গরমে ঝুঁকি এড়াতে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ
তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় গতি কমিয়ে সারা দেশে ট্রেন পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে এলাকাভেদে বিভিন্ন গতিতে চলবে ট্রেন। যেসব এলাকায় বৈশাখের তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে, সেখানে গতি কমবে। যেখানে তাপমাত্রা কম, সেখানে বেশি গতিতে চলবে। রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী কালবেলাকে বলেন, মূলত মৌসুমে গরমে সতর্কতার অংশ হিসেবে ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া রেলের কর্মীদের রেললাইনের তাপমাত্রা পরীক্ষা করাসহ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৈশাখ শুরুর আগেই রাজধানীতে তাপমাত্রা ৪০ ছুঁইছুঁই। এই গরমে দেশের রেললাইনগুলোতে তাপমাত্রা গিয়ে ঠেকছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চলছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপমাত্রা বেশি হলে, লাইন বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, স্থান ও রেললাইনের বয়স বিবেচনায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটিকে স্ট্যান্ডিং অর্ডার বা স্থায়ী আদেশ বলা হয়। মূলত সকাল ১১ টাকা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গতি কমানো হয়। কারণ, এই সময় সূর্যের প্রখর তাপে রেললাইন বেশি গরম হয়। রেলওয়ের এক নির্দেশনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একটি ট্রেনকে বুধবার দুপুরে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, গরমে ট্রেনের গতি কমাতে একটা স্ট্যান্ডিং অর্ডার আছে। স্থান, কাল, পাত্রের ওপর নির্ভর করে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। আমাদের কর্মকর্তারা দেখেন ট্র্যাকের টেম্পারেচার কেমন, পরিবেশ কেমন তারপর নির্দেশনা দেন। যেখানে নতুন ট্র্যাক রয়েছে, সেখানে ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নিতে পারে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

গরমে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ
দিন দিন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় সড়কে যেমন দুর্ঘটনা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে তেমনি রেলপথেও ঘটতে পারে বিপত্তি। রেললাইন বেঁকে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।  এ জন্য এসব দুর্ঘটনা রোধে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনসহ সব ধরনের ট্রেন গতি কমিয়ে চালাতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কমার তালুকদার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়ছেন, তাপমাত্রার কারণে লাইন বেঁকে যায় আর এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার কারণে রেলওয়ের কন্ট্রোলরুম থেকে তাদের গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, মূলত বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নির্দেশনা বহাল থাকে। তার পরও তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে এই সময় কমবেশি হতে পারে। তাপমাত্রা যখন থেকেই প্রতিকূল অবস্থায় থাকে, তখনই এই নির্দেশনা কার্যকর হয়।  জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একটি সেকশনের একটি ট্রেনকে আজ বুধবার দুপুরে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘স্থান, কাল, পাত্রের ওপর নির্ভর করে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। অর্থাৎ কোনো একটি নির্দিষ্ট সেকশনের পরিবেশ, ট্র্যাকের কন্ডিশনসহ সবকিছু বিবেচনা করে এটি কার্যকর হয়।’ 
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

দুর্ঘটনা রোধে কম গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশ
বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের একদফা কর্মসূচি হরতাল-অবরোধের কারণে সিডিউল বিপর্যয় ও নাশকতার কারণে দুর্ঘটনা রোধে কম গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।  বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী এক জানুয়ারি থেকে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে নুতন একটি আন্তঃনগর ট্যুারিস্ট ট্রেন ও খুলনা-যশোর-মংলা-যশোর-খুলনা রুটে যাত্রীবাহী তিনটি ট্রেন সার্ভিস পরিচালনার ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী।  দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা রেল সংযোগের আওতায় এলেও চলছে না কোনো ট্রেন। তাই এবার যশোর থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথে চালু হচ্ছে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন। সেইসঙ্গে যশোর-খুলনা রুটে চলবে আলাদা এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন। এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, যশোর-মংলা রুটে শোভন কোচের ভাড়া ১২৫ টাকা, শোভন চেয়ারে ১৫০ ও প্রথম শ্রেণিতে ভাড়া ২০০ টাকা লাগবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খুলনা-যশোর-মংলা-যশোর-খুলনা রুটে ১১৩ থেকে ১১৮ নম্বর মংলা কমিউটার ট্রেন চলবে। ট্রেনটিতে মোট কোচ থাকবে ৮টি (শোভন সাধারণ পাঁচটি, পাওয়ার কার একটি, প্রথম সিট একটি, গার্ড ব্রেক একটি)। এতে মোট আসন থাকবে ৭০০টি (শোভন সাধারণ ৬৩২টি, প্রথম শ্রেণির সিট ২৪টি ও শোভন চেয়ার-৪৪টি)। ট্রেনটি যশোর থেকে মোংলা যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতি দেওয়া হবে- নোয়াপাড়া, দৌলতপুর, খুলনা মোহাম্মদনগর ও কাটাখালীতে। মোংলা-যশোর রুটে দিনের প্রথম ট্রেন যশোর ছাড়বে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ও মোংলা পৌঁছাবে ১০টা ২৫ মিনিটে। আর ফিরতি ট্রেন মোংলা ছাড়বে ১০টা ৪৫ মিনিটে আর যশোর পৌঁছাবে দুপুর ১টা ০৫ মিনিটে।   দ্বিতীয় ট্রেনটি যশোর ছাড়বে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে আর মোংলা পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে। আর মোংলা ছাড়বে ৪টা ৫০ মিনিটে এবং যশোর পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে যশোর-খুলনা রুটে দিনের প্রথম ট্রেনটি খুলনা থেকে ছাড়বে ৬টায় আর যশোর পৌঁছাবে ৭টা ১০ মিনিটে। আর যশোর থেকে ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ৯টার সময়। ১৬ কোচের ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আন্তঃনগর ট্যুরিস্ট ট্রেনটি সমুদ্রপাড় কক্সবাজার থেকে রাত আটটায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে সাড়ে ৪টায়। ঢাকা থেকে সোয়া ৬টায় ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে ৩টায়। আসন থাকবে ৭৮০টি। চার ধাপে ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে- শোভন চেয়ার ৬৯৫, স্নিগ্ধা ১৩২৫, এসি সিট ১৫৯০, এসি বার্থ ২৩৮০ টাকা।  মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা চলছে। দোহাজারি-কক্সবাজার রুটে ট্রেন লাইনের ফিস প্লেট, স্লিপার খুলে নেওয়া হচ্ছে। যাত্রী নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার দুই দিক থেকে ট্রেন ছাড়ার আগে ইঞ্জিন পাঠানোর পর যাত্রীবাহী ট্রেন ছেড়ে যায়। রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হাতিয়ার হিসেবে ট্রেনকেও আওতার বাইরে রাখা হয়নি। অথচ ট্রেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ট্রেন ও লাইনে নাশকতা করে রাজনীতির কী অর্জন হয় জানি না। মন্ত্রী আরও বলেন, আখাউড়া-আগড়তলা রুটে আপাতত মালবাহী ট্রেন চলবে। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে ট্রেন লাইন ঘিরে নাশকতা এড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আনসার চাওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মন্ত্রী হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করা নির্বাচনি আচরণ বিধি ভঙ্গ হয় না। কারণ মন্ত্রী হিসেবে রুটিন কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
X