ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা মামলায় সেই ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে বিজয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ঢাকার সাদিয়া খান আদরী ওরফে সিমরান সাদিয়া (২৩) নামে এক অভিনয়শিল্পী। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে মামলা দায়েরের পর রাতে শহরের পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার ডানহাম গলির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ইকবাল হাসান বিজয় চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মনোহর আলী মিয়া বাড়ির আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবুলের ছেলে। তিনি ফেনীর পূবালী সংসদ নামে একটি নাট্য সংগঠনের হয়ে মঞ্চে অভিনয় করেন। ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি খুলনার খালিশপুরে হলেও তিনি বর্তমানে ঢাকার আফতাব নগরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন। তিনি একজন টিকটকার ও মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। এ বিষয়ে গত ২৯ এপ্রিল দৈনিক কালবেলায় ‘ দুই তরুণীকে নিয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতা' ও গত ৩ মে ‘স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে সেই ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁজছে তরুণী' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে (সিআর-৫৫৮/২৪) বিজয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের হোসেন আহম্মদের ছেলে সুমন মিয়া (৪৫), রুহুল আমিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন রনি (২২), আহম্মদ করিমের ছেলে মাহমুদুল করিম তুহিন (২১) এবং মো. লিটনের ছেলে মাহাদী (২২)। এ মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফেনী মডেল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন শিমুল জানান, মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফেনী মডেল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফেনী মডেল থানার এসআই ইমরান হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়কে সোনাগাজী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে ফেনী আদালতে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (৮ মে) আদালতের আদেশে তাকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল দুপুরের দিকে এক তরুণী তার বান্ধবীসহ ঢাকা থেকে সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে, ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বিজয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সহযোগিতা চান। এ সময় ওই তরুণী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেন। পরে তার কথামতো ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ওই তরুণীকে বিজয়ের বাড়িতে পাঠায়। গ্রাম পুলিশ সদস্যদের ঘরের বাইরে অপেক্ষা করতে বলে বিজয় ওই তরুণী ও তার বান্ধবীকে নিয়ে বাড়ির পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। মামলার বাদী সাদিয়া খান আদরী ওরফে সিমরান সাদিয়া জানান, কক্সবাজারে শুটিং করতে গিয়ে আট মাস আগে বিজয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক এবং বিজয় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফেনীতে এসে তার বোনের বাসায় বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তার পরিবারসহ সবাই জানে বিজয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিজয়কে বিয়ের কথা বললে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং সব মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়ার পর বিষয়টি সবার নজরে আনেন।
১৭ ঘণ্টা আগে

ভোট দেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করলেন ছাত্রলীগ নেতা
গোপন কক্ষে নিজের ভোট দিয়ে সেই ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। বুধবার (৮ মে) সকাল ১১টার দিকে জামালপুর পৌর শহরের জরিনা মিয়ার উদ্দিন ও জগবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। স্থানীয় এক ভোটার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার ভিডিও করেন। পরে সেই ভিডিও এবং ছবি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এ বিষয়ে রাব্বি বলেন, আইডিটা আমার এডমিন চালায়। সে ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। আমি দেখার পর ভিডিওটা সরিয়ে নিয়েছি। জরিনা মিয়ার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, গোপন কক্ষের মধ্যে ফোন নিয়ে যাওয়া ও ছবি তোলা আইন বিরোধী কাজ। বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ভোট কেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ছবি তোলা বেআইনি। এ বিষয়ে কেউ আমাদের অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২২ ঘণ্টা আগে

টেকনাফে বন্ধুর হাতে খুন ছাত্রলীগ নেতা
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ছাত্রলীগ নেতার ভাই আহত হয়েছেন। নিহত রাকিব শাহরিয়ার মুরাদ (২১) বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল্লাহ আল মামুনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুরাদের চাচা মোহাম্মদ আরিফ বলেন, শামলাপুর এলাকার রফিক ও আদিল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মুরাদকে বাজারে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় ভাইকে বাঁচাতে গেলে মামুনকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তিনি জানান, কোনো একটি বিষয় তাদের মধ্যে ঝামেলা ছিল। মীমাংসার কথা বলে মামুনকে বাজারে ডেকে নেয় তারা। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাশের একটি কর্মকারের দোকান থেকে ধারালো দা নিয়ে মুরাদকে কোপায় তারা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে রফিক দাবি করেন মুরাদের মোবাইলে তার একটি গোপন ছবি আছে। এটি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সোমবার বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, মুরাদ ও রফিক দুই বন্ধু। ছবি আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রফিকের ছুরিকাঘাতে নিহত হন মুরাদ। লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ মে, ২০২৪

মোবাইলে গোপন ছবি, ডিলিট না করায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ কোম্পানির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব সাহরিয়ার মুরাদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেলে উপজেলার শামলাপুর বাজারে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রাকিব সাহরিয়ার টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে। তিনি বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত মুরাদের স্বজনরা জানান, আদিল ও রফিকের সঙ্গে কয়েকদিন আগে মুরাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে আজ বিকেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুরাদ ও তার ভাই মামুনকে শামলাপুর বাজারে কোপানো হয়। আহত অবস্থায় মুরাদ ও মামুনকে শামলাপুর বাজার থেকে নিয়ে আসেন তাদের এক প্রতিবেশি। গাড়িতে মুরাদের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুরাদকে মৃত ঘোষণা করে। তার ভাই মামুন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বলেন, নিহত মুরাদ বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।  টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, মুরাদ ও রফিকুল দুই বন্ধু ছবি আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রফিকুলের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় মুরাদ। লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি, মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ মে, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে এক ছাত্রলীগ নেতার বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জের ১০নং গন্তব্যপুর ইউনিয়নের হরিপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্ত্রীর নাম নুসরাত জাহান মাহি (১৯)। তিনি গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেনের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের পরের দিন হরিপুরে জাকির ও নুসরাতের বিয়ে হয়। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। তবে পারিবারিক কলহ নাকি অন্যকিছু থেকে নুসরাত আত্মহত্যা করল তা এখনো বোঝা যায়নি। এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, আমি শাহরাস্তির চেরিয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে রয়েছি। দুপুরে ফোনে খবর পেলাম নুসরাত ফাঁস দিয়েছে। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখি ও মারা গেছে। আমি এখন আর কোনো মন্তব্য করার মতো অবস্থায় নেই। এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
০৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনের পক্ষে পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা করল ছাত্রলীগ
ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে পদযাত্রা ও পরে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে দেবদারু রোড, টিএসসি এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে  আবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে ছাত্রলীগের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশের পতাকার সঙ্গে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন অনুষদ ও বর্ষের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।  পদযাত্রা পরবর্তী বক্তব্যে মো. মেহেদী হাসান বলেন, নিরীহ-নিরপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সঙ্গে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে তার সঙ্গে আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর জলুম ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।  খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা পরিচালনাকারী জায়নবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে জায়নবাদী গোষ্ঠীর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমেরিকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীদের সংহতি প্রকাশের আহবান জানাই। গণহত্যার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। ফিলিস্তিনের মানুষ মুক্তি পাক।
০৬ মে, ২০২৪

স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে সেই ছাত্রলীগ নেতাকে ‘খুঁজছে’ তরুণী
ফেনীর সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, ভ্রুণ হত্যাসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন সাদিয়া খান আদুরী ওরফে সিমরান সাদিয়া নামে এক তরুণী। বৃহস্পতিবার (২ মে) ফেনীর একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের ডেকে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। সাদিয়া খান আদুরী অভিযোগ করে বলেন, গত আট মাস আগে কক্সবাজারে শুটিং করতে গিয়ে বিজয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক। বিজয় বিয়ে করবে বলায় ফেনীতে এসে তার বোনের বাসাসহ কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক করি আমরা। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিজয় ভ্রুণ হত্যা করতে বাধ্য করে। তার পরিবারসহ সবাই জানে যে, বিজয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। এ অবস্থায় বিজয়কে বিয়ের কথা বললে সে কালক্ষেপণ করতে থাকে। তিনি বলেন, আমার সব মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়ায় আমি গত ২৮ এপ্রিল বিয়ের দাবিতে ঢাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলনের সহযোগিতা চাই। তিনি গ্রাম পুলিশসহ বিজয়ের বাড়িতে পাঠায় আমাকে। কিন্তু বিজয় ওই দিন আমার সঙ্গে ছলচাতুরী করে প্রতারণার মাধ্যমে আমাকে হয়রানি করে। আমাকে প্রতারিত করে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জোর করে ভিডিও রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেমে ছেড়ে দেয়। আমাকে সহযোগিতা করায় চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রপাগাণ্ডা তৈরি করে সে। যা আমি তখন বলতে না পারায় সাংবাদিকদের  জানাতে এসেছি।  তিনি আরও বলেন, আমি স্ত্রীর অধিকার আদায় করে তার সঙ্গে সংসার করতে চাই। আমি তাকে ছাড় দিচ্ছি, কিন্তু ছেড়ে দেব না। আমি প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাতেও কাজ না হলে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। তবুও আমি আমার অধিকার আদায় করে ছাড়ব। চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয় বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এগুলো করতেছে।  উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। সে শোকজের জবাব দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা ছাত্রলীগের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, গত ২৮ এপ্রিল এক তরুণীর সঙ্গে আরও এক মেয়েকে নিয়ে চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা বলেন। তখন তারা বিজয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, আমি গ্রামপুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে তাদের বাড়ি পাঠিয়েছি। গ্রামপুলিশ সদস্যরা বাইরে অবস্থানের সময় বিজয় তাদের নিয়েই অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যান বলে জানতে পেরেছি।  সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদীপ রায় কালবেলাকে বলেন, বিষয়টা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৩ মে, ২০২৪

ছাত্র না হয়েও ছাত্রলীগ নেতা থাকেন ঢাবির হলে, করেন ইন্টারনেট ব্যবসাও
ছাত্র না হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে দীর্ঘদিন ধরে থাকার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সিফাতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে শুধু হলে থাকাই নয়, বরং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক এ শিক্ষার্থী হলটিতে করেন ইন্টারনেট ব্যবসাও। জানা গেছে, সাব্বির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের আশ্রয়ে হলটিতে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাব্বির সূর্যসেন হলের ৩৪৩ নম্বর কক্ষে থাকেন। হলটির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুদিন আগে ‘গ্রিন অনলাইন জোন’ নামক এক কোম্পানি থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নেন তিনি এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। পরে জানা যায়, কোনো কোম্পানির থেকে নয়, বরং তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে এ কানেকশন নিয়েছেন তারা। তাদের দুইজনের সহায়তায়ই তৃতীয় পক্ষের রবিন ও নাভিদ সাচ্চু নামে দুই ব্যক্তি বিলের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় গত মাসের বিল পরিশোধ না করায় প্রায় এক মাস ধরে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে হলটিতে। এ প্রসঙ্গে ঢাবির এক শিক্ষার্থী বলেন, সাব্বির ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের শেল্টারে দীর্ঘদিন ধরে দোর্দণ্ডপ্রতাপে থাকছেন সূর্যসেন হলে। শুধু তাই নয়, হলের ইন্টারনেটের ঠিকাদারিও তার হাতে। এ পর্যন্ত সবকিছু মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু গত একমাস ধরে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নিয়েও হলে ইন্টারনেট কানেকশন দিচ্ছেন না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চলমান। এদিকে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। হল প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরাও আবার অসহায়। তাদের আছে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়। ছাত্রলীগের হাত থেকে হলকে উদ্ধার করবে কে? জানতে চাইলে সাব্বির আহমেদ সিফাত অভিযোগ অস্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, আমি সূর্যসেন হলে থাকিনা। ঢাকায় আমার বাসা আছে। আব্বু-আম্মু আছেন, আমি তাদের সঙ্গে থাকি। আর আমি ইন্টারনেটের ব্যবসাও করিনা। সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য জানতে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নকে বারবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
০৩ মে, ২০২৪

সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগ নেতার হামলার অভিযোগ
নড়াইল সদরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চঞ্চল শাহারিয়ার মীমের নেতৃত্বে হামলার শিকার হয়েছেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নড়াইল প্রতিনিধি সজীব রহমান। গত বুধবার রাত ১টার দিকে সদরের আউড়িয়া মণ্ডলপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক আমির হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমরা টহলে থাকা অবস্থায় খবর পাই ছাত্রলীগ নেতা মীমের বাড়িতে ঝামেলা হচ্ছে। পরে সেখানে গিয়ে দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। তারপর কারও কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় আসতে বলি। তখন ওই টিভির নড়াইল প্রতিনিধি সজীব রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার কাছে বিষয়টি জানতে চান। সেখান থেকে ফেরার পথে সজীবের মোটরসাইকেল থামিয়ে মীম ও তার লোকজন হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় ওই সাংবাদিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
০৩ মে, ২০২৪

রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাহ মখদুম আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একই দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব ফেসবুকে এ অভিযোগ করে পোস্ট দেন। অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিনহাজুল ইসলাম ও শাহ মখদুম হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মিঠু। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। অপূর্ব ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি পারিবারিক কারণে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। তাকে হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহীতে এলে তার লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অভিযোগ অস্বীকার করে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অপূর্বকে কোনো ধরনের হুমকি দিইনি। তার সঙ্গে স্বাভাবিক কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টা একটু আগে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
০৩ মে, ২০২৪
X