ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ‘প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন’ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরের সামনে শেষ হয়। পরে মানববন্ধনে সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। সম্প্রতি ইসরায়েল গাজার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত রাফা শহরে স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। এ হামলা হলে ভয়াবহ হতাহতের আশঙ্কা করছে বিশ্ববাসী। এ অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এ সময় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জুনায়েদ মাসুদ বলেন, ফিলিস্তিনের সমর্থন করতে হলে কাউকে মুসলিম হতে হবে না। আমরা বাঙালি, ১৯৭১ এ যেভাবে আমাদের রক্ত ঝরেছে একইভাবে আজ ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরছে। এই রক্ত কখনই বৃথা যাবে না। আমরা এই গণহত্যা শেষ হওয়া পর্যন্ত এর প্রতিবাদ করব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। বিবেক থাকলে কেউ ইসরায়েলি গণহত্যার সমর্থন করতে পারে না। এ সময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমালোচনা করে বলেন, ইউক্রেনে হামলা হলে বিশ্ববাসী শান্তির কথা বলে, কিন্তু ফিলিস্তিনে হামলা হলে তারা ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত বিল্লাহ বলেন, যেই সময়ে আমরা এখানে প্রতিবাদ করছি ঠিক সেই সময় ফিলিস্তিনি ভাইদের বুক রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে, সেই সময়ে মায়ের বুক থেকে সন্তানহানি হচ্ছে, বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। তারা ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের মুসলিম ভাইদের রক্তের বিচার চাইতে।
মুসলিম দেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের ভাইদের যখন হত্যা করা হচ্ছে তখন আপনারা চুপ করে আছেন। আমরা জাতিসংঘ আর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিচার চাচ্ছি। কিন্তু আমরা কি জানি না এই হামলার পিছে পরোক্ষভাবে কাদের হাত আছে? এমন অবস্থায় তাদের কাছে বিচার চাওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। তিনি মুসলিম বিশ্বের কাছে অনুরোধ করেন এই হামলার প্রতিশোধ নিতে।
বক্তৃতা শেষে শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন। তারা বলেন, আমরা প্রত্যক্ষভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারব না। তবে তাদের পণ্য বয়কটের মাধ্যমে আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারব। তাই আজ থেকে আমরা আর ইসরায়েলি পণ্য ক্রয় করব না।
মন্তব্য করুন