ওয়াশিং মেশিনে মিলেছে বিপুল টাকা (রুপি)। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই ওয়াশিং মেশিন বিপুল পরিমাণ রুপি উদ্ধারের দাবি করেছে ভারদের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ তৎপর হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দাবিহীন কয়েক কোটি রুপি উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে একটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওয়াশিং মেশিন থেকেও মিলেছে বিপুল নগদ অর্থ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইডি বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৫৪ লাখ রুপি বেনামি অর্থ জব্দ করেছে। যার মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে ওয়াশিং মেশিনে। বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ অভিযান চালায় সংস্থাটি।
ইডির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং এটির পরিচালক বিজয় কুমার শুক্ল ও সঞ্জয় গোস্বামীর অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে তদন্তকারী এ সংস্থাটি দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, কুরুক্ষেত্র ও কলকাতায় অভিযান চালিয়েছে। ইডি ছাড়াও আরও একাধিক সংস্থা এ অভিযান চালিয়েছে। মূলত বিদেশি কোনো সংস্থার সঙ্গে ১৮০০ কোটি রুপির লেনদেনের গোপন খবরের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সংস্থাটি ওয়াশিং মেশিনে ঠিক কত অর্থ পাওয়া গেছে তা স্পষ্ট করেনি।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্সের সহেযোগী হিসেবে কাজ করায় আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে। ফলে এসব সংস্থার পরিচালকেরাও ইডির নজরদারিতে রয়েছেন।
নজরতারিতে থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো লক্ষ্মিতন মেরিটাইম, হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনাল, রাজনন্দিনী মেটালস লিমিটেড, স্টুয়ার্ট অ্যালয়স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ভাগ্যনগর লিমিটেড, বিনায়ক স্টিলস লিমিটেড এবং বশিষ্ঠ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
অভিযান চলাকালে বিভিন্ন নথি ও ডিজিটাল ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে অভিযোগের সঙ্গে জড়িত ৪৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন