রাজধানীতে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে মৎস্যজীবী দল
প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত শ্রমজীবী ও পথচারীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহ আলম ও সঞ্চালনা করেন কে এম সোহেল রানা। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগ অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম। এ সময় মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় যুগ্মআহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, তারিকুল ইসলাম মধু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমির ও সদস্য সচিব মো. বাকিবিল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরু মোল্লা, ফজলে কাদের সোহেল, মো. ইব্রাহীম চৌধুরী, হাজি আবুবকর ছিদ্দিক, ঢাকা মহানগরীর অন্যতম নেতা মো. শাহাদত হোসেন প্রমুখ।
০৫ মে, ২০২৪

পথচারীদের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করল জাতীয় পার্টি
তীব্র দাবদাহে সর্বসাধারণের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে জাতীয় পার্টি।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) নগরীর শাহজাদপুর বাসস্ট্যান্ডে পথচারী ও অফিসগামী জনসাধারণের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন দলটির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ। পরে তিনি রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের সামনে ও ধোলাইখাল এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ খান, মো. সারফুদ্দীন আহমেদ শিপু, যুগ্ম-মহাসচিব শেখ মাসুক রহমান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল আরেফিন মাসুম, প্রাদেশিকবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, যুগ্ম কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মেহবুব হাসান, যুগ্ম সাহিত্য ও কৃষ্টিবিষয়ক সম্পাদক আফতাব গনি, নির্বাহী সদস্য নাসির নেওয়াজ, কাদের মুন্সীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।  এদিকে জাতীয় ছাত্রসমাজ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলের সামনে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।  এ সময় দলের কো-চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল হক হাফিজ, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, ভাইস-চেয়ারম্যান হাজি নাসির সরকার, আবু নাঈম মো. মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব এস এম হাসেম, যুগ্ম সমবায়বিষয়ক সম্পাদক চিশতী খায়রুল আবরার শিশির, জাতীয় ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক নকিবুল হাসান নিলয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

গণঅধিকার পরিষদের খাবার পানি ও ফল বিতরণ
তীব্র তাপদাহ থেকে স্বস্তি দিতে মানুষের মাঝে খাবার পানি ও ফল বিতরণ করেছে মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে পুরানা পল্টন কালভার্ট রোডে জামান টাওয়ারের সামনে গরমে স্বস্তিদায়ক এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।  তারেক রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, সারা দেশে তীব্র তাপদাহ চলছে। মানুষের জীবন প্রায় যায় যায় অবস্থা। তীব্র গরমের মধ্যে আমরা গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ পথচারীদের মধ্যে খাবার পানি এবং ফল বিতরণ করছি।   তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ শুধু রাজপথের রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমেও আমরা জনগণের পাশে আছি এবং পাশে থাকব।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সাগরের দেশ কক্সবাজারে নেই খাবার পানি
বৈশাখের খরতাপে দেশব্যাপী বাড়ছে গরমের তীব্রতা। সমুদ্রবেষ্টিত কক্সবাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পাশাপাশি অতিমাত্রায় ভূগর্ভের পানি উত্তোলনে কক্সবাজারে দিন দিন পানির স্তর নিচে নামছে। অনেক পাড়ার নলকূপে পানি ওঠা বন্ধ রয়েছে। পানি উঠছে না বৈদ্যুতিক মোটরেও। পানির জন্য গ্রামের পর গ্রামের লোকজনের মধ্যে হাহাকার চলছে। যে পাড়ার নলকূপে পানি উঠছে, সেখানে দূরদূরান্ত থেকে এসে লাইন ধরে খাবার পানি সংগ্রহ করছে মানুষ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয় সূত্র মতে, ২০১৭ সালে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি ভিত্তিতে পানি সরবরাহ করতে বিভিন্ন ক্যাম্পে তিন হাজার অগভীর, ৮০টি গভীর এবং এনজিও সংস্থা আরও ২০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে। প্রতিদিন রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের জন্য ৩০ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা হচ্ছে শুধু দুই উপজেলায়। অতিমাত্রায় পানি উত্তোলন ও তীব্র গরমের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসানো অগভীর নলকূপের ৯০ ভাগ থেকে এখন পানি উত্তোলন হচ্ছে না। তথ্য মতে, টেকনাফের হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহারছড়া, সাবরাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লেদা, দমদমিয়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে লবণাক্ততা। উখিয়ায় তীব্র না হলেও দিন দিন পানির স্তর নিচে নামছে। কক্সবাজারের ঈদগাঁও সদর, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামপুরের অনেক নলকূপে পানি উঠছে না। অকেজো হয়ে গেছে অনেক বৈদ্যুতিক মোটরও। কক্সবাজার শহরের নুরপাড়া, মাঝিরঘট, টেকপাড়া, নতুন বাহারছড়া, বদরমোকাম, কুতুবদিয়ার লেমশিখালী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাবেক সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর বনভূমি। একই সঙ্গে প্রতিদিন ভূগর্ভস্থ থেকে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে মাটির নিচে সুপেয় পানি পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় বাড়ছে লবণাক্ততা। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ছাড়া বিকল্প নেই। ঈদগাঁও স্কুল শিক্ষক একেএম জাহাঙ্গীর জানান, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা এবং পাহাড়বেষ্টিত গ্রামগুলোতে সুপেয় পানীর অভাব দেখা দিয়েছে। নলকূপ অকেজো হওয়ার পাশাপাশি অকেজো হয়ে গেছে অনেক বৈদ্যুতিক মোটরও। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, পানিতে লবণাক্ততা বাড়লে ই-কোলাই ভাইরাস বৃদ্ধি পেতে পারে। ই-কোলাই ভাইরাস বায়বীয় ও অবায়বীয় দুই অবস্থাতেই থাকতে পারে। এ ভাইরাসের কারণে মূত্রনালিতে সংক্রমণ, রক্তে বিষক্রিয়া, মেনিনজাইটিস টাইফয়েড, ডায়রিয়া, বমি এবং রক্তযুক্ত মল, মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ এবং প্রচণ্ড জ্বর হতে পারে। কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুপেয় পানি সংকট দূর করতে রেইন ওয়েটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প চলমান রয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া-টেকনাফকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উখিয়ার পালংখালীতে ৬০০ একর জমি ইজারা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, টেকনাফ-উখিয়া এবং কক্সবাজার শহর ও উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিতে পারে, এমন শঙ্কায় ওয়াটার-এনার্জি-লাইভলিহুড (ওয়েল) নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া চলমান রয়েছে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুপেয় পানি সংকট দূর হবে। একই সঙ্গে সাগরের লবণাক্ত পানি পরিশোধন করে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

বিভিন্ন স্থানে ঢাকা ওয়াসার খাবার পানি বিতরণ
তীব্র দাবদাহে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খাবার পানি বিতরণ করছে ঢাকা ওয়াসা। সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) ওয়াসার ওয়েবসাইটে এক নোটিশে বলা হয়েছিল, বর্তমানে সারা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ পানি সরবরাহ কার্যক্রম চলবে। নোটিশে আরও বলা হয়েছিল, আপনার প্রয়োজনে ঢাকা ওয়াসার পানি সেবা আপনার পাশেই থাকছে। ঢাকা ওয়াসা- সদা আপনার সেবায় নিয়োজিত। বদরুল আলম বলেন, রমজানে যেভাবে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণভাবে পানি দেওয়া হয়, এখন ঠিক সেভাবে বিনামূল্যে পানি বিতরণ করা হচ্ছে। ওয়াসার এমন সেবায় নাগরিকেরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
X