হজযাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির টাকা নেওয়া যাবে না
হজযাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির টাকা না নেওয়ার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার নির্দেশও দিয়েছে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রণালয়। সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকেরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছেন, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া সঠিকভাবে ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ায় হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর আগেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। তা না হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। হজ এজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমান বন্দরে আটক হয়েছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরাও বিড়ম্বনায় পড়ছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগে কোরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছে। হজযাত্রী তার ইচ্ছামাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন কিনে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

দেড় লাখ টাকা বেতনে ওজোপাডিকোতে চাকরির সুযোগ
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ফিন্যান্স)’ পদে  কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি বা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ০৯ মে, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ৩১ মে, ২০২৪ ১. পদের নাম : এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ফিন্যান্স) পদসংখ্যা : ১টি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা : যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য, ফিন্যান্স অথবা অ্যাকাউন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর বা এমবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রেডিং সিস্টেমে পাসের ক্ষেত্রে জিপিএ/সিজিপিএ ৫-এর স্কেলে ৪.০ ও জিপিএ/সিজিপিএ ৪-এর স্কেলে ৩.০ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত ২০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে জেনারেশন, ট্রান্সমিশন বা ডিস্ট্রিবিউশন ইউটিলিটিসে ৫ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও ডিজিএম-অ্যাকাউন্টস, ফিন্যান্স  বা সমমান পদে অন্তত ৩ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। কোম্পানি আইন ও শ্রম আইন, টিকিউএম, টিপিএম, প্রিভেনটিভ মেইনটেন্যান্স ও করপোরেট গভর্ন্যান্সে দক্ষ হতে হবে। কম্পিউটার পরিচালনাসহ যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। বয়স : সর্বোচ্চ ৬০ বছর চাকরির ধরন : চুক্তিভিত্তিক কর্মস্থল : খুলনা মূল বেতন : ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা (মাসিক) অন্যান্য সুবিধা : বাসাভাড়া, বছরে দুটি উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, অর্জিত ছুটি ভাতা, মেডিকেল সাপোর্ট, গোষ্ঠী বিমা, অন্যান্য ফ্রিঞ্জ বেনিফিট এবং জ্বালানি ও চালকসহ সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা আছে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি; শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদের ফটোকপি; জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, কভার লেটারসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত সরাসরি বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে অথবা নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা : কোম্পানি সেক্রেটারি, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো), বিদ্যুৎ ভবন, বয়রা মেইন রোড, খুলনা-৯০০০
২ ঘণ্টা আগে

গবেষণা / জ্বালানি দক্ষতা বাড়ালে ৫৩৮২ কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব
বাংলাদেশের শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ পাওয়ারের জ্বালানি ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ানো গেলে বছরে ৫ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা (৪৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সাশ্রয় করা সম্ভব। একই সঙ্গে গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জেনারেটর থেকে নির্গত তাপের উৎপাদনশীল ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এলএনজি ৫০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ঘনফুট কম আমদানি করতে হবে। গতকাল সোমবার ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দেশে ক্রমবর্ধমান এলএনজির চাহিদা কমাতে এ গবেষণায় ৫১টি শিল্পকারখানার প্রায় ২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ১২৪টি গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটরের ওপর গবেষণা করা হয়। আমদানি করা এলএনজি এক সময়ের সাশ্রয়ী জীবাশ্ম জ্বালানি হলেও কীভাবে তা দ্রুত অর্থনৈতিক ঝুঁকি হয়ে উঠল তা এ গবেষণায় উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক এ গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান গবেষক এবং আইইইএফএর প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম এ প্রসঙ্গে কালবেলাকে বলেন, গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদায় অস্থিতিশীল জ্বালানি এলএনজির ওপর নির্ভরশীলতা মাত্রাতিরিক্ত বাড়ছে। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও ঝুঁকিতে পড়বে। তিনি বলেন, গবেষণায় আমরা দেখিয়েছি, কীভাবে শিল্পকারখানায় জ্বালানির দক্ষ ব্যবহারে সাশ্রয় করা যায়। জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার বাড়াতে এনার্জি অডিট করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা করা হলেও, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মাত্রাতিরিক্ত অস্থিতিশীলতা, স্থানীয় মুদ্রার দরপতন এবং তার আর্থিক অভিঘাত মোকাবিলার বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়নি। বিভিন্ন খাতে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। যেমন-গ্রিড বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের অভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনের খাতিরে গ্যাসের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এখানেই রয়েছে সমাধানের পথ। তার মতে, গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির অদক্ষ ব্যবহারের ফলে বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস খরচ হয়। গত দশকে ক্যাপটিভ জেনারেশনের গড় দক্ষতা ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে উন্নীত হলেও এ খাতে আরও জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। অনেক শিল্পকারখানা দক্ষতা বৃদ্ধির কাজ করেছে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ যখন সাশ্রয়ী দামে এলএনজি আমদানি শুরু করে, তখন তা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছিল। ওই বছর ৩১ দশমিক ৪৫ বিসিএফ (বিলিয়ন কিউবিক ফিট) এলএনজি আমদানি করা হয়েছিল। আর ২০২৩ সালে ২৩৮ দশমিক ৭২ বিসিএফ এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এলএনজির আমদানির পরিমাণ সাতগুণ বেড়েছে। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে আমদানি শুরুর ঠিক এক বছরের মাথায় করোনা আসায় এলএনজির সরবরাহ-শৃঙ্খল (সাপ্লাই চেইন) বিঘ্নিত হয়। এরপর ২০২২ সালে শুরু হয় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম এক লাফে অনেকখানি বেড়ে যায়, যা দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংকটকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্যাপটিভ জেনারেশনের দক্ষতা ৩৫ দশমিক ৩৮ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ করা সম্ভব। কারণ এ ধরনের জেনারেটর এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। অনেক শিল্পকারখানায় এমন জেনারেটর ব্যবহার হচ্ছে। তবে তা সংখ্যায় কম। এ ছাড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো একটি উল্লেখযোগ্য অংশই এ জেনারেটর থেকে নির্গত তাপ কোনো উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করে না। এই তাপও উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করা যায়। এই দুটো পন্থা অবলম্বন করলে জেনারেটর প্রতিস্থাপনের বিপরীতে করা বিনিয়োগ এক বছরে তুলে আনা সম্ভব। এখন প্রচলিত ব্যবহারে বিনিয়োগ উঠতে অন্তত পাঁচ বছর লাগে। গবেষণায় আরও দেখানো হয়েছে, সাশ্রয়ী জ্বালানির যুগ শেষ হতে চলেছে; কারণ সরকার অদূর ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতামূলক দামে জ্বালানি সরবরাহ করবে। ফলে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ শিল্পকারখানাগুলোকে অর্থ সাশ্রয়ের দিক থেকে বেশি লাভবান করবে। জ্বালানি সাশ্রয়ে পদক্ষেপ নিতে দেরি করলে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যেতে পারে। জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নীতিগত ভিত্তি বাংলাদেশে এরই মধ্যে রচিত হয়েছে। যেমন—অনেক বেশি জ্বালানি ব্যবহৃত হয় এমন স্থাপনা ও কারখানায় জ্বালানি নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত স্রেডা (টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) দ্রুত জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে দেশের জ্বালানি খাতকে আরও সুরক্ষিত ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে বৃহত্তর সহায়তা, প্রণোদনা এবং অর্থায়ন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে ধীরগতি এবং নিজস্ব জ্বালানি সম্পদ আহরণে বিনিয়োগের অভাব বাংলাদেশকে বিশেষ সংকটের মুখোমুখি করেছে। কারণ বাংলাদেশ পর্যাপ্ত জ্বালানি উৎপাদন করে না। অতএব, সরকারকে মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি একটি পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে—বৈদ্যুতিক গ্রিডের আধুনিকায়ন করে শিল্পকারখানাগুলোকে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে ক্রমে সরে এসে বৈদ্যুতিক গ্রিডের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে উৎসাহিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো, গ্যাসভিত্তিক বেইজ লোড প্লান্টের পরিবর্তে কিছু (গ্যাসভিত্তিক) পিকিং পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা। যাতে জাতীয় গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ বাড়ানো হলে এই পিকিং পাওয়ার প্লান্টগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনুপস্থিতিকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। এ ছাড়া পুরোনো যে গ্যাসচালিত কম্বাইন্ড-সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ভবিষ্যতে বাতিল করা হবে, তাদের গ্যাস টারবাইনগুলো রেখে দেওয়া। নবায়নযোগ্য জ্বালানি যখন ব্যবহার করা যাবে না, এই গ্যাস টারবাইনগুলো তখন বিদ্যুৎ দিতে পারবে, সামগ্রিকভাবে শিল্পোৎপাদন প্রক্রিয়ায় জ্বালানির অদক্ষ ব্যবহার থেকে সরে আসতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া, করপোরেট বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্রয়ে সুযোগ করে দেওয়া। এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশকে শুধু ক্যাপটিভ উৎপাদনে দক্ষতা বৃদ্ধির চেয়েও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে অনেক বেশি সহায়তা করবে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে

ভুয়া নিয়োগে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা
একটি গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় প্রশিক্ষণ মডিউল বই, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার নাজির আহমেদ খান। গ্রেপ্তাররা হলেন লিয়ন ইসলাম, হুমায়ন কবির প্রিন্স, মোজাহিদুল ইসলাম পায়েল, রাজিয়া সুলতানা, রিপা আক্তার ও রিখা মনি। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত রোববার এনএসআইর তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ এবং এনএসআই যৌথ অভিযান চালিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ভাদাম পশ্চিমপাড়ার একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করে, তারা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে ‘নিয়োগ’ দিতে প্রশিক্ষণ দেয় এবং নিয়োগপত্র ও ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে বিভিন্ন জেলা-থানায় পোস্টিং এবং বদলি করে থাকে। নিজেদের তৈরি বিধি মোতাবেক পদোন্নতি ও শাস্তিও দেয়। প্রতারণার শিকার আফরোজ, আশিক, সিনথি ও কানিজ ফাতেমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য ৫-৬ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে এবং জনপ্রতি ১৫-১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে

উদ্ধার হয়নি পুরান ঢাকায় ছিনতাই হওয়া ৭০ লাখ টাকা
রাজধানীর কোতোয়ালিতে ব্যবসার টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় কর্মচারীকে ধাক্কা দিয়ে ৭০ লাখ টাকা ছিনতাই হয় গত ২৬ এপ্রিল। এরপর দুই সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ও সহযোগী পাঁচজন গ্রেপ্তার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল আসামি। তার কাছেই সমস্ত টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রেপ্তাররা। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ছিনতাইয়ের পর সিসিটিভি ফুটেজ ও উপস্থিতদের তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এর দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে মূল অভিযুক্তসহ বেশ কয়েকজন পলাতক থাকায় টাকা উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না। ২৬ এপ্রিল বিকেলে বাদামতলী থেকে তাঁতীবাজার যাওয়ার পথে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মালিকের ব্যবসার টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় কর্মচারী মহিউদ্দীনকে মারধর করে ৭০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ইসলামপুর রোডের নবরায়ন গলির মুখে এ ঘটনা ঘটে। পুরান ঢাকা ব্যবসায়ী আকিদুল ইসলামের টাকাগুলো নিয়ে তাঁতীবাজার যাচ্ছিলেন মহিউদ্দীন। তাঁতীবাজারে ‘মা বুলিয়ান অ্যান্ড সিলবার হাউস জুয়েলার্স’ এর মালিক তিনি। ডিএমপির কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার শাহিনুর ইসলাম বলেন, টাকা উদ্ধার ও জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৩ ঘণ্টা আগে

লাখ টাকা বেতনের স্বপ্ন দেখছে লোহাগাড়ার তরুণেরা
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের সিপাহি পাড়ার ৬৫ বছর বয়সী আব্দুল হাকিম। পেশায় কৃষক। ৩ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে বড় দুই ছেলে বিএ-অনার্স পাস করেও দেশে ভালো কোনো চাকরি পাচ্ছিল না। বেকার থেকে এলাকার বিভিন্ন বাজে ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে। আব্দুল হাকিমের মনে তখন ভয় ধরে যায়। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে জমি বিক্রি করে দুই ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।  ছোট ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের এক বছর আগে এসএসসি পাস করলে তার বাবা তাকে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করান নাই। কারণ তিনি ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন। তার মনে সংশয় লেগেছিল যে লেখাপড়া শেষ করেও চাকরি হবে না। অবশেষে তিনি আশার আলো দেখতে পেলেন। তার ছেলেকে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। শুধু আব্দুল হাকিম নন দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাজারো অভিভাবকের মাঝে স্বস্তি এনেছে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। গত বছর আধুনগর হাইস্কুলের পাশে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে খরচ হয়েছে ২ কোটি টাকা। দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান নোমান গ্রুপ নিজ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন। প্রতিষ্ঠানে ৪ বছর মেয়াদি ইলেকট্রিকেল, ইলেকট্রনিক্স, সিভিল ও কম্পিউটার সায়েন্স ৪ বিভাগের ক্লাস রয়েছে। এখান থেকে পাস করতে পারলেই চাকরি মিলবে দেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে।  বিশেষ করে এই কলেজ থেকে পাস করতে পারলে নোমান গ্রুপের অর্ধশত গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন উক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার এলাকায় বর্তমানে লাখো তরুণ সাধারণ বিষয় নিয়ে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না। বেকার হয়ে থাকছে। তাই আমি তাদের কথা চিন্তা করে এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি।  তিনি আরও বলেন, আমার গার্মেন্টসে অনেকেই দেশের বিভিন্ন টেকনিক্যাল কলেজ থেকে পাস করা ছেলে দেড়-দুই লাখ টাকা বেতনে চাকরি করছে। আমি চাই, আমার এলাকার সন্তানরা টেকনিক্যাল কলেজ থেকে পাস করে আমার প্রতিষ্ঠানে বা দেশের ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে প্রতিষ্ঠিত হোক। এ ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস চাইলে সহজেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও অনায়াসে চাকরি করতে পারবে। আলহাজ নুরুল ইসলামের এমন আশার বাণী শুনে আশান্বিত হয়ে আব্দুল হাকিম তার ছোট সন্তান মোহাম্মদ জোবায়েরকে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম লেখাপড়া করে যেহেতু কোনো চাকরি হয় না, তাই তাকে আর লেখাপড়া করাব না। কিন্তু নুরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান দেখে এবং তার কথা শুনে আমি আমার সন্তানকে তার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিয়েছি। আব্দুল হাকিমের সন্তান কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়েছে। সে এবং তার সহপাঠীরা বলে আমরা এমন একটি কর্মমুখী প্রতিষ্ঠান পেয়ে খুবই আনন্দিত।  শুধু আব্দুল হাকিম নন, লোহাগাড়াসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিচ্ছেন। যে কোনো সালের এসএসসি বা সমমনা সনদ নিয়ে বা অনার্স পড়ুয়া ১ম, ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও কলেজে ভর্তি হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন। তিনি বলেন, বর্তমানে অনার্স শিক্ষার্থীরাই আমাদের কলেজে বেশি ভর্তি হতে আসছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে এটিই একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখান থেকে পাস করে কাউকে বেকার থাকতে হবে না- এমন নিশ্চয়তা রয়েছে। আলহাজ নুরুল ইসলামের কন্যা সাদ গ্রুপের কর্ণধার নুরে ইয়াছমিন ফাতিমা বলেন, আমরা আমাদের বাবার প্রতিষ্ঠানকে সারা দেশের জন্য একটা মডেল হিসেবে দেখাতে চাই। এ জন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ করব। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এগুলো শেষ করতে আরও ২ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। দেশের তরুণ যুবকদের কল্যাণের জন্য যে কেউ চাইলে এই প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
১৭ ঘণ্টা আগে

পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ফকির আলমগীর। তিনি মধ্য পাকুন্দিয়া এলাকার ফকির লাল মিয়ার ছেলে। সোমবার (১৩ মে) সকালে পাকুন্দিয়া পৌর শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। জানা যায়, ভুক্তভোগী ফকির আলমগীর পাকুন্দিয়া পৌর সদরের মৌসুমী সিনেমা হল এলাকায় ঔষধ ফার্মেসির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। একই এলাকার মহি উদ্দিনের ছেলে হাসান তারেক ও মিলন মিয়ার ছেলে আজাহারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে টাকা পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে পাওনা টাকা চাওয়ায় রোববার (১২ মে) রাত ১০টার সময় অভিযুক্তরা দোকানের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে একপর্যায়ে দেশি অস্ত্রসহ দোকানে হামলা চালানো হয়। এতে ফকির আলমগীর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদিকে দোকানে ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনায় এক লাখ টাকার ক্ষতি ও নগদ দুই লাখ টাকা লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ফকির আলমগীর ফার্মেসির ব্যবসার পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাকুন্দিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
১৭ ঘণ্টা আগে

দুই লাখ টাকা চুক্তিতে খুন
যশোরের মনিরামপুরে মেশকাদ আলী নামে এক শ্রমিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহীন হোসেনকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও চেতনানাশক ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি রূপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত শাহীন হোসেন সাতক্ষীরার সদরের ঝাউডাঙ্গা গ্রামের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে। রোববার (১২ মে) বিকেলে যশোরের শংকরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত মেশকাদ আলী পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি যশোরের একটি অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোরে মেশকাদকে হত্যা করে মনিরামপুরের একটি ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই এরশাদ আলম মনিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।  ডিবির (উপপরিদর্শক) মফিজুর ইসলাম বলেন, দুই লাখ টাকার চুক্তিতে মেশকাদের পরকীয়া নাজমা বেগমের পরিকল্পনায় রিক্তার মাধ্যমে শাহীন শ্রমিক মেশকাদকে হত্যা করেন। মূলত শাহীন একজন ভাড়াটিয়া কিলার। তিনি মুড়লির সোহেল হত্যা ও রাজগঞ্জ এলাকার রাসেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। উল্লেখ্য, মেশকাদ যশোর পদ্মবিলায় ইলা অটোরাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। মিলের আরেক কর্মচারীর নাজমার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক হয়। নাজমা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের বাসিন্দা। নাজমা বর্তমানে সৌদিপ্রবাসী। মেসকাদের স্ত্রী জুলেখা পরকীয়ার কথা জানতে পেরে প্রেমিকা নাজমাকে মোবাইলে গালমন্দ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমা বিদেশ থেকে মেসকাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী রিক্তা পারভীনের সঙ্গে ২ লাখ টাকা চুক্তি করে। রিক্তা ও শাহীন মিলে কৌশলে সাতক্ষীরা আশাশুনি বুধহাটায় ডেকে নিয়ে পথিমধ্যে মেশকাদকে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করে লাশ মনিরামপুরের একটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়।
১৯ ঘণ্টা আগে

ছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা / আড়াই কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ফেরত দেননি রাফসানের বাবা-মা
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসানের (রাফসান দ্য ছোট ভাই) বাবা মো. জাকারিয়া এবং তার মা কাজী নুরুন্নেছা সেহেলির বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংক ঋণ নিয়ে না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়। পরে তারা জামিন নিলেও সম্পত্তি নিলামের আদেশ হয়। কিন্তু সেই আদেশ হাইকোর্টে রিট করে আটকে দিয়েছেন তারা।  সম্প্রতি কনটেন্ট থেকে আয় করার টাকায় মাকে অডি গাড়ি উপহার দেওয়ার দাবি করে নতুনভাবে আলোচনায় আসেন রাফসান দ্য ছোট ভাই। কিন্তু তার বাবা ও মা বিপুল অর্থের ঋণ পরিশোধ না করায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। পোস্টের কমেন্টে তিনি রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের বাবা ও মায়ের ঋণ নেওয়ার, সম্পত্তি নিলাম হওয়ার এবং রিট পিটিশনের ডকুমেন্টও সংযুক্ত করেছেন। সাইয়েদ আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি পাঠকের উদ্দেশ্যে হুবহু তুলে ধরা হলো- ‌‘একটু অনুসন্ধান করে একটা আনএক্সপেক্টেড জিনিস জানতে পেলাম। ইউটিউবার রাফসান দ্য ছোটভাই সেদিন দেখলাম তার মা-বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে ২ কোটিরও বেশি দামের Audi Car গিফট করল। সেটা নিয়ে হুলস্থূল বেধে গেল। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা। যাই হোক, আমার অবস্থানটা ক্লিয়ার করে রাখি শুরুতেই। রাফসান ২ কোটি কেন, সে যদি কোনো দুর্নীতি না করে ২০০ কোটি দিয়েও কাউকে কোনোকিছু গিফট করে, তাতে আমার কোনোই সমস্যা নাই। সে তার নিজের মতো করে এগিয়ে যাক, নিজের ড্রিমগুলো পূরণ করতে থাক, এটা দেখতে বরং ভালো লাগবে। আমার এই লেখার টার্গেট ভিন্ন এঙ্গেল থেকে।’ ধরেন, আপনার পরিবার এই মুহূর্তে একটা ব্যাংক থেকে সোয়া তিন কোটি টাকার ঋণখেলাপি। সেই টাকা আপনার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ করছে না। ব্যাংকের লোন পেমেন্ট না করে ঝুলিয়ে রেখে অন্যান্য সব ক্ষেত্রে টাকা উড়ায়ে বেড়াচ্ছেন আপনি এবং সবাইকে দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন সেগুলো— কেমন লাগবে সেটা দেখতে? ‘Jack & Spencer Accessories Limited-এর নামে একটি গার্মেন্টস এক্সেসরিস কোম্পানি ট্রাস্ট ব্যাংকের মিলেনিয়াম করপোরেট শাখা থেকে ২.৫ কোটি টাকা লোন নিয়েছিল ২০১৬ সালে। সেই কোম্পানির শতভাগ মালিক রাফসানের বাবা এবং মা। তার বাবা মো. জাকারিয়া ওই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এবং তার মা কাজী নুরুন্নেছা সেহেলি ওই কোম্পানির ডিরেক্টর।’ ‘এখন পর্যন্ত  ব্যাংকের একটা টাকাও লোন পরিশোধ করে নাই তারা। সেই লোন আজ অবধি ইন্টারেস্টসহ বেড়ে হয়েছে সোয়া তিন কোটি। ট্রাস্ট ব্যাংক ওই কোম্পানি এবং সেটার মালিক রাফসানের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে। কোর্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাদের কোর্টে আত্মসমর্পণ করার নোটিফিকেশন জারি করেছিল জাতীয় পত্রিকায়। পত্রিকার সেই নোটিফিকেশনের ছবিও আমি দেখেছি। এরপর অভিযুক্তরা সমর্পণ করে কোর্ট থেকে জামিন নেন। লোনের এগেইনেস্টে যেসব সম্পদ মর্টগেজ রাখা ছিল ব্যাংকের কাছে, ব্যাংক ২০২২ সালে সেইগুলো নিলামে তুলে বিক্রি করারও প্রক্রিয়া গ্রহণ করে। সেই নিলাম বিজ্ঞপ্তিও জাতীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অনুসন্ধান করতে গিয়ে সেই কপিও দেখেছি আমি।’ ‘পরবর্তীতে রাফসানের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করে সেই নিলাম আটকানো হয়। এইজন্য ব্যাংক নিলাম থেকে সম্পদ বিক্রি করে টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। ব্যাংককে বারবার করে তার বাবা-মা কমিটমেন্ট দিয়েছে লোন পরিশোধের, কিন্তু আজ অবধি কোনো টাকা পরিশোধ করেনি। বর্তমানে এই লোনের টাকা আদায় করতে ঢাকার অর্থঋণ আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে। ২০১৬ সালে যেই লোন ছিল ২.৫ কোটি, বর্তমানে ইন্টারেস্টসহ সেই লোন দাঁড়িয়েছে ৩.১৫ কোটি। মানে আজ অবধি ৩.৫ কোটি টাকার ঋণখেলাপি হলো রাফসানের পরিবার।’ ‘কেউ আবার প্রশ্ন তুলতে পারেন, রাফসানের বাবা-মা ঋণখেলাপি, এটা তাদের দায়। তাহলে রাফসান এরকম লাক্সারিয়াস গাড়ি তার মা-বাবাকে গিফট করলে প্রবলেম কোথায়? কাগজে কলমে না হলেও অবশ্যই প্রবলেম আছে। রাফসান যখন তার মা-বাবাকে Audi Car গিফট করছে যার দাম ২ কোটিরও বেশি, এর মানে হলো তাদের পরিবারের হাতে টাকা আছে। শুধু ওই গাড়ি গিফট করাটাই না, রাফসান দেখলাম পরবর্তীতে মা দিবসে একটা ভিডিও বানিয়েছে। মাকে নিয়ে একটা সোনার শোরুমে গিয়ে ৫ লাখ টাকার সোনার গহনা গিফট করল সে। তার সাবস্ক্রাইবারদের বাইক, এসি, আইফোনের মতো দামি দামি গিফট গিভঅ্যাওয়ে করে সে। তাছাড়া তার লাইফস্টাইল খেয়াল করতে দেখবেন যথেষ্ট ঠাঁটবাট নিয়েই চলাফেরা করে তিনি। এসব ঘটনা প্রমাণ করে তাদের পরিবারের হাতে টাকা আছে। টাকা থাকা সত্ত্বেও তারা খেলাপিঋণ পরিশোধ করছে না।’ ‘জাস্ট চিন্তা করেন রাফসান কিন্তু এভাবেও ভাবতে পারত এই দুই কোটির সুপার লাক্সারিয়াস গাড়ি গিফট না করে চলাফেরার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ গাড়ি কিনে ওই দুই কোটিখানেক টাকা দিয়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা যায় কীভাবে। অবশ্য সেখানে একটা সমস্যা ছিল তার। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার ভিডিওটা হয়ত পাবলিক করতে পারত না, যেভাবে অডি গাড়ি সারপ্রাইজের ভিডিওটা আপলোড করে মিলিয়ন ভিউ অর্জন করা যায়। এই ভিডিওটাও বেশি মানুষ দেখছে, সেখান থেকেও তার ইনকাম হচ্ছে।’
২০ ঘণ্টা আগে

এনএসআই পরিচয়ে ভুয়া নিয়োগ, হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় প্রশিক্ষণ মডিউল বই, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, লিয়ন ইসলাম (২৫),  হুমায়ন কবির প্রিন্স (৩৬),  মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে পায়েল (২৩), রাজিয়া সুলতানা (২২), মোছা. রিপা আক্তার (২১) ও মোছা. রিখা মনি (১৭)। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গেল রোববার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ এবং এনএসআই যৌথ অভিযানে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ভাদাম পশ্চিমপাড়ার শহীদ মিয়ার ৫ তলা বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন, তারা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে দেশের যুবক ছেলেমেয়েদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাস্থলে এনে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং নিয়োগপত্র ও ভুয়া আইডি কার্ড প্রদান করে বিভিন্ন জেলা থানায় পোস্টিং, বদলি দিয়ে থাকে এবং তাদের নিজেদের তৈরি বিধি মোতাবেক পদোন্নতি ও শাস্তি দেয়। প্রতারণার শিকার আফরোজ, আশিক, সিনথি এবং কানিজ ফাতেমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভিকটিমদের এনএসআইতে চাকরি দেওয়ার জন্য ৫-৬ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন জেলায় পোস্টিং দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫-১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রটি চাকরিপ্রার্থী এক গ্রুপকে ভুয়া পোস্টিং অর্ডার দিয়ে সব টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর  তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র/ঠিকানা পরিবর্তন করে আসছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২১ ঘণ্টা আগে
X