মিষ্টি বিতরণের ধুম / চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
কথায় কথায় গ্রুপে-উপগ্রুপে সংঘর্ষে জড়ানো চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে নগর ছাত্রলীগ। আর কমিটি ভেঙে দেওয়ার আনন্দে ছাত্রলীগের একাংশ ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করেছে। শনিবার (১৮ মে) নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংগঠনিক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার দায়ে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাহমুদুল করিমকে সভাপতি ও সুভাষ মল্লিককে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। ১০ টাকার খাম ১০০ টাকায় বিক্রি, পদ ব্যবহার করে অবৈধ টাকা উপার্জনসহ নানা অভিযোগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তাল ছিল চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাস। আর এসব অনিয়মের পেছনে মাহমুদ-সবুজের হাত ছিল বলে অভিযোগ করেন একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।  এদিকে নগর ছাত্রলীগ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সাংগঠনিক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার কারণে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাইমুন বলেন, ‘ওরা ছয়টি বছর ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে রেখেছিল। ছাত্রলীগের পদ ব্যবহার করে ডুপ্লেক্স বাড়ি বানিয়েছে, কিনেছে ফ্ল্যাট। তাই ওদের হাতে আমাদের ছাত্রলীগ নিরাপদ না, এটা আমাদের দ্বিতীয় বিজয়। এর আগে প্রথম বিজয় হয় শিবির থেকে ক্যাম্পাস উদ্ধার করার পর।’ সদ্য বিদায়ী সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, ‘আমাদের ওপর সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে রকম কোনো অভিযোগ তারা প্রমাণ করতে পারেনি। শুধু কিছু বিপথগামী ছাত্রনেতার স্বার্থের কারণেই আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।’ নিজেদের সফল দাবি করে তিনি বলেন, ‘যতদিন আমরা দায়িত্বে ছিলাম কখনো জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আপস করিনি।’ কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করে ছাত্রলীগের একাংশ।
২১ ঘণ্টা আগে

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক একটি আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে সংগঠনটি। এরপর সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য প্রদানকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার গাড়ি যখন স্বৈরাচারী পুলিশ টেনে নিয়ে গিয়েছিল নিজে পায়ে হেঁটে মিছিল করেছিলেন। সেই মিছিলের অনুপ্রেরণা থেকেই আজকে আমরা হয়তো এই দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা হত্যা ও রাজাকারদের বিচার কার্যসম্পন্ন করতে পেরেছি। শোষিতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে নিতে রাজপথে শেখ হাসিনা মুক্তির কাজ করেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশের মানুষ শোষণ-নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই, আপনি ফিরেছিলেন বলেই বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে, আপনি ফিরেছিলেন বলেই আজ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে, বাংলার মানুষের ইলেকট্রিক ভেহিকেলের যুগে পা বাড়ানোর স্বপ্নপূরণ হয়েছে, যার বাস্তব প্রতিফলন হচ্ছে আমাদের মেট্রোরেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা, আপনি ফিরেছিলেন বলেই আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের আজ জীবনের আরাধ্য স্বপ্ন পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে, চট্টগ্রামে নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল বাস্তবায়িত হয়েছে, এ দেশের মানুষ দিন বদলের কাণ্ডারি খুঁজে পেয়েছে, আপনি ফিরেছিলেন বলেই আজ আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান হয়েছে।  শেখ ইনান আরও বলেন, নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে এদেশের জন্য, আমাদের জন্য, মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া দুঃখী ও নিপীড়িত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করেছেন, তার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ হলেও আমরা শপথ করতে চাই যে, আমরা শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলব।  এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সামরিক স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, বুলেট গ্রেনেড মোকাবিলা করেছেন, মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, কল্যাণধর্মী রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রবর্তন করেছেন, প্রত্যেকটি মানুষের নাগরিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সামরিক স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশে বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, বাংলাদেশের পরিবর্তনের সূচনা করেছে।  তিনি বলেন, এমন সময়ে দেশরত্ম শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছেন, যখন এই বাংলাদেশে ছিল কার্ফিউ গণতন্ত্র, যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করত, যখন সামরিক স্বৈরশাসকরা টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে দল পরিচালনা করত, যখন কোনো ভোটের অধিকার ছিল না। এ দেশের সাধারণ মানুষের জীবন জয়, মানুষের জীবন বদলে যাওয়া, সবকিছুর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সম্পৃক্ত। আমাদের এক সময় বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল, সেই অন্ধকারের যুগ থেকে দেশকে বঙ্গবন্ধুকন্যা আলোর যুগে ফিরিয়ে এনেছেন। এ ছাড়া, সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন। 
১৬ মে, ২০২৪

যুবলীগ নেতাকে ছাত্রলীগের আল্টিমেটাম
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ছাত্রলীগ এ আল্টিমেটাম দেয়।  এর আগে বুধবার রাতে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে গাজী মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ করেন।  অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভা এলাকার উদ্ভবগঞ্জ শহিদুল্লাহ প্লাজার সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর সাংসদ কায়সারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভোটের বেপারি হইয়েন না, ভোটের বেপারি হয়ে সুবিধা করতে পারবেন না। মানুষ এখন অনেক সচেতন। সাধারণ জনগণ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাজী মুজিবুর রহমানকে সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার ও সোনারগাঁবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। না হলে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেবেন বলে হুমকি দেন তারা। সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি সোহাগ রনি, সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৈয়ুবুর রহমান, সোনারগাঁ পৌর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি, নাসরিন সুলতানা ঝরা, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি, সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আলেয়া আক্তার, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে উপজেলা ও পৌরসভার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান কালবেলাকে জানান, আমি উঠান বৈঠকে সাংসদের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেইনি। তবে ইউপি চেয়ারম্যানদের বেপারী বলেছি। আমার বিরুদ্ধে এটি মিথ্যা অভিযোগ।
১৬ মে, ২০২৪

রাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের নেপথ্যে আধিপত্য ও সিট ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্ব
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের নেপথ্যে আধিপত্য ও সিট ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বই ছিল প্রধান কারণ। শুধু তাই নয়, স্থানীয় পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে। এদিকে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে এক দিনের ব্যবধানে পর পর দুই দিন সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়ার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যার পর রাবির হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছাত্র আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় কমিটি গঠন করা হয়। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তদন্ত ছাড়াই প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অভিযুক্ত চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংঘর্ষের নেপথ্যের কারণ শনিবার (১১ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের অনুসারীরা প্রথমে তর্কে জড়ায়। সেই তর্কাতর্কিই একপর্যায়ে রূপ নেয় সংঘর্ষে। উভয়পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে অন্তত চারজন আহত হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, গেস্ট রুমে বসা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রাপাত হলেও এর পেছনে আধিপত্যের লড়াই ও হলে সিট ভাগবাটোয়ারাই প্রধান কারণ ছিল। নিয়াজ ওই হলের সভাপতি হওয়ায় হলের অধিকাংশ সিট তার দখলে রাখতে মরিয়া। কিন্তু আতিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী হওয়ায় সেও হলের সিটের ভাগাভাগি নিজের করায়ত্বে রাখার চেষ্টা চালায়। সম্প্রতি হলের দুটি সিটের বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা ও দ্বন্দ্ব হয়। মূলত এই দ্বন্দ্বের জেরেই শনিবার রাতে উভয় গ্রুপের মধ্যে হলের গেস্ট রুমে কথাকাটাটির একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে এ খবর জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারীরা অন্য আবাসিক হলগুলো থেকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আতিকের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর উভয় গ্রুপ একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, ২৬তম সম্মেলনের মাধ্যমে গত বছরের ২২ অক্টোবর ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট রাবি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগের কমিটির সময় হল সম্মেলনের মাধ্যমে সব আবাসিক হলে ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল। কিন্তু নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব নেওয়ার পর চলতি বছরের শুরুতেই সব আবাসিক হলের নিয়ন্ত্রণ, সিট-বাণিজ্য নিজেদের হাতে নিতে প্রত্যেকটি আবাসিক হলে সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্য থেকে দুই-একজনকে মৌখিকভাবে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নির্বাচন করেন। মূলত এরপর থেকেই  দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই হলে সিট বাণিজ্য থেকে শুরু করে হলের সব নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ রাজশাহীর একজন ‘প্রভাবশালী’ নেতার অনুসারী হওয়ায় ক্যাম্পাস ও হলে নিজের আধিপত্য ধরে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করেন। তবে নিয়াজ মোর্শেদ ও তার অনুসারীদের ক্ষমতা ও আধিপত্য খর্ব করতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা দীর্ঘদিন থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল। এরই সূত্র ধরে গত শনিবার ও সোমবার নিয়াজ মোর্শেদ ও তার অনুসারীদের সঙ্গে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরা সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়া দেয়। এদিকে সর্বশেষ সম্মেলনে শীর্ষ দুইজন পদ না পাওয়ায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত স্থানীয় কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে শুরু থেকেই পাঁয়তারা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় শীর্ষ পদবঞ্চিত নেতা শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনসহ একটি গ্রুপ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সংঘর্ষে জড়ালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, গেস্টরুমে বসা নিয়ে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। একপর্যায়ে সভাপতির অনুসারীরা কয়েকজন এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। বিষয়টি নিয়েই মূলত ঝামেলা বাঁধে। তিনি বলেন, আমি হলের থার্ড ব্লক দেখাশোনা করি। কিন্তু ওই ব্লকের একটি কক্ষে আতিক একজনকে তুলেছিল বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে জানিয়েছিলাম। এ কারণে আতিক ওইদিন (সংঘর্ষের দিন) আমার ওপর রাগ ঝাড়তে পারে। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোাগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, হলের গেস্টরুমে আমার অনুসারীরা সাংগঠনিক কাজ করছিল। তখন ওই হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এসে আমার অনুসারীদের সঙ্গে ঝামালা করে। পরে নিয়াজ বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ইট-পাটকেল ও ককটেলের বিস্ফোরণ করে। আমরা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে কেউ পার পাবে না। ইতোমধ্যেই প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের উচ্চতর তদন্ত কমিটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যেই নড়েচরে বসেছে হল প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন সদস্যের একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। হলের নিরাপত্তাপ্রহরীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সরাসরি ছাত্রত্ব বাতিল ও গ্রেপ্তারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল প্রশাসন। এ ছাড়া বহিরাগত ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরের মধ্যে নেমে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক অনুপম হীরা মণ্ডলকে প্রধান করে তিনি সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন আবাসিক শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন ও তানজিল ভূঞা। তাঁদের দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়া হলের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা হলের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আরো বেশি সতর্ক আছি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া হলগুলো নিরাপদ রাখতে আমরা হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। হল প্রশাসন যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেটির রিপোর্ট পেলে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। চার ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার রাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চার নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাবি শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তীতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লিখিত ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন বলেন, আমাদের কী দোষ ছিল?  কী কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হলো, তা আমরা কিছুই জানি না। আমাদের ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর জন্য। আরেক বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান অপু বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে কেন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তা আমি জানি না। সম্প্রতি এমন কোনো ঘটনার সঙ্গেও আমি সম্পৃক্ত না যেটা কোনো দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। আমি মনে করছি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে। প্রসঙ্গত, শনিবার (১১ মে) রাত ১১টা থেকে  আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের তিনজন আহত হয়। এই ঘটনার জেরে সোমবার গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মধ্যে আবার উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রত্যেক ছাত্র আবাসিক হল থেকে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই হল প্রশাসন হলে তল্লাশি চালায়। কিন্তু তল্লাশির সময় কোনো অস্ত্র উদ্ধার কিংবা বহিরাগত কাউকে আটক করতে পারেনি।
১৫ মে, ২০২৪

রাবির হলে দুপক্ষের সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলো- রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাবিরুজ্জামান রুহুল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লিখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা শাহিনুল সরকার ডন বলেন, ‘আমাদের কী দোষ ছিল, কী কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হলো আমরা কিছুই জানি না। আমাদের ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর জন্য।’ জানতে চাইলে আরেক বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান অপু মুঠোফোনে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে কেন বহিষ্কারের সীদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমি জানি না। সম্প্রতি এমন কোনো ঘটনার সঙ্গেও আমি সম্পৃক্ত না যেটা কোনো দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। আমি মনে করছি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে। তবে এ বিষয়ে বহিষ্কৃত অন্য দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি। জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে গত তিন চারদিন ধরে বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছিল, তাদের বহিষ্কার করেছে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নাই, অন্যায়কারীর কোনো দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় শুধুই অন্যায়কারী। ভবিষ্যতে কেউ শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করার পূর্বে ভাবতে বাধ্য হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে। বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়নি। এই ৭ দিন তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারবে না। লিখিত জবাবে মাধ্যমে যদি তাদের জড়িত না থাকার প্রমাণ দিতে পারে তাহলে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।’
১৫ মে, ২০২৪

রাবি ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ফের অস্ত্রের মহড়া!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ানোর পর এবার এক নেতাকে ‘হত্যার’ হুমকির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ফের অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগ। তারা রামদা, রড, ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে এ মহড়া দেয়। এদিকে ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়ার পর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন এবং পুলিশ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালায়। অভিযান শেষে গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দ্বন্দ্বে জড়ানো পক্ষ দুটি হলো বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ। ছাত্রলীগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত দেড়টার দিকে নিয়াজ মোর্শেদ তার অন্তত ১২ অনুসারীকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করেন। এ সময় হলগেটে ওই হলের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে নিয়াজের দেখা হয়। একপর্যায়ে নিয়াজ তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন আতিক। তবে হত্যার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেন নিয়াজ। বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে সভাপতি বাবু ও সাধারণ সম্পাদক গালিবের অনুসারীরা জড়ো হতে থাকেন। অন্য হল থেকেও নেতাকর্মীরা সেখানে যোগ দেন। এ সময় তাদের হাতে রামদা, রড, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ইট-পাটকেল দেখা গেছে। খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে, সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিছুক্ষণ পর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় সভাপতি-সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী হলে বহিরাগত প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেন। সেইসঙ্গে একটি চক্র ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানান। পরে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে রাত সোয়া ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালায় হল প্রশাসন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান শেষ হলে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, জোহা ও মাদার বখশ হলের ছাদ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেশ কিছু বহিরাগতকে ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে হলে প্রবেশ করতে দেখেন। বিষয়টি তারা জানতে পেরে প্রক্টর স্যারকে অবহিত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় হলে অভিযান চালায়। তাদের এক নেতাকে হত্যার হুমকির খবর পেয়ে সেখানে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। তবে তাদের হাতে রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে এড়িয়ে যান। জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হলের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, হলগেটে নিয়াজ ও তার অনুসারীদের সঙ্গে আমার দেখা হয়। এ সময় তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। তবে বহিরাগত প্রবেশ ও হত্যার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ জানান, সবার সামনে হলের ১০ জন ছোট ভাই নিয়ে তিনি হলে প্রবেশ করেন। সেখানে পুলিশও উপস্থিত ছিল। হলগেটে আতিকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল; কিন্তু কোনো কথা হয়নি। হত্যার হুমকির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, হলে বহিরাগত প্রবেশের খবর পেয়ে অভিযান চালাই। এ সময় আমরা একটি চাইনিজ কুড়ালের অংশবিশেষ পেয়েছি। এ ছাড়া কিছু সন্দেহজনক কক্ষে অভিযান চালিয়েছি। সেখানে কিছু অনাবাসিক শিক্ষার্থী দেখতে পাই; কিন্তু কোনো বহিরাগতকে হলে পাওয়া যায়নি। হলের বাইরে এক পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে রামদা, রড ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এমন দৃশ্য দেখিনি। উল্লেখ্য, গত শনিবার অতিথি কক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ৬টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
১৫ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
আগামী ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছর নানা কর্মসূচি হাতে নেয় ছাত্রলীগ। এবার এদিন বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা করবে সংগঠনটি।  মঙ্গলবার (১৪ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।  এতে বলা হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে সেদিন সমগ্র জাতি অপার আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিল, রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। রাষ্ট্রক্ষমতার অবৈধ দখলদার সামরিক শক্তির বহুমুখী বাধা ও প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই’ স্লোগানে সেদিন গোটা নগরীকে প্রকম্পিত করে এক বিশাল জনসমুদ্র দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে স্বদেশে স্বাগত জানায়। স্বজনহারা শেখ হাসিনার স্বজন হয়ে ওঠে সমগ্র জাতি। নেতৃদ্বয় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন, জাতির পিতা হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে তার দৃঢ় অঙ্গীকার বাঙালির প্রাণে সেদিন নতুন সাহসের সঞ্চার ঘটায়, মহান মুক্তিসংগ্রামে পরাজিত অপশক্তির রাহুগ্রাসে জীর্ণপ্রায় বাংলার বুকে আবার আঠারো নেমে আসে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হতে আজ অবধি অসংখ্যবার মৃত্যুকে জয় করে শেখ হাসিনা মহান মুক্তিসংগ্রামের চেতনা সমুন্নত রাখার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তার সাহসী নেতৃত্বে দুঃসহ স্বৈরশাসনের অবসান, মৌলিক মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাঙালির জীবনযাত্রায় অভূতপূর্ব মানোন্নয়ন, ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপন আলোয় আলোকিত নিরন্তন যাত্রায় জয়রথ ছুটিয়ে বিশ্বসভায় চিরপ্রাসঙ্গিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলার ইতিহাসে দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
১৪ মে, ২০২৪

২৩ মাসেও হয়নি বুটেক্স ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ ২৩ মাস হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এতে বুটেক্স ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দীর্ঘদিন রাজনীতি করে পদহীন থাকায় ক্ষোভ দেখিয়েছে অনেকে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার পেছনে উদাসীনতাকে দায়ী করছেন কেউ কেউ। তবে বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অতি দ্রুত কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আশ্বাস দেন। জানা যায়, ২০২২ সালের ১ জুন বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুমোদিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে তরিকুল ইসলাম টিপু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. আব্দুল্লাহ জয় অনুমোদন পান। এক বছরের জন্য অনুমোদিত কমিটিতে ২৩ জন স্থান পান। এদিকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান বুটেক্স ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরান। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানা যায়। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ জয়কে তার স্বীয় পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করে বুটেক্স ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরানকে সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কমিটি নিয়ে অনেকে ক্ষোভ দেখিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, সাংগঠনিকভাবে ব্যর্থ এ কমিটির মেয়াদের দুই বছরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কমিটির অন্যদের নিয়ে কোনো সাংগঠনিক মিটিং করেনি। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট কোনোভাবে এ কমিটি পূরণ করতে পারেনি। দুই বছর হতে চলল। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। এই কমিটি এখন পর্যন্ত কোনো হল কমিটি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি কোনো কিছুর বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা করেনি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কাছে আবেদন থাকবে বুটেক্সে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে এখানে নিয়মিত কমিটি যেন নিশ্চিতকরণ করা হয় যাতে ছাত্র রাজনীতির প্রতি শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়। আরেকজন বলেন, বুটেক্স ছাত্রলীগের কর্মীরা মনে করে যেহেতু পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ সময় অবস্থান করার সুযোগ কম, তাই সময়মতো কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলে সাংগঠনিক ধারা বজায় থাকবে এবং কর্মীদের যথার্থ মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। তাই বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সব কর্মীর প্রাণের দাবি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মেনে সাংগঠনিক গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি পূর্ণাঙ্গ হোক এবং ইউনিটের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী হোক। পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরান বলেন, বুটেক্স ছাত্রলীগ একটি গ্রহণযোগ্য, সৎ, মেধাবী, রাজপথের একনিষ্ঠ কর্মী, নিয়মিত ছাত্রদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি আবাসিক হলের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অতি দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং হল কমিটি বাস্তবায়নে লক্ষ্যে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করব, তা যাচাইবাছাই করে মুজিব আদর্শের সৈনিকদের নিয়েই অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব উপহার দেব। তিনি বলেন, কোনো হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী এবং বিতর্কিত কেউ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবে না। বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু বলেন, বুটেক্স ছাত্রলীগ গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। নেতাকর্মীদের কার্যক্রম, সাংগঠনিক দক্ষতা পর্যবেক্ষণ করছি। অতি দ্রুতই তাদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিব এবং তারপর তাদের ডাকা হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ট সম্পর্কে খোঁজখবর নেব। তারপর সুন্দর ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি বুটেক্স ছাত্রলীগকে উপহার দেব। যারা ভবিষ্যতে এ ছাত্রলীগকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে এবং সুদক্ষ নেতৃত্বে মেধা ও মনন দিয়ে বুটেক্স ছাত্রলীগকে ঢাকা শহরের মধ্যে একটি শক্তিশালী ইউনিট হিসেবে পরিচিত করবে। নেতাকর্মীদের বলব তারা যেন তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় যেন আগের মতো ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
১৪ মে, ২০২৪

ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নেই, ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল
ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নেই, কোনো শক্তি নেই, এভাবেই নিজের সংগঠনকে নিয়ে এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী। তবে এ ছাত্রলীগ নেতার এমন কর্মকাণ্ড এবারই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি তার বেশ কয়েকটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পত্রিকার পাতায় শিরোনাম হয়েছিলেন। রোববার (১২ মে) বিকেলে উপজেলা টিএন্ডটি মোড় এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির নির্বাচনী সভায় বক্তব্যকালে এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তিনি। তার এ মন্তব্য এরই মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  বক্তব্যের একপর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায়, আমরা কোনো সন্ত্রাসীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে পারি না। কেননা এ উপজেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে সাধারণ মানুষের, নেতাকর্মীদের ও রাজনৈতিক সংগঠনের আস্থার জায়গা। আমরা সব সময় রাজনীতির নামে ব্যবসা করে নির্বাচনে প্রতিনিধি হয়ে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করতে চাই। তাই সেসব লোকের থেকে আগামী নির্বাচনে দূরে থাকতে হবে। ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নেই, কোনো শক্তি নেই। রোববার জাজিরা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির পক্ষে নির্বাচনী সভায় ঘোড়া প্রতীকের আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এসএম আমিনুল ইসলাম রতন সরদারের বিপক্ষে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেওয়ার সময় ছাত্রলীগকে বড় সন্ত্রাস দল হিসেবে আখ্যা দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী দুই সন্তানের জনক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন। গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি তার নেতৃত্বে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ ও আসবাবপত্রের জন্য আহ্বান করা দরপত্রের বাক্স ভেঙে দরপত্রগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি একই বছরের ৩০ মে শরীয়তপুরে আলোচিত পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় ৭২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আসামিদের মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। পরিচয় গোপন রাখা সত্ত্বেও জাজিরা উপজেলা এক ছাত্রলীগের নেতা বলেন, রুবেল বেপারী একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যায়। তিনি জাজিরা উপজেলা প্রতিটি ইউনিয়ন, কলেজ কমিটিগুলোতে ব্যাপক বাণিজ্য করেন। পাশাপাশি প্রতিটি কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে তার আত্মীয়স্বজনদের পদায়ন করেছেন। এতসব অপকর্ম করেও কোনো শক্তির বলে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আদর্শের সংগঠনে তিনি টিকে থাকে। একটি ভিডিও বক্তব্যতে এ সময় তাকে বলতে শোনা যায়, আমরা কোনো সন্ত্রাসীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে পারি না। কেননা এই উপজেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে সাধারণ মানুষের, নেতাকর্মীদের ও রাজনৈতিক সংগঠনের আস্থার জায়গা। আমরা সব সময় রাজনীতির নামে ব্যবসা করে নির্বাচনে প্রতিনিধি হয়ে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করতে চাই। তাই সেসব লোকের থেকে আগামী নির্বাচনে দূরে থাকতে হবে। ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই, কোনো শক্তি নাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এমনকি তার হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি তার কোনো উত্তর দেননি। এদিকে অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেদ উজ্জামান। তিনি বলেন, বিষয়টি মাত্র আপনার মাধ্যমে শুনতে পেলাম। সে যদি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ মে, ২০২৪

সিকৃবিতে ছাত্রলীগের ২ নেতা বহিষ্কার
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মো. তানভীর হোসেন স্বাধীন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়াজুল ইসলাম (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) এবং আরমান হোসেন (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এর আগে রোববার (১২ মে) বিকেলে সিকৃবির আব্দুস সামাদ আজাদ হলের সিট সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন এই দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা। এতে ১৭ জন হতাহত হন। এই ঘটনার রেশ ধরেই কেন্দ্রীয় কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই শৃংখলা পরিপন্থী কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে না এবং তা প্রশ্রয়ও দেয় না। তবে গতকালের হলের সিট সংক্রান্ত সাধারণ একটা ঘটনা আসলে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আমরা রাতে বিষয়টি নিয়ে সকল নেতাকর্মীরা বসেছিলাম। আমরা সমাধানের পথে এগিয়েও গিয়েছিলাম। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এমন ঘোষণা এসেছে। যাই হোক আর কিছু বলবো না, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।  তবে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। জানা যায়, এর আগে গেল শুক্রবার (১০ মে) রাতে সিকৃবি ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার দুদিন না পেরোতেই সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এবং বহিষ্কার হলো দুই নেতা। এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ইমাদুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে আশিকুর রহমান কল রিসিভ করেননি এবং ইমাদুল হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
১৩ মে, ২০২৪
X