সাক্ষাৎকার / ল্যাবএইডে হচ্ছে বিশ্বমানের ক্যান্সার চিকিৎসা
ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাকিফ শামীম। সম্প্রতি ফোর্বস মোনাকো ম্যাগাজিনে পারসন অব দ্য ইয়ার হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি, যিনি এ সম্মাননা পেয়েছেন। এর আগে সাকিফ শামীম আরও বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করেছেন। এশিয়াস গ্রেটেস্ট ব্র্যান্ডস অ্যান্ড লিডারস অ্যাওয়ার্ড এবং লিডারশিপের জন্য ফোর্বস এশিয়া ১০০-তে তালিকাভুক্ত হওয়া অন্যতম। তিনি বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসা ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার নানা দিক নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কালবেলা অনলাইনের প্রধান পলাশ মাহমুদ। কালবেলা: বাংলাদেশে বর্তমানে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। প্রতি বছর নতুন ২ লাখ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। প্রতি বছর মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা এত বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন? সাকিফ শামীম: প্রথম কারণ হয়তো পরিবেশগত বিপর্যয়। বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসও ক্যান্সারের জন্য অনেকটা দায়ী। বর্তমানে মানুষ ফাস্টফুড, কোলেস্টরলযুক্ত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিভোগ করছেন। এ ছাড়া খাদ্যে ভেজালের পরিমাণও অনেক বেশি। খাদ্যে ব্যবহৃত রং এবং অন্যান্য অনেক বিষাক্ত উপাদান নিয়মিত মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। পাশাপাশি অ্যালকোহল গ্রহণ ও ধূমপানের কারণে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের শারীরিক পরিশ্রম অনেকটা কমে গেছে বলা যায়। কেননা, যখন মানুষের শারীরিক পরিশ্রম কমে যায় তখন ক্যান্সার বা এ জাতীয় রোগগুলো অনেক বেশি দেখা যায়। ক্যান্সারের জন্য লাইফস্টাইল অনেকাংশে দায়ী। কালবেলা: শিশুদের ক্ষেত্রেও ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, কেন? সাকিফ শামীম: এ বিষয়ে ভালো তথ্য দিতে পারবেন বিশেষজ্ঞ বা গবেষকরা। তবে আমার ধারণা শিশু ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির বড় একটি কারণ জেনেটিক মিউটেশন ও মডিফিকেশন। বাবা-মায়ের লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাসের কারণেও অনেক সময় সন্তান শারীরিক নানা ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক বা এ জাতীয় অনেক রোগ রয়েছে, যেগুলো বাবা-মায়ের লাইফস্টাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু বাবা বা মা নয়, পূর্বপুরুষদের থেকেও জিনগত কারণে ক্যান্সারের জীবাণু শরীরে থাকতে পারে। অর্থাৎ এখানে জেনেটিক মডিফিকেশনের দায় রয়েছে। কালবেলা: ল্যাবএইড বাংলাদেশে প্রথম ক্যান্সার হাসপাতাল চালু করেছে। এর মধ্য দিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসায় বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়ে গেল বলে মনে করেন? সাকিফ শামীম: ক্যান্সার চিকিৎসায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সমন্বয় করে একটি উপযুক্ত চিকিৎসাক্ষেত্র তৈরি করেছি আমরা। দেশি-বিদেশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে ভালো ক্লিনিশিয়ান ও নার্স তৈরি করে চলেছি প্রতিনিয়ত। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ক্যান্সার রোগীর সারভাইভাল রেট যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশের সমপরিমাণ। আমাদের নিজস্ব মেডিকেল রেকর্ডের তথ্যমতে, প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের হাসপাতালে অপারেশনের পর ইনফেকশনের হার ১ শতাংশ, যা সিঙ্গাপুর ও অন্যান্য দেশের চেয়ে কম। আমাদের হাসপাতালে ক্যান্সার শনাক্তকরণের জন্য যাবতীয় সুবিধা রয়েছে। ক্যান্সার হাসপাতালে প্রোপার মডিউল রয়েছে, টিউমার বোর্ড রয়েছে, যেখানে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য একজন সার্জেন্ট, একজন মেডিকেল অনকোলজিস্ট, রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট এমনকি সাইকিয়াট্রিস্টও থাকেন। এভাবে আমরা সমন্বিত চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে ক্যান্সারের আন্তর্জাতিকমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করছি। কালবেলা: ক্যান্সার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল, সেখানে দরিদ্র মানুষের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়? সাকিফ শামীম: দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জন্য আমাদের একটি বড় উদ্যোগ রয়েছে। অপরাজয়ী আবাসন নামে আমাদের একটি ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে আমরা একেবারে সর্বনিম্ন খরচে প্যালিটিভ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। সেখানে ক্যান্সার রোগীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। রেডিওথেরাপি থেকে শুরু করে সার্জারি সবকিছুতেই দরিদ্র রোগীদের জন্য একটি আলাদা প্যাকেজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালে। এ প্যাকেজের অধীনে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ চিকিৎসা খরচ মওকুফ পেয়ে থাকেন তারা। এ ছাড়া আমাদের ল্যাবএইড ফাউন্ডেশন রয়েছে, আমি নিজে সেখানকার জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্বে রয়েছি। এই ফাউন্ডেশনের আওতায় বছরে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার ক্যান্সার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকি। কালবেলা: সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যয় কমাতে সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারে? সাকিফ শামীম: ক্যান্সারের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। ক্যান্সার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র বা সিঙ্গাপুর যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে, আমরাও একই গাইডলাইন অনুসরণ করে থাকি। ক্যান্সার চিকিৎসায় খরচ কমানোর একটাই উপায় সেটি হলো, হেলথ ইন্স্যুরেন্স। হেলথ ইন্স্যুরেন্সের জন্য সরকার থেকে একটি উদ্যোগ থাকতে পারে। বিশেষ করে স্পেশালাইজড হাসপাতালগুলোকে যদি ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ আমরা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে পারব। কালবেলা: সামনে চিকিৎসাসেবায় আর কী কী পরিকল্পনা রয়েছে আপনার? সফিক শামীম: আগামীতে মা ও শিশু হাসপাতাল, নেফ্রলজি হাসপাতাল, নিউরো ফেসিলিটিসযুক্ত অর্থোপেডিকস এবং ট্রমা হাসপাতাল করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। কালবেলা: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের দাম অনেক বেশি। এটা রোগীদের হাতের নাগালে নিয়ে আসার উপায় কী? সাকিফ শামীম: এর জন্য প্রথমে আমাদের কাঁচামাল নিয়ে কাজ করতে হবে। কাঁচামালের জোগান বাড়াতে হবে, কারখানা তৈরি করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও এ জায়গায় কাজ করতে হবে। এভাবে সম্মিলিতভাবে এগোলে হয়তো ওষুধের দাম অনেকটা কমে আসবে। এ ছাড়া ওষুধের অপব্যবহারও কমাতে হবে। যতটুকু প্রয়োজন তার থেকে বেশি ওষুধ রাখেন অনেকে। ওষুধ বিক্রয়ের জন্য একটি যথাযথ নীতিমালা থাকাও জরুরি। কালবেলা: আপনাকে ধন্যবাদ। সাকিফ শামীম: আপনাকেও ও কালবেলার পাঠককেও ধন্যবাদ।  
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

খুলনায় নাগালের বাইরে ক্যান্সার চিকিৎসা
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি ক্যান্সার ইউনিট থাকলেও বিনামূল্যে কিছুই পাওয়া যায় না। ১০ টাকা দিয়ে বহির্বিভাগের টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানোর পর রোগীদের ২০০ টাকা ইজিবাইক ভাড়া দিয়ে টেস্ট করাতে যেতে হয় বিভাগীয় প্রধানের নিজের হাসপাতালে। এক যুগ ধরে ক্যান্সার ইউনিটের সামনে পড়ে আছে ২৪ কোটি টাকা মূল্যের রেডিওথেরাপি (লিনিয়র এক্সেলেটর) মেশিনটি, আজ পর্যন্ত বাক্স খুলে কেউ দেখেননি। রোগীদের রেডিওথেরাপি নিতে যেতে হয় ডা. মুকিতুল হুদার ঢাকার হাসপাতালে। নির্মাণাধীন ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের মেয়াদ শেষের ছয় মাস পার হলেও কাজের মাত্র ২১ শতাংশ শেষ করতে পেরেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে খুলনার মানুষের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে ক্যান্সার সেবা। জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসায় রয়েছে আলাদা ইউনিট। নাম রেডিওথেরাপি ও অনকোলজি বিভাগ। প্রতিবছর সেখানে রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবলের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। ইউনিটের ১২ শয্যার আটটিই বিভিন্ন বিভাগ থেকে ধার করে আনা। বর্তমানে বহির্বিভাগে শুধু কেমোথেরাপি, সার্জারি, নতুন রোগী দেখা ও ফলোআপ কার্যক্রম চলছে। তবে রোগীদের সরকারিভাবে কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না। ফলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কার্যত এই ইউনিটের কোনো সেবা নেই। প্রত্যেক রোগীকে নির্দিষ্ট কোম্পানির কেমোথেরাপির ওষুধের লিস্ট দেওয়া হয় চিকিৎসকের রুম থেকেই। লিস্টের নিচে ওই কোম্পানির প্রতিনিধিকে ফোন করে বাড়তি দামে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। কয়েকদিন আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খুলনা সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী শ্রমিক নান্না ফরাজী (৫০)। তার স্ত্রী জেসমিন জানান, তার স্বামীকে আটটি কেমো দেওয়া হয় এখানে। প্রতিটি কেমোর আগে ৩০ হাজার টাকার মূল্যের একটি স্লিপ ধরিয়ে দেওয়া হতো। খুলনার পাইকারি ওষুধের মার্কেট যাচাইয়ে ওষুধের দাম কম পেলেও সেখান থেকে কিনতে পারেননি তিনি। এভাবে আটটি কেমো দেওয়া শেষ হলে তাকে বিভাগীয় প্রধান ডা. মুকিতুল হুদার নিজস্ব ক্লিনিক ঢাকার সাভারে নিয়ে যান তারা। রেডিওথেরাপি ও অনকোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ক্যান্সার ইউনিটে নতুন রোগী এসেছিলেন ১ হাজার ৬০১ জন। আর ২০২২ সালে সেই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৫০। চলতি বছরে রোগীর সংখ্যা ২ হাজারের কাছাকাছি। সব মিলিয়ে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে বছরে গড়ে ৫ হাজারের মতো মানুষ সেখানে সেবা নেন। বর্তমানে ৯ জন নার্স, আট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পাঁচ চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার ইউনিটের যেনতেন অবস্থা হলেও এর ঠিক উল্টো চিত্র বিভাগীয় প্রধান ডা. মুকিতুল হুদার নিজস্ব হাসপাতাল। খুলনা সিটি বাইপাসে অবস্থিত খুলনা রিজিওনাল ক্যান্সার হাসপাতালটির মালিক তিনি। খুমেক হাসপাতালে ১০ টাকায় বহির্বিভাগের টিকিট নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রায় সবাইকে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সেখানে। খুমেক হাসপাতাল থেকে অন্তত ৪০০ টাকায় যাওয়া-আসা খরচ হয় ইজিবাইকে। চেম্বারের বাইরে থাকা স্টাফরা জানান, এখান থেকে রিপোর্ট না করালে স্যার দেখবেন তা। ফলে রোগীদের টেস্টের খরচের সঙ্গে যোগ হয় অতিরিক্ত ৪০০ টাকা ভাড়া। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপি ও অনকোলজি বিভাগের প্রধান মো. মুকিতুল হুদা বলেন, যন্ত্রপাতি বলতে তেমন কিছু নেই, যা আছে তা দিয়েই বহির্বিভাগে সেবা দেওয়া হচ্ছে। কারও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করা হচ্ছে। এর বাইরে নিয়মিত কেমোথেরাপি দেওয়া হয় এবং নতুন-পুরোনো রোগীদের চিকিৎসা ও ফলোআপ করা হয়। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত সেবা দিতে না পারায় রোগীরাও আশ্বস্ত হতে পারেন না। প্রায় ৫০ ভাগ রোগী ভারতে চলে যাচ্ছেন। এতে প্রতিনিয়ত দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। এক যুগ ধরে বাক্সবন্দি ২৪ কোটির যন্ত্র: ক্যান্সারের চিকিৎসায় ২০১১ সালে খুমেক হাসপাতালে একটি শক্তিশালী রেডিওথেরাপি যন্ত্র দেওয়া হয়েছিল। ২৪ কোটি টাকা দামের লিনিয়র এক্সেলেটর যন্ত্রটির বাক্সও খোলা হয়নি। হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, যন্ত্রটি স্থাপনের জন্য যে অবকাঠামো প্রয়োজন, তা হাসপাতালে নেই। তা ছাড়া যন্ত্র চালানোর মতো দক্ষ জনবলও নেই। নির্মাণ হচ্ছে বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল: খুমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের পাশেই হচ্ছে ২০ তলাবিশিষ্ট একটি ক্যান্সার হাসপাতাল। সেখান থেকে কিডনি, কার্ডিওলজি ও ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হবে। ২০২১ সালের আগস্টে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু সরেজমিন দেখা গেছে, ভবনটির বেজমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী বলেন, ভবনের কাজ শেষ হতে আরও কয়েক বছর লেগে যাবে।
২৫ নভেম্বর, ২০২৩
X