দিনাজপুরে বোরো সংগ্রহের উদ্বোধন
দিনাজপুরের খানসামায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ মে) সকালে খানসামা খাদ্য গুদাম প্রাঙ্গণে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাজ উদ্দিন। জানা যায়, খানসামা এলএসডিতে ১৪৫৯ টন চাল ও ৩৫৬ টন ধান ক্রয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলায় ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা ও সিদ্ধ চাল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে কৃষক ও মিলারদের কাছ থেকে কেনা হবে। ক্রয়ের উদ্বোধনী দিনে মেসার্স তছিল উদ্দিন হাস্কিং মিল থেকে চাল সরবরাহ করা হয়। নিয়মবহির্ভূতভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ করলে কঠোর ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃষক ও মিলার উভয়ই যেন ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য সরকারিভাবে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। শতভাগ নির্দেশ মেনে সবাইকে ধান ও চাল কিনতে হবে। যারা এসব নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফিরোজ আহমেদ মোস্তফা, ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আখতার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, মিল মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামসহ কৃষক ও মিলাররা।
২০ মে, ২০২৪

গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৪ গুদাম
গাজীপুরের টঙ্গী বাজারের আলুপট্টিতে লাগা আগুনে চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চারটি গুদাম পুড়ে গেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী বাজারের আলুপট্টির সোনাভান মার্কেটের পাশের গুদামে এ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উত্তরা জোনের উপসহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের মাত্রা বাড়ার কারণে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।  তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে চারটি গুদামের মালামাল পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশের কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। গুদামগুলোতে পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ করা ছিল। ব্যবসায়ীরা গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। রূপসী বাংলা চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন বলেন, আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আড়তে প্রায় পাঁচ হাজার বস্তা চাল ছিল। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।  মেসার্স সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক সবুজ মাতব্বর বলেন, আড়ত বন্ধ করে বাসায় পৌঁছার পর জানতে পারি দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি দোকানের সামনে অংশ ও ভেতরে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সেই উম্মে কুলসুমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদির আঞ্চলিক হলতা খাদ্য গুদামের উপপরিদর্শক উম্মে কুলসুমের বিরুদ্ধে সরকারি গুদামের চাল চুরির ভিডিও ভাইরালের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। তদন্তকারী কর্মকর্তারা হলেন গৌরনদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অশোক কুমার, হিজলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম ও বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের টেকনিক্যাল এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন। ঘটনার বিষয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুবিনা পারভিনের বলেন, হলতা গুদামের ঘটনার প্রসঙ্গে বরিশালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্তের পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি সেখানে বিভাগীয় কর্মকর্তারা আসছেন তদন্ত করছেন। আশা করি তদন্তে সঠিক বেরিয়ে আসবে। এর আগে বুধবার (৩ এপ্রিল) বাকেরগঞ্জ হলতা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্যগুদাম থেকে চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রাজা খানের চাতালে ১৫ বস্তা চাল পাঠানোর ভিডিও ভাইরাল হয়।  ভিডিওতে দেখা যায়, নসিমন ভর্তি চাল নেওয়া হচ্ছে রাজা খানের বাড়িতে। এ সময় নসিমনের চালক বলছেন, হলতা গুদাম থেকে চাল নিয়ে রাজা খানের বাড়িতে নিয়ে যাব। ভিডিওতে শোনা যায়, রাজা খান কি করেন, উত্তরে চালক বলেন সে চালের ব্যবসা করেন। সে কিসের চাল ছাড়িয়েছেন বলতে পারেন না নসিমন চালক।  এ ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল জাতীয় দৈনিক কালবেলা ‘সরকারি খাদ্যগুদামের চাল চুরির ভিডিও ভাইরাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

আগুন লাগলে বেরিয়ে আসে গোপন গুদাম
২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদাম থেকে সৃষ্ট আগুনে ১২৪ জন নিহত হওয়ার পর সামনে আসে বসতবাড়িতে ভয়ংকর রাসায়নিকের গুদাম থাকার বিষয়। এরপর রাসায়নিকের গুদাম, কারখানা বা দোকান সরাতে তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু এসব এলাকায় আগুন লাগলেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় গত ১৪ বছরেও সরেনি রাসায়নিকের গুদাম। সরকার বসতি এলাকা থেকে গুদাম সরাতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে কেমিক্যাল পল্লি, টঙ্গী আর ঢাকার শ্যামপুরে গুদাম তৈরির উদ্যোগ নিলেও এত বছরেও এসব উদ্যোগ কাজে আসেনি। সর্বশেষ গত শনিবার ভোরে লালবাগের ইসলামবাগে রাসায়নিকের একটি গুদামে আগুন লাগলে ফের বিষয়টি সামনে আসে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লালবাগের চুড়িহাট্টায় কেমিক্যালের গুদামের আগুনে ৭১ জনের মৃত্যুর পর বেরিয়ে আসে পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদামের নামে একেকটা বাসাবাড়ি ‘গোপন বোমা’ তৈরি করে রাখা হয়েছে। এরপর ফের টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। শিল্প মন্ত্রণালয় দ্রুততম সময়ে রাসায়নিক গুদাম অপসারণের ঘোষণা দেয়। তোড়জোড় দেখা যায় সিটি করপোরেশনেরও। ওই ঘোষণার পর ২০২১ সালের এপ্রিলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুনে প্রাণ হারান পাঁচজন। দগ্ধ হন অন্তত ২৫ জন। ওই বছরের নভেম্বরে সোয়ারীঘাটে লাগা আগুনে প্রাণ যায় আরও পাঁচজনের। এসব ঘটনার পর বেরিয়ে আসে ভবনগুলো কেমিক্যালে ঠাসা ছিল। গত শনিবার ইসলামবাগে রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগার পর গতকাল রোববার পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে ঘুরে দেখা গেছে, বাসাবাড়িতে রাসায়নিকের গুদাম ও দোকান। মিটফোর্ড, আরমানিটোলা, শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী রোড, আগামাসিহ লেন, মাহুৎটুলী, চকবাজার ও লালবাগের বিভিন্ন এলাকা, বংশাল, আলুবাজার আর সিদ্দিকবাজারসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কেমিক্যাল বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। ঝুঁকি নিয়ে গাড়িতে স্থানান্তর করা হচ্ছে, গুদাম থেকে বের হচ্ছে কেমিক্যাল, আবার ঢুকছে। এসব এলাকায় ঘুরলে তাজা কেমিক্যালের উৎকট গন্ধ নাকে লাগে, চোখ ঝাঁ ঝাঁ করে। এসব গুদাম-দোকানে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, সোডিয়াম অ্যানহাইড্রোজ, গ্লিসারিন, সোডিয়াম থায়োসালফেট, মিথাইল ইথাইল কাইটন, থিনার, টলুইন ও আইসোপ্রোপাইল মতো অতিদাহ্য পদার্থ রয়েছে। পুরান ঢাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাতে চাননি। কয়েকজনের ভাষ্য, যুগের পর যুগ ধরে তারা এসব এলাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করে আসছেন। সরকার তাদের পুরান ঢাকার বাইরে এই কেমিক্যালের গুদামের জন্য জায়গা দিতে চাইলেও দোকান এক জায়গায় আর গুদাম অন্যত্র—এজন্য তারা আগ্রহী হচ্ছেন না। পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদাম-দোকান কত: পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদাম বা দোকান কতগুলো তার সঠিক পরিসংখ্যানও নেই। ২০২০ সালে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এরপর ওই বছরের ডিসেম্বর থেকে বিস্ফোরক জাতীয় প্লাস্টিক ও রাসায়নিক ব্যবসা পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা তৈরির জরিপ শুরু করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ সিটির পুরান ঢাকা এলাকায় (কর অঞ্চল ৩, ৪ ও ৫)-এ জরিপ চালায়। ওই জরিপে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুরান ঢাকায় বিস্ফোরক জাতীয় প্লাস্টিক ও রাসায়নিক ব্যবসা পরিচালনা করে এমন ১ হাজার ৯২৪টি রাসায়নিক গোডাউন রয়েছে বলে বেরিয়ে আসে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এক গবেষণায় বেরিয়ে আসে ভিন্ন তথ্য। বাপার গবেষণায় পুরান ঢাকায় অন্তত ২৫ হাজার রাসায়নিক পণ্যের গুদাম থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে, যার মধ্যে ১৫ হাজারই বসতবাড়িতে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদাম বা এই ধরনের যত দোকান আছে, এর সবই অবৈধ। কারণ কারোই কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই। ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদাম বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ২০১৯ সাল থেকে বিস্ফোরক জাতীয় রাসায়নিক ব্যবহার করে এমন প্লাস্টিক কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বন্ধ রয়েছে। এজন্য এগুলো অবৈধ। কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কত দূর : গত কয়েক বছরে শ্যামপুরের উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির খালি জায়গায় রাসায়নিকের অস্থায়ী গুদাম তৈরি, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ এবং গাজীপুরের টঙ্গীর কাঁঠালদিয়ায় অস্থায়ী গুদাম নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এর মধ্যে শুধু শ্যামপুরে অস্থায়ী গুদাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর এই প্রকল্প উদ্বোধনের পর মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান সেখানে গুদাম গড়ে তুলেছে। বাকি জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। সিরাজদীখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি এক যুগেও। ফলে আটকে আছে পুরান ঢাকা থেকে গুদাম সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রমও। ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার ওেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের জুনে। ওই সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় দীর্ঘ আট মাস সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল এই প্রকল্প। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা করা হয়। চলতি বছর পর্যন্ত পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এত বছরে প্রকল্পে জায়গা অধিগ্রহণ আর কিছু জায়গা ভরাট করা হলেও কাজের আর অগ্রগতি নেই। মেয়াদ শেষ হয়েছে টঙ্গীর গুদাম প্রকল্পেরও। তবে সেখানেও রাসায়নিকের গুদাম সরেনি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সংস্থাটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক কালবেলাকে বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটসহ ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ করতে আরও অন্তত দেড় বছর সময় লাগবে। অন্যদিকে সিরাজদীখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রস্তুত হওয়ার আগে সাময়িকভাবে রাসায়নিক কারখানাগুলো ঢাকার শ্যামপুরে উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালে চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির পর নেওয়া ওই সিদ্ধান্ত ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও গত বছর সেই কাজ শেষ হয়। ওই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক আ. ন. ম শরীফুল আলম কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা প্রকল্প শেষ করেছি। সব গুদাম প্রস্তুত। এখন ব্যবসায়ীরা চাইলেই সেখানে মালামাল রাখতে পারবেন।’ জানা যায়, গত বছর শ্যামপুরের ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত ‘মেসার্স রয়েল টন লেকার কোটিং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান সেখানে গুদামজাত শুরু করেছে। এজন্য গত মাসে প্রতিষ্ঠানটিকে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার সুযোগ দেয় সিটি করপোরেশন। তবে বেশির ভাগ কেমিক্যাল ব্যবসায়ীই সেখানে যেতে রাজি নন। শ্যামপুরের গুদামে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা যেতে রাজি নন কেন তা জানতে কালবেলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইম্পোটার্স অ্যান্ড মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে। সংগঠনটির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে বলেন, সব ব্যবসায়ী নিরাপদ স্থানে গোডাউন নিতে আগ্রহী। কিন্তু তাদের ব্যবসার দিকটাও দেখতে হবে। সেখানে ভাড়া অনেক বেশি। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীরা সেখানে যেতে চান না। তিনি জানান, শ্যামপুরের গুদামে প্রতি বর্গফুট জায়গা প্রথমে ৭০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এরপর তাদের দাবির মুখে ৩৮ টাকা করা হয়। কিন্তু তাও ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক বেশি। কারণ এখন যেখানে তাদের গুদাম রয়েছে, সেখানে ১২ টাকা বর্গফুট হিসেবে তারা ভাড়া দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে যাওয়া কঠিন। অবশ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আশা করছি, সব রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হবে। যারা স্থানান্তরিত হবে না পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ মার্চ, ২০২৪

খাদ্য গুদাম থেকে কোটি টাকার চাল গায়েব, খাদ্য পরিদর্শক আটক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রসুলপুর খাদ্য গুদাম থেকে রাতের আঁধারে ২৫০ টন চাল সরানোর অভিযোগে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ সফিউল আজমকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে পুলিশ।  সরিয়ে ফেলা ওই চালের বাজার মূল্য ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি বলে জানা গেছে। গজারিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, এই উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৯ মার্চ আমি রসুলপুর খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যাই। এ সময় ৪নং ভবন পরিদর্শনের সময় মজুতকৃত চালের পরিমাণ অনেক কম দেখতে পাই। মজুতকৃত চালের পরিমাণ ৪৩১ টন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেক কম পাওয়া যায়। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হই এখান থেকে অধিকাংশ চালের বস্তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ থেকে গুদামের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও নেই। বিষয়টি আমি লিখিত আকারে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এ ঘটনায় এক খাদ্য পরিদর্শককে আওতায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার বলেন, সদ্য যোগদান করা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা লিখিত আকারে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। গুদামে মজুতকৃত চালের পরিমাণে বড় ধরনের গড়মিল পাওয়া গেছে। গুদামের দায়িত্বে থাকা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ শফিউল আজমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২১ মার্চ, ২০২৪

কোটি টাকার চাল আত্মসাৎ, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নামে মামলা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাকিল আহমেদকে (৩৯) আসামি করে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতা অপব্যবহারসহ এক কোটি ৭১ লাখ ৯২ হাজার ৩৮২ টাকা মূল্যের ৩২৮.৯৮০ টন সিদ্ধ চাউল এবং ৩৮০টি খালি বস্তা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। বুধবার (৬ মার্চ) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহের উপসহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। দুদক ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. বুলু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী তিনি জানান, আসামি শাকিল আহমেদ ২০২১ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর তাকে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে বদলি করা হয়। কিন্তু ওই বছরের ১৯ অক্টোবরের মধ্যে তাকে দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হলেও আসামি তা পালন না করে গা-ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ওই গুদামে ৩২৮.৯৮০ টন সিদ্ধ চাউল এবং ৩৮০টি খালি বস্তা ঘাটতি পায়। এতে সর্বমোট এক কোটি ৭১ লাখ ৯২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এই দুদক কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তবে খুব দ্রুত সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত শাকিল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুনেছি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে এখন আমার কিছু বলার নেই। আদালতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  
০৭ মার্চ, ২০২৪

নিমতলী ট্র্যাজেডির এক যুগ পর রাসায়নিক গুদামের বাণিজ্যিক অনুমতি
পুরান ঢাকার নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ১৩ বছর পর পুরান ঢাকা থেকে শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় রাসায়নিক গুদাম হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর ফলে দীর্ঘ এক যুগ পর রাসায়নিক গুদাম হিসেবে প্রথম কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য অনুমতি দিল ডিএসসিসি।   শিল্প মন্ত্রণালয় রাজধানীর শ্যামপুরে বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ‘মেসার্স রয়েল টন লেকার কোটিং’ নামের একটি রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য অনুমতি নবায়ন করে ডিএসসিসি। শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য অনুমতি নবায়নের আবেদন করা হলে গত বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসি প্রতিষ্ঠানটিকে নবায়নকৃত এই বাণিজ্য অনুমতি দেয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অন্যান্য সব রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও সেখানে স্থানান্তরিত হবে। নিরাপদ হবে আমাদের পুরাতন ঢাকার সামগ্রিক পরিবেশ।’ যারা স্থানান্তরিত হবে না পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্যামপুরে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে রাসায়নিক গুদামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে অগ্নি নির্বাপণের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও খোলামেলা পরিবেশ হওয়ার সেখানে ঝুঁকির মাত্রাও অনেক কম।’ মিজানুর রহমান বলেন, ‘এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জায়গার ওপর যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে আমরা জেনেছি। জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠান যদি সেখানে স্থানান্তরিত না হয় তাহলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।’ প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ জুন শ্যামপুরে ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্প চালু করা হয়। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সেসব গুদাম উদ্বোধন করেন। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদাম থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জনের মৃত্যু হয়।
০৩ মার্চ, ২০২৪

যাত্রীর স্বর্ণবার নিয়ে ধরা খেলেন গুদাম কর্মকর্তা
এক যাত্রীর শুল্ক-কর পরিশোধ করা স্বর্ণের বার নিয়ে বাসায় চলে গেছেন ঢাকা কাস্টম হাউসের এক গুদাম কর্মকর্তা। পরে যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় ওই কর্মকর্তাকে। এরপর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) এসে জমা দেন এই স্বর্ণবার। তবে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, দুবাই থেকে ইউএস-বাংলার বিএস-৩৪২ এর একটি ফ্লাইটে গত শুক্রবার ভোরে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন মুহিবুর রহমান নামে এক যাত্রী। এরপর বিমানবন্দর থেকে সব মালপত্র সংগ্রহ করে সঙ্গে থাকা ১১৬ গ্রাম স্বর্ণের শুল্ক পরিশোধ করে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বের হয়েই তিনি বুঝতে পারেন তার প্যান্টে থাকা স্বর্ণের বারটি নেই। তাৎক্ষণিক তিনি এসে এপিবিএনে অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এপিবিএন বিমানবন্দরের সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। এতে দেখা যায়, যাত্রী মহিবুরের স্বর্ণের বারটি কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেলের স্ক্যানিং মেশিনের সামনে মেঝেতে পড়ে ছিল। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তা পিংকু রায় বারটিতে লাথি দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখেন। এরপর কৌশলে বারটি পকেটে তুলে নিয়ে তিনি দ্রুত বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে বিমানবন্দর কাস্টমসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘শুক্রবার এপিবিএনের ফুটেজ দেখে আমরা খুবই বিব্রত। একজন শুল্ক কর্মকর্তা কীভাবে এই কাজ করতে পারেন। এখানে কাস্টম হাউস তথা কাস্টমসের ভাবমূর্তি জড়িত। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে স্বর্ণের বারটি তিনি বিমানবন্দর এপিবিএনে এসে জমা দিয়েছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বিমানবন্দরের বিষয়টি উল্লেখ করে এসএমএস পাঠিয়েও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে অভিযুক্ত পিংকু রায়কে ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গাজীপুরে ঝুট গুদামের আগুন ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের কোনাবাড়ির আমবাগ এলাকায় ঝুটের গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত্র হয় বলে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ির আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় স্থানীয় শরীফের ঝুটের গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পাশের কয়েকটি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গাজীপুর, কোনাবাড়ি ও আশপাশের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে পানির সংকট থাকায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে একটু সময় বেশি লাগে। তিনি আরও বলেন, আগুনে বিপুল ঝুট মালামাল, ঢেউটিন ও অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ধান-চাল মজুত বিরোধী অভিযানে ৩ গুদাম সিলগালা
নওগাঁয় ধান-চাল মজুতবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার তিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি মজুতসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুই ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সিলগালা করা হয়েছে তিনটি গুদাম। জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেলে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা। নওগাঁ সদরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও এসএম রবিন শীষের নেতৃত্বে, মান্দা উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও লায়লা আঞ্জুমান বানুর নেতৃত্বে এবং মহাদেবপুর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আরা নেতৃত্বে এসব অভিযান চালানো হয়।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪
X