গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানব পতাকা প্রদর্শন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানব পতাকা প্রদর্শন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করেন। মানব পতাকা প্রদর্শনের পাশাপাশি সমাবেশে তারা তিনটি দাবি জানান। সেগুলো হলো— গাজায় গণহত্যা বন্ধ করা; বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দমন নীতি বন্ধ করা এবং ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা বন্ধ করা। এ সময় সমাবেশে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে আজ যা হচ্ছে, তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর ঘটনা। গাজায় ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে ৬৭ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলিরা। যার মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। মানবাধিকারকর্মী শারমিন মুরশিদ বলেন, ইসরায়েলের সুস্পষ্ট মদদদাতা হলো যুক্তরাষ্ট্র। তারা একটার পর একটা দেশ ও জাতিকে শেষ করছে। ইরাক, লিবিয়া ও আফগানিস্তানের মতো দেশকে কতগুলো মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তারা নিধন করেছে। লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট রাখাল রাহা বলেন, এই আগ্রাসন শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই। তারপর থেকেই নানা চড়াই উতরাই পার করে আজকের এ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক জবি শিক্ষার্থীদের
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ‘প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন’ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরের সামনে শেষ হয়। পরে মানববন্ধনে সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। সম্প্রতি ইসরায়েল গাজার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত রাফা শহরে স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। এ হামলা হলে ভয়াবহ হতাহতের আশঙ্কা করছে বিশ্ববাসী। এ অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ সময় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জুনায়েদ মাসুদ বলেন, ফিলিস্তিনের সমর্থন করতে হলে কাউকে মুসলিম হতে হবে না। আমরা বাঙালি, ১৯৭১ এ যেভাবে আমাদের রক্ত ঝরেছে একইভাবে আজ ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরছে। এই রক্ত কখনই বৃথা যাবে না। আমরা এই গণহত্যা শেষ হওয়া পর্যন্ত এর প্রতিবাদ করব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। বিবেক থাকলে কেউ ইসরায়েলি গণহত্যার সমর্থন করতে পারে না। এ সময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমালোচনা করে বলেন, ইউক্রেনে হামলা হলে বিশ্ববাসী শান্তির কথা বলে, কিন্তু ফিলিস্তিনে হামলা হলে তারা ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।  ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত বিল্লাহ বলেন, যেই সময়ে আমরা এখানে প্রতিবাদ করছি ঠিক সেই সময় ফিলিস্তিনি ভাইদের বুক রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে, সেই সময়ে মায়ের বুক থেকে সন্তানহানি হচ্ছে, বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। তারা ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের মুসলিম ভাইদের রক্তের বিচার চাইতে। মুসলিম দেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের ভাইদের যখন হত্যা করা হচ্ছে তখন আপনারা চুপ করে আছেন। আমরা জাতিসংঘ আর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিচার চাচ্ছি। কিন্তু আমরা কি জানি না এই হামলার পিছে পরোক্ষভাবে কাদের হাত আছে? এমন অবস্থায় তাদের কাছে বিচার চাওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। তিনি মুসলিম বিশ্বের কাছে অনুরোধ করেন এই হামলার প্রতিশোধ নিতে।  বক্তৃতা শেষে শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন। তারা বলেন, আমরা প্রত্যক্ষভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারব না। তবে তাদের পণ্য বয়কটের মাধ্যমে আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারব। তাই আজ থেকে আমরা আর ইসরায়েলি পণ্য ক্রয় করব না।
০৯ মে, ২০২৪

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দখল’
যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে এবার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ। এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তার পরও বিক্ষোভ ঠেকাতে পারছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মতো ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পাশাপাশি ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যাবতীয় চুক্তি বাতিলের দাবিও সামনে আনছেন। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডাম (ইউভিএ) ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, পাশাপাশি ব্যাপক মাত্রায় লাঠি, পিপার স্প্রে এবং টিয়ার গ্যাসের শেল ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের অন্য দুই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব আটরেশট এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেলফেও ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছেন। এদিকে মঙ্গলবার সকালে জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিপজিগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিপজিগের একটি লেকচার হল দখল করেন ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল। দখলের পর তারা হলের সামনে ব্যানার টানান। সেখানে লেখা ছিল, ‘গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় দখল’। ব্যানার টানানোর পাশাপাশি লেকচার হলের সামনে ব্যারিকেড স্থাপন করে সেটিকে ‘মুক্তাঞ্চল’ ঘোষণা এবং হলের আশপাশের ফাঁকা জমিতে অস্থায়ী তাঁবুও স্থাপন করেন তারা। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ফিরে না যাওয়ায় সন্ধ্যার দিকে পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পুলিশ এসে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি লিপজিগ পুলিশ, তবে হল দখলের পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ফ্রান্সের সাইন্সেস পো ইউনিভার্সিটিতে ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত যাবতীয় চুক্তি বাতিলের দাবিতে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একই দিন সন্ধ্যায় প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্ফিথিয়েটারে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদেরও সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের দাবিতে চলতি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের প্রধান তিন বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ল্যুজান, ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা এবং ইউনিভার্সিটি অব জুরিখে অন্দোলন শুরু হয়। অস্ট্রিয়ার বিখ্যাত ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক ডজন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থী। বেলজিয়ামের গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়েও এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, ইতালি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ক্যাম্পাসেও ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার বহনকারী ৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী ওই সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
০৯ মে, ২০২৪

গণহত্যার রাতে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানাল পাকিস্তান
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে পাকিস্তান।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির সরকার ও জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে অভিন্ন মূল্যবোধ এবং সাধারণ বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুদেশ একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিও কামনা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
২৬ মার্চ, ২০২৪

বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি।  সোমবার ‘২৫ মার্চ-গণহত্যা দিবস’ স্মরণে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।  সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সঞ্চালনা করেন ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। সেখানে হাতেগোনা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কীসের মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। তারা (বিএনপি) ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ যে গণহত্যা হয়েছে, একদিনে এত বড় হত্যা ইতিহাসে বিরল। রিকশাচালক, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকল গণহত্যার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল, যারা সবুজ পতাকার বদলে পাকিস্তানি চার তারকা চেয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়া সেই জামায়াতে ইসলামি নেতাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। যারা লাল-সবুজ পতাকা চায়নি, তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিল। যেখানে ত্রিশ লাখের তুলনায় আরও কম মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে, সেগুলোও স্বীকৃতি পেয়েছে। ’৭৫-এর পরবর্তীতে গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াই ত্রিশ লাখের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ। 
২৫ মার্চ, ২০২৪

জাফর ওয়াজেদের নিবন্ধ / গণহত্যার বিচারের বাণী
ঢাকার চুয়ান্ন মালিবাগের বাসিন্দা শহীদ রেজাউল করিমের সাতাশ বছর বয়সী পুত্র আবদুল করিম একাত্তরের ২৬ মার্চ সকালে প্রাণে বেঁচে যান। চারজন পাকিস্তানি হানাদার সেনা সকাল ১০টায় তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তার আগে গুলি চালায় বাড়ির ছাদে পতপত করে উড়তে থাকা বাংলাদেশের লাল-সবুজ রঙের হলুদ মানচিত্র খচিত পতাকাটি লক্ষ্য করে। বাড়িতে ঢুকেই হানাদাররা তার পিতাকে বাঙালি কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি হ্যাঁ বলে মাথা নাড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তার অগ্রজকে একই প্রশ্ন করলে তিনিও হ্যাঁ সূচক জবাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে। তারপর আবদুল করিমকে জিজ্ঞেস করে, বাঙালি কি না। তিনি কৌশল অবলম্বন করে উর্দু ভাষায় বলেন, তিনি একজন অতিথি মাত্র। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, হিন্দু কি না। মাথায় বুদ্ধি খেলে যায় করিমের। বলেন, তিনি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা একজন মুসলমান অতিথি। শুনে সেনারা চলে যায়। করিম এরপর ঢাকা ছেড়ে আগরতলায় চলে যান। সেখান থেকে জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তার মাতৃভূমিতে দখলদার হানাদার পাকিস্তানিরা যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তা তুলে ধরে প্রতিকার চেয়েছিলেন। ঢাকার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির ৪/বি-এল নম্বর বাসার অধিবাসী দীপালী রানী সরকার ২৪ জুলাই মানবাধিকার কমিশনকে লেখা চিঠিতে জানান, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হানাদাররা তার বাড়ি লুট করে। আশপাশের বাড়ি থেকে মেয়েদের তুলে নিয়ে যায়। যারা আর ফেরেনি। দীপালী রানী প্রতিবেশীর সহায়তায় পালিয়ে চলে যান সীমান্তের ওপারে। তিনি সদরঘাট, ডেমরা এলাকায় পাকিস্তানিদের বর্বরতার বর্ণনা দিয়েছেন তার পত্রে। একাত্তর সালের জুন মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত হানাদারদের নির্যাতনের মুখে কৌশলে পালাতে পারা বাঙালি নারী-পুরুষ জেনেভায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে কয়েক হাজার পত্র লিখেছিল। কমিশন সে সময় পাকিস্তানিদের মানবাধিকার হরণের বিরুদ্ধে খুব যে সোচ্চার হতে পেরেছিল, তা নয়। শরণার্থীদের সাহায্যার্থে তারা তেমনভাবে বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে পারেনি। পাকিস্তানিরা যে গণহত্যা চালিয়েছিল এবং নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে বাঙালি নিধনে মত্ত ছিল, তা অস্বীকার না করলেও এর প্রতিকারে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তবে তাদের দপ্তরে যেসব দলিল দস্তাবেজ রয়েছে, তা গণহত্যার বিবরণ তৈরিতে যথেষ্ট সহায়ক অবশ্যই। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচারের দাবিতে এবং ধর্ষিতাদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য নানা দেশ ও সংগঠন তৎপর ছিল। মানবাধিকার কমিশন বিচারের পক্ষে বলিষ্ঠ অবস্থান নেয়নি। বাঙালিকে তার নিজস্ব শক্তিমত্তা, মানসিক সাহসে ভর করে হানাদার নিধনে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হয়েছিল সেদিন। একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে যে গণহত্যা শুরু হয়, তা ১৬ ডিসেম্বর হানাদারদের পরাজয়ের পূর্বপর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সেসব হত্যাযজ্ঞের বিবরণ লিখে শেষ করা যাবে না। পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচার ও নির্যাতনের ধরন সভ্যতা-বিবর্জিত মানুষের নির্মমতা এবং নৃশংসতার চেয়েও জঘন্য ছিল। তাদের নির্যাতনের রূপ নির্যাতিতদের কাছ থেকে যা পাওয়া গেছে, তা বীভৎস ও ভয়াবহতারই নামান্তর। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখামাত্র গুলি করত। শক্তসমর্থ, তরুণ ও যুবকদের রাস্তা কিংবা বাড়িঘর থেকে বন্দি করে এনে চোখ বেঁধে সমষ্টিগতভাবে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসাবাদের পর শারীরিক নির্যাতন করা এবং পরিশেষে পেছনে হাত বেঁধে কখনো এককভাবে, কখনো কয়েকজনকে একসঙ্গে গুলি করে নদী, জলাশয় বা গর্তে ফেলে দিত। কখনো সবাইকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করত। কখনো নিকটজনের সামনেই বন্দিদের এক-এক করে জবাই এবং দেহ টুকরো টুকরো করা হতো। প্রকাশ্য বিভিন্ন অঙ্গচ্ছেদ করা অথবা বিভিন্ন অঙ্গে গুলি করে হত্যা করত। চোখ উপড়ে ফেলত। উলঙ্গ অবস্থায় উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে পা থেকে মাথা পর্যন্ত চামড়া ছিলে ফেলত। বস্তায় ঢুকিয়ে বস্তার মুখ বেঁধে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা বা বস্তাবন্দি অবস্থায় নদীতে ফেলে দিত। বাঁশ এবং রোলারের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ চেপে ধরে থেতলে দিত। বেয়নেট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেট এফোঁড়-ওফোঁড় করে, কখনো পেটের সমস্ত নাড়িভুঁড়ি বের করে কিংবা বুক চিরে হৃৎপিণ্ড উপড়ে ফেলত। দড়ি দিয়ে বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে মারত। বয়লারে নিক্ষেপ করে হত্যা ছিল মামুলি ব্যাপার। মলদ্বার ও আশপাশের স্থানে বরফ ও উত্তপ্ত লোহা ঢুকানো হতো। গায়ে ও মলদ্বারে বৈদ্যুতিক শক প্রদান, আঙুলে সুচ ফোটানো, নখ ও চোখ উপড়ে ফেলা, যৌনাঙ্গে লাঠি, রাইফেলের নল, ধারালো বোতল জাতীয় জিনিস ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। অণ্ডকোষ থেঁতলে মৃত্যু যন্ত্রণা প্রদান, বাঁশডলা, বরফের চাঙরে শুইয়ে পেটানো, সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেওয়া ইত্যাদি অজস্র পদ্ধতি ছিল নির্যাতনের। একাত্তরে বাংলাদেশে বিশ্ব ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণহত্যা ঘটিয়েছিল বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস। শুধু বাঙালি হয়ে জন্মানোর দায়ে পাকিস্তানি হানাদাররা নৃশংস গণহত্যার যে দৃষ্টান্ত এ দেশে রেখে গেছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। অত্যাচারের যেসব পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া তারা উদ্ভাবন করেছিল, তার মধ্যে গুলিতে হত্যা করাই ছিল সবচেয়ে শান্তির মরণ। তাদের অপকর্ম চাপা দেওয়ার জন্য একাত্তরে দখলদার পাকিস্তানিরা শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল ‘পূর্ব পাকিস্তানের সংকট’ শিরোনামে। হাজার পৃষ্ঠার এ শ্বেতপত্রে শেখ মুজিব, আওয়ামী লীগ, নির্বাচন, ভারত সম্পর্কে পাকিস্তানি জান্তা শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মিথ্যাচার বিধৃত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চ দিনগত রাতে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা অনুযায়ী সশস্ত্র বিদ্রোহ সংঘটন এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের অভ্যুত্থান বাস্তবায়িত করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার এবং সরকারের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান। পুরো শ্বেতপত্রে বাঙালিদের বিরুদ্ধে অসত্য, কল্পিত বিষয়াদি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর হলেও গৃহীত এ সিদ্ধান্ত বাঙালিকে আরও আত্মমর্যাদাপূর্ণ জাতিতে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ চায় দিবসটি আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে মযার্দা পায় যেন। নতুন প্রজন্ম অবহিত নয়, গণহত্যার সেই দুঃসহ রাত সম্পর্কে। তাই সেদিনের ঘটনাগুলো নিয়ে সরকারের উচিত শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। একই সঙ্গে গণহত্যার সাক্ষী যারা, তাদের বিবরণ তুলে ধরা। বীরের জাতির জন্য এ পদক্ষেপ জরুরি। লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মহাপরিচালক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ
২৫ মার্চ, ২০২৪

সম্পাদকীয় / গণহত্যার স্বীকৃতি চাই
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। একাত্তরের ২৫ মার্চ বাঙালি জাতি ও তার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে ফেলার লক্ষ্যে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিষয়টি সামনে এনে ২০১৭ সাল থেকে দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালিত হলেও স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায় সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় এ নিয়ে প্রচেষ্টা চালালেও তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে সফলতা আসেনি। হতাশার কথা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধে মহান বিজয়কে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, গণহত্যা ও মানুষের ওপর নির্মমতার বিষয়টিতে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতার পর আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ বিষয় নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য হয়নি। কারণ সে সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে কোন দেশ কী ভূমিকা পালন করেছিল, সেই বিষয়টা সামনে চলে আসত। ফলে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের যে আত্মত্যাগ, সেই প্রসঙ্গটিও আড়ালে পড়ে যায়। ইতিহাসের এ ভারসাম্যহীনতা দূর করার স্বার্থেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। ওইসব গণহত্যার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের স্বার্থেও এ স্বীকৃতির প্রয়োজন। ’৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের অভিযানে প্রায় ৫০ হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যা করে। এরপর যুদ্ধের ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করা হয়। গবেষকদের মতে, যে দেশে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তারা ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন ওই গণহত্যার ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকার করে নেয়, তখনই ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার বিবেচনায় আসে। একটা গণহত্যাকে তারা (বিশ্ব সম্প্রদায়) যখন স্বীকার করে, তা সংসদ বা নির্বাহী সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই হোক, তখন বলা যায় সেটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আবার কোনো গণহত্যাকে যদি জাতিসংঘ গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলেও তাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলা যাবে। গণহত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনা মনে করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ও পূর্ব ইউরোপে ইহুদি নিধনের ঘটনাকে। সেই গণহত্যার ঘটনাটি বোঝাতে ‘হলোকস্ট’ নামে নতুন একটি শব্দ তৈরি হয়। এ ছাড়া গত শতাব্দীর প্রথম দিকে আর্মেনিয়ার গণহত্যাসহ রুয়ান্ডা ও যুগোস্লাভিয়ার গণহত্যা জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আদালত স্বীকৃতি দিয়েছে। আর্মেনিয়ার গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য ১০০ বছর ধরে চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতির ব্যাপারে পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো কার্যক্রম হয়েছে বলে জানা নেই। অন্যদিকে এই স্বীকৃতির বিষয়ে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিরোধিতা রয়েছে। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি গত বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি তোলেন। হতাশার কথা হচ্ছে, প্রতি বছর এ দিনটি এলে বিভিন্ন মহল থেকে এ দাবির পক্ষে আওয়াজ শোনা যায়। পরবর্তী সময়ে চোখে পড়ে না কোনো কার্যকর উদ্যোগ। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিষয়টি পরিণত হয়েছে এক ধরনের আনুষ্ঠানিকতায়। এক বছরেও বিষয়টিতে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। অবশ্য গত বছর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল অস্থিতিশীল। সেই বিবেচনায় ধরেই নিচ্ছি, বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতাবস্থায় সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। যতক্ষণ দেশের মানুষ ও প্রবাসী জনগোষ্ঠী এর সঙ্গে যুক্ত না হচ্ছে, এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য গবেষণা, প্রামাণ্য দলিল তৈরি এবং ক্রমাগত প্রচারণা না হচ্ছে, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব নয়। তবে বর্তমান সরকারের আমলে গণহত্যা নিয়ে গবেষণামূলক অনেক কাজ হচ্ছে। সরকার তৎপর হলে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব বলেই আমরা মনে করি।
২৫ মার্চ, ২০২৪

গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান এবি পার্টির
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল মানবতাবাদীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ- এবি পার্টি। দলটির নেতারা বলেন, গাজায় নির্বিচারে নারী ও শিশু হত্যা গোটা বিশ্ব বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ইসরায়েলী বাহিনী গাজার হাসপাতাল, রিফিউজি ক্যাম্প, ত্রাণ বিতরণ স্থলসহ সর্বত্র বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে। যার ফলে সেখানে এক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলী বাহিনীর চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে রোববার (২৪ মার্চ) এবি পার্টি আয়োজিত প্রতিবাদী গণ ইফতারে এ আহ্বান জানান বক্তারা। পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় বিজয় নগরের বিজয়-৭১ চত্ত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর বর্ষীয়ান আলেম মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম। মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, প্রতিদিন ইসরায়েলী বাহিনীর হাতে গাজার লোকেরা শহীদ হচ্ছে। এই রমজানে তারা ঘাস খেয়ে জীবন যাপন করার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের ত্রাণশিবির গুলোতে পর্যন্ত দখলদার বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। অথচ গোটা পৃথিবীর বিবেক হিসেবে যারা দাবি করে তারা এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা যেকোনো কিছু হলেই মানবাধিকারের কথা বলে, মানবতার কথা বলে। কিন্তু ফিলিস্তিনের গণহত্যা নিয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ড. আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, আমরা আজকে ইফতার করছি, সেহরি করছি, রোজা রাখছি। কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে ফিলিস্তিনের মানুষ আজ সেহরি ও ইফতার করার কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই রোজা রাখছে। দিনকে দিন ফিলিস্তিন ভূ-খণ্ড থেকে মুসলমানদের মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের পবিত্রভূমি গাজায় চলছে মানবিক বিপর্যয় আর এশিয়ার পূণ্যভূমি বাংলাদেশে চলছে সভ্যতার বিপর্যয়। দুই জায়গায় দুই অসভ্য জুলুমবাজের খপ্পরে মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মাসিক মঈনুল ইসলামের সম্পাদক ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মুনির আহমদ, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, শাহীনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ি থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
২৪ মার্চ, ২০২৪

গণহত্যার বিরুদ্ধে নিশ্চুপদের হাতে দেশের স্বার্থরক্ষা সম্ভব নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপি এবং জামায়াত এখনও পর্যন্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। যারা এভাবে নিজেদের স্বার্থে গণহত্যার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকে তাদের হাতে কখনো দেশের স্বার্থরক্ষা সম্ভব নয়।' তিনি বলেন, 'অতীতেও বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, ফিলিস্তিনে হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামী লীগ বিরোধী দল হিসেবে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম। তাদের স্পিকার এবং সংসদের নেতা সেটি গ্রহণ করে নাই।' সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত 'স্টপ জেনোসাইড ইন প্যালেস্টাইন, সলিডারিটি ফ্রম বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।  ফিলিস্তিনবাসীর সাথে একাত্মতা ও প্রত্যয় ব্যক্ত করে হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই ফিলিস্তিনের জয় হবে এবং বাংলাদেশ, দেশের জনগণ, সরকার ও আমাদের দল ফিলিস্তিনের সাথে আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান (Yousef Ramadan) বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তার জন্য দেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'পশ্চিমা বিশ্বের অপপ্রচার রুখতে গাজা অঞ্চলকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে 'অধিকৃত গাজা' এবং ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে 'আক্রমণকারী ইসরাইলি বাহিনী' লিখলে সত্য তুলে ধরা হবে।'  শান্তি পরিষদের মহাসচিব হাসান তারিক চৌধুরী এবং আমন্ত্রিত সুশীল চিন্তাবিদগণ সেমিনারে তাদের বক্তব্যে অবিলম্বে অধিকৃত গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ করা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তুর্জাতিক বিচারালয়ের রায় কার্যকর করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জোর দাবি জানান।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

চট্টগ্রামে গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে গণহত্যার মাধ্যমে যে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল তার মূল নায়ক ছিল পুলিশ কমিশনার রকিবুল হুদা। তাকে এরশাদ সাহেবও প্রমোশন দিয়েছেন, পরবর্তীতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও প্রমোশন দিয়েছেন। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর দায়ে পুলিশ কমিশনারকে অভিযুক্ত করা হয়নি, বরং পুরস্কৃত করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে একটি গর্বিত দেশ। ন্যাম সামিটে জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারিসহ বহু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। প্রত্যেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি আবার নতুনভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নির্বাচন কেন করলাম না, বিএনপির মধ্যে এখন এ নিয়ে গভীর হতাশা। সারা পৃথিবী যখন অভিনন্দন জানাচ্ছে, তখন তারা দিশেহারা হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।  জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সাহসী নেত্রী উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রণাঙ্গনে যেমন সেনাপতি যুদ্ধ পরিচালনা করেন তেমনি তিনি সবসময় জীবন ও মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কখনো বিচলিত হন নাই। ঢাকার বুকে যেদিন নুর হোসেন নিহত হয় সেদিনও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন। চট্টগ্রামেও ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনা মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেদিনও পাখি শিকারের মতো মানুষ শিকার করে গুলি ছুঁড়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। সেদিন নিহতের সংখ্যা ২৪ জন বলা হলেও অনেক লাশ গুম করা হয়েছে, বহু মানুষ আহত হয়েছিল। সন্ধ্যায় সমস্ত শহর অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছিল। নেত্রীর ট্রাকের আশপাশের কয়েকজন নিহত হয়েছেন, এমনকি নেত্রীকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোঁড়া হয়েছিল। গুলিবর্ষণ খানিকটা থেমে গেলে আইনজীবী সমিতির নেতারা নেত্রীকে কোর্ট বিল্ডিংয়ে নিয়ে যান।  চট্টগ্রাম সবসময় আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৬৬ সালে ছয়দফা ঘোষণা করার পর, ছয়দফার সমর্থনে প্রথম জনসভা হয় লালদিঘির পাড়ে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন অবিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। ১৮৫৭ সালে যখন সিপাহি বিদ্রোহ হয় তখন চট্টগ্রাম প্যারেড গ্রাউন্ডে সুবেদার রজব আলী বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, যেখানে সূর্য অস্তমিত হতো না, সেই ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সূর্যসেন এবং চট্টগ্রামকে এগারো দিন স্বাধীন রেখেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে চলছে। নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে এবং সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় দেশে একটা ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে-বিদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। তিনি বলেন, ভোট নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করে তারা আসলে নিজের মুখ রক্ষা করার জন্য প্রশ্ন উপস্থাপন করছে। বিএনপি এখন আগের নেতাদের বাদ দিয়ে ড. মঈন খাঁনকে নামিয়েছে। সুন্দর সুন্দর কথা বলে তিনি যদি কিছু করতে পারেন। আসলে রাজনীতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির মধ্যে ভেতরে ভেতরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড অসন্তোষ। সেই অসন্তোষ কোনো একসময় বিস্ফোরণ ঘটবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপাড় থেকে সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচন না করার, আর গাড়ি ঘোড়ায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করার।  চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X