বিএনপি নেতা হাবিব জামিনে মুক্ত
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।  রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে নাশকতার এক মামলায় তাকে চার বছরের সাজা দেয় ঢাকার একটি আদালত। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এ ছাড়া হাইকোর্টের একজন বিচারককে নিয়ে ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ জন্য আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবকে গত ২০ নভেম্বর তাকে ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

১১ হাজার টাকার জন্য জেলে যাওয়া খালেদা জামিনে মুক্ত
মাত্র ১১ হাজার ২শ টাকা ঋণের দায়ে ঈদের আগের দিন ৩ বছরের শিশু সন্তানকে রেখে জেলহাজতে যাওয়া সেই খালেদা পারভীন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে কামারখন্দ আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জামিন দেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন। মুক্তি পেয়েই তার তিন বছরের শিশু কন্যা ফাতেমাকে বুকে জড়িয়ে নেন তিনি।  খালেদা পারভীন বলেন, ঈদের একটা দিন মেয়েকে ছাড়া আমি জেলখানায় কাটিয়েছে। আমি বুঝেছি আর আমার মেয়ে বুঝেছে আমাদের কেমন লেগেছে। এ সময় চাপাকান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এর আগে বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপণের দায়ের করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) উল্লাপাড়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় খালেদাকে।   ঈদের আগের দিনে শিশু সন্তানকে রেখে খালেদা পারভীনের জেলহাজতে যাওয়ার সংবাদটি কালবেলাসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এক ব্যক্তি ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করেন। অপর একটি সংস্থা ওই পরিবারকে অটোভ্যান তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। অপরদিকে বেলকুচির তামাইয়ের এক ব্যক্তি সেলাই মেশিন কিনে দেওয়ার আশ্বাস দেন। খালেদা মুক্তি পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের এক ব্যক্তি তাকে নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন।  এদিকে খালেদার স্বামী ইব্রাহিম বলেন, আমরা হতদরিদ্র। দুটি মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আরও ৫০-৬০ হাজার টাকা ঋণ আছে। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই আমাদের সহায়তা করেছেন। এ জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দেন তিনি।   প্রসঙ্গত, বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপণ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন খালেদা পারভীন (৪২)। ঋণের বেশকিছু টাকা পরিশোধ করলেও অভাবের তাড়নায় ১১ হাজার ২শ টাকা বাকি ছিল। এদিকে দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পেতে ৬ মাস আগে স্বামীসহ ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি নেন তিনি। আর ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় উদ্দীপণ এনজিও তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও বিষয়টি জানতেন না খালেদা। ঈদের আগের দিন ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ডাচ ফুটবলারের সহায়তায় জামিনে মুক্ত আলভেজ
গত বুধবার দানি আলভেজকে জামিন দেয় বার্সেলোনার আদালত। এরপরও কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। কারণ জামিনের শর্ত হিসেবে আদালতে ১০ লাখ ইউরো জমা দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেটি দিতে না পারায় মুক্তি মিলছিল না সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান তারকার। অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে এতগুলো টাকা কোথায় পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা? বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন বলছে, আলভেজের বার্সেলোনার সতীর্থ মেম্পিস ডেপাই তাকে সহায়তা করেছেন। এর ফলে ডাচ এই ফুটবলারের সহযোগিতায় আটকের ১৪ মাস কারাভোগের পর মুক্ত হলেন দানি আলভেজ। যদিও আর্থিক সংকট না থাকলে আগেই মুক্তি পেতে পারতেন। তবে ৪৩টি ট্রফি জয়ী এই ফুটবলারের আর্থিক সংকটে পড়ার কারণ কিন্তু অনেক। স্প্যানিশ গণমাধ্যমকে আলভেজের আইনজীবী জানিয়েছে, স্পেনে তার দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এর একটিতে কোনো টাকা নেই, অপরটিতে আছে ৫১ হাজার ইউরো। এর মধ্যে ৫০ হাজার ইউরো জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্রাজিলের অ্যাকাউন্টেও একই অবস্থা তার। নিজ দেশেও তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে জামিনের অর্থ জোগাড়ের মতো অবস্থায় ছিল না আলভেজ। এর আগে বিচারকার্য চলাকালে আদালতের নির্দেশে অভিযোগকারীকে দেড় লাখ ইউরো দেন তিনি। সেবার ধার নেওয়া হয় নেইমারের বাবার কাছ থেকে। অনেকের ধারণা ছিল জামিনের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে নেইমারের পরিবার। তবে নেইমারের বাবা, নেইমার সিনিয়র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আলভেজ ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ বিষয়ে তিনি বা তার পরিবার আর জড়াবেন না। সব মিলিয়েই বুধবার (২০ মার্চ) জামিন পেলেও জেল ছাড়া পেলেন পরের সপ্তাহের মঙ্গলবার।   ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বার্সেলোনার পুলিশ। গত মাসে সাড়ে চার বছরের জন্য দণ্ডিত হন তিনি। রায়ের পর আলভেজের আইনজীবী সাজা মওকুফ চেয়ে আর প্রসিকিউটর ৯ বছরের সাজা চেয়ে আপিল করে। আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন পান আলভেজ। এ সময়ে তাকে ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বার্সেলোনাতে থাকতে বলা হয়। এ ছাড়া বিচার প্রভাবিত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাকে। আর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এক হাজার মিটার দূরে থাকতে বলা হয়েছে আলভেজকে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন জামিনে মুক্ত
প্রায় সাত মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।  ৯ মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে মুক্তি পান তিনি। গণঅধিকার পরিষদের একাংশের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল বলে এর আগে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী জানান, গত বছরের ১ আগস্ট দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট এলাকা থেকে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিন ইয়ামীন মোল্লাকে। পরদিন ২ আগস্ট ওই মামলায় বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ঢাকা থেকে তিনি জামিন পান। কিন্তু তাকে জামিনে মুক্তি না দিয়ে ওইদিনই মতিঝিল থানায় ২০২১ সালে দায়েরকৃত একটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এরপর শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা আরও ২টি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় তাকে। এভাবে একের পর এক মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখাতে থাকে পুলিশ এবং বারংবার তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।  তিনি অভিযোগ করেন, জেলখানাতেও তাকে বিশেষ কনডেম সেলে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার ১ ঘণ্টার জন্য তাকে ওই কনডেম সেল থেকে বের হতে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তার বাবা-মায়ের সাথেও ঠিকমতো দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রাখতে এজাহারে নাম নেই এমন দুটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় তাকে।  সর্বশেষ পল্টন থানায় দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় (নবম মামলা) গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পান কারানির্যাতিত ছাত্রনেতা বিন ইয়ামীন মোল্লা।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জামিনে মুক্ত সংস্কৃতিকর্মী শামীম আশরাফ
পোস্টারের মাধ্যমে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার সংস্কৃতিকর্মী ও গ্রাফিক ডিজাইনার শামীম আশরাফ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালতে শামীমকে হাজির করানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত পরিদর্শক মো. সফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। বিকেলে কারামুক্ত হয়ে শামীম বলেন, সত্য ও ভালোবাসার জয় হয়েছে। এদিকে মসিক-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার নন্দী বাদী হয়ে ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বরিশাল মহানগর ছাত্রদল সভাপতি রনি জামিনে মুক্ত
দুই মাসের অধিক সময় কারাবন্দি থাকার পর জামিনে মুক্ত হলেন বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে রনির জামিনের খবরে শহরের জেলখানা মোড়ে ভিড় করতে থাকে তার অনুগত কর্মী-সমর্থকরা। এক পর্যায়ে রনি কারাগারের মূল ফটক থেকে বেরিয়ে আসলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা। এর আগে রনিকে তার সহযোগী আবিরসহ গত বছরের ১৪ নভেম্বর স্বরোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাদের বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাঞ্চালের ষড়যন্ত্র এবং বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। এনিয়ে ১৫ নভেম্বর র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলন করেন। তখন জানানো হয়েছিল, রনি নির্বাচনি তপশিল ঘোষণার পর বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনা করেন। তার বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন আইনে ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ জানমালের ক্ষতি করে তা ভিডিও করে নেতাদের পাঠিয়ে দিত, যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া বরিশাল-ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিসংযোগ করার আলাপচারিতার একটি কল রেকর্ডও ভাইরাল হয়। সেই রনি দীর্ঘ ২ মাস কারাগারে থাকার পর অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জামিনে মুক্ত হলেন। অবশ্য এর কিছুদিন আগে রনির সহযোগী আবিরও জামিনে মুক্ত হয়েছেন। রনির মুক্তির খবরে তার কর্মী-অনুসারীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগার সম্মুখে ভিড় করলেও পরে একই অবস্থা দেখা যায় বাজার রোডের বাসায়। সেখানেও শত শত নেতাকর্মী তাকে দেখতে এবং কুশল বিনিময় করতে জড়ো হন।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরা সেই ছাত্রদল নেতা জামিনে মুক্ত
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডান্ডাবেড়ি নিয়ে বাবর জানাজা নামাজ পড়া ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আ.লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২৭ দিন কারাভোগের পর বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্তি পান। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাজমুল মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের মোতালেব মৃধার ছেলে ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা বাজারে ইউনিয়ন আ.লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ২০ ডিসেম্বর নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার বাবা মোতালেব মৃধা মারা যান। বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে এবং বাবার জানাজা পড়তে ১৩ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর আইনজীবীর মাধ্যমে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন তার বড় ভাই রাসেল মৃধা। ওই দিন চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। এরপর দুপুর ১ টায় তিনি বাড়ি এসে পৌঁছালে মুক্তির সময় শেষ হওয়ার কারণে পূর্ব নির্ধারিত জানাযা নামাজের আগেই বাড়িতে বিশেষ জানাজা নামাজ পড়ানো হয়। এ সময় তিনি পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় ছিলেন। ওই অবস্থাতেই তিনি বাবার জানাজা নামাজ পড়েন। বাবার দাফন হওয়ার আগেই আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে বিকেল পাঁচটায় স্থানীয় সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসাহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ডান্ডাবেড়ি নিয়ে বাবার জানাজা অংশ নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। পরে পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক এস এম এরসাদুল আলম তার জামিন মুঞ্জুর করেন। জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছলে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। নাজমুলের বড় ভাই রাসেল মৃধা বলেন, নাজমুল জামিনে মুক্তি পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন। বাড়িতে ফিরে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হেলেনা জাহাঙ্গীর
প্রতারণা মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন।  গ্রেপ্তারের ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) পৌনে ১১টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান মিয়া জানান, বুধবার রাতে আদালত থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার পৌনে ১১টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে বুধবার বিকেলে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান শুনানি শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেন। প্রতারণা মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর গত ২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের বিচারক তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে তাকে রাইটার হিসেবে কাজ দেওয়া হয়।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

জামিনে মুক্ত শিশু বক্তা রফিকুল
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেল আলোচিত শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে কারাগার থেকে সে মুক্তি পায় বলে জানায় কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ।রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার বাসিন্দা। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এর জেল সুপার আমিরুল ইসলাম জানান, জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর যাচাইবাছাই শেষে রফিকুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একাধিক মামলায় সে কারাগারে বন্দি ছিল। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলামকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব। পরদিন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ১১ এপ্রিল স্থানীয় এক ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায়। এ ছাড়া তেজগাঁও ও মতিঝিল থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
০৫ নভেম্বর, ২০২৩
X