টিপস / খুশকি তাড়াতে রসুনের প্যাক
রসুন শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। চুল পড়া ও খুশকি নিয়ে যারা নাজেহাল, তাদের জন্য রসুন ঘরোয়া প্রতিকার। খুশকি দূর করতে তাই ব্যবহার করতে পারেন রসুনের প্যাক। চুলে রসুনের উপকার রসুন ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়। রসুনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বককে সংক্রমণ থেকে বাঁচাবে ও এতে খুশকিও কমবে। স্কাল্পে আগে থেকে হওয়া অনেক ক্ষতিও নিরাময় করতে পারে রসুন। রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী। রসুনের অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মাথার ত্বককে রক্ষা করে। রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে। রসুনের সেলেনিয়াম মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে চুলের বৃদ্ধি গতি পায়। রসুন ও অলিভ অয়েল রসুনের পাঁচ-ছয়টা কোয়া ভালো করে পিষে এতে পরিমাণমতো অলিভ অয়েল মেশান। মিশ্রণটি গরম করুন। হালকা ঠান্ডা হলে চুলে ম্যাসাজ করুন। এতে খুশকি কমার পাশাপাশি চুলের গোড়াও মজবুত হবে। রসুন ও মধু কয়েকটা রসুনের কোয়া পিষে নিন। তাতে মধু মেশান। ভালো করে মিশিয়ে চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন। রসুন ও নারকেল তেল পাঁচ-ছয়টি রসুন খোসা ছাড়িয়ে পিষে নিন। এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মেশান। মিশ্রণটি গরম করে প্রায় আধা ঘণ্টা স্কাল্প তথা মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সতর্কতা চুলে অতিরিক্ত রসুন ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করার আগে, একজন হেয়ার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। রসুনে কোনো ধরনের অ্যালার্জিক সমস্যা থাকলেও এটি ব্যবহার করা যাবে না।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

টিপস / এই শীতে খুশকি তাড়াতে
শীতকালে দৌরাত্ম্য বাড়ে খুশকির। শুষ্ক আবহাওয়া আর অতিরিক্ত দূষণই যার কারণ। শীতের সময় আর্দ্রতার অভাবেও শুকিয়ে আসে মাথার ত্বক। এতে ত্বকে বাড়ে মরা কোষ। বাড়ে চুলকানিও। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আছে কিছু ঘরোয়া সমাধান। দুধ ও মধু আধা কাপ দুধে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে স্ক্যাল্প বা ত্বকে লাগান। এই দুধ-মধুর মাস্ক চুল ঘন করবে, চুল পড়াও কমাবে। কলার হেয়ার মাস্ক পাকা কলা চটকে মধু ও নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। চুলে ও স্ক্যাল্পে ভালোভাবে লাগান। ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি স্ক্যাল্প শুষ্ক হওয়া রোধ করবে। দই ও ডিম আধা কাপ টক দইয়ে একটি ডিম মিশিয়ে নিন। কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন। প্রোটিনে ভরপুর ডিম চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগাবে। অলিভ অয়েল ও অ্যালোভেরা দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েলে দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। কয়েক মিনিট হালকা ম্যাসাজ করুন। আরও কিছুক্ষণ মাস্ক রেখে শ্যাম্পু করুন। আমন্ড অয়েল ও দুধ আধা কাপ ওটস গুঁড়ার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল ও আধা কাপ দুধ মেশান। চুলে এই মাস্ক লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। মাস্কটি স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায় ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নারকেল তেল ও মধু দুই টেবিল চামচ নারকেল তেলে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগান। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। ডিম ও মধু একটি ডিমের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু ফেটিয়ে ভেজা চুলে লাগান। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করুন।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

সাজবেলা / খুশকি হোক দূর
শীত তো প্রায় এসেই গেল। শীত এলেই বেড়ে যায় খুশকির সমস্যা। চুল ঝরা, রুক্ষ চুল, বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশনের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী এ খুশকি। খুশকি থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু ও লোশন পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলোতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে কখনো কখনো উল্টো চুলেরই ক্ষতি হয়। চলুন তাহলে জেনে নিই চুলের খুশকি দূর করার চার টিপস : নারিকেল তেল : চুল সুন্দর রাখতে তেলের বিকল্প নেই। রাসায়নিকমুক্ত নারিকেল তেল খুশকির সমস্যা কমাতে ও মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধে কার্যকর। তাই সপ্তাহে অন্তত দুবার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারিকেল তেল মালিশ করা উচিত। পেঁয়াজের রস : দুটি পেঁয়াজ ভালো করে বেটে এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় এই রস ভালো করে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। টক দই : খুশকি দূর করতে টক দই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস : দুই টেবিল চামচ লেবুর রস অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে দুই থেকে পাঁচ মিনিট মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে চুল ধুয়ে নিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, সপ্তাহে দুবারের বেশি লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ছাড়া প্রচুর পানি পান করতে হবে। খুশকি দূর করতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। তবে এসবে থাকা রাসায়নিক উপাদান অনেকের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই খুশকি দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হাতের কাছেই থাকা এসব ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপাদান।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

চিকিৎসা ছাড়াই ঘরে বসে খুশকি দূর করার উপায়
খুশকি বা ড্যানড্রাফজনিত সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ পাওয়া ভার। সাধারণত নভেম্বর ও ডিসেম্বরের দিকে এ সমস্যা প্রকট হয়। কারণ, এ সময়টাতে আবহাওয়া কখনো রুক্ষ, আবার কখনো আর্দ্র থাকে। ফলে এ সময়টাতে খুশকির সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। এমনকি চুলের স্বাস্থ্যহানির জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই খুশকিই দায়ী। যাদের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা থাকে কিংবা মাথার ত্বক অপরিষ্কার থাকলে খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। খুশকি থেকে অতিরিক্ত চুল পড়া এবং অ্যালার্জির মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর সমাধান প্রয়োজন। মেডিকেশন ছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুশকি দূর করার উপায়গুলো জেনে নিই।  ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুশকি দূর করবেন যেভাবে ১.  দইয়ের প্যাক অনেকেই খুশকি দূর করার জন্য মাথায় দইয়ের প্যাক ব্যবহার করে থাকেন। এটি মাথার স্কাল্পে খুশকি সরানোর সঙ্গে সঙ্গে চুলের গোড়াকে শক্ত করে। রুক্ষ চুলের ব্যাকটেরিয়া নির্মূলের পাশাপাশি শক্ত চুলকে নরম ও শাইন করে দইয়ের ব্যবহার।    ২. নারকেল তেল ও লেবুর মিশ্রণ নারকেল তেল আর পাতি লেবুর মিশ্রণ চুলের জন্য খুবই উপকারী। নারকেল তেল চুলের জন্য নিউট্রিশন জোগান দেয় আর পাতি লেবুর রস খুশকি সমস্যা দূর করে। ব্যবহার : দুই চামচ পাতি লেবুর রস আর দুই চামচ নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে চুলের মধ্যে ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ করার পর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে সমস্ত মাথা ধুয়ে নিতে হবে।  ৩.  নিম পাতার ব্যবহার নিম পাতা বেটে চুলের গোড়ায় রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি মাথায় থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করার পাশাপাশি চুলকানির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।  ৪. তেল ও আপেল সাইডার ভিনেগার তেলের সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এটির মাথায় থাকা খুশকি ও ফাঙ্গাস দূর করে। ৫. লেবুর রস পুরো একটি লেবুর রস মাথায় চিপে ঢেলে দিতে হবে। অথবা এক গ্লাস পানিতে পুরো একটা লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ঢেলে দিতে হবে। এতে চুল চকচকে ও সুন্দর হবে।      ৬. আমলকী আমলকী চুলের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, যা চুল ও ত্বককে ভালো রাখে।  খুশকি দূর করতে করণীয় ১. পর্যাপ্ত ঘুম কম বা অনিয়মিত ঘুম খুশকির অন্যতম কারণ। দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমালে মাথার খুশকি চলে যাবে। ২. ধুলোবালিতে কাজ ও বেশি ঘাম হলে ধুলোবালিতে কাজ করার পর অনেকে ভালোভাবে গোসল করেন না। সে ক্ষেত্রে খুশকি প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তাই ধুলোবালিতে কাজ করার পর সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে গোসল করতে হবে। এ ছাড়া কাজের সময় বেশি ঘাম ঝরলে কাজ থেকে ফিরে ভালোমতো গোসল না করলেও খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে।  ৩. চুল ভেজা রাখা গোসলের পরে চুল ভেজা বা আধা শুকনো রাখলে মাথায় খুশকি দেখা দিতে পারে। তাই গোসলের পরপর ভালোভাবে মাথা মুছে শুকিয়ে নিতে হবে।  ৪. পর্যাপ্ত পানি পান দৈনিক ২.৫-৩ লিটার পানি পান করতে হবে। কম পানি খাওয়ার ফলে অনেকের খুশকি প্রবণতা দেখা দিতে পারে। তাই খুশকিমুক্ত থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।  ৫. ভেজাল প্রসাধনী নকল বা ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারেও মাথায় খুশকি দেখা দিতে পারে।  ওপরের টিপসগুলো যথার্থ ব্যবহারে মেডিকেশন ছাড়াই চুলের খুশকি দূর করা সম্ভব। এর পরও খুশকি সমস্যা দূর না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।  
২৭ অক্টোবর, ২০২৩
X