ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় খাস জমি রয়েছে। অনেক খাস জমি বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো খুঁজে বের করে খেলার মাঠ বানানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী মেয়রের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবিগুলো তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা মাঠের দাবি জানালে মেয়র বলেন, এই এলাকায় সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জমি নেই খেলার মাঠ নির্মাণের জন্য। আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছে জমি চেয়েছি। তারা যদি হস্তান্তর করে তাহলে আমরা খেলার মাঠ নির্মাণ করে দেব।
আতিকুল ইসলাম বলেন, বাসা-বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে বা খালে দেওয়া যাবে না। নিজেদের বাসা বাড়িতে নিজস্ব ব্যবস্থায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। খালগুলোকে বাঁচাতে হবে। জলাশয়গুলোকে বাঁচাতে হবে। আমরা লাউতলা খাল উদ্ধার করে সেখানে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করেছি। খালের পাড়ে গাছ লাগিয়ে দিয়েছি। এখন দেখলাম সেই খালে আবার মানুষ ময়লা আবর্জনা ফেলে খাল ভরাট করছে। সবাইকে অনুরোধ করছি দয়া করে কেউ খালে ময়লা ফেলবেন না।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ড্রেন বা নর্দমার পানিতে কিন্তু এডিস মশার জন্ম হয় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। জমে থাকা স্বচ্ছ পানি ফেলে দিন। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতায় গত ঈদে মাত্র ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছিল বলেই আমরা সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। অতএব জনগণ সহযোগিতা করলেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল ৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
মন্তব্য করুন