ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীকে রেখে বিদেশ গিয়ে বসে থাকিনি : সাঈদ খোকন
আমি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, আমার সময়ে ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপক হারে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। কিন্তু আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালীন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখিনি। আমি অন্তত ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীকে রেখে বিদেশ গিয়ে বসে থাকিনি। শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সকাল ১০টায় মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।  এ সময় তিনি মেয়র থাকাকালে ডিএসসিসি যেসব সফলতা অর্জন করেছে তা ফের নগরবাসী ও গণমাধ্যমে সামনে তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের সঠিক তথ্য তুলে ধরেন এই সংবাদ সম্মেলনে। এর আগে গত ১৫ মে মালিবাগ মোড় সংলগ্ন উড়ালসেতুর নিচে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ৪২ হাজার কম ছিল।  মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ১ লাখ ৫৫ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গতবছর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল যে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে যাবে। আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমাদের মশককর্মী, যান-যন্ত্রপাতি, মানসম্পন্ন  কীটনাশক মজুত ও কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি। রোগীদের ঠিকানার ৪০০ গজের মধ্যে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনায় আমাদের মশককর্মীরা কাজ করেছে। ফলে সফলতার সঙ্গে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই ২০২৩ সালে উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার। সুতরাং, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। এ বছরও সবার সহযোগিতায় ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব, ইনশাআল্লাহ। বর্তমান মেয়রের এমন বক্তব্যের পরই ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সংবাদ সম্মেলনে এসে তার মেয়র থাকাকালীন উন্নয়েন কার্যক্রম তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর ঢাকাসহ সারাদেশে এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭৯ জন মারা যান। তারপরও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছি। যদিও ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দেশের ইতিহাসে অতীতের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকাতেই এক লাখ ১০ হাজার আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। একই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৮০ জন মারা যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য এবং সংসদীয় স্থানীয় সরকার বিষয়ক কমিটির সদস্য। সেহেতু সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়রের সমালোচনা আমি যত্রতত্র করতে পারি না। যেহেতু বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের সরকারের মনোনীত মেয়র, আমার একটা ফোরাম আছে সেখানে আমি বর্তমান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও তার মেয়রের বিষয় মতামত দিতে পারি। তবে আমি আমার মেয়র থাকার সময়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমার ভূমিকা ও কাজ তুলে ধরতেই পারি জনগণের সামনে।  তিনি আরও বলেন, আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র থাকাকালীন সময়ের হয়তো আহামরি ট্যাক্স ভ্যাট আদায় করতে পারিনি। কিন্তু নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে চেষ্টা করেছি। কারণ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনদুর্ভোগ কমানো ছিল আমার মূল দায়িত্ব। রাজস্ব আদায় বা সিটি টোলের নামে রিকশা, সিএনজি, সবজি বহনকারী ট্রাক-লড়ি থেকে  চাঁদাবাজি করার কোনো ধরনের ইচ্ছা বা চেষ্টা আমার ছিল না। মেয়র থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এখন জাতীয় সংসদের ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে আমার যতটুকু কথা বলার কথা আমি তা বলেছি বর্তমান সংসদে। আমি সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি  বন্ধ করার সুপারিশ করেছি, আমি পরিবেশমন্ত্রীকে বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করে আবারও তার স্বাভাবিক চেহারায় ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করার অনুরোধ করেছি। আমি আমার বাবা মেয়র হানিফের দেখানো পথে হাঁটছি ঢাকাবাসী হয়ে কাজ করার জন্য। 
১৮ মে, ২০২৪

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৪৪৯ জন মারা গেলেন। বৃহ্স্পতিবার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৭৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩৬০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৬ হাজার ৩৬০ জন রোগী চিকিৎসাধীন। গত ২০ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২১ জন মারা গেছেন, যা এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যু। এর আগেও, গত ২ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু
খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। ডেঙ্গুতে মৃতরা হলেন- বাগেরহাট জেলা সদর এলাকার শাহীন (৬৫) এবং নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পদ্মবিল এলাকার কমলা (৩২)। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুজন রোগী মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। এ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭১০ জন। হাসপাতালে বর্তমানে ২৮৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬ জন।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩

দক্ষিণ সিটিতে দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত অর্ধশতে সীমাবদ্ধ- মেয়র তাপস
মাসখানেক ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৫০ থেকে ৫৪ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল শনিবার সকালে রেড জোন ঘোষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিগাতলা এলাকায় মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান। শেখ তাপস বলেন, উৎস নিধনের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজন্মস্থল ধ্বংস করার কার্যক্রম চলছে। এতে গত এক মাসে দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বলছে, রাজধানীতে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল। প্রতিদিনের তদারকি অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে লক্ষ্য করেছি, দৈনিক গড়ে ৫০-৫২ কিংবা ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। কোনোভাবেই যেন এটি আর না বাড়ে, সেজন্যই ব্যাপক কার্যক্রম চলছে। মেয়র বলেন, গত সপ্তাহের পর্যালোচনায় ১৪ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই ওই দুটি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করে ব্যাপক প্রচার, চিরুনি অভিযান ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এ সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের শিরিন গাফফার, শেফালী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঈশ্বরদীতে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ইব্রাহিম হোসেন হেলাল (৫৬) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।  নিহত ইব্রাহিম হোসেন হেলাল উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুরের আফতাব উদ্দিন খন্দকারের ছেলে এবং কালিকাপুর আব্দুল জব্বার খান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি আঞ্চলিক শাখার (পাবনা-সিরাজগঞ্জ) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।   দাশুড়িয়া ইউপি সদস্য মো. সানাউল্লাহ জানান, ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে ইব্রাহিম হোসেন হেলাল কয়েকদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। কিন্তু বিষয়টি সে সময়ে আমলে নেননি তিনি। গত ৩/৪ দিন আগে জরুরি কাজ সম্পাদন ও স্ত্রীর চিকিৎসার খরচের টাকা নেওয়ার জন্য ঈশ্বরদীর বাড়িতে আসেন, ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল তার।  তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ ইব্রাহিম হোসেন হেলালের শরীর বেশি খারাপ হলে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়টি ধরা পড়ে। চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই বিকেলে মারা যান তিনি।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে কালিকাপুর আব্দুল জব্বার খান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে আজমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গু আক্রান্ত সাবিলা নূর!
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাবিলা নূর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতে ক্যানোলা লাগানো একটি ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। এ সময় সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন। পোস্টে ভক্তরা তার সুস্থতা কামনা করেছেন। তবে অনেকে সাবিলাকে খোঁচা দিয়েও মন্তব্য করেছেন। সেগুলোর জবাব দিতে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। একজন লিখেছেন, ‘চিন্তা করো না। এটা শুধুই ব্যাংককের প্রভাব।’ যুবকের এমন মন্তব্যের জবাবে সাবিলা লিখেছেন, ‘দুঃখিত? আমি ব্যাংকক থেকে দেশি ফিরেছি গত ২৪ আগস্ট। তাহলে এটা কীভাবে ব্যাংককের প্রভাব হলো?’ এরপর সাবিলা লিখেছেন, ‘যখন ডেঙ্গুর মতো একটি রোগ চারদিকে ছড়িয়ে আছে, তখন আপনি কীভাবে বলতে পারেন যে একটি শুটিং ট্রিপ আমার অসুস্থতার কারণ?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, আপনার এ শব্দগুলোর পেছনে খুব খারাপ কিছুই লুকিয়ে আছে। কিন্তু জেনে রাখুন, যদি আপনি কাউকে ভালো কিছু না বলতে পারেন, তবে সবাইকে কিছু না বলাই ভালো আপনার জন্য।’ সাবিলার সেই মন্তব্য ভক্তদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তারাও অভিনেত্রীর পাশে আছেন। প্রিয় তারকাকে নিজেদের হৃদয়েই রেখেছেন বলে জানিয়েছেন ভক্তরা।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গু আক্রান্ত পরিবেশমন্ত্রী, হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মী রাজীব দেব নাথ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২২ আগস্ট তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরিবেশমন্ত্রী বিএসএমএমইউয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কয়েকদিন আগে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কম পাওয়া গেছে। তবে বর্তমানে তিনি ভালো আছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গু আক্রান্ত সাড়ে ৬০০ ছাড়াল
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে ২ হাজার ৭৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জানা যায়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ১৩২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৪৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬২ হাজার ৪৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৩ হাজার ৪৭৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১২৭ জন। ঢাকায় ৫৭ হাজার ৯১৫ এবং ঢাকার বাইরে ৬৮ হাজার ২১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৬৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত এমাদুল হোসেন (৩২) নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া পুলিশ সদস্য এমাদুল সীতাকুণ্ড উপজেলা বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের পশ্চিম মান্দারীটোলা গ্রামের মৃত আবু বক্কর মিন্টুর ছেলে। বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকত উল্লাহ মিয়াজী বলেন, মৃত পুলিশ সদস্যের পরিবার সূত্রে জেনেছি, এমাদুল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
২১ আগস্ট, ২০২৩

ডেঙ্গু আক্রান্ত লাখ ছুঁইছুঁই মৃত্যু আরও ১০
চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ অতীতের সব রেকর্ড ভাঙার পথে রয়েছে। বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গতকাল রোববার আরও ২ হাজার ১৩৪ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৫ জন, বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ জন। একই সঙ্গে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৭ হাজার ৫৮২ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৯৯ হাজার ৯৯৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৮ হাজার ৪৫৬ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১ হাজার ৫৩৮ জন। ‘ডেঙ্গু কোথায় থামবে বলা যাচ্ছে না’: ডেঙ্গুর ৩৩তম সপ্তাহে রাজধানীর পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী দেখা গেছে। রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিম্নমুখী হলেও কোথায় গিয়ে থামবে, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল রোববার দুপুরে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের ২৯-৩০ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। এরপরই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কমতে শুরু করে। তবে ৩১-৩২ সপ্তাহে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গেছে।
২১ আগস্ট, ২০২৩
X