প্রায় সাত মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
৯ মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে মুক্তি পান তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল বলে এর আগে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী জানান, গত বছরের ১ আগস্ট দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট এলাকা থেকে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিন ইয়ামীন মোল্লাকে। পরদিন ২ আগস্ট ওই মামলায় বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ঢাকা থেকে তিনি জামিন পান। কিন্তু তাকে জামিনে মুক্তি না দিয়ে ওইদিনই মতিঝিল থানায় ২০২১ সালে দায়েরকৃত একটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এরপর শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা আরও ২টি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় তাকে। এভাবে একের পর এক মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখাতে থাকে পুলিশ এবং বারংবার তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, জেলখানাতেও তাকে বিশেষ কনডেম সেলে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার ১ ঘণ্টার জন্য তাকে ওই কনডেম সেল থেকে বের হতে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তার বাবা-মায়ের সাথেও ঠিকমতো দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রাখতে এজাহারে নাম নেই এমন দুটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় তাকে।
সর্বশেষ পল্টন থানায় দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় (নবম মামলা) গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পান কারানির্যাতিত ছাত্রনেতা বিন ইয়ামীন মোল্লা।
মন্তব্য করুন