কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ট্রাক থেকে মুরগি নামালেই চাঁদা দিতে হয় : সাঈদ খোকন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ছবি : কালবেলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ছবি : কালবেলা

ঢাকা শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সোমবার (১৩ মে) পুরান ঢাকার ওয়ারীর নরেন্দ্রনাথ বাসক লেনে ৮০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে।

কাঁচাবাজারে টোলের নামে চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, কাঁচাবাজার কেন্দ্রিক টোল আদায়ের নামে যে চাঁদাবাজিটা হয়, এই চাঁদাবাজি আমাদের পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের একটা ছোট সংসারে বাসা ভাড়া দেওয়ার পর হাতে কতটুকুই টাকা থাকে। এ দিয়ে একটা সীমিত আয়ের সংসার চালাতে হয়।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মুরগি-সবজি ট্রাক থেকে নামালে টাকা দিতে হয়, উঠালে টাকা দিতে হয়, বিক্রি করলে টাকা দিতে হয়, বাড়িতে নিয়ে গেলেও টাকা দিতে হয়, সবখানে টাকা দিতে হয়। এসব কাজ করে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন এবং সুনাম ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি কথাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইন হিসেবে মেনে কাজ করেন। শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা শোভনীয় নয়। আমাদের কিছু কাজ-কারবার, আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। গরিবের কষ্ট লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী চাল-ডাল ইত্যাদি দিয়েই যাচ্ছেন, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। আমাদের অর্জন রয়েছে, আমাদের চেষ্টা রয়েছে। কিছু দুষ্টুলোকের কাজের কারণে আমাদের চেষ্টাগুলো ম্লান হয়ে যায়। চেষ্টাগুলো মলিন হয়ে যায়।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে সাঈদ খোকন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। আমরা গরিবের কষ্ট দেখতে চাই না। শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দিন নেই রাত নেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এই অবস্থা দেখার জন্য নয়। এই অরাজকতা হতে দেওয়া যায় না। খুব দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে, কোনোভাবেই এটা চলতে দেওয়া যাবে না। যেসব কাজে মানুষের কষ্ট হয় সে কাজ শেখ হাসিনা কখনোই মেনে নেবেন না। যারা এই কাজ করছেন তারা যদি আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের কাতারে আসুন। মানুষের সেবা করুন, আমাদের সঙ্গে আসুন, আমাদের পাশে থাকুন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চালু হচ্ছে ভারত-চীন সরাসরি ফ্লাইট

বড় ধাক্কার সামনে লিভারপুল

মেটা কি ফোনের মাইক্রোফোন দিয়ে আপনার কথা শোনে? যা বলছেন ইনস্টাগ্রাম প্রধান

তারা যে ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে সেটা দারুণ ব্যাপার: সাকিব

সপ্তাহের সেরা চাকরির বিজ্ঞপ্তি, পদ সংখ্যা ৯৬৩

ফুটবলে প্রথমবার দেখা গেল ‘গ্রিন কার্ড’, কীভাবে কাজ করবে?

ডাম্প ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

‘আকাশে মেঘ দেখলেই সবজির দাম বাড়ে’

রাজধানীতে বাস থামিয়ে গুলি, এরপর দিল আগুন

ইসলামী ব্যাংকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ হ্যাকড

১০

অফসাইড-হ্যান্ডবলের বিতর্ক মেটাতে আসছে বিশ্বকাপ বল ‘ট্রায়োন্ডা’

১১

দোয়ার সময় এই মারাত্মক ভুল করছেন না তো? জেনে নিন

১২

ভেনেজুয়েলার উপকূলের পাঁচটি মার্কিন যুদ্ধবিমান

১৩

বুক দিয়ে ঘানি টেনে সংসার চালান ষাটোর্ধ্ব দম্পতি

১৪

বাংলাদেশের কাছে হারের মূল কারণ জানালেন রশিদ খান

১৫

সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের ঘটনায় বাংলাদেশের নিন্দা

১৬

‘রাজনৈতিক সংকট সমাধান ফিফার কাজ নয়’

১৭

ইতিহাসের প্রথম জুমার জামাতে কতজন মুসল্লি ছিলেন?

১৮

সুরা পড়ে মারুফার জন্য দোয়া করেন মা

১৯

খুব অল্প সময়ে সৃজিতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়েছি: সুস্মিতা

২০
X