পাকিস্তানে নির্বাচন নিয়ে একের পর চলছে নাটকীয়তা। সেই মিছিলে এবার যুক্ত হলো জামায়াতে ইসলামী (জেআই) করাচির প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমানের আসন ছাড়ার ঘোষণা। কারচুপির অভিযোগ তুলে আসন ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
জেআই প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমান বলেছেন, জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী সাইফ বারী জয়ী হলেও তাকে ১১ হাজার ভোট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাঈমের দাবি, তিনি ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন। কিন্তু ইসিপি ফর্ম-৪৭ অনুযায়ী তিনি ২৬ হাজার ভোট পেয়েছেন। ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পর ইসিপি আমার ভোটের সংখ্যা সংশোধন করে ৩০ হাজার করেছে।
ইমরান খানের পিটিআই এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে নাঈমের এ ঘোষণার প্রশংসা করে বলেছে, দল অন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের সততা প্রত্যাশা করে।
এদিকে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চরসাদ্দা শহর থেকে নির্বাচিত এক স্বতন্ত্র এমপি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ে যোগদান করেছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক এক্সবার্তায় এমন তথ্য জানিয়েছে পিটিআই। ওই এমপির নাম ইফতিখারুল্লাহ উল্লাহ জান। তিনি চরসদ্দা শহরে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
মন্তব্য করুন