চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে
যশোরে মাছের ঘের দখল নিয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় ওসি জহির হাসানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন কেশবপুর মধ্যকুল গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। মামলার আবেদনে অন্য দুজন হলেন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ। বুধবার (১৫ মে) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আবেদন সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি মধ্যকুল মৌজায় ২১৪ জন মালিকের কাছ থেকে ৪৫০বিঘা জমি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নেন। বর্তমানে সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন। ওই জমির গা ঘেঁষে উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ১০০ জন কৃষকের কাছ থেকে তাদের জমি লিজ নিয়ে ঘের করার জন্য চুক্তি করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চেয়ারম্যান মফিজ ও আসাদ বাদী জাহাঙ্গীরের লিজ নেওয়া জমি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য হুমকিধামকি দিয়ে আসছেন। এ বিষয় নিয়ে বাদী কেশবপুর থানায় জিডি করতে গেলেও থানা তা গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ গত ১ মে থানার পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোরপূর্বক জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে থানায় ওসির রুমে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তিন আসামি উপস্থিত রয়েছেন। এ সময় ওসি জহির বাদীকে ১৫ দিনের মধ্যে তার জমি মফিজ ও আসাদকে হস্তান্তর করতে বলেন। অথবা ওসি জহিরকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। রাজি না হলে বিলের মধ্যে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে সেটা ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেওয়া হবে মর্মে হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি আমার জানা নেই। কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, ওই ঘটনার সময় আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ওসির রুমে চাঁদা দাবি করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যেহেতু আমি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে ফাঁসাচ্ছে। মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
২ ঘণ্টা আগে

ট্রাক থেকে মুরগি নামালেই চাঁদা দিতে হয় : সাঈদ খোকন
ঢাকা শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।  সোমবার (১৩ মে) পুরান ঢাকার ওয়ারীর নরেন্দ্রনাথ বাসক লেনে ৮০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে। কাঁচাবাজারে টোলের নামে চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, কাঁচাবাজার কেন্দ্রিক টোল আদায়ের নামে যে চাঁদাবাজিটা হয়, এই চাঁদাবাজি আমাদের পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের একটা ছোট সংসারে বাসা ভাড়া দেওয়ার পর হাতে কতটুকুই টাকা থাকে। এ দিয়ে একটা সীমিত আয়ের সংসার চালাতে হয়।  তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মুরগি-সবজি ট্রাক থেকে নামালে টাকা দিতে হয়, উঠালে টাকা দিতে হয়, বিক্রি করলে টাকা দিতে হয়, বাড়িতে নিয়ে গেলেও টাকা দিতে হয়, সবখানে টাকা দিতে হয়। এসব কাজ করে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন এবং সুনাম ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি কথাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইন হিসেবে মেনে কাজ করেন। শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা শোভনীয় নয়। আমাদের কিছু কাজ-কারবার, আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। গরিবের কষ্ট লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী চাল-ডাল ইত্যাদি দিয়েই যাচ্ছেন, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। আমাদের অর্জন রয়েছে, আমাদের চেষ্টা রয়েছে। কিছু দুষ্টুলোকের কাজের কারণে আমাদের চেষ্টাগুলো ম্লান হয়ে যায়। চেষ্টাগুলো মলিন হয়ে যায়।  এ সময় মঞ্চে উপস্থিত পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে সাঈদ খোকন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। আমরা গরিবের কষ্ট দেখতে চাই না। শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দিন নেই রাত নেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এই অবস্থা দেখার জন্য নয়। এই অরাজকতা হতে দেওয়া যায় না। খুব দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে, কোনোভাবেই এটা চলতে দেওয়া যাবে না। যেসব কাজে মানুষের কষ্ট হয় সে কাজ শেখ হাসিনা কখনোই মেনে নেবেন না। যারা এই কাজ করছেন তারা যদি আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের কাতারে আসুন। মানুষের সেবা করুন, আমাদের সঙ্গে আসুন, আমাদের পাশে থাকুন।
১৩ মে, ২০২৪

চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে মারধর
মানিকগঞ্জের ঘিওরে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকের নাম জনি মিয়া। তিনি উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা গ্রামের জহির মিয়ার ছেলে। আহত ঠিকাদারের প্রতিনিধির নাম প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।  ওরিয়েন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় সাইটে কাজ করার সময় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে জনি। এ ছাড়া কাজ বন্ধ রাখার হুমকি দেয়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মঙ্গলবার সকালে সাইটে এসে কিল ঘুষি এবং শ্রমিকদের বেলচা দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।‌ জনি মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, সেতুর নির্মাণকাজে বাধা কিংবা চাঁদা চাওয়া হয়নি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে দুপাশে মাটি ফেলানো নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।   উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বড়টিয়া ফুলহারা আঞ্চলিক সড়কের ইছামতি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের প্রতিনিধির কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং মারধর করেছে জনি নামের এক যুবক। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে জানানো হয়েছে।  ঘিওর থানার এসআই মো. আরবিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ মে, ২০২৪

কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির ঘটনায় চার পুলিশ প্রত্যাহার
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর তাদের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে রাজশাহী পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহার হওয়া চার সদস্যরা হলেন- প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই মো. রেজাউল করিম, এএসআই মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম গ্রাম থেকে ওই কিশোরকে তুলে নিয়ে যান কয়েকজন। ওই কিশোরকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার বাবা মো. মুর্ত্তজা একজন কাপড় ব্যবসায়ী। ওই কিশোর ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোর তার বাবার কাপড়ের দোকান বন্ধ করে। পরে সে তার দুই বন্ধুর সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন তাদের সামনে আসে। তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের তিনজনের মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর তারা জোর করে ওই কিশোরকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চলে যায়। রাত ৯টার দিকে তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর তাকে প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।  এ সময় তারা তাকে বলেন, ‘তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল, নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দেব।’ এই সময় কিশোরটির মোবাইলে তার মা-বাবার মোবাইল থেকে বারবার ফোন আসছিল। কিন্তু তারা তাকে তার মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেয়নি। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বসন্তপুরে ফাঁকা রাস্তার পাশে সোহানুরকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই কিশোর একা গোগ্রাম বাজারে চলে যায়। ভুক্তভোগী কিশোর জানায়, তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়েছে। তাদের আচরণ পুলিশের মতোই। তবে তাদের পরনে পুলিশের কোনো পোশাক ছিল না। বারবার ফোন আসছিল আর ‘স্যার স্যার’ বলছিলেন। তাদের একজনের হাতে থাকা হাতকড়া তাকে পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তারা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে গাড়ি এনে থানায় নিয়ে চালান দিয়ে দেবেন বলেও তারা তাকে হুমকি দেন। সে ভয় না পেয়ে তাদের সঙ্গে থানায় যেতে চায়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিশোরটি আরও জানায়, ওই চারজন তার মোবাইলে থাকা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে পিন নম্বর নিয়ে তার সামনেই তিন হাজারের মতো টাকা তুলে নেন। তাকে ছেড়ে দেওয়ার আগেই দুজন পুলিশ সদস্য সেখান থেকে চলে যান। বাকি দুজন তাকে ফাঁকা রাস্তায় নামিয়ে দেন। এরইমধ্যে ভুক্তভোগীকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তার পরিবার তাকে খুঁজতে থাকে। থানা-পুলিশকেও ফোন করা হয়। এ সময় এএসআই আনোয়ারুলকে সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয় লোকজন তার কাছে ভুক্তভোগীর বিষয়ে জানতে চান।  একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে অবরুদ্ধ করেন। পরে খবর পেয়ে প্রেমতলী তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গণি অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়েই স্থানীয় লোকজনকে লাঠিপেটা করেন তিনি। এতে সাত–আটজন আহত হন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন লোকজন। পরে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আবদুল মতিন ও গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এএসআই আনোয়ারুলকে নিয়ে চলে যান। ওই কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে এএসআই আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনার পর তাকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চারজনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
০৬ মে, ২০২৪

ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার পর স্থানীয়রা গোদাগাড়ীর প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আনোয়ারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ইটপাটকেল মেরে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অবরুদ্ধ এএসআইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় তারা। শনিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের শিকার যুবকের নাম সোহান। তিনি গোগ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মুর্ত্তজার ছেলে। সোহানের অভিযোগ, রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে সামনের মোড়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল। এই সময় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন এসে নিজেরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর নাম জিজ্ঞাসা করে। নাম ঠিকানা বলার পর সোহানকে জোর করে মোটরসাইকেল তুলে নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর সোহানের হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরানো হয়। এরপর তাকে প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তারা বলে তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল, নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দিব। এই সময় আমার ফোনে বারবার কল আসছিল। কিন্তু তারা ফোনে কথা বলতে দেয়নি। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসন্তপুর-খেতুরধামের রাস্তায় ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে তিনি একা গোগ্রাম বাজারে চলে যান। গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোহানকে অপহরণের পর এএসআই আনোয়ার সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে যান। সেখানে স্থানীয় লোকজন তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসমান অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ৭-৮ জন আহন হন। পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে লোকজন। এতে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে গোদাগাড়ী থানার ওসি আব্দুল মতিন ও গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। মজিবুর রহমান আরও বলেন, উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছে সোহানকে ফেরত চান। এ সময় সোহানের মোবাইল ফোনে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ওসি আব্দুল মতিন। এর পর তারা সোহানকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি জানতে চাইলে এএসআই আনোয়ার বলেন, সোহানকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে আমি জানি না। শনিবার রাতে আমার ডিউটি শেষে গোগ্রাম বাজার পার হয়ে কিছুটা গেলে কয়েকজন এসে আমার সঙ্গে কথা বলেন এবং সোহানের বিষয়ে জানতে চান। এ সময় অনেক লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে আমি প্রেমতলী কেন্দ্রের ইনচার্জকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। তবে রাতে সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে কেন গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, রাতেই পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। সোহানকে কারা অপহরণ করেছে সেটি তদন্ত করে বের করার জন্য বলেছি। এ সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছি। গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, কারা সোহানকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাঁদা দাবি করেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
০৫ মে, ২০২৪

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়
কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে এক নারীসহ ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। প্রতারণার সময় আটকরা নিজেদের ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত ৭টি অলিখিত স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষরিত ৭টি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার (৪ মে) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া সৈয়দ আয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মো. মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মো. সাখাওয়াত হোসেন, গোপন ভিডিও ধারণ পরিকল্পনাকারী আব্দুর রহিম, বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার। পুলিশ সুপার জানান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এলাকার এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে কল করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২৩ বছর বয়সী নারী তাসনুভা আক্তার। পরিকল্পনা করে ওই ব্যক্তিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতোপা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে। এ সময়ে ঘটনাস্থলেই ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখিয়ে শুরু হয় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কৌশল। এরপর প্রতারণার ভিডিও ছেলের মোবাইলে পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে প্রতারক চক্র। সম্মানহানির কথা চিন্তা করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়। পরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধরা হয় এই প্রতারক চক্রটিকে।
০৪ মে, ২০২৪

চাঁদা না দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে বেধড়ক পেটালেন আ.লীগ নেতার ভাগনে
কুমিল্লার দেবীদ্বারে চাঁদা না দেওয়ায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছেন কুমিল্লার উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলীর ভাগনে গোলাম মোস্তফা সরকার। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রহুল আমিন বাদী হয়ে গোলাম মোস্তফাসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। অভিযান চালিয়ে আসামি গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের উজানিকান্দি গ্রামে মারধরের ঘটনা ঘটে।   এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান মান্নানের সঙ্গে প্রতিবেশী মো. মোবারক হোসেনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে মজিবুরের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। পূর্ববিরোধের জেরে শনিবার দুপুরে মোবারক হোসেন ও গোলাম মোস্তফার সরকারের নেতৃত্বে ৮-৯ জন মজিবুরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা না দিলে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর, তার ছেলে রহুল আমিন ও ভাতিজা শাকিলকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মামলার বাদী রুহুল আমিন বলেন, আসামিরা আমার বাবার কাছ থেকে জোর করে ১০০ টাকার তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। মোস্তফার মামা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। তার প্রভাবে সে এলাকায় বিভিন্ন অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। তিনি বলেন, সে দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবারের কাছ চাঁদা দাবি করছিল। না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় কয়েকবার। সর্বশেষ শনিবার আমার বাবা এবং পরিবারের সদস্যদের মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছি।   দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া কালবেলাকে বলেন, দেবিদ্বারের এক মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় তার ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করেছি। সোমবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদা না পেয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক পিটুনি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানা মোড়ে সোহাগের নিজের গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দেখতে ছুটে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েদ সরকারসহ দলীয় নেতাকর্মী। এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।  ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মাহবুবুল আলম সোহাগ। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি। সোহাগ বলেন, সামনের উপজেলা নির্বাচনের জন্য আমি না কি একজনের থেকে ৫ লাখ টাকা এনেছি। সেই টাকা এখনই বের করে দে বলে, আমাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই জাহাঙ্গীর পালোয়ানের নেতৃত্বে আলমগীর হোসেন আলো, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসিরসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন সংঘবদ্ধভাবে পূর্ব পরিকল্পিত এই চাঁদার টাকা না পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে হামলা চালিয়ে জখম করে। তিনি আরও বলেন, আমার কাপড়ের গার্মেন্টসটিতে ভাঙচুর চালিয়ে নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে এসেও অনেকে হামলার স্বীকার হয়েছে। এতে আমি মাথায়, পিঠে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হই। আমার সঙ্গে এই নির্মম নির্যাতনের বিচার দাবি করছি। অভিযোগ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর পালোয়ান গংদের মোবাইল ফোনে কল করেও রিসিভ হয়নি। তাই তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আসিবুল হাসান বলেন, সোহাগ নামের ওই রোগীকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য দ্রুত ওয়ান স্পট ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি নিয়েছি। এ বিষয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, এখনো এ ধরনের ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

নতুন কমিটির সিভি আহ্বানের সময় চাঁদা নয়
বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কলেজসহ বিভিন্ন ইউনিটে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বানের ক্ষেত্রে কোনো চাঁদা নয়। এক জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনায় এ বার্তা দিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল বুধবার ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এ বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও জেলা সমমর্যাদার ইউনিট বা সরাসরি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত মেডিকেল কলেজ, কলেজ ও অন্য ইউনিটের নতুন কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বানের সময় কোনো আর্থিক মূল্যমান বা মনোনয়ন ফি বা চাঁদা আদায় কিংবা নির্ধারণ করা যাবে না। এ ছাড়া উপজেলা, কলেজ, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও অন্য ইউনিট তাদের অধীন ইউনিটের নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হয়।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রী থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ
ফেনীর সোনাগাজীর চরমজলিশপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে আফাজ উদ্দিন সৌরভের বিরুদ্ধে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ ঘটনায় সংগঠনবহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। জানা গেছে, উপজেলার চরমজলিশপুরের চান্দলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী বেলায়েত হোসেনের ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি ফাহাদের মা জানতে পেরে ছেলে ফাহাদ হোসেনকে ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলেন। এতে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ না করে ছেলের বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করে। এতে নিরুপায় হয়ে ছেলের মা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এ সময় উল্টো মেয়ের পরিবার ছেলের মাকে আটকে রাখে। আরও জানা যায়, খবর পেয়ে আফাজ উদ্দিন সৌরভ মতিগঞ্জ গিয়ে ফাহাদ হোসেনের মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ অজুহাত দেখিয়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারে এক স্বর্ণ দোকানে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সৌরভ ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে আরও ২০ হাজার টাকা আদায় করে। গত ২১ এপ্রিল প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়। সম্প্রতি ফাহাদের বাবা প্রবাসী বেলায়েত হোসেন খবর পেয়ে ওই টাকা ফেরত আনতে ফাহাদের মাকে চাপ প্রয়োগ করে। এতে টাকা না দিয়ে উল্টো প্রবাসীর স্ত্রীকে হুমকি দিচ্ছে এই ছাত্রলীগ নেতা। ফাহাদের মা জানান, সৌরভ নিজে তার বাড়িতে এসে স্বর্ণ নিয়ে তাকেসহ কুঠিরহাট বাজারে গিয়ে এক স্বর্ণ দোকানে স্বর্ণ বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। সম্প্রতি তিনি আরও ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে নিরুপায় হয়ে তিনি বিষয়টি তার পরিবারকে ও স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করে। চরমজলিশপুর ইউপি সদস্য মো. রিয়াদ জানান, ছেলের মাকে ব্লাকমেইল করে ছাত্রলীগ নেতা মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবুর নাম ভাঙ্গিয়ে ওই মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে না দেওয়ার কথা বলে দেড় লাখ টাকা আদায় করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ বলেন, ফাহাদের মাকে মতিগঞ্জ ইউনিয়নে ওই মেয়ের বাড়িতে আটকে রাখলে বিষয়টি ফাহাদ আমাকে জানায়। পরে আমি গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সঙ্গে কথা বলার পর মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ বৈঠকের কথা বলে ছেলের মাকে নিয়ে আসি। এ জন্য আমি তার কোনো টাকা গ্রহণ করিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রিয়াদ আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোর্টিশ করেছি। যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪
X