‘সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে মলিন করে দিচ্ছে’
ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা মলিন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রোববার (১২ মে) দুপুরে পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডের সুরিটোলা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন হাজার পরিবারকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের’ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এ মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এ উন্নয়ন, পরিশ্রম ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কিছু আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এখন পুরান ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। হাতে লাঠি আর মুখে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, ভ্যান, ট্রাক, বাস থামিয়ে টাকা নিচ্ছে। এই চাঁদাবাজিতে জনগণ আতঙ্কিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রিকশায় স্কুলে যাতায়াতের সময় হাতে লাঠি নিয়ে কেউ আসলে ভয় পেয়ে যায়। তাদের সঙ্গে থাকা মায়েরাও ভয় পেয়ে যায়। এ কাজ নেত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে মলিন করে দিচ্ছে। টোলের নামে যারা চাঁদাবাজি করে, তারা সরকারের ভালো চায় না মন্তব্য করে সাঈদ খোকন বলেন, চাঁদাবাজরা দল এবং নেত্রীর ভালো চায় না। তারা নেত্রীর ভালো চাইলে এসব কাজ থেকে বিরত থাকত এবং জনগণের সেবায় কাজ করত। আমি আশা করব, অনতিবিলম্বে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে নেত্রীর নির্দেশে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন, জনগণের কাতারে আসুন। সাঈদ খোকন বলেন, সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বিষয়টি সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপন করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বলেছি- আমার নেত্রীর অর্জন মলিন হয়ে যাচ্ছে। আপনি অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। খাদ্রসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই ধরনের অরাজকতা এবং চাঁদাবাজি অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আপনারা (পুলিশ) এবং আমরা জনগণ হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, এই সরকারের আমলে প্রায় একশোর বেশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে গরিব-দুঃখী মানুষ খেতে পারে, চলতে পারে। ইউনিয়ন লেভেলে কমিউনিট হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি মানুষকে বিনামূল্যে-স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রতি ওয়ার্ডে হাজারো গরিব-দুঃখী মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ দেওয়া হচ্ছে।
১২ মে, ২০২৪

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান 
ঢাকা শহরে সিটি টোল আদায় বন্ধের আহ্বান ও সুপারিশ করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এই সুপারিশ করেন তিনি।  বৈঠকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি এবং হয়রানির চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। এ চাঁদাবাজদের কবল থেকে রিকশাচালকরাও রেহাই পাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা স্কুলব্যাগ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার সময়ও রিকশা থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে দেশের উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সিটি টোল আদায় বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণে সুপারিশ করেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এর আগে বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া বৈঠকে কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।
০৬ মে, ২০২৪

হাতি দিয়ে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করায় দুই মাহুতকে কারাদণ্ড
দিনাজপুরের খানসামায় হাতি দিয়ে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করায় দুই মাহুতকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দিয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় হাতি ব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজির ঘটনায় তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন, খানসামা থানা ও খানসামা ফায়ার সার্ভিস এবং বন বিভাগ। এসময় দুই মাহুতকে গ্রেপ্তার করে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হুবালা মণ্ডলপাড়া এলাকার সুবহান আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন ইসলাম (২০) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কাজলা এলাকার সাগর ইসলামের ছেলে মো. আজিজুল হক (২১)। খানসামা থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, তাদের বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও মো. তাজউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর আওতায় আসামি দুজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

মহাসড়কে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ কঠোর হস্তে
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে আসন্ন ঈদে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সড়কে যানজট নিরসনে রেলস্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়ে মনিটর করবে এবং মহাসড়কের যানজটপ্রবণ এলাকায় র্যাকার থাকবে। প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ঢাকার যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রমজানে যানজট কিছুটা বাড়ে। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলে তা আরও বাড়ে। কারণ সবাই শপিং করতে বের হন। আবার উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। যানজট সহনীয় রাখতে কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ। ৯ এপ্রিল ছুটি না হওয়ার বিষয়ে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ঈদের ছুটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। কেবিনেটে আলোচনা করে ছুটিটি অপশনাল করা হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো এটিকে অপশনাল ছুটি হিসেবে নিতে পারবে। তবে ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ শ্রমিক সংগঠনগুলো বসে সিদ্ধান্ত নেবেন, যাতে একসঙ্গে না হয়ে ধাপে ধাপে ছুটির ব্যবস্থা করা হয়। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবছরই একটা সময় ধরে দেওয়া হয়। হঠাৎ একটা সমস্যা হলে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী সজাগ রয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা বা যাই হোক, তাতে বাধা নেই। তবে সন্ধ্যার পর সীমিত করেছি যাতে উদ্যান, রাস্তাঘাট ও উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান না করে কমিউনিটি হল বা আবদ্ধ স্থানে করে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

ফরিদপুরে টোকেন দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের নামে চাঁদাবাজি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে স্বাধীনতা দিবস পালনের নামে কুপন দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিমের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা (সিএ) নিতাই কুমার সাহা ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সুজন পালের বিরুদ্ধে।  ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, ইউএনও কার্যালয়ের সিএ সুজন পাল ও নিতাই কুমার সাহা ব্যবসায়ীদের দেওয়া কুপন দিয়ে টাকার বিভিন্ন অঙ্ক উল্লেখ করে ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন হিসেবে অনুদান’ লেখা সিল দিচ্ছেন। গোল সিলে লেখা, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, চরভদ্রাসন।’ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাদের কুপন অনুযায়ী যদি চাঁদা না দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হবে- বলে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। ১৮ ও ১৯ মার্চ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দেওয়া এ-জাতীয় কয়েকটি কুপন এসেছে কালবেলা প্রতিনিধির হাতে। টোকেনগুলোতে বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হয়েছে। ইউএনও কার্যালয় থেকে এ জাতীয় কতটি কুপন ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে, সে সংখ্যা জানা যায়নি। তবে কুপন হাতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পরিশোধ করেছেন, এমন কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়েছে কালবেলা প্রতিবেদকের।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী বলেন, ইউএনও কার্যালয়ের ওই দুই সিএ কুপন দেওয়ার পর তার কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছেন ইউএনও কার্যালয়ের সিএ সুজন পাল।  এক কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, আমার দোকানে এসে সুজন পাল ৩ হাজার টাকার চাঁদার রশিদ দিয়ে চাঁদা আদায় করেছে। যদি চাঁদা না দেওয়া হয় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়। একজন সিমেন্ট ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বাজারের চারজন সিমেন্ট ডিলারের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়েই আমারা তাদের এই চাঁদা দিয়ে থাকি। ২৬ মার্চ উপলক্ষে কুপন দিয়ে টাকা তোলার কথা অস্বীকার করে ইউএনওর উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা (সিএ) সুজন পাল কালবেলাকে বলেন, এই চাঁদা তোলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আপনারা কোনো অভিযোগ পেলে আমার স্যার আছেন (ইউএনও) অফিসে এসে তার সঙ্গে কথা বলুন। চাকরি করতে গেলে এমন অনেক মানুষ অনেক কিছুই বলে থাকে। ইউএনওর অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নিতাই কুমার সাহা কালবেলাকে বলেন, আমি অফিসের টাকা পয়সার বিষয়ে কিছুই জানি না, এই বিষয়ে সিএ সুজন দাদার সঙ্গে কথা বলুন। চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিমের সঙ্গে এ বিষয়ে কালবেলা প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, তিনি এখানে নতুন জয়েন্ট করেছেন, অফিস থেকে কুপনের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি আরও বলেন, টাকা তোলার বিষয়ে তিনি সিএকে এমন পরামর্শ দেয়নি। এ বিষয় ইতোমধ্যে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
২৭ মার্চ, ২০২৪

ঘিওরে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে অটোরিকশাচালকরা ধর্মঘট ও বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে শতাধিক শ্রমিক তাদের যানবাহন বন্ধ রেখে ঘিওর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিল করে। অবরোধের খবর পেয়ে ঘিওর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হয়রানি বন্ধের আশ্বাস দিলে চালকরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন। এতে সড়কে প্রায় চার ঘণ্টা অটোরিকশা বন্ধ ছিল। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজট দেখা দেয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। অটোরিকশাচালকরা জানান, ঘিওর টার্মিনাল থেকে সিংজুরী, বাঙ্গালা, বানিয়াজুরী, বরংগাইলসহ কয়েকটি রুটে দুই শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চালকদের কাছে গাড়ি সিরিয়াল বাবদ ১০ টাকা করে চাঁদা দাবি করে অটোরিকশা সুপারভাইজার গোলাপনগর গ্রামের আলিম ও ঘিওর বেপারী পাড়ার মো. সবুজ। এর প্রতিবাদে কয়েকশ অটোরিকশাচালক তাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষুব্ধ চালকরা বলেন, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইস্যু নিয়ে চাঁদা আদায় করে একটি প্রভাবশালী চক্র। রুটে গাড়ি চলাচল করতে হলে ভর্তি ফি বাবদ নেওয়া হয় এক থেকে দুই হাজার টাকা। অভিযুক্ত আব্দুল আলিম বলেন, রাস্তাঘাটে যানজট নিরসন ও অটোরিকশা সিরিয়াল বজায় রাখতে ১০ টাকা করে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চালকরা আপত্তি করায় তা বন্ধ করা হয়েছে। ঘিওর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অটোরিকশাচালকদের আশ্বস্ত করেছি। তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে গাড়ি চালাচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সড়কে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি চলবে না।
২৭ মার্চ, ২০২৪

বাস আটকে জাবি ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি
বাস ভাড়া বেশি চাওয়ায় বাস আটকে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেটে এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বাসের টিকিট কাটতে নবীনগর গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সজীব মন্ডল। গাইবান্ধা রুটে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহন সাধারণ সময়ের তুলনায় ভাড়া বেশি চাইলে প্রতিবাদ করেন তিনি। এ সময় বিষয়টি নিয়ে সেখানে বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনা সজীব বিষয়টি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের বন্ধুদের জানালে হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আলহামরা পরিবহনের একটি বাস আটক করে। পরে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার বিষয়টি পাশ কাটিয়ে মারধরের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বাস কোম্পানির কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে বাস ছেড়ে দেন। ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের একটি অংশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাজেদুল ইসলাম সজীব, মাহমুদ আল গাজ্জালী, মো. হাসান মাহমুদ ফরিদ ও উপ কর্মসংস্থান সম্পাদক নাহিদ ফয়সালকে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে দেখেছেন। টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটলে তারাই সেটি নিয়েছেন। ইংরেজি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সজীব মন্ডল বলেন, গাইবান্ধায় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ৩ এপ্রিলের বাসের টিকিট কাটতে তিনি নবীনগরের আলহামরা পরিবহনের কাউন্টারে যান। ওই কোম্পানির ৮০০, এক হাজার এবং ১২শ টাকা মানের তিন ধরনের এসি বাস ঢাকা-গাইবান্ধা রুটে চলাচল করে। এরমধ্যে সজীব এক হাজার টাকার ইকোনমি ক্লাসের বাসের টিকিট চাইলে কাউন্টার মাস্টার জানান ওই টিকিটের দাম বেড়ে দুই হাজার টাকা হয়েছে। এ সময় তিনি ভাড়ার তালিকা দেখতে চান। একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ক্যামেরায় ঘটনা ভিডিও করতে শুরু করেন। সজীব জানান, ভিডিও শুরুর পর কাউন্টার মাস্টার ভিডিও বন্ধ করতে বলেন এবং তাকে ভেতরে গিয়ে সব দেখতে বলেন যে কোম্পানির দেওয়া টিকিটের দুই হাজার টাকা। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে আমাকে মারধর করা হয়। ঘটনাটি জানালে হল থেকে শিক্ষার্থীরা যেয়ে বাস আটক করে। কিন্তু চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। আলহামরা পরিবহনের নবীনগর কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ঢাকা-গাইবান্ধা রুটের এসি বাসের টিকিট কাটতে আসেন। ওই রুটের ইকোনমি ক্লাস বাসের টিকিটের দাম স্বাভাবিক সময়ে এক হাজার টাকা থাকলেও ঈদে কোম্পানির পক্ষ থেকে তা বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়। বেশি ভাড়ার কথা শুনে ওই শিক্ষার্থী টিকিটের দাম কমাতে বলে। কিন্তু কোম্পানি থেকে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া তাই দাম কমানোর সাধ্য নেই বলে জানাই। কোম্পানি যে রেট দেয় আমাকে ওই রেটে বিক্রি করতে হয়।’  পরে ওই শিক্ষার্থী চলে যান বলে জানান আলহামরা পরিবহনের নবীনগর কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা। সেখানে কোনো মারামারি বা হেনস্তার ঘটনা ঘটেনি। টিকিটের দাম কমানো নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে বলে জানান তিনি। সাভার কাউন্টারের পরিবহন কর্মকর্তা মামুন বলেন, ‘আমাদের নবীনগর কাউন্টারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে টিকিটের দাম দিয়ে তর্কাতর্কি হয়। পরে সে সেখান থেকে চলে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস আটকায়। সন্ধ্যায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে আমার থেকে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়, না হলে বাসে আগুন দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। পরে ৩৫ হাজার টাকায় সমাধান হয়। আমি টাকা পকেট থেকে বের করার পরই তা নিয়ে নেন ছাত্রলীগের নেতা নাহিদ।’ ওই নেতাকে আগে থেকে চিনতেন কি না জানতে চাইল মামুন বলেন, শুরু থেকেই তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, টাকা দাবি করেছেন। তখন তার নাম শুনেছি। যে হলের ছাত্রের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে তিনিও ওই হলের ছাত্র।’ তবে ছাত্রলীগের উপ কর্মসংস্থান সম্পাদক নাহিদ ফয়সাল টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ইফতারের পর সোহেল ভাইসহ আমরা ডেইরি গেটে চা খাচ্ছিলাম। তখন একজন বাস আটকানো সম্পর্কে জানালে সোহেল ভাই আমার সিনিয়রদের বাস ছাড়ার বিষয়টি বললে তারা বাস ছেড়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যদি কেউ চাঁদাবাজ প্রমাণ করতে পারে তাহলে আর রাজনীতি করব না।’ যদিও ঘটনার সময় ডেইরি গেটে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, বাসের মালিক পক্ষ প্রথমে সভাপতির কাছে আসলে তিনি ঘটনার কোনো সুরাহা করতে পারবেন না বলে জানান এবং যারা বাস আটক করেছে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে টাকার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, এখানে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছিল কি না জানি না। তবুও যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়টির প্রতিবাদ করা অবশ্যই যৌক্তিক। সেক্ষেত্রে বাস আটকে মালিকপক্ষকে ডেকে ভাড়া কমানোর জন্য আলোচনা বা চাপ দেওয়া যেত। কিন্তু তা না করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে বাস আটকে টাকা নেওয়া উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করে। এতে ভাড়া কমবে না, বরং সব শিক্ষার্থীকে এর খেসারত দিতে হবে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাবে না নিয়ন্ত্রণ করা যাবে
পরিবহনে চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি নজরদারিতে রয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাঁদাবাজি একটি পুরোনো কাজ। তা বন্ধ করতে পারবেন? বন্ধ করা কঠিন। হয়তো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। দুর্নীতি আমেরিকাসহ সবখানে হয়। কিন্তু তা পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন। চাঁদাবাজিও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত কথা বলেছেন। পরিবহন চাঁদাবাজির কারণ পণ্যের দাম বাড়ে। এ নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কাজ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিআরটিএ কার্যালয়ে ঈদ প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় বাস বাংলাদেশের উন্নয়ন-অর্জনকে লজ্জা দেয় মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহন নেতারা বলছেন, লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি বাইরে থেকে সিটিতে আসে। কিন্তু এই সিটিতেই লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির অনেক কারখানা আছে। আমি নিজেও ভিজিট করেছি। দেখেছি রং লাগাচ্ছে। দেশ এত এগিয়ে গেল, আর আমাদের গাড়ির গরিব গরিব চেহারা। এর একটি সমাধান নেতাদের কাছেই আমি চাই। এভাবে চলতে পারে না। দুর্ঘটনা নিয়ে দুর্ভাবনার শেষ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী— এটি নিয়ে নানা বিষয় আসে। এখানে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বেপরোয়া চালনাও আছে। সবকিছু মিলিয়ে দুর্ঘটনা হচ্ছে। থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল এখন সড়কের সবচেয়ে বড় উপদ্রব। এই বিষয়ে নীতিমালা করা দরকার। জাতীয় সড়কে আমরা মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু এটি কার্যকর হচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএর সক্ষমতা আরও বাড়তে হবে। ঈদের সময় দুই জায়গা ঠিক করলে সব ঠিক হয়ে থাকবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফেনী থেকে হানিফ ফ্লাইওভারে আসতে যে সময় লাগে, তার থেকে বেশি সময় লাগে হানিফ ফ্লাইওভার পার হয়ে সিটিতে ঢুকতে। টোল বাড়ানোর জন্য এখানে কোনো কিন্তু সৃষ্টি করা হয় কি না, ভেবে দেখা দরকার। এটি দেখতে হবে। আর ঢাকার গেটওয়ে গাজীপুর, চন্দ্রা, নবীনগর, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় দেখতে হবে। মূল কথা হলো, উত্তরবঙ্গের পথ ঠিক থাকলে সব ঠিক। হাইওয়ে পুলিশের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ২২ মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন কেন বন্ধ করতে পারেন না? এটা করতে হবে। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার কথা বলা হয়। জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোন জনপ্রতিনিধিরা চাপ দেয়? তাদের কথা শোনবেন না। কারা বাধা দেয় তাদের পরিচয় জানা দরকার। নিষিদ্ধ যানবাহনের চালকদের জন্য তাদের দরদ উতলে ওঠে। কিন্তু এসব যানবাহনের কারণে কত মানুষের প্রাণ যায়? সে খবর তারা রাখেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ভোটের রাজনীতির কারণে মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে কাজ করা যাবে না, এটা হয় না।
২২ মার্চ, ২০২৪

ভুয়া ভিডিও বানিয়ে চাঁদাবাজি হচ্ছে: রিজভী
তারেক রহমানের জুম মিটিংয়ে দেওয়া বক্তব্যকে বিকৃত করে ‘ডিপ ফেইক’ ভিডিও বানিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে প্রযুক্তির সহায়তায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ জন্য ব্যবহার করা হয় জুম নামের অ্যাপ। সম্প্রতি সরকারপন্থি কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং মিডিয়া আউটলেট থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জুম মিটিংয়ে দেওয়া বক্তব্যকে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ডিপ ফেইক ভিডিও তৈরি করে দেশে-বিদেশে থাকা বিএনপির শুভানুধ্যায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।
১৮ মার্চ, ২০২৪
X