নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক উদ্বেগের কারণে কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননা করার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে ডেনমার্ক। খবর বিবিসির।
আরও পড়ুন : লেবাননে ফিলিস্তিনি শিবিরে সংঘর্ষ, ফাতাহ কমান্ডারসহ নিহত ৬
ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের বিক্ষোভ চরমপন্থিদের উপকার করে এবং নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করে। এদিকে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সেখানেও একই ধরনের আইনি প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেন ও ডেনমার্ক সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপের মুখে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ একাধিক বিতর্কিত বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার পরে যেখানে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন অবমাননা করা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়েছিল দেশ দুটির।
আরও পড়ুন : ভারতে চলন্ত ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে নিহত ৪
এক বিবৃতিতে ডেনমার্ক জানায়, এই বিক্ষোভ ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক খ্যাতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননা সরকারের পূর্বের নিন্দার পুনরাবৃত্তি করে। এই বিক্ষোভের মাধ্যমে ডেনমার্ককে এমন একটি দেশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে যে, ডেনমার্ক অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং ঐতিহ্যের অবমাননায় সহায়তা করছে।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে আইনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছি। জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্বজুড়ে সুইডিশদের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত জুন মাসে সুইডেনে বসবাসকারী একজন ইরাকি খ্রিস্টান উদ্বাস্তু স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে ধর্মীয় পাঠ্যের একটি অনুলিপি পুড়িয়ে দেয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে গত সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো কোরআন অবমাননা করার অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে সুইডেন বাগদাদ থেকে তার দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে দুজন ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থি কর্মী কোপেনহেগেনে ইরাকের দূতাবাসের বাইরে পবিত্র কোরআন অবমাননা করেন।
মন্তব্য করুন