‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে সঠিক গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব’
বিচারালয়ে আইনজীবীরা যদি যোগ্য ও সৎ হন, তাহলে বিচারক এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসৎ থাকতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান। গতকাল বৃহস্পতিবার তার বিচারিক কর্মজীবনের শেষ দিনে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে তিনি একথা বলেন। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতি ও আইনজীবীর উপস্থিতিতে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বিদায় সংবর্ধনায় বিচারপতি নুরুজ্জামান বলেন, ‘আইনজীবীরা কেবল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আদালতকে সাহায্য করেই কর্তব্য শেষ করেন না, সঙ্গে সঙ্গে বিচারকদের বিচারের গুণগত মান, তাদের সততা, বিচারের সক্ষমতা ও ন্যায়পরায়ণতা পর্যবেক্ষণ করেন। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি করে। পক্ষান্তরে আইনজীবীরা যদি পর্যবেক্ষণ করেন, কোনো কোনো মামলায় বুদ্ধিগত দুর্নীতি হচ্ছে, যেমন এ প্রাঙ্গণে আঙ্কেল কোর্ট, ব্যাচ মেট ও ক্লাস মেট-এর গুঞ্জন আছে। সেক্ষেত্রে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থার ব্যত্যয় ঘটে। এই বিচারপতি আরও বলেন, ‘আইনজীবী ও বিচারিক অভিজ্ঞতা থেকেই উপলব্ধি করেছি, বিচারালয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই দেশে সঠিক গণতন্ত্র চর্চা ও প্রতিষ্ঠা সম্ভব; কিন্তু সমাজে কোনো কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণি এ সত্যকে মেনে না নিয়ে বিচার বিভাগেও বিচার কর্মে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টায় লিপ্ত।’ বিদায়ী সংবর্ধনায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির বক্তব্য দেন। বিচারপতি নুরুজ্জামান ২০০৯ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হন। এরপর ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় ৩০ জুন তিনি অবসরে যাচ্ছেন।
১৬ জুন, ২০২৩
X