শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ডাক বিভাগকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব দিল নগদ
দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করেছে। ২০২৩ সালের আয় থেকে ৫ কোটি ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৮ টাকার রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ। বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নগদ কর্তৃপক্ষ ডাক বিভাগের প্রাপ্য রাজস্বের চেক হস্তান্তর করে। অনুষ্ঠানে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুকের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি সিকদার। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নগদ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নগদ লিমিটেড ও ডাক বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, নগদের সেবা থেকে মোট আয়ের ৫১ শতাংশ রাজস্ব পায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, বাকি ৪৯ শতাংশ রাজস্ব পায় নগদ লিমিটেড। এর আগে ২০২০ সালে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, ২০২১ সালে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৭ টাকা এবং ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ লিমিটেড। অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে নগদের ভূয়সী প্রশংসা করেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি মনে করেন, এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কারণে দেশ ডিজিটালাইজেশন থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অনেকটাই অগ্রগামী হচ্ছে। এ ছাড়া খুব দ্রুতই যাত্রা শুরু করতে যাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক দেশকে ক্যাশলেস সোসাইটিতে পরিণত করার দিকে এগিয়ে নেবে। চেক হস্তান্তর শেষে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমরা সবসময়ই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে থাকি। আমরা ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। সে জন্য চুক্তি অনুযায়ী ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করি আমরা। আশা করি, আমাদের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আরও দীর্ঘায়িত হবে এবং আরও অনেক দুয়ার উন্মোচন হবে।’ ২০১৯ সালের মার্চে যাত্রার পর থেকেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে নগদ। পিছিয়ে পড়া মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে এনে দেশের ডিজিটাল আর্থিক খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন দেশের অন্যতম শীর্ষ এই মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সাড়ে ৯ কোটির ওপরে। প্রতিষ্ঠানটি এখন গড়ে দৈনিক এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা লেনদেন করে থাকে।  নগদ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য স্মার্ট ফোনের জন্য ই-কেওয়াইসি ও বাটন ফোনের জন্য *১৬৭# সেবা উদ্ভাবন করে। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জসহ অত্যাধুনিক সব সেবার মধ্য দিয়ে আর্থিক খাতে পরিবর্তন ঘটিয়েছে নগদ। এর পাশাপাশি নগদ অত্যাধুনিক সাইবার নিরাপত্তার মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য ও অর্থের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করছে।  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিল, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বিভিন্ন সহায়তা ও ভাতার টাকা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে নগদ। সবমিলিয়ে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
১৩ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / সম্পদ ও নগদ টাকা বেড়েছে প্রার্থীদের
আসছে ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নির্বাচন। তবে রাউজানে চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান এই তিন পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। রাঙ্গুনিয়ায়ও চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায়। এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের অনেকেই পাঁচ বছরেই টাকার পাহাড় গড়েছেন। বিশেষ করে যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, তাদের সম্পদ, অর্থÑ সবই বেড়েছে বহুগুণ। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সম্পদ-টাকা বেড়েছে রাশেদের: পাঁচ বছরের ব্যবধানে আয়, সম্পদ ও টাকা সবই বেড়েছে হাটহাজারীর বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল আলমের। তিনি এবার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ২০১৯ সালে কৃষি খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল ২৫ হাজার টাকা। এখন ব্যবসা থেকে তার আয় ৩ লাখ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তার আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নতুন করে বিভিন্ন ব্যবসায় তিনি বিনিয়োগ করেছেন ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ রয়েছে ১ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার কোনো টাকা না থাকলেও বর্তমানে তার জমা রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৮৪ টাকা। বর্তমানে ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৫ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে তার। ২০১৯ সালে তার ২০ ভরি স্বর্ণ ছিল। এবার দেখিয়েছেন ৪৫ ভরি স্বর্ণ। এর দাম উল্লেখ করেছেন মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার বাড়িতে ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের। পাঁচ বছর আগে তার কোনো বাড়ি না থাকলেও এখন তিনি ১৫০০ বর্গফুট জায়গায় একটি বাড়ি করেছেন। যার দাম ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম নগরের এমআর নিজাম রোডের ব্যাংক এশিয়া থেকে তিনি ঋণ নিয়েছেন ২৭ লাখ ৫১ হাজার ৬১৫ টাকা। ১১ বছরে ইউনুস নগদ টাকা বেড়েছে ৩১ গুণ: ইউনুস গনি চৌধুরী উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তিনি হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আনারস প্রতীকে। ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় বছরে আয় দেখিয়েছিলেন ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। স্ত্রীর আয় ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৬ টাকা। বর্তমানে তার নগদ টাকা আছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর নামে আছে ১ লাখ টাকা। ৮ লাখ টাকা দামের গাড়ি রয়েছে তার। নিজের নামে স্বর্ণ রয়েছে ৬০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ২০ হাজার টাকার। ২৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। ব্যবসায় ইউনুসের মূলধন রয়েছে ৪ কোটি ৩১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৩ টাকার। কোম্পানির পরিচালক হিসেবে শেয়ার আছে ২৫ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ৫৩৫ টাকার মূলধন। ২০১৩ সালে তার নগদ টাকা ছিল ৫০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ১১ বছরে নগদ টাকা বেড়েছে ৩১ গুণ। সে সময় ব্যাংকে জমা ছিল ৫ লাখ টাকা। শেয়ারে মূলধন ছিল ২৫ লাখ টাকার। বর্তমানে নিজের নামে অকৃষি জমি রয়েছে ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৮০৭ টাকা মূল্যের। স্ত্রীর নামে আছে ৬৪ লাখ ৯ হাজার ৩০০ টাকার অকৃষি জমি। নিজের নামে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/ফ্ল্যাট আছে ২১৫২ দশমিক ৩৪ বর্গফুটের। যার মূল্য ৪২ লাখ ৫০ হাজার ৪০ টাকা। তার কোনো ঋণ নেই। নোমানের চেয়ে স্ত্রীর টাকা বেশি: হাটহাজারীতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান। তিনি লড়ছেন ঘোড়া প্রতীকে। রাজনীতির পাশাপাশি মেসার্স ম্যাক্সিম কার্গো সিস্টেম লি. নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তার মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা। তার নগদ রয়েছে ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু স্ত্রীর নগদ রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার রয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। বন্ড ও ঋণপত্র রয়েছে দেড় লাখ টাকার। তার একটি প্রাইভেট কার রয়েছে, যার মূল্য ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার নামে ২০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে, যার দাম ১ লাখ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ ভরি স্বর্ণ, যার দাম ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। বার্ষিক আয় কমেছে নাজিমের: নাজিম উদ্দিন মুহুরী ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। গত উপজেলা নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রার্থী ছিলেন। ব্যবসা থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গতবার আয় দেখিয়েছিলেন ২৫ লাখ টাকা। নিজের নামে নগদ ও ব্যাংকে আছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার ৪০২ টাকা। শেয়ার কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে ২৫ লাখ টাকার। ২৮ লাখ টাকার একটি গাড়ি রয়েছে। ব্যবসায় মূলধন রয়েছে ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ২৩২ টাকার। ২০১৯ সালে নগদ ও ব্যাংকে ৯২ লাখ ৬১ হাজার টাকা ছিল। তার নামে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ঢাকা মহাখালী শাখায় গাড়ি কেনা বাবদ ২২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১০ টাকার ঋণ রয়েছে। জমি নেই সাঈদের: ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মু. বখতেয়ার সাঈদ। নগদ, বন্ডসহ ৪০ লাখ টাকার সম্পদ থাকলেও জমি নেই তার। রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি করছেন ব্যবসা। কমিশন ব্যবসা থেকে বছরে আয় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার নগদ রয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বন্ড, ঋণপত্র রয়েছে ৫ লাখ টাকার। রয়েছে ৪০ ভরি স্বর্ণ। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের। আসবাবপত্র রয়েছে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের। বিভিন্ন ব্যবসায় তার বিনিয়োগ রয়েছে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকার।
১২ মে, ২০২৪

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন / একীভূত আতঙ্কে নগদ টাকা কমছে সরকারি ব্যাংকের
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও দেশের আর্থিক খাতের সংকট কাটাতে চলতি অর্থবছরের শুরুতেই ব্যাংক ঋণের সুদে ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের সুদহার বৃদ্ধিতে এ সময় সব ব্যাংক আমানতেও সুদহার বাড়িয়েছে। ফলে মানুষের হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে যেতে শুরু করে। কিন্তু গত ডিসেম্বরে সংকট কাটাতে ব্যাংক একীভূতকরণের প্রথম ধাপ হিসেবে প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ব্যাংক একীভূতকরণ করা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকের গ্রাহকরা আতঙ্কে ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করে। তাই অন্যান্য ব্যাংকে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়লেও সরকারি ব্যাংকে কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে সরকারি ব্যাংকগুলোতে তারল্যের (নগদ টাকা) পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি শেষে ওই ব্যাংকগুলোর নগদ কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের ৮ মাসে সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে নগদ কমেছে ৭ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। একই অবস্থা রাষ্ট্রের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোরও। অর্থবছরের শুরুতে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো হাতে নগদ টাকা ছিল ২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর তারল্য কমেছে ২৩৯ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, মূলত চারটি কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একীভূত আতঙ্কে গ্রাহকদের আমানত তুলে নেওয়া, সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ টাকায় ডলার কেনায় টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে যাওয়া, বিতরণ করা ঋণ আদায় না হওয়া ও খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোর অর্থ আটকে রয়েছে ওইসব খাতে। ফলে ঋণ বিতরণ করতে গিয়ে টাকার জোগান দিতে সমস্যা হচ্ছে। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। সূত্র বলছে, গত ডিসেম্বর থেকেই দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূত হওয়া নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে বেসিক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ (বিডিবিএল) সরকারি ব্যাংকগুলোর একীভূত হওয়া নিয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে। সে অনুযায়ী এরই মধ্যে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বিডিবিএল এবং বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের একীভূতকরণের প্রক্রিয়াও চলছে। যদিও সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে রাজি নয় বেসিক ব্যাংক পর্ষদ। এতে আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় গ্রাহকরা আমানত তুলে নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ে ব্যাংকগুলোতে মোট তারল্য ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংক খাতে তারল্য বাড়লেও সরকারি ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার প্রবাহ কমেছে। তবে মার্চ ও এপ্রিলে সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে আমানত আরও কমেছে বলেও জানা গেছে। সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট এক দিনে হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে চলা লুটপাটের কারণে ব্যাংক থেকে যেসব অর্থ বেরিয়েছে, সেগুলো ফেরত আসছে না। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে এর বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হচ্ছে। এ ছাড়া চড়া মূল্যস্ফীতি ও আস্থার সংকটে অনেকে ব্যাংকে টাকা রাখছে না। একটি শ্রেণি টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলোও তারল্য ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে প্রচলিত ধারার বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। ৮ মাসে ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ বেড়েছে ১৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। জুন শেষে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ ছিল ৩৭ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফ্রেব্রুয়ারি শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর কাছে নগদ বেড়েছে ২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া অর্থবছরের ৮ মাসে বিদেশি ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ বেড়েছে ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরুতে তাদের হাতে নগদ ছিল ৫০ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে রবি
বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে রবি আজিয়াটা। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে বুধবার হাইব্রিড পদ্ধতিতে এ সভা হয়। ২০২৩ সালে রবির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দশমিক ৬১ টাকা। সভায় ছিলেন রবি আজিয়াটা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বিবেক সুদ; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) রিয়াজ রাশিদসহ অন্যরা। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব সাহেদ আলম। চেয়ারম্যান বিবেক সুদ বলেন, ২০২৩ সালে কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে রবির সেবার মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনেও এর প্রমাণ মিলেছে। তবে টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কর ব্যবস্থা। কর ব্যবস্থা যৌক্তিক না হলে শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ কষ্টসাধ্য হয়। এর বাইরে দেশের বিধিবিধান অনুসরণ করে আমরা ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে যা যা করার সবই করছি। বিনিয়োগের কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে আমাদের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পর্ষদ ২০২৩ সালের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ। আগামী ২৫ জুন ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কার্যক্রম শুরুর আগেই নগদ ডিজিটাল ব্যাংককে বিশেষ ছাড়
দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নগদ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতিগত অনুমোদনও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কার্যক্রম শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানটিকে বিশেষ ছাড় দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, একক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক হতে পারবে না। তবে কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় থাকা নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি এ ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পাচ্ছে।  নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছে সাত উদ্যোক্তা। তাদের মধ্যে ছয়টি কোম্পানি ও একজন ব্যক্তি উদ্যোক্তা। এই সাত উদ্যোক্তার মধ্যে তিন প্রতিষ্ঠানেরই আছে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার। তাদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ না করার আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে সরকারের সম্মতি জানিয়েছে।  আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলেছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৪ (ক) (১) ধারার বিধান পরিপালন থেকে নগদ ডিজিটাল ব্যাংককে অব্যাহতি দেওয়া হলো। ওই ধারায় শেয়ার ধারণ সম্পর্কে বলা আছে। ছাড়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ কালবেলাকে বলেন, এটা ছাড়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পরে ২২১ ধারা অনুযায়ী তা অনুমোদন করা হয়েছে। এ সময় বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।  বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, যে ছাড়টা নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পেয়েছে, তা পাওয়ার এখতিয়ার আছে। এমনকি অন্য ডিজিটাল ব্যাংকও একই ধরনের ছাড় পাওয়ার অধিকার রাখে। এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন সরকারকে এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। সংঘ স্মারক (এমওএ) অনুযায়ী, নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের (ফেসভ্যালু) মোট ১২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি টাকা। নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সাত উদ্যোক্তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওসিরিস ক্যাপিটাল পার্টনার্স এলএলসি ও ব্লু হ্যাভেন ভেঞ্চারস এলএলসি ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক ফিনক্লুশন ভেঞ্চারস প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে রয়েছে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার। ১২৫ কোটি টাকা মূলধনের মধ্যে ১০৭ কোটি ২৫ লাখ টাকাই এই তিন কোম্পানির অর্থায়ন। বাকি চার উদ্যোক্তার মধ্যে জেন ফিনটেক এলএলসির ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ট্রু-পে টেকনোলজিস এলএলসির ৪ কোটি টাকা ও ব্যক্তি উদ্যোক্তার কাছে রয়েছে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার। আর একমাত্র দেশি কোম্পানি ফিনটেকচুয়াল হোল্ডিংসের হাতে রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নগদ টাকা-মোটরসাইকেলসহ ২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিনতাই হওয়া ৪২ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেলসহ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক ইন্সুরেন্স কর্মীর দায়ের করা মামলায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, পৌর এলাকার পাঠানপাড়ার মৃত হাফিজুল রহমানের ছেলে‌ হাসানুর রহমান হাসান (৩০) ও খরমান আলীর ছেলে আরফান ছোটন (২৪)। জানা যায়, রায়হান আলী নামে এক ইন্সুরেন্স কর্মীর কাছ থেকে গত ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে পৌর এলাকার স্বরূপনগর এতিমখানা রাস্তায় ৪ ছিনতাইকারী মারধর করে তার পকেটে  থাকা টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। সদর থানার ওসি মিন্টু রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হয়ে যাওয়া গাড়ি ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

ওয়াশিং মেশিনে মিলল কাড়ি কাড়ি নগদ টাকা
ওয়াশিং মেশিনে মিলেছে ‍বিপুল টাকা (রুপি)। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই ওয়াশিং মেশিন বিপুল পরিমাণ রুপি উদ্ধারের দাবি করেছে ভারদের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ তৎপর হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দাবিহীন কয়েক কোটি রুপি উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে একটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওয়াশিং মেশিন থেকেও মিলেছে বিপুল নগদ অর্থ।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইডি বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৫৪ লাখ রুপি বেনামি অর্থ জব্দ করেছে। যার মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে ওয়াশিং মেশিনে। বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ অভিযান চালায় সংস্থাটি।  ইডির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং এটির পরিচালক বিজয় কুমার শুক্ল ও সঞ্জয় গোস্বামীর অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।    গত কয়েক দিন ধরে তদন্তকারী এ সংস্থাটি দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, কুরুক্ষেত্র ও কলকাতায় অভিযান চালিয়েছে। ইডি ছাড়াও আরও একাধিক সংস্থা এ অভিযান চালিয়েছে। মূলত বিদেশি কোনো সংস্থার সঙ্গে ১৮০০ কোটি রুপির লেনদেনের গোপন খবরের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।  তবে সংস্থাটি ওয়াশিং মেশিনে ঠিক কত অর্থ পাওয়া গেছে তা স্পষ্ট করেনি।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্সের সহেযোগী হিসেবে কাজ করায় আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে। ফলে এসব সংস্থার পরিচালকেরাও ইডির নজরদারিতে রয়েছেন।  নজরতারিতে থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো লক্ষ্মিতন মেরিটাইম, হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনাল, রাজনন্দিনী মেটালস লিমিটেড, স্টুয়ার্ট অ্যালয়স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ভাগ্যনগর লিমিটেড, বিনায়ক স্টিলস লিমিটেড এবং বশিষ্ঠ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন নথি ও ডিজিটাল ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে অভিযোগের সঙ্গে জড়িত ৪৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করা হয়েছে।   
২৭ মার্চ, ২০২৪

নগদ লেনদেনে এবার জমি জেতার সুযোগ
এবার লেনদেন করে এবং তিনজনের দল বানিয়ে ঢাকায় জমিসহ ২০ কোটি টাকার উপহার জেতার সুযোগ নিয়ে এসেছে নগদ। এবার ঈদ সামনে রেখে নগদ শুরু করেছে আরেকটি মেগা ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে ৩ ধাপে ঢাকায় জমি জেতার সুযোগ থাকছে। এই ক্যাম্পেইনে দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ড থাকছে নগদের পার্টনার। nagad.io/jmi লিঙ্কে বিস্তারিত জানা যাবে। ১৫ মার্চ শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। নগদের ডিএমডি সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা চাই দেশের মানুষ আরও বেশি ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হোক। সেইসঙ্গে মানুষ উৎসবে মেতে উঠুক। বাংলাদেশের মানুষের একটা বড় স্বপ্ন ঢাকায় এক টুকরো নিজের জমি। এই উৎসবে সেই স্বপ্নপূরণ হোক নগদের মাধ্যমে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

নগদ অর্থ ও আইপ্যাড উপহার পাচ্ছেন কাউন্সিলররা
চলতি মাসের শেষদিকে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। আগামী ৩১ মার্চ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওতে হতে যাওয়া এজিএম ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। ইতিমধ্যে এজিএম সামনে রেখে বোর্ড সভায় বসেছিলেন বিসিবির পরিচালকরা। এ সময় গত ২০ মাসের হিসাব-নিকাশ ও আগামী বছরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় বসেন তারা। জানা গেছে, এজিএমে আগত কাউন্সিলরদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে এবারও নগদ অর্থের সঙ্গে রাখা হচ্ছে একটি করে ইলেকট্রনিক ডিভাইস। বোর্ড সভা শেষে বিসিবির এক পরিচালক জানিয়েছেন, ডিভাইস হিসেবে আইপ্যাড রাখার কথা বলেছেন তারা। তবে এতটি না পাওয়া গেলে অন্য কোনো কিছু রাখা হবে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়াও থাকবে সবার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে বিসিবির জেলা, বিভাগ ও ক্লাবগুলো মিলিয়ে মোট কাউন্সিলর ১৭০ জন। সবার জন্যই থাকছে বিশেষ এই উপহার। 
০৯ মার্চ, ২০২৪
X