কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক দেশে ফিরবেন যেভাবে

জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক। ছবি : সংগৃহীত
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক। ছবি : সংগৃহীত

জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহসহ জাহাজটির ২৩ নাবিক। এজন্য দিতে হয়েছে মুক্তিপণ। কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হলো এমভি আব্দুল্লাহ, সেই প্রশ্নের উত্তর জাহাজ মালিকপক্ষ না দিলেও সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লেনদেন হওয়া মুক্তিপণের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা।

এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে সোমালিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে রোববার একই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এদিকে নাবিকদের মুক্তির খবরে স্বস্তি ফিরেছে ২৩ নাবিকের পরিবারে। এখন প্রশ্ন হলো তাদের কীভাবে দেশে আনা হবে। জানা গেছে, ২১ নাবিক ওই জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। এ ছাড়া ২ নাবিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন।

নাবিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ।

কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি মুক্তির পর আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। আগামী ২২ এপ্রিল সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছবে। সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।

গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন।

দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

এ ছাড়াও ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। তখন ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিচারকদের কলমবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার

পুলিশের কাছে নিখোঁজ তরুণীর বার্তা / ‘খুঁইজেন না, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আছি’

রোববার থেকে শুনানি শুরু / আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন

কানের দুলের জন্য প্রাণ গেল শিশু হাফসার

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্রচারণা

হঠাৎ মহাসড়কে বাসে আগুন, লাফিয়ে বাঁচলেন চালক

পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪ নেতা

ঢাকা কলেজে ‘ইন্ট্রা সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল’ অনুষ্ঠিত

অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থন পেয়ে আপ্লুত তারেক রহমান

এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের জালে বার্সার এক হালি গোল

১০

হলে জ্ঞান হারায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার, হাসপাতালে মৃত্যু

১১

সরাইলে বিএনপির ৩১ দফার প্রচারণা

১২

ব্যানারে ফুটবলের জায়গায় ‘ফুটাবল’, স্টাফকে বাফুফের শোকজ

১৩

দাপুটে পারফরম্যান্সে সেনেগালকে হারাল ব্রাজিল

১৪

বিএনপি সরকারে গেলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে : শাহজাহান চৌধুরী

১৫

সিলেটে ৩০ একর খাস জমি উদ্ধার, দখল-বিক্রি চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

১৬

শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ / সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক সচল

১৭

দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর নিহত, অপর বাসে অগ্নিসংযোগ

১৮

রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি, ধর্মের জায়গায় ধর্ম : ডা. জাহিদ

১৯

দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সবাইকে সুসংগঠিত থাকতে হবে : সেলিমুজ্জামান

২০
X