৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ৬০ কোটি টাকা মূল্যের ৩২ শতাংশ খাস জায়গা উদ্ধার করেছে ঢাকার জেলা প্রশাসন।  মঙ্গলবার (৭ মে) মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেলের আওতাধীন বড়সায়েক মৌজায় সরকারি খাস জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এ অভিযান পরিচালনা করেন মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেল এর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুবকর সিদ্দিক।  জানা গেছে, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সরকারি খাস জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এ অভিযানের সময় মেসার্স রহমান সার্ভিস স্টেশনের দখলে থাকা বড় সায়েক মৌজার আর.এস ও সিটি ১ নং খতিয়ানের আর.এস ২৮  নং দাগ এবং সিটি ৮০৪ নং দাগের ৩২ শতক ভূমি উদ্ধার করা হয়।  উদ্ধারকৃত সরকারি এ সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
০৭ মে, ২০২৪

রাজধানীতে ৬০ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার 
রাজধানীর গুলশান রাজস্ব সার্কেলের আওতাধীন মস্তুল মৌজাস্থিত খিলক্ষেত থানার মস্তুলে প্রায় ৬০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। আরএস এবং মহানগর জরিপের ধারাবাহিকতায় সরকারের নামে ১নং খাস খতিয়ানে রেকর্ড ৭৭.৮০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে নাসা গ্রুপের অবৈধ দখলে ছিল। ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সার্বিক নির্দেশনা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিবলী সাদিকের তত্ত্বাবধানে গুলশান রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর কামরুজ্জামান কবির অভিযান চালিয়ে আজ সিটি ২১১৯, ২১২৪ এবং ২১২৫ নং দাগের যথাক্রমে ২৩ শতক, ৩৬.৮০ শতক এবং ১৮ শতক মোট  ৭৭.৮০ শতক খাস জমি উদ্ধার করেন। একইসঙ্গে খাস জমিতে সরকারের পক্ষে মালিকানা সাইনবোর্ড ও কাটা তারের বেস্টনী নির্মাণ করে জেলা প্রশাসন-ঢাকার দখল ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এ অভিযান পরিচালনার সময় গুলশান রাজস্ব সার্কেলের সার্ভেয়ার ও সংশ্লিষ্ট ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, খিলক্ষেত থানার কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানান, ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে মূল্যবান অনেক খাস জমি বিভিন্ন দখলদাররা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে আছেন। এ সব খাস জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

খাস জমি ইজারা নিয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, খাস জমি ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার (৬ মার্চ) সকালে ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা বলেন। খাস জমিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভূমি অপরাধ আইন হলে বিধির দরকার হয়। বিধির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এই আইন হলে জনগণ উপকৃত হবে। ফলে কেউ দখলে থাকলে তিনি সুবিধা পাবেন না। কাগজই হবে শেষ কথা। অর্পিত সম্পত্তিসংক্রান্ত অনেক আইন চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওগুলো তো আমরা নিষ্পত্তি করতে পারব না। তবে এর বাইরে যেগুলো আছে সেগুলো যা যা করার দরকার সেসব আমরা করছি। একটি পরিপত্র ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। তিনি বলেন, একটা খতিয়ান থেকে কেউ হয়তো বের হয়ে গেছে, ওই খতিয়ান ধরে অনেকে খাজনা দিতে পারছেন না। যারা বের হয়ে গেছে তাদেরটা আলাদা করে যারা বের হয়নি তাদের পৃথক খতিয়ান করে খাজনা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা বের হয়ে গেছে তাদের খাস খতিয়ানে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। একপর্যায়ে তপশিল থাকবে না। ভূমির ডিজিটালাইজেশন, ভূমি কর, নামজারি অনলাইন করার প্রসঙ্গে বলেন, রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন না হওয়া পর্যন্ত এটা পুরোপুরি সম্ভব না।  
০৬ মার্চ, ২০২৪

খাস জমি খুঁজে বের করে খেলার মাঠ বানাবে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় খাস জমি রয়েছে। অনেক খাস জমি বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো খুঁজে বের করে খেলার মাঠ বানানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী মেয়রের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবিগুলো তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা মাঠের দাবি জানালে মেয়র বলেন, এই এলাকায় সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জমি নেই খেলার মাঠ নির্মাণের জন্য। আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছে জমি চেয়েছি। তারা যদি হস্তান্তর করে তাহলে আমরা খেলার মাঠ নির্মাণ করে দেব। আতিকুল ইসলাম বলেন, বাসা-বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে বা খালে দেওয়া যাবে না। নিজেদের বাসা বাড়িতে নিজস্ব ব্যবস্থায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। খালগুলোকে বাঁচাতে হবে। জলাশয়গুলোকে বাঁচাতে হবে। আমরা লাউতলা খাল উদ্ধার করে সেখানে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করেছি। খালের পাড়ে গাছ লাগিয়ে দিয়েছি। এখন দেখলাম সেই খালে আবার মানুষ ময়লা আবর্জনা ফেলে খাল ভরাট করছে। সবাইকে অনুরোধ করছি দয়া করে কেউ খালে ময়লা ফেলবেন না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ড্রেন বা নর্দমার পানিতে কিন্তু এডিস মশার জন্ম হয় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। জমে থাকা স্বচ্ছ পানি ফেলে দিন। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতায় গত ঈদে মাত্র ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছিল বলেই আমরা সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। অতএব জনগণ সহযোগিতা করলেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল ৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩
X