Thu, 09 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ব্যবসায় মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’
১২ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে জুয়েলের বাড়িতে ২ সন্তানের জননীর অনশন
১৩ ঘণ্টা আগে
২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
১৩ ঘণ্টা আগে
নানা আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড সেন্ট দিবস’ পালিত
১৩ ঘণ্টা আগে
৩৪০ টাকার জন্য লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যা
১৩ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। পরমাণু গবেষণায় তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল অত্যন্ত ব্যাপক। বৃহস্পতিবার (৯ মে) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি নিবেদন করেন গভীর শ্রদ্ধা। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল সুধা মিয়া। অসাধারণ মেধার অধিকারী সুধা মিয়া শৈশব থেকেই ছিলেন শিক্ষানুরাগী, যার প্রতিফলন ঘটে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তারই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. ওয়াজেদ মিয়া তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কিছুদিন জেলে কাটান। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে থেকে তাদের সাহস ও শক্তি জুগিয়েছেন। ক্ষমতার কাছে অবস্থান করলেও ড. ওয়াজেদ ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিভৃতচারী একজন সহজ-সরল মানুষ।
১ ঘণ্টা আগে
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় গবেষণা মেলা শুরু
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে দুই দিনব্যাপী দ্বিতীয় গবেষণা মেলা ২০২৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের আয়োজনে সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গবেষণা মেলা। বুধবার (৮ মে) বিকেলে গবেষণা মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা। ৮ ও ৯ মে দুইদিনব্যাপী গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ ৩২টি স্টলের মাধ্যমে তাদের গবেষণা কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশুরেন্স সেলসহ বিভিন্ন ইন্সটিটিউটসমূহ তাদের কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। গবেষণা মেলার সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট গবেষক, বিজ্ঞানী ও বুয়েটের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
পুরুষের তুলনায় বেশি বাঁচলেও অসুস্থ থাকে নারীরা : গবেষণা
গড় আয়ুতে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নারীরা। তবে গবেষণা বলছে, নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি বাঁচলেও তারা অসুস্থ থাকেন অনেক বেশি। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা যেসব রোগে ভোগেন সেগুলো প্রাণঘাতী না হলেও অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতা তৈরি করে। এসব রোগের অন্যতম হলো পেশির সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মাথাব্যথা। অন্যদিকে পুরুষেরা জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হন। এসবের মধ্যে অন্যতম হলো হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্র, যকৃতের রোগ এবং কোভিড-১৯। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারায় পুরুষেরা। স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নারী-পুরুষের ব্যবধান বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নারীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে জরুরি ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী রোগব্যাধির ২০ শীর্ষস্থানীয় কারণ পরীক্ষার ভিত্তিতে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে নারী-পুরুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান দেখা গেছে। গত তিন দশকে এ ব্যবধান পূরণে সীমিত অগ্রগতি হয়েছে। নারী-পুরুষের মধ্যকার স্বাস্থ্যগত ভিন্নতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। এতে করে নারীরা ক্রমেই জীবনভর অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতায় ভোগেন। এমন সব পরিস্থিতির মোকাবিলা করে তারা পুরুষের চেয়ে বেশি সময় বাঁচেন। স্বাস্থের এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর গবেষক ড. লুইসা সোরিও ফ্লর। তিনি বলেন, এতে স্পষ্ট দেখা গেছে যে গত ৩০ বছরে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ইস্যুতে বৈশ্বিকভাবে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অসম। নারীরা বেশি বছর বাঁচলেও তাদের অসুস্থতার হার অপেক্ষাকৃত বেশি। তিনি আরও বলেন, নারীদের বিশেষ করে বয়স্ক অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে। এ দিকে নজর দেওয়া এখন জরুরি। একইভাবে পুরুষরা অপেক্ষাকৃত উচ্চঝুঁকি ও প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হন। গবেষণায় ২০২১ সালের গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে এতে স্ত্রীরোগ ও প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো স্বাস্থ্য অবস্থার তথ্যগুলো নেওয়া হয়নি। গবেষণায় ২০২১ সালের অসুস্থতা ও মৃত্যুর শীর্ষ ২০ কারণের মধ্যে ১৩টি পুরুষের মধ্যেই দেখা গেছে। পুরুষের মাঝে শনাক্ত হওয়া রোগগুলো হলো কোভিড-১৯, সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্র এবং যকৃতের রোগ। এসব রোগে নারীদের চেয়ে পুরুষরা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে নারীদের মাঝে শনাক্ত হওয়া রোগগুলো হলো মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা, বিষণ্নতা, মাথাব্যথা, উদ্বেগ, হাড় ও পেশির সমস্যা, স্মৃতিভ্রম, এইচআইভি। নারীরা এসব রোগে ভুগলেও তাদের এসবের কারণে অকাল মৃত্যু হয় না তাদের।
০২ মে, ২০২৪
৬১,৬০০ টাকা বেতনে চাকরি দেবে সিপিডি
জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সংস্থাটি ‘এক্সিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েট’ পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীদের ই-মেইলে সিভি পাঠাতে হবে। পদের নাম : এক্সিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েট পদসংখ্যা : অনির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ন্যূনতম সিজিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরির অভিজ্ঞতা বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় সাবলীল হতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হতে হবে। বেতন : মাসিক ৬১,৬০০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীদের
[email protected]
ঠিকানায় সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ সিভি ই-মেইল করতে হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন। বি.দ্র. শুধু বাছাই করা প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও কম্পিউটার পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। আবেদনের শেষ তারিখ : ৭ মে, ২০২৪
০২ মে, ২০২৪
নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি : গবেষণা
চিকিৎসাক্ষেত্রে নারীদের সুনাম দীর্ঘদিনের। তবে এবার সামনে এসেছে নতুন তথ্য। গবেষণা বলছে, নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিকিৎসা ও গবেষণাবিষয়ক জার্নাল ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’ জানিয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুহার কম। এমনকি নারীদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের পুনরায় হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কম। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এ সময়ে ৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। এরমধ্যে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১০০ নারী ও তিন লাখ ১৮ হাজার ৮০০ জন পুরুষ ছিলেন। ওই গবেষণার ফলে বলা হয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যু ও পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কম ছিল। এতে দেখা গেছে, নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে পুরুষ চিকিৎসকের কাছে নারী চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইয়োসুকে তুগাওয়া নামের এক গবেষক বলেন, নারী চিকিৎসকরা ভালো মানের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সামাজিক দিক দিয়ে নারী চিকিসৎকদের দিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীরা লাভবান হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে নারী চিকিৎসকরা বেশি সময় ব্যয় করেন। তারা রোগীদের রোগ নিয়ে ভালোভাবে খোঁজ নেন। এছাড়া নারী রোগীরা নারী চিকিৎসকদের নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এর আগে ২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, একজন নারী চিকিৎসক একজন রোগীর পেছনে গড়ে ২৩ মিনিট সময় ব্যয় করেন। অন্যদিকে একজন পুরুষ চিকিৎসক গড়ে একজন রোগীর পেছনে ২১ মিনিট সময় ব্যয় করেন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
ময়মনসিংহে চাষ হচ্ছে ১৫০ কেজি ওজনের পাঙ্গাস
ময়মনসিংহে চাষ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের মেকং পাঙ্গাস। যার একেকটির ওজন ১২০-১৬০ কেজি। এই জাতের পাঙ্গাস তিনশ কেজির ওপরেও হয়ে থাকে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা পুকুরে রয়েছে ১২০ থেকে ১৬০ কেজি ওজনের বিশাল ৫০টি ‘ম্যাকং জায়ান্ট ক্যাটফিস’। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কিন্তু মহাবিপন্ন এই মেকং জায়ান্ট পাঙ্গাস নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন দেশীয় বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এর প্রজনন সফলতা অর্জিত হলে দেশে পাঙ্গাস উৎপাদনে বিপ্লব ঘটবে। বর্তমানে বিএফআরআইয়ের গবেষণা পুকুরে রয়েছে ১৬০ কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেকং অববাহিকায় এই প্রজাতিটির প্রাকৃতিক আবাসস্থল মেকং নদীর মূল স্রোত। যেখানে পানির গভীরতা ১০ মিটার বা তার চেয়ে বেশি। এই মাছটি ২০০৫ সালে বিশ্বের অন্যতম সাদু পানির বৃহত্তম মাছের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করে। কিন্তু অতিরিক্ত আহরণ এবং বাসস্থানের ক্ষতির কারণে এটি এখন বিপন্ন প্রায়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, পাঙ্গাসের বিপন্নপ্রায় এই প্রজাতিটি ২০০৫ সালে প্রথম একটি বেসরকারি খামারে আনা হয়। সেখান থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫০টি মাছ সংগ্রহ করে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। গত ৬ বছরে এই মাছগুলোর ওজন হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত। যার সর্বোচ্চ ওজন হতে পারে ৩০০ কেজি পর্যন্ত। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো.খলিলুর রহমান বলেন, মেকং জায়ান্ট পাঙ্গাস মেকং নদীর একটা মাছ। মেকং নদীর চীন, লাউস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম হয়ে এটাইয়োলো সাগরে পড়েছে। সেই নদী থেকে এই মাছটি নিয়ে এসেছিলেন ত্রিশালের রেনি ফিসারিজের কর্ণধার রেজা আলী। উনি আমাকে ৫০টি মাছ দিয়ে ছিলেন। এ মাছ গবেষণা করে পোনা উৎপাদন করা। রাষ্ট্রীয় এই মাছ গবেষণার আঁতুড়ঘরে এখন ১৭ বছর বয়সী ৫০টি পাঙ্গাস মাছ আছে। যাদের ওজন ১২০ থেকে ১৬০ কেজি। গবেষণা বলছে, এই মাছ তার জীবনকালে ১৭ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত। এই মাছের চোয়াল ও দাঁত নেই। এটি তৃণভোজী কিন্তু রাক্ষসী নয়। মাছটি পানির নিচে পাথর কিংবা নুড়ি স্তরে থাকতে পছন্দ করে। একটি পরিপক্ব মা মাছ থেকে প্রজনন কালে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ লাখ ডিম পাওয়া যায়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আসফ উদ দৌলাহ বলেন, কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন সম্ভব হলে, এই পোনা মাত্র ১ বছরে ৯ থেকে ১২ কেজি ওজনের হয়। যা দেশি পাঙ্গাসের তুলনায় ৬ গুণ বেশি বাড়ে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জুলফিকার আলী বলেন, মেকং জাতের একেকটি পাঙ্গাস তিনশ কেজির ওপরে হয়ে থাকে। আমাদের পুকুরে ৫০টি মেকং জাতের পাঙ্গাস মাছ রয়েছে। সম্ভাবনাময় এই মাছটির কৃত্রিম প্রজননে সফলতা অর্জন সম্ভব হলে চাষি পর্যায়ে পাঙ্গাস উৎপাদনে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটবে। বিস্তর কাজ এখনো বাকি আছে। আমরা মূলত এটি লালন-পালন করে, ডমিস্টিকেশন করে হ্যাচারিতে এর পোনা উৎপাদন করার দিকে বেশি খেয়াল রাখছি। থাইল্যান্ড মাছটির প্রজননে সফলতা অর্জন করলেও বাংলাদেশে এখনো সফলতা আসেনি। তবে আগামী এক দুই বছরের মধ্যে সফলতা অর্জন সম্ভব হতে পারে বলে আশা করি।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় গবেষণা বাড়ানো হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় গবেষণা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিখাত। এ ক্ষতি মোকাবিলায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীদের হাত ধরে ইতোমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জলবায়ু কর্মকান্ড ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা ও গবেষণা সংস্থাগুলো ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সিনিয়র এসোসিয়েট ডিন জর্জ স্মিথ, ডিরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম করিম মেয়ারদিয়া, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর সায়েন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শেইলা কাকা ওচুগবোজু, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও আরিফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪
মানুষের সেরা বন্ধু ছিল শিয়াল: গবেষণা
মানুষ ও কুকুরের সম্পর্ক অনেক পুরোনো, ধারণা করা হচ্ছে সেটা ১০ হাজার বছরের মতো। তবে এক হাজার ৫০০ বছর আগের পাতাগোনিয়ার এক সমাধিস্থলে নতুন এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এক আশ্চর্য তথ্য। উত্তর-পশ্চিম আর্জেন্টিনার প্রাচীন এক সমাধিতে এক ব্যক্তির কঙ্কালের সঙ্গে পাওয়া গেছে অন্য একটি প্রাণীর কঙ্কাল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পোষা প্রাণী। তবে মানুষের ওই বন্ধুটি মোটেই কুকুর নয় বরং শিয়াল, আরও পরিষ্কারভাবে বললে খেঁকশিয়াল। শিকার ও ফল-মূল খেয়ে জীবন ধারণ করা দক্ষিণ আমেরিকার এক গোত্রের মানুষদের সঙ্গে ডুসিসিয়ন এভাস নামের বিলুপ্ত বড় আকারের এক ধরনের খেঁক শিয়ালদের চমৎকার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্কিওলজির অধীনে একটি সংস্থার সঙ্গে কাজ করা গবেষক ড. ওফেলি লেবরাসেয়ার জানান, উত্তর পাতাগোনিয়ার কানাদা সেকা নামের জায়গায় মানুষের কঙ্কালের সঙ্গে ওই শিয়ালটির কঙ্কাল প্রত্নতাত্ত্বিকেরা আবিষ্কার করেন ১৯৯১ সালে। শিয়ালের শরীরের কোনো কাটার চিহ্ন নেই। অর্থাৎ একে খাওয়া হয়নি। প্রাচীন ডিএনএ এবং রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের একটি গভীর বিশ্লেষণ শিয়ালের প্রজাতি এবং বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। শেয়ালের দেহাবশেষের কোলাজেন নামের প্রোটিন পরীক্ষা করে জানা গেছে যে, ওই সময় মানুষ যে খাবার খেয়েছিল এটিও একই খাবার খেয়েছিল। রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স নামের জার্নালে গত বুধবার বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। আবিষ্কারটি অন্যান্য মহাদেশে সমাধিস্থলে পাওয়া তথ্য-প্রমাণ যোগ করে যে ইঙ্গিত দেয় তা হলো শিয়ালকে পোষ মানিয়েছিল মানুষ এবং এই দুটি প্রাণীর মধ্যে চমৎকার একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এখন থেকে ২৬ লাখ বছর আগে থেকে শুরু করে ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে পর্যন্ত ডি. এভাসদের বাস ছিল পৃথিবীতে। এরা অনেকটা এখনকার জার্মান শেফার্ডের আকারের ছিল। তবে এতটা স্বাস্থ্যবান ছিল না, ওজনে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি পর্যন্ত হতো। আর্জেন্টিনার ন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের গবেষক ড. সিনথিয়া অ্যাবানের সঙ্গে গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া লেবরাসেয়া সিএনএনকে জানান, বিজ্ঞানীরা শিয়ালের কঙ্কাল পরীক্ষা করে দেখেন যে, এদের খাবারে প্রত্যাশার চেয়ে কম মাংস ছিল এবং মানুষের খাদ্যের সঙ্গে বেশি মিল ছিল। তিনি জানান, এটা দেখে অনুমান করা যায়, হয় ওই সময়কার মানুষেরা এদের খাওয়াত কিংবা এটি তাদের ফেলে দেওয়া খাবার খেত। সবকিছু মিলিয়ে মনে হয় মানুষের ওই সমাজের সঙ্গে এই প্রাণীদের ঘনিষ্ঠ একটা সম্পর্ক ছিল। দক্ষিণ আমেরিকায় পোষা প্রাণী হিসাবে শিয়ালদের আবিষ্কারের বিষয়টি ইউরোপ এবং এশিয়ায় আবিষ্কার করা শিয়ালের সমাধিগুলোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে জানান অরোরা গ্রানদাল-ডি’অ্যাংলাদে। স্পেনের কোরুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞানী গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ব্রোঞ্জ যুগের এক সমাধি নিয়ে কাজ করেন। যেখানে মানুষের সঙ্গে দশটি কুকুর ও চারটি শিয়ালের কঙ্কাল পাওয়া যায়। গবেষকেরা তখনো অনুমান করেন শিয়ালেরাও কুকুরের মতো মানুষের সঙ্গী ছিল। ‘শিয়ালদের পোষা প্রাণী হতে কোনো বাধা নেই,’ গ্রানদাল-ডি’অ্যাংলাদে সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা জানি, ভিন্ন ভিন্ন সমাজ ব্যবস্থার মানুষেরা প্রায়ই পোষা প্রাণী রাখত। কেবল সঙ্গী হিসেবেই রাখা হতো এগুলোকে। আর এটা বিবেচনায় এনে এখন একের পর এক জায়গার খোঁজ মিলছে যেখানে শিয়ালেরা মানুষের পোষা প্রাণী হিসেবে কাজ করত বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
১২ এপ্রিল, ২০২৪
যবিপ্রবির ড. ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হলেন উপাচার্য আনোয়ার
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। রোববার (১ এপ্রিল) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইবুর রহমান মোল্যা এর ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ‘পরিচালক’ হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বের মেয়াদ ৩০ মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখ অপরাহ্ণ হতে অবসান করা হলো। উক্ত ইনস্টিটিউটের ‘পরিচালক’ হিসেবে ৩১ মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখ পূর্বাহ্ণ হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। উল্লেখ্য, এর আগে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইবুর রহমান মোল্যা এ ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪
ঢাবি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অশোভন আচরণের অভিযোগ ২৪৪ শিক্ষার্থীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৪ মার্চ) শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরসংবলিত একটি অভিযোগপত্র ইনস্টিটিউটের পরিচালক, গ্রিভেন্স কমিটির আহ্বায়ক এবং আইইআর লাইব্রেরিয়ানের কাছে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম শাবাব আল শায়েরী। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে কর্মরত (উচ্চমান সহকারী) রয়েছেন। লিখিত অভিযোগে ইনস্টিটিউটের ২৪৪ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহমুদ-উল হাসান বলেন, গত ২১ মার্চ আমাদের ইন্টার্নশিপের ড্রাফট জমা দেবার দিন আমি লাইব্রেরি হতে প্লেজারিজম চেকের ফরম নিতে আমার কয়েকজন বন্ধুসহ লাইব্রেরিতে যাই। আমি ও রুহুল (বন্ধু) একসঙ্গে সেখানে দায়িত্বরত কর্মচারী শাবাব আল শায়েরী এর নিকট ফরম নিতে যাই। ফরম নিয়ে পূর্বে পূরণকৃত আরেক বন্ধুর ফরম দেখে আমার ফরমটি পূরণ করি। আমাদের রিপোর্টগুলো বাংলায় লিখিত হওয়ায় এবং লাইব্রেরিতে বাংলা প্লেজারিজম চেকের ব্যবস্থা না থাকায় রাফিউলের ফরমে ’বাংলা চেকের ব্যবস্থা নেই' এমন শব্দগুচ্ছ লিখিত ছিল। এটি যে অফিস কর্তৃক পূরণীয় তা লক্ষ্য না করে তাড়াহুড়োবশত আমি আমার ফরমের অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে এই শব্দগুচ্ছও লিখে ফেলি। ফরমটি জমা দেওয়ার সময়, আমি কেন এটি লিখলাম, তার সূত্র ধরে তিনি (অভিযুক্ত) আমার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। আমি তাকে যথাসম্ভব বিনয় সহকারে বলার পরেও তিনি আমার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন। মাহমুদ বলেন, তিনি আমার সঙ্গে অকথ্য ভাষায় উচ্চবাচ্য করতে থাকেন। শুধু আমি না, নিয়োগের পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সঙ্গেই সে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে। আমাদের থিসিসের রিপোর্ট সংক্রান্ত কাজে গিয়ে বিগত ৩-৪ দিনে আমার অনেক সহপাঠীই তার নিকট এমন দুর্ব্যবহার ও ঔদ্ধত্য আচরণের মুখে পড়েছেন। এমনকি আমার অনেক জুনিয়র ও সিনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও তার থেকে এহেন আচরণের শিকার হয়েছেন। আগে একাধিকবার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে এই আচরণের বিষয়ে সতর্ক করলেও সে (অভিযুক্ত) এই ঔদ্ধত্য আচরণ অব্যাহত রেখেছে। পূর্বের বিভিন্ন ঘটনায় তার এহেন আচরণের প্রতিবাদ করতে গেলে সে (অভিযুক্ত) তাচ্ছিল্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান করেছে। মাহমুদ আরও বলেন, আইইআর ২৫তম ব্যাচের পক্ষ থেকে এর আগে একটি অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি এই বিষয়ে সর্বোচ্চ বিভাগীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইনস্টিটিউট প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানাই, যাতে করে এই দৃষ্টান্তের ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার সাহস না পায়। ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বলেন, ইনস্টিটিউট লাইব্রেরি প্রথম বর্ষ থেকেই আমাদের নিকট পড়াশোনার জন্য একটি আদর্শ স্থান হিসেবে বিবেচিত। সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখানে সময় ও নিয়ম মেনে পড়তে যায়। লাইব্রেরির মতো স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী এমন একজন কর্মচারীর উপস্থিতি ও দৌরাত্ম্য ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরির পরিবেশ, উপযোগিতা ও সুনাম নষ্ট করছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না যে, আমাদের জন্য নিয়োজিত একজন কর্মকর্তা/কর্মচারী বিনা কারণে, বিনা উসকানিতে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মচারীর উপযুক্ত বিচারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ৩টি দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার মধ্য দিয়ে লাইব্রেরির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়া; লাইব্রেরির উপযোগিতা ও পরিবেশ রক্ষার্থে এহেন ঔদ্ধত্য আচরণকারী কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী যেন ভবিষ্যতে নিয়োগ না পেতে পারে সেই বিষয়ে যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের নজরদারির ব্যবস্থা করা; এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার পরিবেশকে সমুন্নত রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শাবাব আল শায়েরীকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিমকেও কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
২৫ মার্চ, ২০২৪
আরও
X