আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও কমছে না তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশবাসী। এর মধ্যেই আরও একদিন হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  এমন আবহাওয়ার মধ্যেই গত কয়েকদিন ধরেই ঝোরো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। আজও দেশের ৮ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  রোববার (৫ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।  পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। সোমবার যেমন থাকবে আবহাওয়া পরিস্থিতি সোমবার  ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।  আগামী চারদিনের মধ্যে সারাদেশে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেশে আবারও ২৪ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
০৫ মে, ২০২৪

আড়াই হাজার গাছ কাটছে বন বিভাগ
তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। রেহাই পাচ্ছে না প্রাণিকূলের হাজারো জীব। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। সেখানে পরিবেশ বিপরীতমুখী কাজে মত্ত রংপুর বন বিভাগ। গত দুই মাস ধরে তারাগঞ্জ উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে ক্যানেলে লাগানো গাছগুলো কাটার যেন উৎসবে মেতেছে তারা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশবাদীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তারাগঞ্জ উপজেলার তিস্তা সেচ ক্যানেলের উন্নয়নকাজের জন্য ক্যানেলের দুই ধারে লাগানো গাছগুলো কেটে ফাঁকা করা হয়েছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আয়তন অনুযায়ী ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও তারাগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৩ শতাংশের কম। তিস্তা সেচ ক্যানেলকেন্দ্রিক বনায়নের একটি বড় অংশ থাকলেও গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে, ফলে ১ শতাংশের নিচে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরপরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গাছগুলো কেটে ফেলার দরপত্র দিয়েছে। ইতোমধ্যে গত দু’মাসে চার তৃতীয়াংশ গাছ কাটা হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, ক্যানেলের দুই ধারে গাছ থাকায় শিক্ষার্থীরা ছায়া পথে স্কুল-কলেজে যায়। খড়া রোদে আরামে পথ চলে সাধারণ ও স্থানীয় পথচারী। বিকেলে ঘুরতে আসত পাশাপাশি এলাকা থেকে অনেকেই। এ বিষয়ে পরিবেশবাদী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, এত গাছ একসঙ্গে কাটা ঠিক হয়নি। ক্যানেল সংস্কারের নামে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রজেক্টের তেমন দরকার ছিল না। এতে অর্থের যেমন অপচয় তেমনি গাছগুলো কাটায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সীমান্ত কেল্লাবাড়ি থেকে তারাগঞ্জের পাঁচ কিলোমিটার অংশের প্রায় আড়াই হাজার গাছ বিক্রি করা হয়েছে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জবা এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে।  ২২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫০ টাকায় দরপত্রের মাধ্যমে জবা এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এসব গাছ দেওয়া হয়। গাছ বিক্রির ৮০ শতাংশ টাকা উপকারভোগী ও ২০ শতাংশ টাকা বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ পাবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জবা এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে সাব কন্ট্রাকে ক্রয় মালিকানা প্রতিষ্ঠান মাসুদ স’মিলসের মালিক মাসুদ রানা মোবাইল ফোনে বলেন, বন বিভাগ থেকে দরপত্র মূলে গাছগুলো কেনা হয়েছে। প্রয়োজনেই গাছগুলো কাটছি। তবে গাছ না থাকলে যাতায়াতে খুব কষ্ট হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বন বিভাগের। তবে তাপপ্রবাহের সময় গাছগুলো কাটা ঠিক হয়নি। বাকি গাছগুলো যাতে তাপপ্রবাহ পর্যন্ত কাটা না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বলব। উপজেলা বন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান রোকন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকেরা ভেকু দিয়ে মাটি ফেলার সময় গাছগুলো ভেঙে দিচ্ছিল। তাই বিভাগীয় অফিস থেকে দরপত্র আহ্বান করে গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ ক্যানেলের উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হলে ফের গাছ লাগানো হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

৫ মে থেকে জবিতে স্বশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা 
আগামী রোববার (৫ মে) থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সপ্তাহে চারদিন স্বশরীরে ক্লাস পরীক্ষা হবে। একদিন অনলাইনে ক্লাস হবে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম।  তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে আবহাওয়া আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা কমে আসবে। অনেক বিভাগের পরীক্ষা থেমে আছে। শিক্ষার্থীদের সেশনজট রোধে সপ্তাহে চার দিন স্বশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা হবে। তবে আজ মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস হবে। আগামী রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।  এ ছাড়া তীব্র গরমের ফলে অফিস টাইম সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে এবং যেসব বিভাগে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নয়, সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে হলে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাস রুমে আছে এমন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ওই বিভাগে পরীক্ষা নিতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ দিনাজপুরের জনজীবন
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় হঠাৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে বৈশাখের তীব্র তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জাঁতাকলে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। দিনে রাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। বিঘ্ন হচ্ছে হাটবাজার ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। ইরি বোরো আমনের ক্ষেতে সেচ দিতে সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা বলেন, কয়েক দিন ধরে দিনে রাতে চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ক্লান্ত শরীরে রাতে ঘুমাতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আসে। এরপর আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। দিনরাতে কয়েক দিন ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। দিনে বিদ্যুৎ থাকে না তাই ভ্যাপসা গরমে ঘরে টিকে থাকাও যায় না। এদিকে গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগে হয় আরও তীব্রতর। দিনরাত মিলিয়ে এক টানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে দুর্ভোগে বাড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে হাটবাজারে লোকসমাগমও কমে গেছে। বিপণিবিতানগুলোও থাকছে ক্রেতাশূন্য। দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এ কারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের উপজেলায় ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৫-৬ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আশা করি, দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।  বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রিড থেকে দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, এখন একটি চালু আছে আর একটি বন্ধ আছে। এ অঞ্চলে ৮৭ শতাংশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে কোনো লোডশেডিং হতো না। সেখানে আমরা ৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি, ফলে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমরা পল্লী বিদ্যুৎ নিজে উৎপাদন করতে পারি না, পিডিপির কাছ থেকে ৬.৫৬ টাকা প্রতি ইউনিট কিনে নিয়ে ৫.২৫ টাকায় বিক্রি করি। 
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

জেনারেটর চলে না ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে
এই বৈশাখের তীব্র গরমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। চলমান এই অব্যাহত লোডশেডিং এ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও তাদের স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। সেবাগ্রহীতার অভিযোগ, সারা দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে সরকার। অথচ এই হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও লোডশেডিংয়ের সময় তা চালানো হয় না। এতে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনসহ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে মাঝরাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ বেড়ে যায় বহুগুণ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জ্বালানি তেলের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় হাসপাতালের জেনারেটর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চালানো সম্ভব হচ্ছে না।   হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিগত ৮ বছর আগে এ হাসপাতালে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ইঞ্জিনচালিত ৮ কেভি (কিলো ভোল্ট) ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর বরাদ্দ দেয় সরকার। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এই জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিদ্যুৎ চলে গেলে জরুরি পরিস্থিতিতে এটি বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের কথা। কিন্তু এটি চালানোর জন্য তেল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ফলে এটি হাসপাতাল বা রোগীদের কোনো কাজেই আসছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সিলিংয়ে ঝুলছে সারি সারি বৈদ্যুতিক পাখা৷ কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় সবই বন্ধ। বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকা সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনেরা  তীব্র এই গরমে ছটফট করছে। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের এ সময় রোগী ও তার স্বজনরা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করলেও গরম কাটছে কিছুতেই।  রোগীর স্বজনেরা জানান, বিদ্যুৎ যখন চলে যায় তখন অসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সে সময় হাতপাখাই তাদের একমাত্র ভরসা। তাদের দাবি, হাসপাতালে আগত রোগীদের কথা চিন্তা করে লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর বা অন্য বিকল্প উপায়ে বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর ব্যবস্থা করা। যাতে  তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয় এই অসহনীয় ভ্যাপসা গরম থেকে।  শিশু ওয়ার্ডের শয্যায় চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিশু বৃষ্টিকে (৪)। পাশে পাখা দিয়ে বাতাস করছেন তার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন আগে চুলার আগুনে বাম পায়ের নিচের অংশ দগ্ধ হয় বৃষ্টির। দুইদিন ধরে এ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। বেশি গরম পড়লে মেয়েটা ছটফট করে মেয়েটি। বিদ্যুৎ চলে গেলে এই গরমে একেবারেই কাহিল অবস্থা হয় তাদের। তারা জানান, এটি একেবারে বদ্ধ ঘর। সবসময় ঘরে গরম থাকে। এরপর মানুষের যাতায়াতে গরমের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।  আবু বক্কর সিদ্দিক স্ত্রী জানান, তাদের বেডের ওপর পাখাটি প্রায় অকেজো। কাউকে বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।  রোগীর স্বজন মেঘলা বানু, হাজেরা বেগম, লিলি বেগম ও আকমল হোসেন জানান, দিনে কয়েকবার লম্বা সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় শিশু, বৃদ্ধ ও অন্তঃসত্ত্বাসহ উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার চেয়ে গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাদের রোগীরা। তারাও ভোগান্তিতে পড়ছেন। রোগীদের স্বস্তির জন্য যা হাতের কাছে পাচ্ছেন তা দিয়েই বাতাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত জ্বালানির বরাদ্দ না থাকায় এটি সব সময় চালানো হয় না। শুধু ওটি বিভাগের জন্য অস্ত্রোপচারের সময় জেনারেটর চালানো হয়।  উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএসও) ডা. রাশেদুজ্জামান জানান, যেখানে জরুরি প্রয়োজন সেখানে জেনারেটর (বিদ্যুৎ) সরবরাহ হয়। জ্বালানি যতটুকু বরাদ্দ পাওয়া যায় সে অনুযায়ী জেনারেটর চালানো হয়।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা
বাইরে আগুনের মতো রৌদ। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।   প্রচণ্ড গরমের কারণে রাত ৮টার মধ্যে শপিংমল বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বার্তায় বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানায়। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান তাপপ্রবাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে। চলমান গরম ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে গ্রাহকদেরর সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা- ১. রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন। ২. নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকুন। ৩. সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করুন। ৪. এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপরে রাখুন। ৫. দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকুন। ৬. বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকুন। ৭. বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

‘উপজেলা নির্বাচন এখন উপজ্বালায় পরিণত হয়েছে’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও সকল বিরোধী দল প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের ভোট চুরি করে আপনারা ক্ষমতায় বসে আছেন। তাই জনগণ আপনাদের চায় না। তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রহসন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের উন্মুক্ত করেও ভোটার উপস্থিতি করাতে না পেরে এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক উঠিয়ে দিয়ে মাঠে বেশি প্রার্থী দিয়ে ভোটার আনতে পরিকল্পনা করেছিলো সরকার। কিন্তু সরকারের এ ফর্মুলা কাজে আসছে না। উপজেলা নির্বাচন এখন উপজ্বালায় পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার এ নির্বাচনকে জ্বালায় পরিণত করেছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল)  ফকিরাপুল পানির ট্যাংকি মোড়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মতিঝিল থানার ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণকালে সালাম এসব কথা বলেন।  আব্দুস সালাম বলেন, সরকারের ব্যর্থতার জন্য আজকে এই তীব্র দাবদাহ। অপ্রয়োজনীয় বৃক্ষ নিধন করছে। তাপবিদ্যুতের নামে কয়লা পুড়ছে, অন্যকে খুশি করতে শিল্প কারখানার নামে পরিবেশ ধ্বংস করছে। সরকার সুন্দরবনকে ধ্বংস করছে। এরা কৌশলে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে। তিনি বলেন, আজকে লুটপাট করে সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলো গিলে খেয়ে ফেলছে। কাদেরকে ব্যাংক দিয়েছিলেন। আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ করেছেন। কেন করেছেন? কারা ব্যাংক লুট করেছে? কারা ব্যাংকগুলো গিলে ফেলছে তা যেন প্রকাশ না পায়, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, কথায় কথায় বলেন বিএনপি নাকি উন্নয়ন দেখে না। উন্নয়ন হচ্ছে আওয়ামী লীগের। কথায় কথায় বলেন বিএনপি নাকি পাকিস্তান পাকিস্তান করে। আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আপনাদের (সরকারকে) সার্টিফিকেট দিয়েছেন। এই সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে রাখেন। বাংলাদেশের মানুষ এই সার্টিফিকেট চায় না। আমরা দেখতে চাই, জনগণ আপনাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে কিনা? আজকে এলপি গ্যাস আমদানির জন্য দেশের গ্যাস উত্তোলন করেননি। আজকে লুটের টাকা নিজেরা আর মামুরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।  আয়োজক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবর আলী রানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ আজাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, সদস্য অ্যাডভোকেট ফারুকজ্জামান, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তা, মতিঝিল থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেনসহ মতিঝিল থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

দাবদাহের মধ্যেই চবিতে ৩০ এপ্রিল থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে যাবতীয় ক্লাস কার্যক্রম ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ডিনদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।  উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেশের চলমান দাবদাহ বিবেচনা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সিলেটে আবারও নামল স্বস্তির বৃষ্টি
সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৮টা ২০ মিনিট থেকে এ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ। গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এরই মধ্যে একপশলা বৃষ্টি সিলেটবাসীর মনে এনেছে প্রশান্তি। বৃষ্টিতে মানুষদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৮টা ২০ মিনিট থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। ঘণ্টাব্যাপী চলা বৃষ্টিতে ফিরেছে স্বস্তি। এদিন সন্ধ্যা থেকেই মৃদু হাওয়া বইছিল সিলেটে। রাতে আসে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকে। বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা গায়ে লাগিয়ে উপভোগ করতে থাকেন তারা। অনেকে বৃষ্টির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী আশীষ দে কালবেলাকে বলেন, তীব্র দাবদাহে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ যখন খুব কষ্ট পাচ্ছেন, তখন সিলেট অঞ্চলে প্রতিদিন বৃষ্টি ও সহনীয় তাপমাত্রা প্রমাণ করছে সিলেটকে কেন আধ্যাত্মিক নগরী বলা হয়। দাড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা পুষ্পা  পাল কালবেলাকে বলেন, সারাদিন অনেক গরম ছিল। সন্ধ্যার পর ঠান্ডা বাতাস ও বৃষ্টি স্বস্তি নিয়ে এসেছে। সারা দেশের চেয়ে আমরা অনেক ভালো আছি। জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী সাব্বির আহমদ কালবেলাকে বলেন, সিলেটে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম। এর মধ্যে সন্ধ্যার বৃষ্টিতে বেশ শান্তি দিয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশকে গ্যাস চেম্বার বানিয়েছে সরকার : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা।  তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য গাছপালা বন-জঙ্গল উজাড় করে, নদীনালা ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশকে এখন গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সারাদেশে তীব্র তাবপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে মিরপুরে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের ৭ দিনব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় সদস্য তাবিথ আউয়াল, মহানগর উত্তর বিএনপির আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তফা জামান, আতাউর রহমান (চেয়ারম্যান), মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন , তার বাবা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তো বাকশাল, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না। সেদিন তো ৪টি পত্রিকা বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে বায়তুল মোকাররমে ফল বিক্রি করতেন।’  তিনি বলেন,  বিগত ১৭ থেকে ১৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশে আবারও ভয়ংকর বাকশাল কায়েম করেছেন। বিপজ্জনক বাকশাল কায়েম করেছেন। আজকে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে ও মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে মানুষ এখন আর ভোট দিতে পারে না। সংসদকে পরিণত করা হয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট হাউসে। সত্য বললেই জেলে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোটের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে আমার ভাইদের জীবন দিতে হচ্ছে। দুর্নীতি আর লুটপাটরে মাধ্যমে দেশটাকে উজাড় করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশকে বানানো হয়েছে লীগময়।  তিনি বলেন, এত গুম, এত নির্যাতন, এত নিপীড়ন তারপরও মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যায়নি। মানুষের আন্দোলনকে দমানো যায়নি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, মুখে মুখে তারা পাকিস্তানের বিরোধিতা করে। গত কয়েকদিন আগে তাদের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান কথা বলায় তাদের সাহেব বলছেন, পাকিস্তান তাদের উন্নয়ন দেখলেও বিএনপি দেখে না। এখন তারা পাকিস্তানের প্রশংসায় গদগদ। তিনি বলেন, এক দেশ আরেক দেশের প্রশংসা করে এটা তো রীতি। আসলে ওবায়দুল সাহেবরা দ্বিচারিতা নীতি অবলম্বন করছেন।  বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনে নেতাকর্মীরা সকল দুর্যোগে দেশবাসীর পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
X