‘কোরবানির ঈদের পর আবার জাহাজে উঠব’
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাবা-মায়ের কোলে ফিরেছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের নাবিক নাজমুল হক। বুধবার (১৫) ভোরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর নূরনগর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরার পর মা-বাবা, পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী বরণ করে নেন তাকে। এ সময় নাজমুল বলেন, ‘এই আনন্দ প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার জানা নেই। যখন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছিলাম, বাড়িতে কথা বলার সুযোগ শেষ হয়ে গেল, তখন মনে মনে বলতাম আর বুঝি বাবা-মায়ের মুখ দেখতে পাব না। নামাজ পড়তাম আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম। বলতাম, হে আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে বাবা-মায়ের বুকে ফিরিয়ে দাও। মহান আল্লাহ আমাদের কথা শুনেছেন। সবাই বাংলাদেশে এসে বাবা মা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পৌঁছে গেছি। বাড়িতে থাকব বেশ কিছুদিন। হয়তো কোরবানির ঈদের পর জাহাজে উঠব।’ ছেলে ফিরে আসার খুশিতে মা নার্গিস খাতুন বলেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া জানাই বুকের মানিককে আমার কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমার আর কোনো কিছু চাওয়ার নেই। আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে যে সকল মানুষ সাহায্য করেছেন, সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এর আগে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় ১ মাস পর এমভি আবদুল্লাহসহ গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হন ২৩ নাবিক। এরপর জাহাজটি পৌঁছে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখান থেকে মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে চুনাপাথর ভর্তি করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সব মিলিয়ে ৬৫ দিন পর দেশে ফিরেন মুক্ত নাবিকরা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন সুলতানা বলেন, আমাদের কামারখন্দে সন্তান নাজমুল নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবশেষে মায়ের কোলে ফিরছে। এতে আমরা সবাই আনন্দিত। নাজমুলকে দেখতে তাদের বাড়িতে যাব।
১৫ মে, ২০২৪

অতীত মনে করতে চান না নাবিকরা
হাতে লাল-সবুজের পতাকা, সবার চোখে মুখে উচ্ছ্বাস। আর যারা তীরে দাঁড়িয়ে আছেন তারাও দুই হাত নেড়ে জানাচ্ছে অভিবাদন। সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৫ দিন পর চট্টগ্রামে ফিরল ২৩ নাবিক। সেই ফেরার চিত্রটা এমনই। এ সময় অতীতের স্মৃতিচারণ করে নাবিকরা জানান, তারা অতীত মনে করতে চান না, এটা আনন্দের সময়। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর এসে পৌঁছায় নাবিকদের বহনকারী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাদের বরণ করতে উপস্থিত হন স্বজনরা। পাশাপাশি কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে দিয়ে নাবিকদের আত্মীয়স্বজন-পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। নাবিকরা জানান, বন্দিদশার শুরুর দিকে অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। এ সময় তারা জীবন নিয়ে ফিরতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। সবসময় একে-৪৭ সহ অনেক ভারী ভারী অস্ত্র নিয়ে পাহারায় ছিলেন জলদস্যুরা। কৌশলগত কারণে নাবিকরা জলদস্যুদের সহায়তা করতেন, জলদস্যুরা যেমনটা বলতে তেমনটাই শুনতে হতো তাদের। তবে এত তাড়াতাড়ি যে তারা ফিরতে পারবেন এটা কখনো কল্পনা করেননি। ফিরেই নাবিকরা উল্লাস করে বলেন, অতীত মনে করতে চায় না। এখন আনন্দের সময়। এর আগে গত ১২ মার্চ সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় ১ মাস পর গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয় ২৩ নাবিক। এরপর জাহাজটি চলে যায় দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখান থেকে মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে চুনা পাথরভর্তি করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সবমিলিয়ে ৬৫ দিন পর মুক্ত নাবিকরা চট্টগ্রামে ফিরেছেন।
১৪ মে, ২০২৪

২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে এমভি আবদুল্লাহ
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ প্রায় এক মাস পর মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। আর মঙ্গলবার সকালে জাহাজটি সদরঘাট জেটিতে অবতরণ করে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, কুতুবদিয়ায় নোঙর করার কারণ হলো, এত বড় জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চুনাপাথর রয়েছে। এতে জাহাজটির ড্রাফট (পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার, যা চারতলার সমান। ফলে বন্দর জেটিতে এটি ভেড়ানো সম্ভব হবে না। মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল ভোররাত ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চুনাপাথর নিয়ে দেশে রওনা দেয়।’ কেএসআরএম সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালবেলার কক্সবাজারের পেকুয়া প্রতিনিধি এস এম জুবাইদ বলেন, জাহাজের ২৩ নাবিক পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে বুধবার এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের সদরঘাটে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মঙ্গলবার বাড়ি ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক। এ নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খানের স্ত্রী ফিরোজা আজমিন মিনা। নাবিকদের আসার খবর নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম কবে দিনটি আসবে। অবশেষে ঘনিয়ে এসেছে। সোমবার সকালেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। বলেছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরবে। আমার কী যে আনন্দ লাগছে তা বলে বোঝাতে পারব না।’ জানা যায়, জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা করে। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মুক্তিপণের বিনিময়ে দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় জাহাজসহ ২৩ নাবিক। মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরে সময়ে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
১৪ মে, ২০২৪

কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ প্রায় এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্যেঁছায়।  সোমবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি আজই কুতুবদিয়ায় ভিড়ে, কিন্তু নাবিকদের তীরে আনা হবে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায়। তাদের লাইটার জাহাজে আবদুল্লাহ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আনা হবে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, কুতুবদিয়ায় নোঙর করার কারণ হরো, এত বড় জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার ৩৯১ মেট্রিক টন চুনাপাথর রয়েছে। এতে জাহাজটির ড্রাফট (পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার, যা চারতলার সমান। ফলে বন্দর জেটিতে এটি ভেড়ানো সম্ভব হবে না। আগামীকাল মঙ্গলবার জাহাজটিতে যোগ দেবে নতুন ২৩ জন নাবিক। তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে জাহাজ থেকে নেমে আসবেন মুক্ত হওয়া পুরোনো ২৩ নাবিক।  এর আগে, গত ১২ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই আসার সময় ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি। বড় অংকের মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই গিয়েছিল জাহাজে থাকা কয়লা খালাসের জন্য। ২১ এপ্রিল দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। এরপর ৩০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ।
১৩ মে, ২০২৪

কক্সবাজার উপকূলে এমভি আবদুল্লাহ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছেছে। আজ সন্ধ্যায় নোঙর করবে কুতুবদিয়ায়। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।  মিজানুল ইসলাম জানান, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে। সোমবার সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে। সেখানে পণ্য খালাস করে দুদিন পর চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করবে জাহাজটি। জানা গেছে, কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। বর্তমানে জাহাজে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে নেওয়া হবে এবং সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে। প্রসঙ্গত, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে ৩টি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়। মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।
১৩ মে, ২০২৪

রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আজ রাতেই ভিড়তে যাচ্ছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। রোববার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।  জানা গেছে, কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। বর্তমানে জাহাজে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে নেওয়া হবে এবং সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে। প্রসঙ্গত, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়। মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। 
১৩ মে, ২০২৪

বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ
ভারত মহাসগরে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে দেশের জলসীমায় রয়েছে। সোমবার (১৩ মে) জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে।  শনিবার (১১ মে) দুপুর দেড়টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে জাহাজটিতে প্রায় ৫৬ টন পাথর রয়েছে। আরও দুদিন আগেই জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে পৌঁছায়। আগামী সোমবার এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে। সেখানে কিছু পণ্য (পাথর) খালাস করা হবে। সেই কার্যক্রম শেষ করতে দুদিন সময় লাগতে পারে। এরপর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের উদ্দেশে রওনা দেবে।  তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জাহাজটি ২৩ জন নাবিক রয়েছে। তারা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর খালাস কার্যক্রমসহ সব কর্মকাণ্ড শেষ করবে। এরপর সংবর্ধনা, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছার সম্ভাব্য সময় দেখানো হচ্ছে ১৪ মে। এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করে দস্যুরা। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি। ১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়। ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের টুইট বার্তায় এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে। এমভি আবদুল্লাহ শুরুতে যায় সংযুক্ত আর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখানে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস করা হয়। এরপর ওই বন্দরেই পণ্য লোডের পর মিনা সাকার বন্দরে যায় আবদুল্লাহ। সেখান থেকে আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে থেমেছিল জ্বালানি নিতে।
১১ মে, ২০২৪

মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে জলদস্যুদের হামলা, অতঃপর...
মাঝে কয়েক বছর শান্ত থাকলেও সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। গেল মার্চে জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাই ও বাংলাদেশি নাবিকদের জিম্মি করার ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় আসে তারা। লোহিত সাগরে হুথিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলোর ব্যস্ততা ভারত মহাসাগরের গালফ অব এডেনে সোমালি জলদস্যুরা তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। মালবাহী জাহাজ আটকে পণ্য ছিনতাই ও নাবিকদের জিম্মির ঘটনা সোমালি জলদস্যুদের জন্য নতুন নয়। এমনই এক জাহাজ ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল সোমালি জলদস্যুরা। কিন্তু সেই হামলায় তারা তো সফল হয়ইনি উল্টো দিতে হয়েছে খেসারত। কেননা, হামলার শিকার হওয়া জাহাজটি ছিল মার্কিন নৌবাহিনীর ফ্লেচার ক্লাস ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস নিকোলাস (FFG-47)। সোমালি জলদস্যুরা বাণিজ্যিক জাহাজ ভেবে ইউএসএস নিকোলাসে হামলা চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল কমপক্ষে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার মুক্তিপণ আদায় করা। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই সোমালি জলদস্যুদের ধরাশায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের চৌকস নৌসেনারা। জলদস্যুদের হামলার পর তাদের ছোট দ্রুতযান তাড়া করে ইউএসএস নিকোলাস। পরে ছোট ওই দ্রুতযানকে ডুবিয়ে দেয় নৌসেনারা। ২০১০ সালের এপ্রিলে ভারত মহাসাগরে ওই ঘটনা ঘটে। ইউএসএস নিকোলাসের ক্রুরা কিছু ছোট দ্রুতযান দেখতে পান। তখন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মার্কিন নৌসেনারা। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জলদস্যুদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়। একই ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয় মার্কিন নৌবাহিনীর আরেকটি যুদ্ধজাহাজ। ২০০৯ সালে জলদস্যুদের হামলার শিকার হয় ইউএসএস বেইনব্রিজ। মার্কিন একটি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি মায়েরস্ক আলাবামাকে সোমালি জলদস্যুরা জিম্মি করে। তখন সেই জাহাজকে সাহায্যে এগিয়ে যায় আরলিগ বুর্কে-ক্লাস গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস বেইনব্রিজ। এমভি মায়েরস্ক আলাবামার ক্যাপ্টেন রিচার্ড ফিলিপস একটি লাইফবোটে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছিলেন। ক্যাপ্টেন ফিলিপসকে মুক্তির আলোচনা চলমান থাকলেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে যায়। পরে মার্কিন নৌসেনারা অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। ইউএসএস বেইনব্রিজের কয়েকজন নেভি সিলের স্নাইপার রাতের গভীর দুর্ধর্ষ অভিযান চালান। তারা তিনজন জলদস্যুতে হত্যা করে ক্যাপ্টেন ফিলিপসকে নিরাপদে উদ্ধার করেন। সামরিক সক্ষমতা, ভৌগোলিক অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক সমর্থনের অভাবে অনেক দেশই জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে পেরে ওঠে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই দিক থেকে ব্যতিক্রম। তাদের যেমন অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে, তেমনি বিশ্বের প্রায় সব মহাসাগর এবং দেশে তাদের উপস্থিতি বা মিত্র রয়েছে। তাই জলদস্যুদের বাড়বাড়ন্তেও সাগরে বেশ নিরাপদেই থাকে মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজ।  
১০ মে, ২০২৪

এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছাবে আজ
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহসহ জাহাজটির ২৩ নাবিক। যদিও এ জন্য দিতে হয়েছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। জাহাজটি মুক্তির পর আরব আমিরাতের দিকে রওনা দেয়।  আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছবে জাহাজটি। জানা গেছে, সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাজটি বহিনোর্ঙরে অবস্থান নেবে।  একদিন পর ভিড়তে পারে জেটিতে। হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে সূত্র বলছে, নাবিকদের দেখভালের জন্য জাহাজের মালিকপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি দল দুবাই যাচ্ছে। শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ। ২৩ নাবিকের ২১ জন জাহাজেই ফিরবেন। ২৫ থেকে ২৬ দিন পর তারা দেশে এসে পৌঁছাতে পারেন। অপর দুই নাবিক দুবাই থেকে ফ্লাইটে দেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক দেশে ফিরবেন যেভাবে
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহসহ জাহাজটির ২৩ নাবিক। এজন্য দিতে হয়েছে মুক্তিপণ। কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হলো এমভি আব্দুল্লাহ, সেই প্রশ্নের উত্তর জাহাজ মালিকপক্ষ না দিলেও সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লেনদেন হওয়া মুক্তিপণের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা।  এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে সোমালিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে রোববার একই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  এদিকে নাবিকদের মুক্তির খবরে স্বস্তি ফিরেছে ২৩ নাবিকের পরিবারে। এখন প্রশ্ন হলো তাদের কীভাবে দেশে আনা হবে। জানা গেছে, ২১ নাবিক ওই জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। এ ছাড়া ২ নাবিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন।  নাবিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ। কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি মুক্তির পর আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। আগামী ২২ এপ্রিল সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছবে। সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়।  এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।  এ ছাড়াও ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। তখন ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
X