২৮ পদে শিক্ষকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী নেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
একাধিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠান ১৭ ক্যাটাগরির পদে তৃতীয় থেকে ১৯তম গ্রেডে শিক্ষকসহ মোট ২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনের পর তা ডাউনলোড করে সরাসরি বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নাম : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়স : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : খুলনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি বিভাগে ৯ জন অধ্যাপক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনে একজন; ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনে দুজন; মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ডিসিপ্লিনে দুজন; গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনে একজন এবং শিক্ষা ডিসিপ্লিনে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তৃতীয় গ্রেডের এই পদের বেতন স্কেল ৫৬,৫০০ থেকে ৭৪,৪০০ টাকা। সহযোগী অধ্যাপক পদে ইনস্টিটিউট ফর ইনটিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস অ্যান্ড কোস্টাল ইকোসিস্টেমে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চতুর্থ গ্রেডের এই পদের বেতন স্কেল ৫০,০০০ থেকে ৭১,২০০ টাকা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি বিভাগে সাতজন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্থাপত্য ডিসিপ্লিনে চারজন; ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনে দুজন ও রসায়ন ডিসিপ্লিন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নবম গ্রেডের এই পদের বেতন স্কেল ২২,০০০ থেকে ৫৩,০৬০ টাকা। ষষ্ঠ গ্রেডে একজন নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বেতন স্কেল ৩৫,৫০০ থেকে ৬৭,০১০ টাকা। নবম গ্রেডে তিনজন সেকশন অফিসার ও একজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বেতন স্কেল ২২,০০০ থেকে ৫৩,০৬০ টাকা। এ ছাড়া উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। দশম গ্রেডের এই পদের বেতন স্কেল ১৬,০০০ থেকে ৩৮,৬৪০ টাকা। ১৩তম গ্রেডে একজন পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর ও একজন এক্সরে টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে। এই দুই পদের বেতন স্কেল ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ টাকা। ১৫তম গ্রেডে দুজন ড্রাইভার (হেভি/মিডিয়াম) নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বেতন স্কেল ৯,৭০০ থেকে ২৩,৪৯০ টাকা এবং ১৯তম গ্রেডে একজন ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের বেতন স্কেল ৮,৫০০ থেকে ২০,৪৭০ টাকা। আবেদনপত্র সংগ্রহ : আগ্রহীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদনের ঠিকানা : রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা। আবেদন ফি : ১-১২ নং পদের জন্য ৬০০ টাকা, ১৩ নং পদের জন্য ৫০০ টাকা, ১৪-১৫ নং পদের জন্য ২০০ টাকা, ১৬-১৭ নং পদের জন্য ১০০ টাকা অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (রকেট) মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদনের শেষ সময় : ২৩ মে ২০২৪ অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
০২ মে, ২০২৪

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা / খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘বিজ্ঞান’ ইউনিটের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং রেভারেন্ড পলস্ হাই স্কুলে এ পরীক্ষা হয়। এতে উপস্থিতির হার ছিল ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খুবির দায়িত্বশীলরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পরীক্ষা চলাকালে খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন  সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। ভর্তি পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চলমান থাকায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরীক্ষা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রতিনিধি দলের সদস্য অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরিফ উল ইসলাম উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ভর্তি পরীক্ষার পরিবেশ দেখে তারাও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্রের ফোকাল পয়েন্ট ও চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ, বিজ্ঞান ইউনিট প্রধান ও জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
০১ মার্চ, ২০২৪

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কমিটি গঠন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (খুবিসাস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দৈনিক নয়া শতাব্দীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি একরামুল হক সভাপতি এবং ট্রিবিউন নিউজের সুমাইয়া আক্তার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনে সমিতির কার্যালয়ে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. খান মেহেদী হাসান। নির্বাচনে সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. উজ্জ্বল তালুকদার এবং আইন ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি মুহিব্বুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রাণ প্রতিম কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলকামা রমিন, অর্থ সম্পাদক খালিদ আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আমিনুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পাপড়ি খানম। সদস্যরা হলেন ফারুক খান, মোস্তফা কামাল ও মিরাজুল ইসলাম।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিশ্ব দরবারে দেশের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। নেদারল্যান্ডসে আয়োজিত ন্যাচার বেইজড ফিউচার প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের একটি দল অংশগ্রহণ করবে। ওয়াগেনিংগেন ইউনিভার্সিটি অব রিসার্চ, নেদারল্যান্ডসের ‘ন্যাচার বেইজড ফিউচার-২০২৪’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গ্লোবাল ফাইনালে অংশগ্রহণের এ সুযোগ পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘H2O Innovators’-এ সম্মান অর্জন করে। দলটির সদস্যরা হলেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম লাবিব (দলনেতা), মো. রাশেদ জাওয়াদ খান এবং বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আরিফা আফরোজ রিমি। দলটি আগামী জুন মাসে নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিংগেন ইউনিভার্সিটি অব রিসার্চ এ অনুষ্ঠেয় গ্লোবাল ফাইনালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছে। এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘H2O Innovators’ ন্যাচার বেইজড ফিউচার-২০২৪ প্রতিযোগিতায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে গ্লোবাল ফাইনালে স্থান করে নেওয়ায় তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। তাদের সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা বৈশ্বিক পর্যায়েও অব্যাহত থাকবে বলে আমি মনে করি। ‘ন্যাচার বেউজড ফিউচার-২০২৪’ প্রতিযোগিতায় এবারের চ্যালেঞ্জ ছিল, কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি মুখ্য অবস্থানে রেখে প্রাকৃতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। প্রতিযোগিতাটি ইনস্টিটিউশন এবং ন্যাশনাল লেভেল থেকে গ্লোবাল পর্যায়ে একাধিক রাউন্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়; যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যাচারবিষয়ক সমাধান বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করেন। প্রতিযোগিতাটিতে বাংলাদেশ পর্বের সার্বিক দায়িত্বে ছিল ইন্টারন্যাশনাল এসোসিশেন অব স্টুডেন্টস ইন এগ্রিকালচারর অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্সেস (আইএএএস)। দলটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আইএএএস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কনগ্রেস ২০২৩ এ তাদের আইডিয়া প্রেজেন্টেশনের সুযোগ পায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের লবণাক্ত পানির সমস্যাকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘H2O Innovators’ একটি প্রকৃতি নির্ভর সমাধান উপস্থাপন করে যা খুবই অল্প খরচে এবং সহজভাবে প্রান্তিক মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। দলটি আগামী ১১ জুন নেদারল্যান্ডসে হতে যাওয়া এই গ্লোবাল ফাইনালে তাদের এই ইনোভেটিভ সলিউশনের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

শীতকালীন ছুটিতে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শীতকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী রোববার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে ১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসের সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর উপাচার্যের নির্বাহী আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে। সে সঙ্গে আগামী বছরের ১ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টার্ম ব্রেক ও শীতকালীন ছুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জরুরি পরিষেবাসমূহ (বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা) যথারীতি চালু থাকবে। উল্লিখিত ছুটি শেষে ২০২৪ সালের  ৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত
নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খবি) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে শনিবার (২৫ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব ও পরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর হাদী চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। শোভাযাত্রা শুরুর প্রাক্কালে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আনন্দের দিন। শিক্ষা-গবেষণায় যে দুর্বার গতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগ্রহণ শেষে গ্র্যাজুয়েটরা দেশের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের সুনাম ও দক্ষতা আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত। উপাচার্য বলেন, আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাস্ড ইউনিভার্সিটি গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এজন্য নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে গবেষণায় অনুদান বেড়েছে, নিজস্ব গবেষণা তহবিল গঠন করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বক্তব্যের শুরুতে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিকাশে নানাভাবে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে আজকের এই আনন্দময় দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ-বিদেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্যগাঁথা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পরে শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের অধিকাংশ সড়ক প্রদশিক্ষণ করে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রার পূর্বে মুক্তমঞ্চের সম্মুখস্থ মাঠে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে তিনি ফিতা কেটে কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অটোমেশন এবং কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে গ্রন্থাগারের বই ইস্যু করেন এবং গ্রন্থাগারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে গ্রন্থাগার অটোমেশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. সারওয়ার জাহান। এরপর ফিতা কেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এ সময় তিনি চিকিৎসা কেন্দ্রের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন। পরে সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কানিজ ফাহমিদা। এরপরই ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে রোটারি ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ প্ল্যাকার্ড স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে কেক কাটেন উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য, ট্রেজারার এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় পরিষদকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। উপউপাচার্য, ট্রেজারার এবং পরিষদের নির্বাহী সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে সন্ধ্যা ৬টায় গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হয়।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত
নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব ও পরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর হাদী চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। শোভাযাত্রার শুরুতে তিনি বলেন, শিক্ষা-গবেষণায় যে দুর্বার গতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাসড ইউনিভার্সিটি গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এজন্য নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে গবেষণায় অনুদান বেড়েছে, নিজস্ব গবেষণা তহবিল গঠন করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী, চারুকলা স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. নিহার রঞ্জন সিংহ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস এবং বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রার আগে মুক্তমঞ্চের সম্মুখে মাঠে বিভাগ/ডিসিপ্লিনগুলোর গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে তিনি ফিতা কেটে কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অটোমেশন এবং কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে গ্রন্থাগারের বই ইস্যু করেন এবং ভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে গ্রন্থাগার অটোমেশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. সারওয়ার জাহান।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সর্বোৎকৃষ্ঠ পন্থা বৃক্ষরোপণ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা ও পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধনে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানবজাতিসহ প্রাণিকূলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে পরিকল্পিতভাবে পর্যাপ্ত গাছ লাগান একান্ত প্রয়োজন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাছ লাগিয়ে পরিবেশের সুরক্ষার পাশাপাশি বছরজুড়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলমান থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কম বয়স্ক একটি গাছ বছরে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ গ্রাম কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে। অন্যদিকে, ১০ বছরের বেশি পুরোনো গাছ বছরে ২২ হাজার গ্রাম কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে থাকে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত কয়েক মাসে নতুন করে দুই সহস্রাধিক গাছ রোপণ করা হয়েছে। যা বছরে প্রায় ১১ হাজার ৮০০ কেজি কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারবে। আগামী ১০ বছর পর এ গাছগুলো বছরে প্রায় ৪৪ হাজার কেজি কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারবে। এমন অভিনব উদ্যোগে একদিকে যেমন ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুরক্ষিত থাকছে, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এবং আগত অতিথিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। ক্যাম্পাসের খানজাহান আলী হলের দক্ষিণ ও উত্তরে রাস্তার পাশে, ক্যাফেটেরিয়ার পাশে, নির্মাণাধীন জয়বাংলা ভবন থেকে ৩নং একাডেমিক ভবন পর্যন্ত রাস্তা, অদম্য বাংলার পেছনের রাস্তা, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের মাঝামাঝি নিচু স্থানে বিভিন্ন গাছ রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পাশে, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও অপরাজিতা হলের মাঝামাঝি স্থানে, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পাশে ও কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, পলাশ, সোনালু, জারুল, হিজল ও বরুণসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ, ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষের চারাও লাগানো হয়েছে। ইংরেজি ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল্লাহ খালিদ জানান, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ আমাদের বন্ধুর মতো কাজ করে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এসব গাছ।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানো এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার মাতৃভূমি সবুজায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বৃক্ষরোপণের নানা ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করে থাকে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার একটি হাতিয়ারও বৃক্ষরোপণ। নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে বেশি করে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
২২ অক্টোবর, ২০২৩
X