দুই মাসের অধিক সময় কারাবন্দি থাকার পর জামিনে মুক্ত হলেন বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে রনির জামিনের খবরে শহরের জেলখানা মোড়ে ভিড় করতে থাকে তার অনুগত কর্মী-সমর্থকরা। এক পর্যায়ে রনি কারাগারের মূল ফটক থেকে বেরিয়ে আসলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা।
এর আগে রনিকে তার সহযোগী আবিরসহ গত বছরের ১৪ নভেম্বর স্বরোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাদের বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাঞ্চালের ষড়যন্ত্র এবং বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। এনিয়ে ১৫ নভেম্বর র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলন করেন।
তখন জানানো হয়েছিল, রনি নির্বাচনি তপশিল ঘোষণার পর বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনা করেন। তার বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন আইনে ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ জানমালের ক্ষতি করে তা ভিডিও করে নেতাদের পাঠিয়ে দিত, যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া বরিশাল-ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিসংযোগ করার আলাপচারিতার একটি কল রেকর্ডও ভাইরাল হয়।
সেই রনি দীর্ঘ ২ মাস কারাগারে থাকার পর অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জামিনে মুক্ত হলেন। অবশ্য এর কিছুদিন আগে রনির সহযোগী আবিরও জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
রনির মুক্তির খবরে তার কর্মী-অনুসারীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগার সম্মুখে ভিড় করলেও পরে একই অবস্থা দেখা যায় বাজার রোডের বাসায়। সেখানেও শত শত নেতাকর্মী তাকে দেখতে এবং কুশল বিনিময় করতে জড়ো হন।
মন্তব্য করুন