হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
হাসপাতালে জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে রওনা হয়ে রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি। বাসায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলবে। এর আগে লিভার জটিলতায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গত বুধবার রাতে খালেদা জিয়াকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সে সময় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, কিছু জরুরি পরীক্ষার জন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গতকাল দুপুরে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে সিসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিন দিন হাসপাতালে থাকার পর গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলনে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি। এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বিদেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সে সুযোগ না থাকায় অনুমোদন দেয়নি সরকার। এ চেষ্টার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনেও তার চিকিৎসা করানো হয়।
০৩ মে, ২০২৪

‘লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন না’
লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন না বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তাই, বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে সরকারের প্রতি আবারো আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থেকে বাসায় ফেরার পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডাক্তার জাহিদ। কিডনি, লিভার, আর্থাইটিসসহ নানা সমস্যার মধ্যে খালেদা জিয়ার লিভারের সমস্যাই এখন জটিল বলেও ডাক্তার জাহিদের। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গতকাল নিজ ভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে মেডিকেল বোর্ড বসে, সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন চিকিৎসায় যুক্ত থাকা বিদেশি ডাক্তাররাও। পরে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় নিয়ে আসা হয় খালেদা জিয়াকে। আপাতত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই তার চিকিৎসা চলবে বলে জানান খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
০২ মে, ২০২৪

বাসায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
হাসপাতালে জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি।  এর আগে, লিভার জটিলতায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বুধবার (১ মে) দিবাগত রাতে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ডা. জাহিদ দুপুরে জানান, বুধবার রাতে ম্যাডামের বেশ কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসাসেবা দেন। জানা গেছে, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে সিসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বিদেশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সে সুযোগ না থাকায় এ অনুমোদন দেয়নি সরকার। এ চেষ্টার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনেও তার চিকিৎসা করানো হয়। দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
০২ মে, ২০২৪

বাসার পথে খালেদা জিয়া
হাসপাতালে জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।  বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হন তিনি।  এর আগে, লিভার জটিলতায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বুধবার (১ মে) দিবাগত রাতে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন তখন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘কিছু জরুরি পরীক্ষার জন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে ওনাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।’  ডা. জাহিদ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জানান, বুধবার রাতে ম্যাডামের বেশ কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসাসেবা দেন। জানা গেছে, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে সিসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি।  গত বছরের অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বিদেশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সে সুযোগ না থাকায় এ অনুমোদন দেয়নি সরকার। এ চেষ্টার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনেও তার চিকিৎসা করানো হয়।  দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
০২ মে, ২০২৪

খালেদা জিয়া আজ তিলে তিলে ভুগছেন
গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ তিলে তিলে ভুগছেন বলে উল্লেখ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য আজ লড়াই করছি, এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পরে গণতন্ত্র লালিত হয়েছে খালেদা জিয়ার হাতে। এ গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। এখন তিনিই তিলে তিলে ভুগছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়া আন্দোলনে শহীদ, গুম ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীর পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

লিভার জটিলতায় খালেদা জিয়া ফের হাসপাতালে ভর্তি
লিভার সিরোসিসের জটিলতায় ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত শনিবার মধ্যরাতে ভর্তির পর তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে তার স্বাস্থ্যের বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট দেখে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে কয়েকদিন থাকতে হতে পারে বলে তার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন গতকাল রোববার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাডামের শরীর ভালো যাচ্ছিল না বলে গভীর রাতে হাসপাতালে এনে ভর্তি করাতে হয়েছে। এখন সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই ম্যাডামের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল বোর্ড রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থাপত্র দেয়। দোয়া করেন ম্যাডামের জন্য। এর বেশি কিছু বলার নেই। হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে শনিবার রাত ৩টার দিকে তার গুলশানের বাসা থেকে ছোট ভাই সাইদ এস্কান্দারের গাড়িতে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেই খবরে রাত ৪টার দিকে শতাধিক নেতাকর্মী এভারকেয়ারের বাইরে ভিড় করেন। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ফুসফুস, লিভার, কিডনির জটিলতাসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে গতকাল বিকেলে এক ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া এখনো বন্দি অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তার কথা আমরা স্মরণ করব এবং আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করব। জানা যায়, গত বুধবার দুপুরের পর থেকে পেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকের পরামর্শে ওইদিন রাতেই তার হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাসায় গিয়ে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। অবস্থার কিছু উন্নতি হলে তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। সাময়িক মুক্তি পাওয়ার পর কোভিড, লিভার জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বিএনপি নেত্রীকে। এর মধ্যে গত অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

সিসিইউতে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।  শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ৩টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে সরাসরি সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তার পুরোনো রোগ লিভার সিরোসিস জটিলতা বেড়ে যাওয়া তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে, শনিবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় যান মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে আছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। সবশেষ, গত ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। পর দিন ১৪ মার্চ রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
৩১ মার্চ, ২০২৪

সুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়া বাসাতেই পর্যবেক্ষণে থাকবেন, প্রয়োজন হলে হাসপাতালে
সুস্থ বোধ করায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে আর হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্যের ‘হঠাৎ গুরুতর অবনতি’ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে রাত ১০টার পর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে বেগম জিয়ার রওনা দেওয়ার কথা ছিল।  খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বুধবার দুপুরের পর থেকে ম্যাডাম একটু অসুস্থ বোধ করছিলেন। বর্তমানে তিনি আগের তুলনায় সুস্থবোধ করায় তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।  তিনি আরও বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ বোধ করায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বাসায় এসে তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন- বেগম খালেদা জিয়াকে আপাতত বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং তিনি পর্যবেক্ষণে থাকবেন। প্রয়োজন হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।   এভারকেয়ার হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন। বেগম জিয়ার বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানও লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেন।   এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা চেয়ে দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দেন তার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এর আগে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরদিন ১৪ মার্চ বাসায় ফেরেন তিনি। বাসাতেই মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
২৮ মার্চ, ২০২৪

সরকারের কাছে খালেদা জিয়া একটি আতঙ্ক : মজনু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, মুক্ত খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ সরকার আতঙ্ক মনে করে। তাই তাকে বন্দি রেখে সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চায়। তারা খালেদা জিয়াকে এখন বন্দি অবস্থায়ও নিরাপদ মনে করছে না। তাই বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।   রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এলাকা ফেনি-১ আসনের ছাগলনাইয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।   মজনু বলেন, যে জিয়া পরিবার স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য জীবনবাজি রেখেছে- সেই জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার নীল নকশা করছে সরকার। কিন্তু সরকার হয়ত জানে না, জিয়া পরিবারের সদস্য ধ্বংস হবার নয়। গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষই জিয়া পরিবারের সদস্য।   তিনি আরও বলেন, অনেক অত্যাচার-অবিচার করেও সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তায় ধস নামাতে পারেনি। বরং সরকারের দমন-পীড়নের কারণে বিএনপি আজ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলে পরিণত হয়েছে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। যার কারণে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা ছাড়া আওয়ামী লীগের আর কোনো পথ নেই। স্থানীয় নিপ্পন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ছাগলনাইয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ইউসুফ মজুমদার। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক মেয়র আলমগীর বিএ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর খালেক, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কফিলউদ্দিন সরকার, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল লতিফ, জেলা যুবদলের সভাপতি জসিমউদদীন, সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন খন্দকার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমজি কিবরিয়া মজুমদার, পৌর বিএনপির  ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব কাজী মনির আহমদ খোকনসহ পৌর ও উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
২৫ মার্চ, ২০২৪

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন তিনি। গত বুধবার সন্ধ্যার পর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে বাসায় নেওয়া হয়। এদিকে খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার খবরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ছুটে যান বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরকে এসকর্ট দিয়ে গুলশানের বাসা পর্যন্ত যান। বুধবার রাতে হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসীকে রমজানের মোবারকবাদ জানিয়েছেন। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রমজানে উনার জন্য দোয়া করতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বারবার সরকারের কাছে বলা হয়েছে। যত দ্রুত একটা ভালো সেন্টারে নেওয়া যাবে ততই তার রোগ মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
১৫ মার্চ, ২০২৪
X