলেও কোনো সেবা শিক্ষার্থীরা পায় না। এসব সেবা পেতে কার্জন হল ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন স্থাপনের দাবি জানিয়েছে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানায়। তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করতে হবে; মোকাররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে; কার্জন হল এলাকায় ফার্মেসি/ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করতে হবে।

মানববন্ধনে ঢাবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন বলেন, আমাদের ঢাবির কার্জন-মোকাররম এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ১২-১৪ হাজারের মতো। অথচ আমাদের এখানে খাবার খাওয়ার জন্য শুধু ম্যাথ ক্যান্টিন, সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনের খাবারের দোকান, জহিরের ক্যান্টিন এবং আইএনএফএস এর খাবারের দোকান বাদে আর কোথাও খাবারের ব্যবস্থা নাই। অনেক সময় দাঁড়িয়ে খেতে হয়। বৃষ্টির দিনে দাঁড়ানোর মতো পরিবেশও থাকে না। অনেক সময় প্রস্রাবের গন্ধে দাঁড়ানোই যায় না। তাই আমরা চাই কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন ও মোকাররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করা হোক।

মীম জামান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কার্জন এলাকার মোট শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেক নারী। তাদের জন্য কোনো ফার্মেসি নেই। আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মেসিতে যেতে বলা হয়। ইমার্জেন্সি অবস্থায় আমাদের ৩০-৪০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে এত দূরে যেতে হয়। আমরা আমাদের পর্যাপ্ত মেডিসিন সেবা পাই না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে আমাদের অন্য কোথাও গিয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ সংগ্রহ করতে হয়। তাই আমরা মনে করি কার্জন এলাকায় ফার্মেসি অথবা ডিজিটাল ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করাটা জরুরি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১–এর কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: উপদেষ্টা

কনভেনশন হলে গেরিলা বৈঠকে গ্রেপ্তার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

বিএনপি নেতাকে কোপাল যুবলীগ নেতা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হাটহাজারী বিমানবন্দর

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডাকসু নির্বাচন / ১৩২ শিক্ষার্থীকে খাওয়ালেন প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন আচরণবিধি লঙ্ঘন

সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে সিলেটে গণশুনানি

১০

একাধিক উপকারিতা কাঠবাদামের, যাদের জন্য ক্ষতিকর

১১

একই দিনে দুইবার পরিবর্তন, রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ

১২

পারকি সৈকতের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

১৩

জয়পুরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

১৪

হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের নামে প্রতারণা, সতর্ক থাকার নির্দেশ

১৫

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের প্রচারণার ভিডিওতে থাকায় বিপাকে শেবাগ

১৬

ভারতের ছাড়া পানি থেকে বাঁচতেই বাঁধ উড়িয়ে দিল পাকিস্তান!

১৭

সিলেটে পানির জন্য হাহাকার, সড়ক অবরোধ

১৮

অপারেশনের পর জ্ঞান না ফেরায় রোগীর মৃত্যু

১৯

শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজারে ওরস বৃহস্পতিবার

২০
X