আমাজন জঙ্গলের গভীরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ৪০ দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সেই ৪ শিশু হাসপাতাল ছেড়েছে। ৩৪ দিন চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে কলম্ববিয়ার রাজধানী বোগোতার সামরিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে তারা। তবে এখনই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ৪ শিশুর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ১৩ বছর, তার নাম লেসলি। সবচেয়ে ছোট ক্রিস্তিনের বয়স মাত্র ১ বছর। সোলেইনি ও তিয়েন নোরিয়েল নামের অপর দুই শিশুর বয়স যথাক্রমে ৯ ও ৫ বছর।
কলম্বিয়ার শিশু কল্যাণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আস্ত্রিদ ক্যাসেরেস গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই চার শিশুর ওজন ও উচ্চতা ঠিক আছে। সত্যিই তারা এখন খুব অনুভব করছে।
শিশু লেসলির বরাত দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, টানা ৪০ দিন গভীর জঙ্গলে থাকার পরও চার শিশু বেঁচে ছিল ওদের নানির কল্যাণে। লেসলিকে তার নানি খুব ছোটবেলা থেকে গভীর জঙ্গলে মাছ ধরা ও শিকারের কলাকৌশল শিখিয়েছিলেন। প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহের উপায়ও শিখিয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর এসব কৌশল চার শিশুকে আমাজনের গভীরে বেঁচে থাকার জন্য খাবার সংগ্রহে সহায়তা করেছে।
কলম্বিয়ার জাতীয় আদিবাসী সংগঠনের লুই আকোস্তা জানিয়েছেন, ওই চার শিশু বনের গভীরে থাকার সময় বিভিন্ন বীজ, ফল, শিকড়বাকড় খেয়েছে। তারা যেসব খাবার খাওয়া যাবে বলে মনে করেছে, সেগুলোই খেয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ মে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ আমাজন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এই চার শিশু। ৪০ দিনের ব্যাপক তল্লাশি শেষে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই তল্লাশি অভিযানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরসহ ১৫০ সেনাসদস্যকে মোতায়েন করা হয়। যোগ দেন নিখোঁজ শিশুদের বাবাসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন।
মন্তব্য করুন