অনুমোদনহীন ৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস, মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন এসএমসি প্লাসসহ ৫টি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  মঙ্গলবার (১৪ মে) নিরাপদ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল কবীর এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই সঙ্গে ৫টি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।  আদেশে বলা হয়েছে, এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকিজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ না কি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।  এর আগে, সকালে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এই ৫ কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলাটি করেন নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন। অনুমোদনহীন এসব ড্রিংকগুলো হলো- এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকিজের রিচার্জ এবং টারবো। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যের প্রসারে প্রচারণা করেছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন জানান, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই। ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না এগুলো ওষুধ না কি ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করেছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলা হয়েছিল, যা কোনো কোম্পানি মানেনি। 
১৪ মে, ২০২৪

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে বাইডেনের দ্বারস্থ নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বারস্থ হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এটি ঠেকাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রোববার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে টেলিফোন করেছেন নেতানিয়াহু। এ সময় তিনি পরোয়ানা জারি ঠেকাতে ওয়াশিংটনের প্রভাব খাটানোর আহ্বান জানান।  গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির সেনাদের এমন কর্মকাণ্ডে নির্দেশের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রচণ্ড চাপে পড়েছেন নেতানিয়াহু।  এর আগে ২০১৪ সালে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল। এরপর ২০১৭ সালে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। পরে  করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে তা বাধাগ্রস্ত হয়। তবে করোনার ধাক্কা কেটে গেলেও বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি।  এরপর গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হলে আবার পুনরায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে আইসিসি। এরমধ্যে গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত সফর করেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সফরে তিনি পুরোনো তদন্ত পুনরায় শুরু করার কথা জানান।  সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর  এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ব্ষিয়ে আইসিসির এক মুখপাত্র এনবিসি নিউজকে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি নিয়ে একটি ‍মুক্ত ও অবাধ তদন্ত চালাচ্ছি। এ কাজের সুবিধার্থে আমাদের যে কোনো পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন তাই এ নিয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।  গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
০১ মে, ২০২৪

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা শিগগির
গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে এরই মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও এনবিসিকে বলেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে এনবিসির সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, সত্যিই নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কি না। জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এ কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।’ ২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সফরে পুরোনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।’ উল্লেখ্য, ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র-দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের।
০১ মে, ২০২৪

সস্ত্রীক জেসিকা গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পদ্মা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে নেওয়া ৮৬ কোটি ৭২ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ না করায় চট্টগ্রামের জেসিকা গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া জসিম উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা জুহিকে পাঁচ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বাসিন্দা জানিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ব্যাংকের পক্ষে দাখিলীয় দরখাস্তের প্রেক্ষিতে বিচারক ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আটকাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।  আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালে পদ্মা ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৮৮ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যে জেসিকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এমডি জসিম উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা জুহির বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের হয়। মামলার প্রেক্ষিতে এর আগে গত ৪ এপ্রিল একই আদালত জসিম উদ্দিন আহমদ ও তার স্ত্রী জুহিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু শর্ত মোতাবেক ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে তারা বিলাসী জীবনযাপন অব্যাহত রাখে। বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়িতে চড়ে সমাজ সেবার নামে দুই হাতে টাকা খরচ করতে থাকেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন দুটি গাড়ি, দক্ষিণ খুলশীর জসিম হিল পার্ক, পাথরঘাটা এলাকায় ছয়তলা ভবন ‘মফজল টাওয়ার’ ও চন্দনাইশ এলাকার একটি ডুপ্লেক্স ভবন ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। পদ্মা ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, আসামি তৎকালীন ফার্মাস ব্যাংক (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) থেকে প্রায় ৬০ কোটি ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০২০ সালে মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০২২ সালে আদালত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লালদিঘি এলাকায় জেসিকা গ্রুপের মালিকানাধীন মহল মার্কেটের রিসিভার নিয়োগ দেন। সে সময় জসিম উদ্দিন ২৪ কোটি টাকা পরিশোধ করেন এবং প্রতি মাসে এক কোটি টাকা করে পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। এর পরে গত ১৫ মাসে কোনো অর্থ পরিশোধ করেননি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পথে আইসিসি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি রাজনৈতিক ও সামরিক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পথে রয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। অদূর ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। ইতিমধ্যে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে জরুরি বৈঠক করেছেন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল ১২ এবং সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এসব তথ্য জানিয়েছে। চ্যানেল ১২-এর খবর অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার কীভাবে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়ানো যায় তা খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশটির তিনজন মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন সরকারি আইনজীবী একটি জরুরি বৈঠক করেছেন। অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে এমন বার্তা পাওয়ার পরই বৈঠকে বসেন তেল আবিবের কর্তা ব্যক্তিরা। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের কার্যালয় বৈঠকের বিষয়টি টাইমস অব ইসরায়েলকে নিশ্চিত করেছে। তারা এ-ও জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে, এমন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজ, বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন ও কৌশলবিষয়কমন্ত্রী রন দার্মার উপস্থিত ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যেন না জারি করা হয় সেজন্য ইসরায়েল আইসিসি এবং এই আদালতের ওপর প্রভাব রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। চলতি সপ্তাহে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করে তাদের সহায়তা চেয়েছেন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইসরায়েল। বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের মধ্যে মানবিক সংকটের কারণে তেল আবিবের আশঙ্কা আরও প্রবল হয়েছে। এ ছাড়া অনেক দেশ সেখানে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ও গণহত্যাবিষয়ক জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ তুলেছে। মূলত ২০১৪ সালের হামাস ও আইডিএফের যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত করার ঘোষণা দেয় আইসিসি। করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর তদন্ত স্থগিত থাকলেও ২০২১ সালের মার্চে পুনরায় তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এরই অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান ইসরায়েল সফর করেন। তার সফরের তিন মাসের মাথায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি সামনে এলো।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ভিপি নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রাম আদালত। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক জহিরুল কবির শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার ইয়াসির আরাফাত তানিম। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ জুন নুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার ইয়াসির আরাফাত তানিম। পরে নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১), ২৯ (১) ও ৩১ ধারায় অপরাধ আমলে নিতে আবেদন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এক ছাত্রলীগ নেতার করা মামলা তদন্তের জন্য আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দুই বছর আগে। তদন্ত শেষে সিআইডি সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। সোমবার আদালত তা গ্রহণ করে নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ৪ নেতার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ ও সম্পাদক আরিফ ইসলামসহ ছাত্রলীগের চার নেতার নামে দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার ওই পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। অন্য আসামিরা হলো লালমনিরহাট পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক ও ঢাকা তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি হোসাইন তূর্য। এর আগে ওই মামলায় ছাত্রলীগের এই ৪ নেতাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।  বৃহস্পতিবার ছিল হাজিরার দিন। যথা সময়ে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বাদী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে আসামিদের নামে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। শুনানি শেষে বিচারক মামলার বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঢাকা শাহজাহানপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছান মামলার বাদী ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির। সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা হঠাৎ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ইস্যু নিয়ে বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্য আসামিরা হুমায়ুন কবিরকে ঘিরে ধরে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।  টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা লোহার রড দিয়ে বাদীর মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। পরে রডের আঘাত তার ঘাড়ে লাগে। এরপর আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। সে সময় এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, বাদীকে আসামিরা ঘিরে ধরে মারধর করছেন। বাদী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে জোর করে ধরে এনে পেটানো হয়। সেসময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করেন।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সামছুদ্দীন শেখ হেলালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারি করেছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই আদেশ দেন। সামছুদ্দীন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর শহীদ বেলু রোডের বাসিন্দা। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯ কোটি ৭০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯ টাকা ৫৯ পয়সার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দায়ের করা মামলায় এ আদেশ আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলটি দায়ের করে। জানা গেছে, আসামি সামছুদ্দীন শেখ আদালতে হাজির না হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করলে সিনিয়র স্পেশাল জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন। দুদকের স্পেশাল পিপি এস এম আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তদন্তে এর সত্যতা মিলেছে বলেও জানা গেছে।
২১ মার্চ, ২০২৪

স্বাস্থ্যের আবজালের স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনের স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে এ পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় আবজাল বর্তমানে কারাগারে। ২০১৯ সালের ২৭ জুন আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুটি মামলা করেন সংস্থার উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। তদন্ত শেষে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ দম্পতি ৮৯ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ দেশে গোপন করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা মালয়েশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ২২ লাখ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ার ২২টি ব্যাংক ও তিন প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডায় ২ ব্যাংকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেছেন। রুবিনা মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং কানাডায় ৪ লাখ ৬১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন। দেশে তার ১০৬ কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে ৩০৭ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন পাওয়া গেছে।
২১ মার্চ, ২০২৪

রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার তিন মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম তথ্য জানিয়ে বলেন, পৃথক তিন মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমা নাসরিনের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি আসামিদের প্রতিষ্ঠান থেকে মামলার বাদী তানভীর আহমেদ একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৮ টাকা পরিশোধ করেন। একইভাবে ২৬ মার্চ বাদী মাইন উদ্দীন মোটরসাইকেল কিনতে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪০ টাকা পরিশোধ করেন। এ ছাড়া ২০ মার্চ আরেক বাদী তৌফিক মাহমুদ তিনটি মোটরসাইকেল কিনতে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তাদের সমপরিমাণ টাকার চেক দেন আসামিরা। চেকগুলো ব্যাংকে জমা দিলে ডিজঅনার হয়। টাকা না পেয়ে তারা ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে পৃথক তিনটি মামলা করেন। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা এক মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পান শামীমা। গত ১৯ ডিসেম্বর রাসেল জামিনে মুক্তি পান।
০৫ মার্চ, ২০২৪
X