চা বাগান থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
হবিগঞ্জের বাহুবলে এক নারীর আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কামাইছড়া চা বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  পুলিশ বলছে, কেউ হয়তো পুড়িয়ে হত্যার পর মরদেহটি এখানে ফেলে গেছে। নিহতের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সাকালে কামাইছড়া চা বাগানে এক নারীর আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা বিষয়টি থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খায়েরসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহুবল মডেল থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, তাকে অন্য কোথাও হত্যার পর এখানে গুম করার উদ্দেশে হয়তো পুড়িয়েছে। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

চা বাগান কেটে দুধ দিয়ে গোসল!
পঞ্চগড়ে বছরের পর বছর চা বাগান থেকে লোকসানের শিকার হয়ে মো. শাহজালাল নামের এক চা চাষি তার সাত বিঘা জমির চা বাগান উপড়ে ফেলে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন।  বুধবার (২০ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার তেপুকুরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  এ সময় নিজের তৈরি ১৩ বছরের বাগানের গাছগুলো উপড়ে ফেলে দুধ দিয়ে গোসল করেন শাহজালাল। এই কর্মকাণ্ডে তার শ্রমিক ও স্থানীয়রাও অবাক হয়ে যান।  চা বাগান করাকে পাপ অবহিত করে তিনি জানান, প্রায় ১০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করে পাপ মোচন করেছি। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার তেপুকুরিয়া এলাকায় ২০১০ সালে নিজের কেনা ৭ বিঘা জমিতে চা বাগান করি। শুরুতে লাভ হলেও এরপর চলে পালাক্রমে লোকসান। এ পর্যন্ত তার প্রায় ২০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট করে চা চাষিদের জিম্মি করে রেখেছে। দিন দিন তাদের ব্যবসা ও পরিধি বাড়লেও চাষিরা গুণছেন লোকসান। প্রতি কেজি চা পাতা উৎপাদন করতে গিয়ে আমাদের খরচ হয় প্রায় ১৮ টাকা। কিন্তু সেই চা পাতা বিক্রি করে আমরা পাচ্ছি মাত্র ৮ থেকে ১০ টাকা। তার মধ্য ওজন থেকে ২০ থেকে কখনো ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাদ দিয়ে দেওয়া হয় দাম। এভাবে আমরা আর টিকতে পারছি না। প্রশাসন ও চা বোর্ড কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই চা কারখানা মালিকদের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্ত হতেই চা বাগান উপড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। এই বাগান করার পাপ হিসেবে দুধ দিয়ে গোসল করলাম।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

সিলেটে চা বাগান থেকে লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর পাঠানটুলাস্থ আলী বাহার চা বাগান থেকে সিতেশ চন্দ গোপ নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবকের নাম সিতেশ চন্দ গোপ (৪৫)। তিনি হবিগঞ্জ সদরের ৮ নং ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া গ্রামের রাখাল চন্দ গোপের ছেলে। এয়ারপোর্ট থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন লাশ উদ্ধারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিতেশ চন্দ গত ১৭ নভেম্বর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে সিলেটে এসেছিলেন। পরদিন শনিবার (১৮ নভেম্বর) তার সন্তানের জন্ম হয়। এরপর রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে সিতেশ চন্দ নিখোঁজ হন। তিনি হাসপাতালেই থাকতেন। নিখোঁজের ঘটনায় সোমবার বিকেলে নিহতের বড় ভাই গোপেশ চন্দ্র গোপ জালালবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লাশের একটি হাত নেই। সেটি শিয়াল খেয়ে ফেলতে পারে বলে  ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সিতেশ চন্দ গোপের পাশ থেকে একটি ছুরি ও রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার জহিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সেটা পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকাণ্ড। সিতেশ চন্দ গোপের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সাদেক কাওছার দস্তগীর, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট জোন) জহিরুল ইসলাম, এয়ারপোর্ট থানার ওসি মঈন উদ্দিনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।
২১ নভেম্বর, ২০২৩

ভারতীয় চা বাগান থেকে ৬ বাংলাদেশি আটক
ভারতীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় অভিযান চালিয়ে ৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী সাব্রুম এলাকায় একটি চা বাগানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট টুডে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আটক ৬ বাংলাদেশির বাড়ি চট্টগ্রামে। সীমান্তবর্তী চা বাগাানে বাংলাদেশিদের অবস্থানের গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালায় সাব্রুম থানা পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার উপপরিদর্শক ধ্রুব মজুমদার। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে তারা চা বাগানে পালিয়ে যায়। পরে ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। নর্থইস্ট টুডে জানিয়েছে, আটক ছয় বাংলাদেশি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তাদের বিষয়ে আরও তদন্তের জন্য সাব্রুম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  এর আগে গত জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ত্রিপুরার একটি বাস টার্মিনাল থেকে ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী এবং তিনজন শিশু ছিলেন। তারও আগে গত জুন মাসে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে পুলিশ। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ৮৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া ছাড়া উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত।   
৩১ আগস্ট, ২০২৩
X