জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিনের ভাই বদরুল হকের ইন্তেকাল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের বড় ভাই বদরুল হক আর নেই। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ব্রেইন স্ট্রোকসহ নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি ২ স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, ৩ ভাই ও ২ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের জানাজা বাদ জুমা সিলেটের বিয়ানী বাজারের পূর্ব মুরিয়ার নিজ গ্রাম আষ্টগরি জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে বদরুল হকের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাস্তা সংস্কার করলেন জামায়াত নেতা
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে খানাখন্দে ভরা রাস্তা সংস্কার করলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবুল বাশার বসুনিয়া। এ সময় শতাধিক নেতাকর্মীর স্বেচ্ছাশ্রমে সদর ইউনিয়নের খয়ের বাগানের ভেতর দিয়ে চলাচলের কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খয়ের বাগানের মধ্যকার কাঁচা রাস্তাটি দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চর তিস্তা পাড়া এবং পার্শ্ববর্তী টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চিলাহাটি পাড়া এবং কামাত পাড়া এলাকার প্রায় দেড় হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে বালুভর্তি ট্রলি চলাচলের ফলে বিভিন্ন খানাখন্দে রাস্তাটির বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে কাদামুক্ত এবং শুষ্ক মৌসুমে ধুলার কারণে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা এ রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানিয়ে আসছিল। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। চিলাহাটি পাড়া গ্ৰামের বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান বলেন, "গত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারের কথা জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে আসছি। কিন্তু পার্শ্ববতী এলাকাগুলোর রাস্তা পাকা হলেও অদৃশ্য কারণে আমাদের এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয় না। আজকে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও চলাচলের জন্য সুবিধা হবে।" এদিকে, একটি দলের প্রধান হিসেবে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করার ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল বাশার বসুনিয়া বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি জনকল্যাণমূলক ইসলামী রাজনীতিক দল। দীর্ঘ সময় ধরে এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই আজ শতাধিক জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। এর আগেও এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, আগামীতেও এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত থাকবে।
২২ মার্চ, ২০২৪

নির্বাচনে কারচুপি স্বীকার করে আসন ছাড়লেন জামায়াত নেতা
পাকিস্তানে নির্বাচন নিয়ে একের পর চলছে নাটকীয়তা। সেই মিছিলে এবার যুক্ত হলো জামায়াতে ইসলামী (জেআই) করাচির প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমানের আসন ছাড়ার ঘোষণা। কারচুপির অভিযোগ তুলে আসন ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। জেআই প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমান বলেছেন, জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী সাইফ বারী জয়ী হলেও তাকে ১১ হাজার ভোট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাঈমের দাবি, তিনি ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন। কিন্তু ইসিপি ফর্ম-৪৭ অনুযায়ী তিনি ২৬ হাজার ভোট পেয়েছেন। ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পর ইসিপি আমার ভোটের সংখ্যা সংশোধন করে ৩০ হাজার করেছে। ইমরান খানের পিটিআই এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে নাঈমের এ ঘোষণার প্রশংসা করে বলেছে, দল অন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের সততা প্রত্যাশা করে। এদিকে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চরসাদ্দা শহর থেকে নির্বাচিত এক স্বতন্ত্র এমপি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ে যোগদান করেছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক এক্সবার্তায় এমন তথ্য জানিয়েছে পিটিআই। ওই এমপির নাম ইফতিখারুল্লাহ উল্লাহ জান। তিনি চরসদ্দা শহরে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন। 
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম খান কারামুক্ত 
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।  গত শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে কাশেমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন।  এ সময় কারাফটকে তাকে অভিনন্দন জানান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন।   আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হোসেন আলী, অ্যাড. মারুফুল ইসলাম, অ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আলী মিঠুসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।  উল্লেখ্য, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন। ৩০ মাস ৬ দিন পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জামায়াত নেতা খালেকের জানাজা সম্পন্ন
হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড় জেলার সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল খালেকের নামাজে জানাজা। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন কলেজ মাঠে তার নামাজে জানাজায় অসংখ্য মানুষ শরিক হন। আব্দুল খালেক জামায়াতে ইসলামীর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সদস্যরা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাওলানা আব্দুল খালেক। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে টানা ৩৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড় থেকে মোটরসাইকেলে করে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের দশমাইল নামক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মাওলানা আব্দুল খালেক।  একটি ইজিবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে রংপুরে এবং পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। মাওলানা আব্দুল খালেক পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য এবং রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য ছিলেন। এর আগে দীর্ঘদিন পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমিরের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। একাধারে তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। পঞ্চগড় জেলা শহরের ইসলামবাগ এলাকায়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম। তিনি জানাজার পূর্বে বলেন, মাওলানা আব্দুল খালেকের শূণ্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। তিনি ছিলেন সকলের কাছের ও পছন্দের একজন মানুষ। আজকের জানাজায় জেলবন্দি আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান যদি বাইরে থাকতেন অবশ্যই এখানে উপস্থিত হতেন। আমি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমিরে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হয়েছি। মাওলানা আব্দুল খালেক সারাজীবন যে হক্বের দাওয়াত দিয়েছেন, তিনি যে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমৃত্যু লড়াই করেছেন আজ আমাদের সবাইকে শপথ নিতে হবে তার রেখে যাওয়া সে কাজ আমরা যথারীতি আঞ্জাম দেব। আল্লাহ মরহুমের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন। তার পরিবার পরিজনকে এ শোক সইবার শক্তি দান করুন। জানাজা নামাজে আরও বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর মহানগরী আমির এটিএম আজম খান, পঞ্চগড় জেলা আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, নীলফামারী জেলা আমির মো. আব্দুর রশিদ, ঠাকুরগাঁও জেলা আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, দিনাজপুর উত্তর জেলা আমির আনিসুর রহমান, রংপুর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রাম জেলা আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, লালমনিরহাট জেলা আমির অধ্যাপক আতাউর রহমান এবং দিনাজপুর দক্ষিণ জেলার নায়েবে আমির মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক, পঞ্চগড় জেলা সেক্রেটারি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হান্নান শেখ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের বড় ছেলে এডভোকেট সাদিকুল আজিম ও মরহুমের ভাইয়েরা আবুল কালাম আজাদ।  জানাজা পূর্ব আলোচনা সঞ্চালনা করেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ও কামাত কাজলদিঘী চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

জামায়াত নেতা শফিকুলের কারাদণ্ড, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
দশ বছর আগে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানার মামলায় জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সদস্যসচিব ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ডে দিয়েছেন আদালত। উভয় ধারার সাজা একত্রে হওয়ায় তার দুই বছরের কারাভোগ কর‍তে হবে।  রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তার দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।  এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, বিএনপির হারুন অর রশিদ, ওবায়দুল হক, শহীদুল ইসলাম হীরা ও মো. ইব্রাহিম।  মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানার সাতমসজিদ রোধে আসামিরা একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ফরাজী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ। মামলার বিচার চলাকালে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

জামায়াত নেতা মাসুদসহ ১০ জনের সাজা 
রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ১০ জনের ২ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।  মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদল নেতা খন্দকার এনামুল হক এনাম, মো. এরশাদুল, জোনাইদ, আব্দুল কাদের খন্দকার, মো. দুলাল হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির রওশন ও মিজানুর রহমান টিপু। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়। 
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

জামায়াত নেতা শাহেদ গ্রেপ্তার
রাজধানীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জামায়াত নেতা মো. শাহেদ হোসেন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শাহেদ কোতোয়ালি থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ। লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহিনুর ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার শাহেদ জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশের কোতোয়ালি থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা। কোতোয়ালি থানাসহ ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী ও নাশকতার পরিকল্পনাকারী। এ ছাড়া নাশকতার অর্থ জোগানদাতা ও মিছিলের লোকসমাগমকারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। তিনি আরও জানান, তাকে কোতোয়ালি থানার মামলায় পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

জামায়াত নেতা মাসুদের কড়া হুঁশিয়ারি
যতই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করুন ২৮ অক্টোবর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ বন্ধ করা যাবে না এবং বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে কারাগারে থাকা আলেমদের মুক্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর)  জামায়াত রাজধানীর লালবাগ-বংশাল জোনে ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।  কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও জোন পরিচালক মু. দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও জোন সহকারী আহসান উল্লাহর পরিচালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জোনের ৭টি থানার আমিররা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে  ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, যতই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করুন ২৮ অক্টোবর শাপলা চত্বরে জনগণের দাবি আদায়ের জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশ বন্ধ করা যাবে না।  তিনি বলেন, দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত নেই বলেই জনগণের দুর্ভোগ আজ চরম আকার ধারণ করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশাহারা। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামরা কারাগারে বন্দি। মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি আমির হামজাসহ সব ওলামায়ে কেরামকে দেশের তৌহিদি জনতা মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী সরকারের চূড়ান্ত পতন ঘটিয়ে বরেণ্য সব আলেমদের মুক্ত করা হবে। এর জন্যই আগামীকাল ২৮ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জামায়াত শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।  তিনি বলেন, প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই জামায়াতের মতো সুশৃঙ্খল শান্তিকামী রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মসূচির অনুমতি দিতে কোনো টালবাহানা খুঁজবেন না। কোনো অজুহাত দিয়ে টালবাহানা করে আর জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দীর্ঘদিন জনগণ দেখছে এক একটা নতুন নতুন পয়েন্ট অজুহাত ব্যক্ত করে জনগণের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার চিন্তা করা হচ্ছে। জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রশাসনকে স্মরণ করে দিতে চাই, আপনারা যদি রাষ্ট্রের বা প্রজাতন্ত্রের সত্যিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয়ে থাকেন, তাহলে জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করুন। কারণ বাংলাদেশের জনগণের করের টাকায় আপনার বেতন হয়ে থাকে। তাই জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নির্বিঘ্নে সফল করতে প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবেন এটাই জনতার ন্যায্য দাবি। সম্মানীত ইউনিট দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা আপনারা দেশের এই সংকট পরিস্থিতি উত্তরণে সার্বিক সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেছেন। তা অব্যাহত রাখবেন এটা প্রত্যাশা করি। জামায়াতের এই মহাসমাবেশ কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য, এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে জনগণের মুক্তির জন্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে দেশের মানুষ আজ দিশাহারা। দেশের এই পরিস্থিতিতে আমরা বসে থাকতে পারি না। জামায়াতে ইসলামী একটি নিপীড়িত মজলুম সংগঠন। দেশের মানুষ ও মানবতা রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সভাপতির বক্তব্যে দেলাওয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন ও অবৈধ স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করতে হবে। নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের আকাশে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে। জোরপূর্বক জগদ্দল পাথরের মতো আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৫ বছর জাতির ঘাড়ে চেপে আছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান এক এক করে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের চলমান এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে সত্যিকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি কাল ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশে দলে দলে যোগদান করার জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।আমাদের সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই আমরা আল্লাহ ব্যথিত কাউকে ভয় পাই না। শত বাধা উপেক্ষা করে আমরা আমাদের মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা, দেশে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতারা ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামীকাল ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুক্রবার জামায়াত রাজধানীর লালবাগ-বংশাল জোনে ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলন করে। বিজ্ঞপ্তি।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

জামায়াত নেতা মতিউর আকন্দ কারাগারে
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার নাশকতার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন সকালে রাজধানীর উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক শাহীদুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। সে সময় আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে কয়েক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নিজেদের জীবন ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ফায়ার করলে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। পরে ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। মতিউর রহমান আকন্দকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মতিউর রহমান আকন্দকে বাসা থেকে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
২৬ অক্টোবর, ২০২৩
X