ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে
টানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টির প্রভাবে কমেছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। সারা দেশে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। সেসঙ্গে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে, আজ বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা কমবে। শুক্রবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির প্রবণতা কমে এলে ফের তাপপ্রবাহ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। গতকাল বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনায় ৩১ দশমিক ৫, বরিশালে ৩১ দশমিক ৩, রাজশাহীতে ৩১, চট্টগ্রামে ৩০ দশমিক ৫, সিলেট ও রংপুরে ৩০ দশমিক ৫ এবং ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দৈনিক দেশের ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী, গতকাল দেশের ৩৮টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে রাজশাহীতে ৫১ মিলিমিটার। এ ছাড়া ভোলায় ৩৮, সাতক্ষীরায় ৩৬, যশোরে ৩৪, বরিশালে ৩৩, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরে ২৮, বগুড়ায় ২৬, মাদারীপুরে ২২, টেকনাফ ও মোংলায় ২১ এবং ঢাকায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, আরও অন্তত পাঁচ দিন বৃষ্টি থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে। দিনের কোনো একসময় অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় একবার বৃষ্টি হতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। যদিও দক্ষিণাঞ্চলে এখনো কিছুটা বেশি, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া যেহেতু ঠান্ডা হয়েছে, শিলার পরিমাণ কমে আসবে। যেসব জায়গায় মেঘের উচ্চতা বেশ, সে রকম দু-এক স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির প্রবণতা কমে এলে আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এ মাসে আবারও তাপপ্রবাহ আসার আশঙ্কা আছে। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে বা তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে আবারও তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে রাজশাহী, বংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। কালবৈশাখীর সতর্কতা: সারা দেশে কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টির ধারা চলবে আরও চার-পাঁচ দিন। অস্বস্তিকর তীব্র গরম থাকবে না। আপাতত তাপপ্রবাহের শঙ্কা নেই। রাতের আকাশ মেঘলা থাকলে কিছুটা ভ্যাপসা গরম অনুভূত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এখনকার বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত অবধারিত থাকবে। এর জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে

বৃষ্টি থাকবে আরও কয়েকদিন, কমবে তাপমাত্রা
সারা দেশে আজ বুধবার (০৮ মে) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, সন্দ্বীপ, লক্ষ্মীপুর, গাইবান্ধাসহ অনেক জায়গায় সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়াও আগামী পাঁচদিনেও বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই বৃষ্টির ফলে কমতে পারে তাপপ্রবাহ। কমে আসবে দিনের তাপমাত্রাও। মঙ্গলবার পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টির পরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামের হাতিয়ায় ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ দিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বুধবার রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। কালবৈশাখীর সতর্কতা : আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। 
০৮ মে, ২০২৪

আজও সারা দেশে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল রোববার সারা দেশে বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির ধারাবাহিকতায় আজও সারা দেশে কাল বৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, রাজশাহী বিভাগ ছাড়াও সারা দেশে কাল বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার (৬ মে) আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক এসব তথ্য জানিয়েছেন। আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যদিকে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে- খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সিনপটিক অবস্থা : লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৬ মে, ২০২৪

তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এলে ঢাবিতে ক্লাসের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত 
সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলছে অনলাইন ক্লাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসলে সশরীরে ক্লাসের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।  শুক্রবার (৩ মে) সকালে কালবেলাকে তিনি এ কথা জানান। অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, গতকাল তো অনেক বেশি তাপমাত্রা ছিল। রাতে বৃষ্টি হওয়াতে এটা একটু হ্রাস পেয়েছে। আর দু-একদিন দেখা যাক। তাপমাত্রা যদি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে, তাহলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই একটা নির্দেশনা পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলে একত্রিত হয়ে শীঘ্রই একটি সভা করব। সেই সভার সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালও পরিবেশ ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনেই ক্লাস চলবে বলে গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অফলাইন ক্লাসের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আগামী রোববারেও অনলাইনেই ক্লাস চলমান থাকবে। সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টি হলে পরিবেশ ঠান্ডা হওয়া সাপেক্ষে রোববারের পরে অফলাইন ক্লাস হতে পারে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্বেই জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে পরিবেশ অনুকূল না হলে অনলাইনেই ক্লাস চলমান থাকবে। প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার পরামর্শও দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো- সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল- যেমন: খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয়, যেমন চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।
০৩ মে, ২০২৪

দেশের সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপমাত্রার পর টানা ৫ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবার (২ মে) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ১০ শতাংশ। দীর্ঘ ৩৫ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ৩০ এপ্রিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। বুধবার (১ মে) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। প্রকৃতিতে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। একেবারে মরভুমির তাপমাত্রা। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, চলতি সপ্তাহে টানা ৫ দিন সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়। এখনও অতি তীব্র দাবদাহ চলছে। এ অবস্থা আগামী দু'একদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া ৪-৫ মে কাল বৈশাখী ও বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা রয়েছে।  টানা প্রায় ২০ দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভুমির তাপমাত্রা। অতি দাবদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকুল। কৃষক,  শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
০২ মে, ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৫ ডিগ্রি
পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত সোমবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল পশ্চিমবঙ্গে, ৪৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশটির চার রাজ্যে আগামী দু-তিন দিন চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বিহার, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে তাপপ্রবাহের দাপট চলবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুলগুলোর কেউ কেউ অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা চালাচ্ছে। কিছু বেসরকারি স্কুলে আবার সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্লাস চালু রয়েছে। তবে সকাল ১১টার পর থেকেই কলকাতার রাস্তাঘাট কার্যত খাঁ খাঁ করছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। আর নিতান্তই যারা বেরোচ্ছেন, সূর্যের প্রখর তাপ থেকে বাঁচতে সারা শরীর কাপড়ে মুড়িয়ে নিচ্ছেন। বাইরে বেরোলেও তাপপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকালসকাল কাজ সেরে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ। ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব ভারতে তাপপ্রবাহের দাপট দু-তিন দিন ধরে যেমন চলবে, আবার দক্ষিণ ভারতে এ পরিস্থিতি জারি থাকবে আগামী পাঁচ দিন। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশে আজ বুধবার পর্যন্ত, আবার কোথাও কোথাও কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। অন্যদিকে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে ৩ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে। তেলেঙ্গানা এবং সিকিমের কিছু অংশেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুণ্ডায় (৪৫.৪ ডিগ্রি)। তার পরই ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল (৪৫ ডিগ্রি), তৃতীয় স্থানে ছিল ওড়িশার বারিপদা এবং পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়। সোমবার ওই দুই জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওইদিন ৪৪ ডিগ্রির ওপরে ছিল পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, পানাগড় এবং সিউড়ি।
০১ মে, ২০২৪

দিনাজপুরে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দিনাজপুরের খানসামাসহ গোটা দেশ। আকাশ ফেটে যেন ঝরছে আগুন। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ তপ্ত রোদে বাইরে তুলনামূলক কম বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সূর্যের প্রখর তাপে তীব্র গরমে নাজেহাল। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ঘরের ভেতরেও মিলছে না মুক্তি। আর এ তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। বৈদ্যুতিক পাখা না চলায় গরমে আরও কষ্ট পেতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। সারাদিনে তিন ঘণ্টাও মিলেছে না বিদ্যুৎ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনাজপুরে দুপুর ৩টায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।  এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৩৯.৮ রেকর্ড হয়েছিল। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। এদিকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ভ্যানচালক, কুলি ও নিম্ন আয়ের দিনমজুর। গরমের তীব্রতায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদে ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। গরমের তীব্রতায় পানিশূন্যতায়ও অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোকসমাগম কমে গেছে। জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের প্রখরতায় রাস্তার পিচ তপ্ত উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, জেলায় ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়ুর চাপ উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করেছে। সাধারণত বাতাসের চাপ ক্রমাগত কমতে থাকলে বুঝতে হবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাতাসের চাপ বাড়তে থাকলে আবহাওয়া পরিষ্কার বা ফেয়ার হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মেঘের সঞ্চার হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং বিরাজমান তাপ প্রবাহের দাপট বেশ কিছুটা কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা কমলেও এক্ষেত্রে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের সৃষ্টি হবে এবং ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি থাকবে।
০১ মে, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় কেন এত তীব্র তাপমাত্রা
২৯ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গায় আবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এটিই চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৫ সালে ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১২ সালে ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এটি সারা দেশের ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা। টানা প্রায় এক মাস ধরে এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গায় কেন এত তীব্র তাপমাত্রা- এ প্রশ্নের উত্তরে চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, ভৌগোলিক কারণে সাধারণত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেশি থাকে। আবার শীতের দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে। তবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ৪টি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথম কারণ হলো চুয়াডাঙ্গাসহ ভারতের পশ্চিমবাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা সমভূমি হওয়ার কারণে এখানে মার্চ, এপ্রিল, মে- এই তিন মাস সূর্য লম্বাভাবে কিরণ দেয়। ফলে প্রচুর গরম অনুভূত হয়। এ জায়গায় বায়ুমণ্ডল বেশি উত্তপ্ত হয়। তাপের পরিবহন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সময় পশ্চিমা বায়ু চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে গরম লু বাতাস যখন চুয়াডাঙ্গা প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেড়ে যায়। এটা হলো প্রথম কারণ। আর চুয়াডাঙ্গার খুব কাছাকাছি দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখার অবস্থান বলে এপ্রিল মাসের দিকে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। চুয়াডাঙ্গাতে অতীতের তুলনায় গাছপালার অনেক কমে গেছে। এ ছাড়াও নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। মূলত এই চারটি কারণে চুয়াডাঙ্গাতে গরমের সময় গরম বেশি আর শীতের সময় শীত বেশি থাকে। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় গোটা জেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১ মে) থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকবে এবং রোববার (৫ মে) থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ফের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বগুড়ায়
বগুড়ার ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল বগুড়ায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং ১৯৮৯ সালে ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ।   তিনি জানান, বগুড়ায় মঙ্গলবার ৪১ দশমিক ০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা বগুড়ার ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে ১৯৮৯ সালে ২১ এপ্রিল বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। এ ছাড়াও ২৬ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা।   তিনি আরও জানান, এ  তীব্র গরম চলমান থাকবে।  এজন্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুব কম।  এই অসহনীয় গরমে রিকশাচালক ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীসহ সবরকম দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা প্রায় একই রকম। নির্মাণ শ্রমিক আইয়ুব আলী বলেন, তীব্র দাবদাহে নিয়মিত কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। টানা তিন-চার দিন কাজ করলে আবার এক থেকে দুই দিন বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। আমাদের তো দিন এনে দিন খাওয়া। দাবদাহে অসুস্থ হয়ে দুইদিন বাড়িতে পরে ছিলাম। ওই দুই দিনের বাজার দোকান থেকে বাকিতে করতে হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পরলে ঠান্ডা কিছু কিনে খাবার সামর্থ্য আমাদের নেই। মাঝেমাঝে আশপাশের ছায়াতে গিয়ে একটু শরীর জুড়ায়ে নেই। সাবগ্রাম এলাকায়  স’মিলে কর্মরত শ্রমিক সিদ্দিক আলী বলেন, প্রতিদিন যেমন কাজ করি তেমন টাকা পাই। অতিরিক্ত গরমের জন্য বেশি বেশি কাঠ কাটা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য আয় কমে গেছে। আগে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করতাম। এখন দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার করতে পারছি। এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে কোনোরকমে টিকে আছি। তবে আবহাওয়া এ রকম গরম থাকলে আয়ের দিক দিয়েই বলেন আর শরীরের দিক দিয়ে টিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়াবে। বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, এ তীব্র গরমে শরীর থেকে অতিমাত্রায় পানি বের হয়ে যায়, একপর্যায়ে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। তাই শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে বেশি পরিমাণ পানি ও ওরস্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
দিন যতই যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাতক্ষীরার তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসহনীয় এ দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ২১ বছরের মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ। তীব্র এ দাবদাহে দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। গরমে পিপাসা নিবারণে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপেয় পানি ও শরবত সরবরাহ করা হচ্ছে। এর আগে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ মে সাতক্ষীরা জেলায় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এটাই ছিল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সে হিসাবে ২১ বছর পর সাতক্ষীরার তাপমাত্রার নতুন পারদে ঠেকল। আর তাতেই তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়ল জেলাটি। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বিকেল ৩টায় সাতক্ষীরার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ২৫ শতাংশ। এদিকে প্রচণ্ড দাবদাহে সাতক্ষীরায় হিটস্ট্রোকে মো. ফারুক হোসেন নামে বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি তার কর্মস্থল শহরের নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থান অবনতি হলে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। মৃত শিক্ষক ফারুক হোসেন নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক। নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাজমুন লায়লা জানান, সোমবার সকালে ফারুক হোসেন বিদ্যালয়ে আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় দ্রুত তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আরিফ তাকে দেখার পর অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোক হয়েছে বলে ধারণা করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা সিটি মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালে সকালে তার মৃত্যু হয়।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
X