শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সিএজি কার্যালয়ে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন
সিএজি কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রোববার (১৭ মার্চ) প্রত্যুষে সিএজি কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।  অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল, সিএজি কার্যালয়ে বেলুন ও কবুতর ওড়ানো, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠান এবং এতিমখানায় শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলাম। আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ লালন করে সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে সিএজি কার্যালয় আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দ্রুত সেবা প্রদান করে যাচ্ছে এবং করে যাবে, এটিই আমাদের অঙ্গীকার।  দোয়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের, মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদসহ দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  অনুষ্ঠানে কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স কামরুন নাহারসহ সিএজি কার্যালয় এবং অডিট অ্যান্ড একাউন্টস বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৮ মার্চ, ২০২৪

ঢাকাসহ সব সেনানিবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে একযোগে ঢাকাসহ দেশের সব সেনানিবাস ও বৈদেশিক মিশনে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টসমূহে উদযাপন করা হয়েছে।  রোববার (১৭ মার্চ) দিবসটি উদযাপনে সেনাবাহিনীর সর্বস্তরের সামরিক এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে বিবিধ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ দিন প্রত্যুষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণকালে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্তঃবাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণকালে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্তঃবাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।  এ সময় তিন বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাসহ সব সেনানিবাসের প্রতিটি প্রবেশ পথ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ সুসজ্জিত করা হয়। ঢাকাসহ সব সেনানিবাস এবং বৈদেশিক মিশনে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টসমূহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠান, ‘৭ মার্চের ভাষণ’ এবং ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।  এ সময় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি।  এ দিন জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সেনানিবাসসমূহের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য এবং অসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। একইসঙ্গে সেনাবাহিনী পরিচালিত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জীবনীর ওপর আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৮ মার্চ, ২০২৪

সৌদিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এদিন সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ উপলক্ষে দূতাবাসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সাহসী, নির্ভীক, মানবদরদী ও অধিকার আদায়ে আপোষহীন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অবিস্মরণীয় নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে একটি জনবান্ধব ও ভারসাম্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে যেন শিশুরা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।  দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা জাতির পিতার জীবন ও আদর্শ তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর আয়োজিত রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্যও দোয়া করা হয়।
১৭ মার্চ, ২০২৪
X