সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করছে ডেনমার্ক
সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মতো নারীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে ডেনমার্ক। এ ছাড়া সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক কাজের সময়ও বাড়ানো পরিকল্পনা করছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল নারীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক নয়, ডেনমার্ক সামরিক খাতে তাদের ব্যয়ও বাড়াতে যাচ্ছে। দেশটি সামরিক খাতে ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আগামী পাঁচ বছর তাদের বরাদ্দ বাড়িয়ে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার করতে চাইছে। ডেনমার্কে এখন কেবল পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক নিয়োগের বিধান রয়েছে। তবে নারীরা স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারেন। দেশটির সরকার ২০২৬ সাল থেকে নারীদেরও সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগের বিধান কার্যকর করতে চলেছে। এটি কার্যকর হলে নারীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক  করার তালিকায়  ইউরোপের তৃতীয় দেশ হবে ডেনমার্ক। এর আগে নরওয়ে ও সুইডেনও একই নিয়ম চালু করেছে।  বুধবার সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিধিতে সংস্কার আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেন, সরকার  পুরোপুরি লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে চাইছে। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের নতুন করে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করছি মানে এই নয় যে আমরা যুদ্ধ চাই। আমরা আমরা এটি করছি কারণ আমরা যুদ্ধ এড়াতে চাই। ডেনমার্কের সেনাবাহিনীতে এখন চার মাস বাধ্যতামূলক কাজ করতে হয়। তবে এ সময়সীমা বাড়িয়ে ১১ মাস করার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার।  ডেনমার্কে গত বছর চার হাজার ৭০০ মানুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ নারী রয়েছেন। তবে এ সংখ্যা ৫ হাজার করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। ইউরোপের এ দেশে  ৬০ লাখ জনসংখ্যা রয়েছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ২০ হাজার সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া পেশাদার সেনা রয়েছেন প্রায় ৯ হাজার।
১৪ মার্চ, ২০২৪

কোরআন অবমাননা নিষিদ্ধ করল ডেনমার্ক
মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে পবিত্র কোরআন অবমাননা নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছে ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ ডিসম্বের) দেশটির সংসদে এ আইন পাস হয়েছে। খবর রয়টার্সের। বৃহস্পতিবার নতুন আইন নিয়ে ডেনমার্কের সংসদে পাঁচ ঘণ্টা বিতর্ক হয়। দীর্ঘ এই বিতর্কের পর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটাভুটিতে ৯৪ জন সংসদ সদস্যের ভোটে আইনটি পাস হয়েছে। আইনটির বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৭৭টি। সংসদে নতুন এই আইন পাস হওয়ার ফলে এখন থেকে ডেনমার্কে কোরআন অবমাননা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের দায়ে দুই বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে। তবে কোরআন অবমাননা অপরাধ হলেও ধর্মের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়া অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। চলতি বছর ডেনমার্ক ও প্রতিবেশী সুইডেনে বেশ কয়েকটি কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। ডেনমার্কের বিচারমন্ত্রী পিটার হামেলগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাস থেকে তাদের দেশে কোরআন অবমাননাসহ ৫০০টির বেশি বিক্ষোভ হয়েছে। এসব ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়ে দেশ দুটি। এমনকি তাদের দেশে কোরআন অবমাননা নিষিদ্ধের দাবি উঠে। এমন পরিস্থিতিতে কোরআন অবমাননা নিষিদ্ধ করে আইন পাস করল দেশটি। বিচারমন্ত্রী পিটার বলেন, এই ধরনের বিক্ষোভ অন্যান্য দেশের সঙ্গে ডেনমার্কের সম্পর্ক, আমাদের স্বার্থ ও শেষ পর্যন্ত আমাদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তবে নতুন এই আইন ভালোভাবে নেয়নি সুইডেন ও ডেনমার্ক সরকারের সমালোচকরা। তারা বলছেন, এই আইনের কারণে ডেনমার্কে বাকস্বাধীনতা খর্ব হবে। অভিবাসনবিরোধী ডেনমার্ক ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ইঙ্গার স্টোজবার্গ বলেছেন, এ আইনের জন্য ইতিহাসে আমাদের কঠোর বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে। আর এর সঙ্গত কারণও আছে। মুসলিম বিশ্বের ক্ষোভের মুখে সুইডেন সরকারও কীভাবে কোরআন অবমাননা রোধ করা যায় তা বিবেচনা করছে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

এবার কোরআন অবমাননা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে ডেনমার্ক
ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননায় বিশ্বের অনেক দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ডেনমার্ক। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দেশটি এ সংক্রান্ত এক আইন প্রস্তাব করেছে। খবর আরব নিউজের। ডেনমার্কের বিচারমন্ত্রী পিটার হামেলগার্ড সাংবাদিকদের বলেন, সরকার একটি বিল উপস্থাপন করবে, যেখানে ‘একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় গুরুত্বের বস্তুর প্রতি অনুপযুক্ত আচরণ নিষিদ্ধ করবে।’ আইনটি বিশেষ করে জনসমাগমস্থলে অগ্নিসংযোগ ও অপবিত্রতাকে লক্ষ্য করবে বলেও মন্ত্রী জানান। হামেলগার্ড বলেন, কোরআন পোড়ানো ‘মৌলিকভাবে অবমাননাকর ও সহানুভূতিহীন কাজ’, যা ‘ডেনমার্ক ও এর স্বার্থের ক্ষতি করে’। হামেলগার্ড জানান, নতুন আইনটি ডেনমার্কের দণ্ডবিধির ১২ অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা জাতীয় নিরাপত্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে। নিষেধাজ্ঞার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান ‘অনুপ্রেরণা’ উল্লেখ করে বিচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বসে থাকতে পারি না, যখন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি সহিংস প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। যারা আইন ভঙ্গ করবে তাদের জরিমানা ও দুই বছরের জেল হতে পারে। এদিকে পবিত্র কোরআন পোড়ানো বন্ধ করতে দেশের আইন সংশোধনের কথা জানিয়েছে সুইডেন সরকার। আইন সংশোধন হলে যে কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি দেবে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানী স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে সুইডেনের বিচারমন্ত্রী গানার স্ট্রম জানান, দেশের আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে শিগগিরই একটি কমিশন নিয়োগ দেওয়া হবে। সুইডেনের বিতর্কিত বাকস্বাধীনতা আইনের কারণে দেশটিতে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ধর্ম অবমাননার ঘটনা ঘটছে। এতদিন এই আইন পরিবর্তনের বিষয়টি নাকচ করে আসছিল সরকার। গানার স্ট্রম বলেন, সম্প্রতি দেশে টানা বেশ কয়েকটি কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে সুইডেনের বিরুদ্ধে হুমকি আসছে। ফলে সুইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তাকে আমরা কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। সম্প্রতি সুইডেনে বেশ কয়েকটি কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সমগ্র বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকি বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসির উদ্যোগে জাতিসংঘে সুইডেনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
২৫ আগস্ট, ২০২৩

কোরআন অবমাননা ঠেকাতে আইনি পথ খুঁজছে ডেনমার্ক
নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক উদ্বেগের কারণে কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননা করার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে ডেনমার্ক। খবর বিবিসির।  আরও পড়ুন : লেবাননে ফিলিস্তিনি শিবিরে সংঘর্ষ, ফাতাহ কমান্ডারসহ নিহত ৬ ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের বিক্ষোভ চরমপন্থিদের উপকার করে এবং নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করে। এদিকে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সেখানেও একই ধরনের আইনি প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেন ও ডেনমার্ক সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপের মুখে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ একাধিক বিতর্কিত বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার পরে যেখানে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন অবমাননা করা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়েছিল দেশ দুটির।  আরও পড়ুন : ভারতে চলন্ত ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে নিহত ৪ এক বিবৃতিতে ডেনমার্ক জানায়, এই বিক্ষোভ ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক খ্যাতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননা সরকারের পূর্বের নিন্দার পুনরাবৃত্তি করে। এই বিক্ষোভের মাধ্যমে ডেনমার্ককে এমন একটি দেশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে যে, ডেনমার্ক অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং ঐতিহ্যের অবমাননায় সহায়তা করছে। সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে আইনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছি। জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্বজুড়ে সুইডিশদের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা বিবেচনা করা হচ্ছে। গত জুন মাসে সুইডেনে বসবাসকারী একজন ইরাকি খ্রিস্টান উদ্বাস্তু স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে ধর্মীয় পাঠ্যের একটি অনুলিপি পুড়িয়ে দেয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে গত সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো কোরআন অবমাননা করার অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে সুইডেন বাগদাদ থেকে তার দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে দুজন ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থি কর্মী কোপেনহেগেনে ইরাকের দূতাবাসের বাইরে পবিত্র কোরআন অবমাননা করেন।
৩১ জুলাই, ২০২৩

ফের পবিত্র কোরআনে আগুন দিল ডেনমার্ক
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে। সোমবার (২৪ জুলাই) ডেনমার্কের রাজধানীতে থাকা ইরাকি দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় একটি উগ্র মুসলিমবিদ্বেষী গোষ্ঠী। এর আগে, গত শুক্রবার (২১ জুলাই) কোপেনহেগেনে পুলিশি পাহাড়ায় ইরাকি পতাকা ও পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ড্যানিশ প্যাট্রিওটস নামের একটি উগ্রগোষ্ঠী সদস্যরা। সম্প্রতি সুইডেনে পবিত্র কোরআনে আগুন দেয় এক ইরাকি খ্রিষ্টান অভিবাসী। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এছাড়া সুইডিশ দূতাবাসের সামনেও জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। এমন অবস্থার মধ্যে এবার ডেনমার্কে সম্প্রতি কোরআনে আগুন দেওয়া হয়। আবারও দেশটিতে একই ঘটনা ঘটলো।  কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বাগদাদে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাক। একই সঙ্গে স্টকহোমে নিযুক্ত ইরাকের রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটি। স্টকহোমে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘিরে ইরাক-সুইডেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চরম অবনতির মাঝে ইরাকের সরকার ওই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। গত মাসে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর জেরে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসে শত শত ইরাকির হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ ইরাকিদের আশ্বস্ত করে ইরাকের সরকার আবারও কোরআন পোড়ানো হলে সুইডেনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেয় ইরাক। গত ২১ জানুয়ারি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ান পালুদান নামে সুইডেন ও ডেনমার্কের এক যৌথ নাগরিক। এর আগে, গত বছর এপ্রিলে পালুদান ঘোষণা দেন, পবিত্র রমজান মাসে তিনি বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পবিত্র কোরআন পোড়াবেন। তাঁর এ ঘোষণায় সুইডেনজুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। সেই ঘোষণা মোতাবেক তিনি প্রথমে সুইডেনে, এরপর ডেনমার্কে এ কাণ্ড ঘটালেন। 
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

বাংলাদেশকে ৪৭৪ কোটি টাকা অনুদান দেবে ডেনমার্ক
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, যুবদের ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতা উন্নত করা নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশকে ৪৭৪ কোটি টাকা অনুদান দেবে ডেনমার্ক সরকার। এজন্য দুই দেশের মধ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সই হয়েছে। গতকাল বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং ডেনমার্ক সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন সই করেন। এ সময় ঢাকার ডেনমার্ক দূতাবাস এবং ইআরডির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই অনুদান চুক্তির উদ্দেশ্য বাংলাদেশ সরকারের জন্য দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন কর্মসূচি ২০২৩-২৮ বাস্তবায়ন করা। এজন্য ডেনমার্ক তাদের নিজস্ব মুদ্রায় ডিকেকে ৩০০ মিলিয়ন দেবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৭৪ কোটি টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ডেনমার্ক সরকার এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ৫০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ সময় কৃষি, পানি ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে ডেনমার্ক বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে। এ ছাড়া ডেনমার্ক ট্রেড কাউন্সিলের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।
০৮ জুন, ২০২৩
X