চার শিশু শিক্ষার্থীকে ‘যৌন হয়রানি’, চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে বন্দর থানা এলাকার একটি মাদ্রাসায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার শিক্ষকের নাম মো. ওমর ফারুক (২১)। তিনি বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের মোস্তফা কামালের ছেলে। বন্দর থানার কলসীদিঘির পাড় বাদামতলা এলাকার মারকাজুল হুফফাজ মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক তিনি। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন মাদ্রাসার পরিচালক ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার কলসীদিঘির পাড় বাদামতল মোড়ে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে মারকাজুল হুফফাজ মাদ্রাসাটি পরিচালনা করা হয়। সেখানে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২০ অক্টোবর রাত ১টার দিকে ও ৩ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীকে হাত-পা মালিশের জন্য বিছানায় নিয়ে যান। এ সময় তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন তিনি। ভুক্তভোগীসহ মাদ্রাসায় থাকা আরও ৩ শিক্ষার্থীকেও একই কায়দায় বলাৎকারের চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানালে তিনি বিষয়টি মাদ্রাসা পরিচালককে জানান।   এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে একটি মামলা করেন। এই মামলায় ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  বন্দর থানার ওসি সঞ্জয় সিনহা কালবেলাকে বলেন, চার শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

আমাজন জঙ্গলে বেঁচে থাকা সেই চার শিশু হাসপাতাল ছাড়ল
আমাজন জঙ্গলের গভীরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ৪০ দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সেই ৪ শিশু হাসপাতাল ছেড়েছে। ৩৪ দিন চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে কলম্ববিয়ার রাজধানী বোগোতার সামরিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে তারা। তবে এখনই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। খবর আলজাজিরার। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ৪ শিশুর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ১৩ বছর, তার নাম লেসলি। সবচেয়ে ছোট ক্রিস্তিনের বয়স মাত্র ১ বছর। সোলেইনি ও তিয়েন নোরিয়েল নামের অপর দুই শিশুর বয়স যথাক্রমে ৯ ও ৫ বছর। কলম্বিয়ার শিশু কল্যাণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আস্ত্রিদ ক্যাসেরেস গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই চার শিশুর ওজন ও উচ্চতা ঠিক আছে। সত্যিই তারা এখন খুব অনুভব করছে। শিশু লেসলির বরাত দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, টানা ৪০ দিন গভীর জঙ্গলে থাকার পরও চার শিশু বেঁচে ছিল ওদের নানির কল্যাণে। লেসলিকে তার নানি খুব ছোটবেলা থেকে গভীর জঙ্গলে মাছ ধরা ও শিকারের কলাকৌশল শিখিয়েছিলেন। প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহের উপায়ও শিখিয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর এসব কৌশল চার শিশুকে আমাজনের গভীরে বেঁচে থাকার জন্য খাবার সংগ্রহে সহায়তা করেছে। কলম্বিয়ার জাতীয় আদিবাসী সংগঠনের লুই আকোস্তা জানিয়েছেন, ওই চার শিশু বনের গভীরে থাকার সময় বিভিন্ন বীজ, ফল, শিকড়বাকড় খেয়েছে। তারা যেসব খাবার খাওয়া যাবে বলে মনে করেছে, সেগুলোই খেয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ মে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ আমাজন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এই চার শিশু। ৪০ দিনের ব্যাপক তল্লাশি শেষে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই তল্লাশি অভিযানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরসহ ১৫০ সেনাসদস্যকে মোতায়েন করা হয়। যোগ দেন নিখোঁজ শিশুদের বাবাসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন।
১৬ জুলাই, ২০২৩
X