উন্নয়ন কাজে ঠিকাদার পাচ্ছে না ডিএসসিসি
পুরান ঢাকার চানখাঁরপুলে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বহুতল মার্কেট নির্মাণে ২০১৭ সালে কার্যাদেশ দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এরপর সামান্য কিছু কাজ করে চার বছর প্রকল্পটি ফেলে রাখে ঠিকাদার। এ কারণে ২০২১ সালে বাতিল করা হয় কার্যাদেশ। নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগে তিনবার দরপত্র ও পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তি দিয়েও সাড়া পাচ্ছে না সংস্থাটি। মান্ডা খালকে স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে আনতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সেজন্য একটি প্যাকেজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। একে একে তিন দফা বিজ্ঞপ্তি দিয়েও পাওয়া যায়নি যোগ্য ঠিকাদার। এখন আবার পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে প্রকৌশল বিভাগ। মান্ডা খালের উন্নয়নকাজের দায়িত্বে থাকা ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের বলছেন, ‘খাল সংস্কারের একটি প্যাকেজের কাজে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তিনবার টেন্ডার করেছি, নিয়োগ করার মতো ঠিকাদার পাওয়া যায়নি। এখন আবার পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।’ শুধু মান্ডা খাল কিংবা পুরান ঢাকার চানখাঁরপুলই নয়—এমন অনেক প্রকল্পে কাজ দেওয়ার মতো ঠিকাদার পাচ্ছে না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঠিকাদার না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন জনবান্ধব উন্নয়নকাজ স্থবির হয়ে আছে। প্রায় সব কাজেই বারবার দরপত্র আহ্বান করেও মিলছে না ঠিকাদার। এতে উন্নয়নকাজে সময়ক্ষেপণ হওয়ার পাশাপাশি বিজ্ঞাপন বাবদ গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। সদস্য বিদায়ী বছরের জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় ডিএসসিসির দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ঘেঁটে দেখা গেছে, ওই সময়ের মধ্যে ২৫ বার বিভিন্ন প্রকল্পের পুনঃদরপত্রের বিজ্ঞাপন দিয়েছে সংস্থাটি। এর বাইরে দরপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪৫টি প্রকল্পে। সব মিলিয়ে পুনঃদরপত্র এবং সংশোধনী দরপত্রে উন্নয়নমূলক কাজের পরিমাণ দুই শতাধিক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিএসসিসির মেয়র বেশকিছু ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনলেও প্রধান প্রকৌশলীসহ কিছু প্রকৌশলীর খামখেয়ালির কারণে এসব উন্নয়নকাজে ঠিকাদার সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া কাজ শেষ করার পরও বিল পেতে নানা সমস্যা, নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকটসহ নানা কারণেই ঠিকাদাররা কাজে আগ্রহ হারিয়েছেন। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ও করপোরেশনের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত পাঁচ মাসে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া দরপত্রের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশে কার্যাদেশ দিতে পেরেছে ডিএসসিসি। এ সময়ে পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে নিউমার্কেটে নতুন ফুটওভার ব্রিজ, হাজারীবাগে কাঁচাবাজার, সূত্রাপুর আধুনিক কাঁচাবাজার ও চানখাঁরপুল মার্কেট নির্মাণ; মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন, কাজী আলাউদ্দীন সড়ক, আগাসাদেক সড়ক ও সিক্কাটুলি পার্ক এলাকায় সড়ক-নালা ও ফুটপাতের উন্নয়ন, জুরাইন কবরস্থানে লাশ দাফনের জন্য বাঁশ-চাটাই সরবরাহ ও কবর খনন, ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেট সংস্কার, নীলক্ষেত তুলা মার্কেট সংস্কার ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) সম্প্রসারণ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসটিএস সম্প্রসারণ, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক-নালা সংস্কার ও উন্নয়ন, অঞ্চল-৪-এর ১২টি ওয়ার্ডে সড়ক-নালা সংস্কার ও উন্নয়নের ১১টি কাজ; মেকানিক্যাল সার্কেলে মই, এক্সক্যাভেটর, রোড রোলার, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, পেলোডার, পানির ট্যাঙ্কিসহ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহ, অঞ্চল-১-এর সড়ক, ফুটপাত, নালা সংস্কার ও উন্নয়নের সাতটি কাজ; অঞ্চল-৫-এর সাতটি ওয়ার্ডে সড়ক-নালা সংস্কার ও উন্নয়নের ১১টি কাজ; অঞ্চল-২-এর চারটি ওয়ার্ডে সড়ক সংস্কার, গাছ কাটা, নালা ও সড়ক উন্নয়নের চারটি কাজ; সূত্রাপুর কাঁচাবাজার নির্মাণ, ১৪, ৫৫ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক ও নালার উন্নয়নকাজ; পাঁচটি পাবলিক টয়লেট ইজারা, কাঁঠালবাগানে নগর কাঁচাবাজার নির্মাণ, জিগাতলা এলাকার তিনটি সড়ক ও নালার উন্নয়নকাজ এবং পুরান ঢাকার ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী সড়ক, কেপি ঘোষ স্ট্রিট, বাগদাসা লেন, আবুল খায়রাত রোড, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কদমতলী ও মেরাজনগর এ ব্লকে সড়ক এবং নালার উন্নয়নকাজে। একই সময়ে সংশোধনী দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে কলাবাগান এলাকায় উন্নয়ন, অঞ্চল-৪-এর সড়ক ও নালা সংস্কার, উন্নয়নের ১১টি কাজ, অঞ্চল-২-এর সড়ক ও নালা উন্নয়ন, সংস্কার ও গাছ কাটার ১৪টি কাজ, অঞ্চল-৫-এর সড়ক ও নালা উন্নয়ন, সংস্কার ও গাছ কাটার ২৩টি কাজ, অঞ্চল-১-এর ১১টি উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-৫-এর সড়ক নালা সংস্কার, উন্নয়নের পাঁচটি কাজ, অঞ্চল-৪-এর সড়ক ও নালা সংস্কার, উন্নয়নের ২০টি কাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে সরঞ্জাম সরবরাহ, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক ফুটপাত ও নালা উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-১-এর সড়ক, নালা ও ফুটপাত সংস্কার এবং উন্নয়নের সাতটি কাজ, অঞ্চল-৫-এর সড়ক, নালা ও ফুটপাত সংস্কার ও উন্নয়নের তিনটি কাজ, অঞ্চল-৫-এর সড়ক ও নালা সংস্কার, উন্নয়নের তিনটি কাজ, অঞ্চল-৭-এর সড়ক ও নালা উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-৫-এর বিভিন্ন এলাকার সড়ক সংস্কার ও ট্রাফিক অবকাঠামোর কাজ, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে সরবরাহ কাজ, অঞ্চল-৩-এর সড়ক ও নালা সংস্কার, উন্নয়নের দুটি কাজ। অঞ্চল-৫-এর সড়ক ও নালা সংস্কার ও উন্নয়নের তিনটি কাজ, নগর ভবনে জেনারেটর ও বৈদ্যুতিক সরবরাহ, অঞ্চল-২-এর সড়ক ও নালা সংস্কার উন্নয়নের ছয়টি কাজ, অঞ্চল-৪-এর সড়ক ও নালা সংস্কার, অঞ্চল-১-এর সড়ক নালা সংস্কার, উন্নয়নের সাতটি কাজ, অঞ্চল-১-এর ১১টি উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-৫-এর সড়ক, নালা ও ফুটপাত সংস্কার ও উন্নয়নের ১১টি কাজ, বকশীবাজার জামে মসজিদ নির্মাণকাজ, অঞ্চল-২-এর ৯টি উন্নয়ন কাজ, অঞ্চল-৪-এর সড়ক ও নালা সংস্কার, উন্নয়নের ২৩টি কাজ, হাজারীবাগ কাঁচাবাজার নির্মাণ, অঞ্চল-২-এর সড়ক ফুটপাত ও নালা উন্নয়নের তিনটি কাজ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পাঁচটি কাজ, সূত্রাপুর আধুনিক কাঁচাবাজার, চানখাঁরপুল মার্কেট নির্মাণ, নীলক্ষেত তুলা মার্কেট, ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেটের উন্নয়নকাজ, নিউমার্কেটে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, অঞ্চল-৫-এর বিভিন্ন উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-৩-এর দুটি সড়ক উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-৩-এর একটি উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-৩-এর সড়ক, নালা ও ফুটপাত সংস্কার ও উন্নয়নের পাঁচটি কাজ, অঞ্চল-৭-এর একটি উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-৫-এর তিনটি উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-১-এর সাতটি উন্নয়নকাজ এবং অঞ্চল-৪-এর ছয়টি উন্নয়নকাজ, অঞ্চল-৩-এর তিনটি উন্নয়নকাজ, সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে টার্মিনাল ফি, টয়লেট, গোসলখানা ব্যবহার, গাড়ি ধৌতকরণ ফি ও কুলির মজুরি আদায় কাজ। গত তিন বছরে ডিএসসিসির কাজ করেছেন—এমন কয়েকজন ঠিকাদার কালবেলাকে জানান, বিটুমিন সাপ্লাই, সড়ক ও ফুটপাত রক্ষণাবেক্ষণের প্রায় ১ কোটি টাকার কাজ করেন তারা। নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। ভ্যাট ট্যাক্স বাদ দিয়ে ১ কোটি টাকার কাজে বিল দেওয়া হয় ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা। এ টাকা সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও করপোরেশনের প্রকৌশল দপ্তরের বেড়াজালে তা আটকে থাকে মাসের পর মাস। উত্তোলনে সময় লাগে ৩-৬ মাস। এ সময়ে বিল ওঠাতে প্রকৌশল দপ্তরেও কিছু খরচের বিষয় আছে। অন্যান্য দপ্তরও দেখতে হয়। এ ছাড়া তুচ্ছ কারণে প্রধান প্রকৌশলী অনেক বিল আটকে রাখেন। এভাবে কাজ করলে বিনিয়োগ ফেরত পাওয়াও সম্ভব নয়। প্রধান প্রকৌশলীর খামখেয়ালির কারণেই ডিএসসিসির উন্নয়নকাজে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে ঠিকাদাররা বলেন, ১ কোটি টাকার কাজ নিতে করপোরেশনে সিকিউরিটি মানি হিসেবে রাখতে হয় ১০ লাখ টাকা। এক বছর পর এই টাকা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ফেরত প্রদানের আইন থাকলেও নানা অজুহাতে দিন পর দিন তা আটকে রাখেন প্রধান প্রকৌশলী। লগ্নি করা অর্থ উত্তোলনে প্রকৌশল বিভাগে উপঢৌকন হিসেবে আবার টাকা দিতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। নগরীর একটি বিনোদন কেন্দ্রের উন্নয়নকাজ করে বিল পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা। তিনি অভিযোগ করেছেন, ২০ কোটি টাকার বিল আটকে রেখেছেন প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান। ওই ঠিকাদার বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর মর্জিমতো সবকিছু চলছে। উনি যদি মনে করেন এটা ঠিক, তাহলে ঠিক। উনি যদি মনে করেন বেঠিক, বেঠিক না হলেও বেঠিক বানিয়ে ছাড়ে। সিটি করপোরেশনে কাজের কোনো মূল্যায়ন নেই।’ পিপিআরের ১৬. ৫(ক), ১৬.৫ (খ), ৪, ১৯, ২১, ৭, ৩, ৬১(৪), ৮ এবং ২৯ ধারার বর্ণনামতে একটি উন্নয়নকাজের পরিকল্পনা থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন পাঠানো পর্যন্ত এক মাসের অধিক সময় ব্যয় হয়। এরপর ঠিকাদারদের টেন্ডারে অংশগ্রহণের জন্য ১৪ দিন থেকে ২৮ দিন সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে। সবমিলিয়ে একটা কাজের প্রাথমিক অবস্থায়ই প্রায় দুই মাস সময় লাগে। কিন্তু সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ কাজেই প্রথম টেন্ডার আহ্বানে ঠিকাদার পাওয়া যায় না। ফলে দুই মাস নষ্ট হয়। এরপর পুনঃদরপত্র এবং দরপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বানেও ব্যয় হয় অনেক সময়। করপোরেশনের নথি বলছে, অনেক কাজের ক্ষেত্রে তিনবারও পুনঃদরপত্রের আহ্বান জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ফলে শুধু দরপত্র আহ্বানেই অনেক সময় ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান কালবেলাকে বলেন, ‘এতদিন দেখা যেত, সিটি করপোরেশনের কাজ হলে তা পাওয়ার জন্য অনেক আগ্রহী থাকত। অনেক সময় দলীয় লোক, নিজের লোক, আত্মীয়স্বজন সবমিলিয়ে টেন্ডারটি মুরগির মতো হয়ে যেত। হঠাৎ করে উল্টোপথে যাত্রা। বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় এটা বেশ অস্বাভাবিক, এ রকম সাধারণত হয় না। বরং লোকের অভাব থাকে না, টেন্ডার ড্রপ করতে হয়। যে টেন্ডার নেবে, সে একাই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ঠিকাদারদের আগের লেনদেনগুলোর প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা, আস্থাহীনতা, সমন্বয়হীনতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। লেনদেনগুলোর প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে। অনেক সময় কাজের বিল পেতে দেরি হয়।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে কিংবা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিল পাওয়া নিয়ে ঠিকাদারদের শঙ্কা থাকতে পারে। বিপুল অর্থ ব্যয়ে বারবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে কী কারণে ঠিকাদাররা মুখ ফিরিয়ে নিল, সিটি করপোরেশনের তা তথ্যানুসন্ধান করা উচিত। ঠিকাদাররা কাজ খুঁজে পান না, কাজ করতে আগ্রহী হাজার হাজার ঠিকাদার বসে আছেন। সেখানে বারবার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে কেন? এগুলো সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয় কাজ। আমাদের জনগণের সেবামূলক কাজ। কাজগুলো যদি বন্ধ থাকে, সেবা প্রদান বিলম্বিত হবে।’ এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সম্প্রতি ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের কার্যালয়ে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তার ব্যক্তিগত সহকারী কালবেলাকে জানান, ‘মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে কথা বলতে পারবেন না প্রধান প্রকৌশলী।’ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আগের তুলনায় সক্ষমতা অর্জন করেছে। মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে গত তিন বছরে রাজস্ব আয় দ্বিগুণ হয়েছে। কাউন্সিলর ও সংসদ সদস্যদের বরাদ্দ এ বছর থেকে দ্বিগুণ করা হয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা তাদের কল্যাণে বেশি ব্যয় করার কারণেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বেড়েছে। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্প এলাকা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনের আলোকে ঠিকাদারের বিল নিষ্পত্তি করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘যথারীতি দরপত্র আহ্বান করা হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পুনঃদরপত্র বা একাধিক দরপত্র আহ্বান বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। এটি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে বাস্তবায়নের প্রমাণ। যথাসম্ভব কম অর্থ ব্যয়ে সর্বোচ্চ মানের কাজ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়। এতে বিজ্ঞাপন বাবদ কিছু বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে ঠিক; কিন্তু প্রকল্পকে মানসম্পন্ন ও স্থায়িত্বশীল করা সম্ভব হলে তা অনেক বেশি অর্থবহ হবে।’
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।  আগামী মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬-১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।  বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবিরের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৬৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ‘ প্লাস ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ (১ লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ (২ লাখ আইইউ) ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’  সভায় জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) লাইন ডিরেক্টরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি, করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা, গালর্স গাইড-রোভার স্কাউট-রোটারি ক্লাব, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প (ইউপিএইচসিএসডিপি), আবু মিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, মা ও শিশু উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিও হেলথ সার্ভিস ডেলিভারি প্রোগ্রাম (এনএইচএসডিপি) এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

জন্মদিনে পিতার কবরে মেয়র তাপসের শ্রদ্ধাঞ্জলি 
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পিতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’র ৮৫তম জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন মেয়র তাপস।  সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি। ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনোয়ার ইকবাল সেন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পীসহ করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পিতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’র ৮৫তম জন্মদিন যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে দিনব্যাপী নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বিকেল ৩টায় নগর ভবন প্রাঙ্গণে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।  
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

ক্যানসারে আক্রান্ত জানার ২০ দিনেই চলে গেলেন ডিএসসিসি কর্মকর্তা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা ও বর্তমান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় মারা গেছেন।  শনিবার (৪ নভেম্বর) ভোররাতে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ডিএসসিসি পরিবার। করপোরেশন পরিবার তার আত্মার শান্তি কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, উত্তম কুমার ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। শরীর খারাপ হওয়ায় পরীক্ষা করাতে গিয়ে ২০ দিন আগে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি ক্যানসারের চতুর্থ স্টেজের রোগী ছিলেন। তারপর মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তার ক্যানসার টিউমারের অপারেশন হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুই দিন আগে তাকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।  মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
০৪ নভেম্বর, ২০২৩

পানি সরতে দেরি / ৪ জনের কৈফিয়ত চায় ডিএসসিসি
রাজধানীর নিউমার্কেট ও বকশীবাজার এলাকার জলাবদ্ধতা ২৪ ঘণ্টায় দূর করতে না পারায় চার কর্মকর্তার কৈফিয়ত চেয়েছে ডিএসসিসি। বৃষ্টি শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়রের নির্দেশনা থাকার পরও ওই এলাকায় কেন ২৪ ঘণ্টায়ও পানি অপসারণ করা যায়নি, তিন কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের। ওই চারজন হলেন ডিএসসিসির সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসগর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুন নুর ও মোহাম্মদ সোহেল। গতকাল রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী কৈফিয়ত চেয়ে তাদের কাছে চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ। এর মাধ্যমে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টিতে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চারপাশের সড়ক এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার নিউমার্কেটের ভেতরে ও বাইরে জলাবদ্ধতা হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে জলাবদ্ধতার চিত্র নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সুনাম ব্যাপক ক্ষুণ্ন হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, আপনার অধীন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে এবং আপনিও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি, যা দায়িত্ব পালনে গাফিলতির বহিঃপ্রকাশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় ঢাকায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টিতে ঢাকার প্রায় সব সড়কে পানি জমে যায়। পানিতে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ওইদিন মিরপুরে চারজনের মৃত্যু হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স সেবা শুরু করল ডিএসসিসি
শুরু হলো দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স সেবা। এই ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘প্রতি বছর ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে নানা ভোগান্তি হতো, হয়রানির শিকার হতেন ব্যবসায়ীরা। নতুন এ কার্যক্রমের ফলে আর হয়রানির সুযোগ নেই, সব হবে অনলাইনে। এই ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়নের জন্য আর কাউকে দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হবে না। এগুলোর সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনেই। হয়রানি বন্ধে পাঁচ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।’ তিনি বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমে হবে। একজন ব্যবসায়ী মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। আমরা বলতে পারি, এদিক দিয়ে আমরা এখন আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গেছি। ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে ট্রেড লাইসেন্স পাঁচ বছরের জন্য দেওয়া হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন পদ্ধতি চালু করেছি। দক্ষিণ সিটির আওতাধীন ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।’ তাপস আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এমসিসিআই। অভ্যন্তরীণ পণ্য উৎপাদনের মোট ৪০ শতাংশ হয় ঢাকায়। অবকাঠামো উন্নয়নে হার্ড ও সফট উন্নয়ন হয়। মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ার পর আজ হার্ড অবকাঠামো উন্নয়নের সুফল পাচ্ছি। এর সঙ্গে সফট উন্নয়ন বিশেষ করে ডিজিটালি টিকিটিং ব্যবস্থা যোগ হওয়ায় আর ভোগান্তি নেই। ব্যবসায়ীরাও এর সুফল পাচ্ছেন। আগে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা হয়রানির মুখে পড়তেন। এতে ব্যবসায়িক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল। এখন আর কোনো হয়রানির মধ্যে পড়তে হবে না, কারো দপ্তরে দিনের পর দিন ঘুরতে হবে না।’ এ সময় অনুষ্ঠানে এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ট্রেড লাইসেন্স ছিল স্বল্পমেয়াদের জন্য, বছরে বছরে নবায়ন করতে হতো। এতে প্রতি বছর ব্যবসায়ীদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হতো। এএমসিসিআইর পক্ষে আমরা পলিসি মেকার ও সরকারপ্রধানকে জানিয়েছিলাম। ফলে আজ ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ পাঁচ বছর করা হলো। সে জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে আমরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।’
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিদ্যুৎ বিল ও ডিমান্ড চার্জ বাড়িয়েছে ডিএসসিসি
বিদ্যুৎ বিল ও ডিমান্ড চার্জ বাড়িয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। করপোরেশনের আওতাধীন ভাড়া ও ইজারায় পরিচালিত স্থাপনাগুলোকে এই বাড়তি বিল পরিশোধ করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন চার্জ চলতি বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম হবে ১৭ টাকা ৬৬ পয়সা, যা আগে ছিল ১৫ টাকা ৩৬ পয়সা। এ ছাড়া মিটারের ডিমান্ড চার্জ মাসিক ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে। অফিস আদেশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুতের নতুন ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী নতুন বিল ও ডিমান্ড চার্জ নির্ধারণ করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।  
২২ জুলাই, ২০২৩
X