Sat, 18 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা প্রত্যাহার, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
৩ মিনিট আগে
সমবায়ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা জোরদারে এগিয়ে আসতে হবে : প্রতিমন্ত্রী
২৬ মিনিট আগে
আন্দোলন নিয়ে নতুন বার্তা কর্নেল অলির
৩২ মিনিট আগে
ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালু হবে অক্টোবরে : রেলমন্ত্রী
১ ঘণ্টা আগে
গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সরব ইসলামী দলগুলো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরও বসে নেই দেশের ইসলামী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আখ্যা দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম (কারিকুলাম) বাতিলের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই তারা বেশ সরব। এ ইস্যুতে এরই মধ্যেই সভা, সমাবেশ, মতবিনিময় ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন দল। কারিকুলাম সংশোধন এবং ধর্মীয় বিবেচনায় ‘সাংঘর্ষিক’ বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার দাবিতে আগামী মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একই ইস্যুতে আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সেমিনার আয়োজন করছে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলও এ ইস্যুতে কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চায়। সেইসঙ্গে সরকারের পদত্যাগ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করার দাবিও এই আন্দোলনে যুক্ত করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, নিবন্ধিত ১১টি ইসলামী দলের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এ ছাড়া নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও নির্বাচনে যায়নি। তবে নির্বাচনের পরও এসব দল সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল করে ফের নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দলের নেতারা বলছেন, ভবিষ্যতে সরকারের পদত্যাগের দাবির সঙ্গে বিভিন্ন জনদাবি যোগ করে আন্দোলনের পরিধি বৃদ্ধি ও জোরদার করতে চান তারা। তবে এ মুহূর্তে দলগুলোর নজর মূলত কারিকুলাম ইস্যুর দিকে। জানা গেছে, মূলত সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ শিরোনামের লেখা কেন্দ্র করে নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ইসলামী দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি আলোচনা সভা ও সেমিনার অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করা হয়। জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব ‘শরীফার গল্প’ লেখাটি বই থেকে ছিঁড়ে ফেলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় তাকে চাকরিচ্যুত করে। একই অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা করায় ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকেও পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়। নির্বাচনের আগে থেকেই ইসলামী দলগুলো নতুন শিক্ষাক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে এলেও দুই শিক্ষক চাকরিচ্যুতির ঘটনার পর শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে সরব হয় দলগুলো। কয়েকটি দলের নেতারা জানান, অভিন্ন দাবিতে ভবিষ্যতে সম্মিলিতভাবে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে চান তারা। খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ, নেজামে ইসলাম পার্টি, মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামী ঐক্য আন্দোলনসহ প্রায় ১২টি দল শিক্ষাক্রম ইস্যুতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ দলগুলোর বাইরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্ত দলগুলোকেও এই আন্দোলনে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার হেফাজতের সংবাদ সম্মেলন জানা গেছে, শিক্ষা কারিকুলামে ইস্যুতে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আগামী মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করা হবে। এরপর ঢাকায় শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং শীর্ষ ওলামা মাশায়েখদের নিয়ে জাতীয় শিক্ষা সেমিনার আয়োজন করা হবে। হেফাজতের নেতারা বলছেন, সরকার পাঠ্যপুস্তক বই সংশোধনের দাবি না মানলে নতুনভাবে বড় আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। সংগঠনের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ ইমান বিধ্বংসী অভিশপ্ত এক মতবাদ। এই মতবাদ কোনোভাবেই এ দেশে বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না। আমরা এ দেশে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’ বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলনের সেমিনার গত ৩১ জানুয়ারি সারা দেশে এবং ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ‘বহুমুখী সংকট উদ্ঘাটন ও নিরসনকল্পে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক করেছে। এখন আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় সেমিনার করবে দলটি। এর আগে একই ইস্যুতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগেও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ইসলামী আদর্শ চর্চার পথ রুদ্ধ করতেই দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠী সুকৌশলে পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় বিদ্বেষ সংযোজন করেছে। সৃজনশীলের নামে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে এখন তা থেকে ইসলামকে শেষ করার হীন ষড়যন্ত্র চলছে। অবিলম্বে বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করতে হবে।’ নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আপত্তির কারণ প্রসঙ্গে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন ইসলামের ইতিহাস ভুলে যায়, সে ষড়যন্ত্র এই শিক্ষাক্রমে আছে।’
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
নতুন শিক্ষাক্রম বিতর্ক প্রসঙ্গে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
সম্প্রতি শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে দেশে যে বিতর্ক উঠেছে এর পেছনে অপরাজনীতি রয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, যারা বিষয়টাকে উসকানি দিচ্ছে তার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। অপরাজনৈতিক শক্তির তিলকে তাল বানানোর একটা প্রবণতাও সেখানে আছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত চা-চক্র শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সবার সাথে আলোচনা করব, সবার মতামত নেব। যারা অতিমাত্রায় সংবেদনশীল তারা বেশি দুঃখিত হন, তা চাইব না। আবার যারা কম সংবেদনশীল তাদের বিষয়টাই শুধু প্রাধান্য পাবে, এমনটিও নয়। সেখানে একটা ভারসাম্য অবশ্যই থাকবে। সেজন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, যে বিতর্কটা সৃষ্টি হয়েছে সেটার সমাধান হবে। এর আগে উপাচার্য ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিবুল হাসান চৌধুরী নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ইসলামি শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি করেছি। সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশ কয়েকজন ইসলামি চিন্তাবিদ। তারা আমাদের জানাক, ধর্মের দিক থেকে কোনো সংবেদনশীলতা আছে কি না? তাছাড়া তথ্যগত দিক থেকে এই শিক্ষা ওই বয়সের শিশুদের জন্য যথাযথ কি না এই আলোচনাটাও এখানে আছে। তাছাড়া এনসিটিবি ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন তাদেরও মতামত নেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, সব সমালোচনা অগ্রহণযোগ্য এমনটি বলছি না। সমালোচনা হবেই। আলোচনাও হবে। কিন্তু যেখানে যে বিষয়ের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা বা সংযোগ নেই সেটাকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সেটা একেবারেই অমূলক অভিযোগ। সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক প্রয়োজনে, অ্যাকাডেমিক প্রয়োজনে একটা মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে যেসব অবকাঠামো তৈরি করা দরকার তা অনুমোদন নিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারি, সেজন্য শিক্ষকদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে। অর্থনীতির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বেশি সংযুক্তি এবং ইন্ড্রাস্ট্রির সাথে অ্যাকাডেমিয়ার সম্পর্ক যেন আরও বাড়ে সেজন্য কাজ করতে হবে জানিয়ে মহিবুল হাসান বলেন, দেশের সব ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নেতৃত্বপূর্ণ অবস্থান তা যেন আরও বাড়ানো যায়—সেজন্য কাজ করতে হবে। তবে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু কাঠামোগত উন্নতি হলেই হবে না—বাড়াতে হবে গবেষণাও। শিক্ষাবিদ এবং সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের বিকাশ করতে হবে। অনুষ্ঠানে চা-চক্র আয়োজন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, এটি শতবর্ষ উপলক্ষে নেওয়া পরিকল্পনার অংশ। তৃতীয়বারের মতো এই আয়োজন করা হয়েছে। আগের দুইবার যাদের দাওয়াত করতে পারিনি, এবার তাদেরও দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ইমেরিটাস অধ্যাপকদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নবীন ও প্রবীণদের মেলায় পরিণত করার চেষ্টা করেছি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মিলনমেলার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে তা শিখতে পারবে। আশা করি, তোমরা এটি অনুধাবন করেছ। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে জীবনের অনুকরণীয় পথ খুঁজে পেলে তোমাদের জীবন সুন্দর হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে চাই। সেটি এমন যে, সমাজে এর প্রভাব কেমন? স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়, স্মার্ট ক্যাম্পাস এই হলো আমাদের প্রতিপাদ্য। রূপান্তরের জন্য অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রায় প্রস্তুত। খুব দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রক্টর ও প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪
নতুন শিক্ষাক্রম বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
সমালোচনা নেওয়ার সক্ষমতা রাজনীতিবিদদের থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের সমালোচনা হলেও এর বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সমালোচিত হবো- এই ভয়ে যে সিদ্ধান্ত যথার্থ এবং সঠিক সেটা নেব না; তা হতে দেওয়া যায় না। দৃঢ়ভাবে কিছু সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন আমাদের অবশ্যই করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই।আমি রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আছি। আমাদের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা তারা তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে অনেক অবকাঠামো তিনি করে দিয়েছেন। সুদূর টেকনাফ থেকে ফেনী পর্যন্ত নানা ধরনের আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন এখানে হয়েছে। অর্থনীতির সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক সৃষ্টির বিষয়ে কাজ করার পকিল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আছেন, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের যে নেতৃত্ব আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে 'ইকোনমিক ইকো সিস্টেম' তৈরি করতে এবং অর্থনীতির সঙ্গে শিক্ষার একটা সম্পর্ক সেটা যাতে আমরা সৃষ্টি করতে পারি সে বিষয়ে কাজ করব। সেই সঙ্গে জলাবদ্ধতা প্রকল্পসহ চট্টগ্রামে যে প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো দ্রুত সময়ে শেষ করতে তিনি কাজ করবেন বলেও জানান।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক অপপ্রচার চলছে : শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তাদের গোষ্ঠীগত স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পরীবাগে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত পাঠ্যাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩১ লাখ নির্বাচিত বই বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে শিশুরা যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারে সে জন্যই নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নয়, ১১ বছর গবেষণার পর বাস্তবায়ন করা হয়েছে এই নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় আটশ গবেষক। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়ানক অপপ্রচার চলছে। এমনকি ধর্মীয় বিষয় নিয়েও উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এজন্য শিক্ষাক্রমের সঙ্গে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নয় এমন ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনকি পুরোনো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিডিও তৈরি করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মন্ত্রী এসব অপপ্রচারে অভিভাবকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা দেখুন, বুঝুন, আপনাদের শিশুদের সঙ্গে কথা বলুন, দেখুন তারা শিখছে কিনা। দীপু মনি বলেন, অভিভাবকরা দীর্ঘ সময় একটি প্রক্রিয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত। তারা দেখতে চান, তাদের সন্তান কত নম্বর পেল, কত জিপিএ পেল। তবে নম্বর পাওয়াটাই মুখ্য নয়, মূল বিষয় হলো সন্তান কত ভালো মানুষ হলো। তিনি আরও বলেন, আমাদের জীবন এখন প্রযুক্তির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জীবন থেকে প্রযুক্তিকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল, তাই পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে, প্রযুক্তির সঙ্গে সহজেই অভিযোজন করার সক্ষমতা অর্জন করতে শিশুদের প্রস্তুত করা হচ্ছে। তারা যেন প্রযুক্তির সঙ্গে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে, নতুন শিক্ষাক্রম সেভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি ও পাঠ্যাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির টিম লিডার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, ‘স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম’-এর স্কিম পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মইনুল হাসান, ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ (এসইডিপি)-এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহিম, অতিরিক্ত সচিব আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ প্রমুখ।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
নতুন শিক্ষাক্রমে নানা ত্রুটির অভিযোগ তুলে তা বাতিল চান শিক্ষক-অভিভাবকরা। শিক্ষাক্রম বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। গত ১০ নভেম্বর এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। মানববন্ধনে অভিভাবকদের অভিযোগ, অল্প কিছু স্কুলে পাইলটিং করে দেশের সব স্কুলে এই কারিকুলাম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চারা নতুন কিছু শিখছে না, উল্টো পড়াশোনাকে খেলা মনে করছে। দলগত কাজের কারণে তারা বরং ডিভাইসমুখী হচ্ছে। বিভিন্ন নির্দেশক দিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, যা অপ্রাসঙ্গিক। অথচ অভিভাবকদের ব্যয় আগের চেয়ে বাড়ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির আহমেদ বলেন, এমসিকিউ, সৃজনশীলের পর হঠাৎ করেই নতুন এ শিক্ষাক্রম নিয়ে আসা হলো; কিন্তু কাদের সঙ্গে আলোচনা করে, কোন শিক্ষানীতির ওপর ভিত্তি করে এ শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে, তা জানা নেই। তিনি আরও বলেন, এটি চালু থাকলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার দিকে যেতে পারবে না। কারণ, তাদের বিজ্ঞান ও গণিতের জ্ঞান একেবারেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, একটি শিক্ষাক্রম প্রণয়নে বিভিন্ন মহলে আলোচনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী কি না, সেটি ভাবার প্রয়োজন ছিল। সংসদে ও মন্ত্রিপরিষদে এ শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। অবিলম্বে শিক্ষার্থী ও জাতি ধ্বংসের এই শিক্ষাক্রমের প্রকল্প বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
২৫ নভেম্বর, ২০২৩
নতুন শিক্ষাক্রম বনাম উদ্বিগ্ন অভিভাবক এবং দায়সারা শিক্ষক
দৈনিক কালবেলায় ২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ‘নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে অভিভাবকরা’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো। মোনায়েম খান : কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে হলে পারমাণবিক বোমা মারতে হয় না; শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিলেই হয়। জাতি এমনিতেই ধ্বংস। এই কাজটিই করেছেন আমাদের শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। মইনুদ্দীন জনি : আমরা যখন ২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিলাম তখন আমি আমার খালাতো বোনের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়তাম। তিনি যখন দশম শ্রেণিতে পড়তেন আমি তখন নবম শ্রেণিতে পড়তাম। এখন শিক্ষাব্যবস্থার এমন অবস্থা হয়েছে যে, এক বছরের বই পরের বছর পড়া যায় না। এটা কোনো শিক্ষিত জাতির পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এর কারণে অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে। এর জন্য দায়ী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। শারিয়ার শিহাব : নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র মাত্র। মো. আসপির আলম : নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে অভিভাবকরা। সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। মো. আহসান জোবায়ের : এই নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নব চক্রান্ত। যা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবক উভয়েরই একযোগে আন্দোলন করা দরকার। সানজিদ প্রধান : পরীক্ষা পদ্ধতি পুনরায় ফিরিয়ে আনা হোক। এই কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা গাইড দেখে গণিত, ইংরেজিসহ অন্যান্য বইয়ের সমাধান দেখে ছক পূরণ করছে, যাতে শিক্ষার্থীদের আরও ক্ষতিই হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক প্র্যাকটিক্যাল বিষয় আছে, যা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকও পুরোপুরিভাবে সেটার সঙ্গে পরিচিত নন। এ ছাড়া কাগজ, রং, বোর্ডসহ ব্যবহারিক অনেক ব্যয়বহুল। আয়শা আক্তার : আমি একজন ছাত্র হিসেবে বলছি, নতুন কারিকুলাম বাতিল চাই। আগের পড়াই ভালো ছিল। মো. তারেক : আমাদের যুগে বই খাতা এবং গাইড দেখে পড়াশোনা করছি, তার বিপরীতে এ যুগে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, বছরে বছরে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করলে শিক্ষার্থীরা শিখবেই বা কী। সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন দিয়েই তাদের পড়াশোনা আজ নষ্টের পথে। অভিজ্ঞতা ও প্রতিবেশী ছোট্ট ছোট্ট শিক্ষার্থীদের বর্তমান পরিস্থিতি দেখেই বুঝি, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আর আগেকার শিক্ষাব্যবস্থা অনেক পার্থক্য। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান যুগের স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যা শহর কিংবা গ্রাম পর্যন্তও তাদের পড়াশোনার মন নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর থেকে এরা সারাক্ষণ তা নিয়ে ব্যস্ত আছে। শাহবাজ উদ্দিন সবুজ : যারা এই কারিকুলামের স্বপ্নদ্রষ্টা তাদের সন্তানরা কি বাংলাদেশে পড়ালেখা করে? নুর আহমাদ সিদ্দিকী : বর্তমান কারিকুলামে শিক্ষার নামে তামাশা চলছে। শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ালেখার চাপ কমাতে বাতিল করা হয়েছে পরীক্ষা পদ্ধতি। চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ করে তোলার পরিবর্তে অলস করছে। অ্যাসাইনমেন্ট খোঁজার অজুহাতে মোবাইল নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করছে। তা ছাড়া হাতে কলমে শিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের রান্নাবান্না শিখাচ্ছে প্রতিষ্ঠান। মেয়েদের রান্না তার পরিবারের লোকজন শিখাবে, এটা স্কুলে শিখতে হবে কেন? তা ছাড়া অনেক শিক্ষকই এই কারিকুলাম বুঝতে হিমশিম খাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রম দেশের সিংহভাগ মানুষ বাতিল করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আমি জোর দাবি জানাচ্ছি, আগের মতো পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হোক। শিক্ষার নামে এই তামাশা অনতিবিলম্ব বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের সত্যিকার শিক্ষায় শিক্ষিত করার সুযোগ দেওয়া হোক। এই শিক্ষাব্যবস্থা বাতিলে অভিভাবকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছি। তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। রবিউল ইসলাম : ৬ষ্ঠ, ৭ম শ্রেণিতে ২০২৩-এর শিক্ষা কারিকুলাম এতটাই শিক্ষা বিমুখ প্রক্রিয়া যা ইতিমধ্যে সব শ্রেণির মানুষ অবগত হয়েছে। এমন প্রক্রিয়া কখনই জাতিকে উন্নত প্রযুক্তির বাহন বলা যায় না বরং এ কারিকুলাম শিক্ষার্থীকে অলস এবং পড়ালেখায় অনীহা মনোভাব তৈরি করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা নেই বললেই চলে। পরীক্ষার কোনো চাপ তাদের থাকে না, মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে নাটক করা হয়। ২০২৪ সাল থেকে ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে এই নাটকীয় কারিকুলাম বাস্তবায়ন করার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই আমাদের সবার উচিত আন্দোলন করে এমন বাজে শিক্ষাক্রম বাতিল করার জন্য বাধ্য করা। কাজী তুষার : যৌক্তিক দাবিই করছেন অভিভাবকরা। এত বছর ধরে চলে আসা শিক্ষাক্রমের খামতিগুলো শুধরে নেবার জায়গায় পুরো শিক্ষাব্যবস্থার ওপর যখন বুলডোজার চালানো হয় তা মোটেও ভালো হতে পারে না। একটা জাতির জন্য তা সুখকর নয়। আপনি বহির্বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ে বিছানা গোছানো শেখাতে যাবেন এবং বাসায় মুরগি পালতে বাধ্য করতে পারেন না। পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দিলে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাবে শিক্ষার্থীরা। হাতে-কলমে শেখানোর জন্য তো আলাদা করে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাই আছে। দেশে এমনিতেই মোবাইলের যুগে পড়াশোনা থেকে দূরে যাচ্ছি আমরা। নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে জাতির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান হতেই হচ্ছে। এসব এক্সপেরিমেন্ট এক দিন দেখা যাবে নির্বোধ এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকা জাতি উপহার দেবে। হঠকারিতামূলক এসব প্রস্তাব রোধ করতে অভিভাবকদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করছি। মো. গিয়াসউদ্দিন : বারবার শিক্ষাক্রম আইন করলে শিক্ষার্থীদের জন্য সুফল বয়ে আনে না। তাই নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করা উচিত। রিফাত খান : আমেরিকার শিক্ষার্থীরা সফটওয়্যার তৈরি করছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আলুভর্তা বানানো শিখছে। নতুন শিক্ষা কারিকুলামের নামে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে কীভাবে রান্না করবে এই শিক্ষা নিচ্ছে? পংকজ ধর : নতুন শিক্ষাক্রম আমার কাছে ভালো লাগেনি। আগে পরীক্ষায় পাসের জন্য শিক্ষার্থীরা একটু পড়ত। একটু গণিত-ইংরেজি পড়ত। এখন আমি এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করলাম তোর পরীক্ষা চলে, তুই পড়ছ না; দেখি বলে গ্রুপ ক্যাপ্টেনের দেখে তৈরি করব, এবার বুঝেন অবস্থা। শুধু কাগজ দিয়ে এইটা-ওইটা, মাটি দিয়ে এইটা তৈরি ইত্যাদি। এসব কি একটা শিক্ষার্থীকে সুন্দর ভবিষ্যৎ দেবে।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে অভিভাবকদের মানববন্ধন
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, নম্বরভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু এবং শিক্ষার্থীদের দলগত কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করাসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। মানববন্ধনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির আহমেদসহ প্রায় শতাধিক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। মানবনন্ধনে রাখাল রাহা বলেন, একটি কারিকুলাম প্রণয়নে বিভিন্ন মহলে আলোচনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী কি না সেটি ভাবার প্রয়োজন ছিল। সংসদে ও মন্ত্রিপরিষদে এ কারিকুলামে আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এসব হয়েছে কি না আমরা জানি না। যদি হতো তাহলে এমন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হতো না। তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে অবিলম্বে আমাদের শিক্ষার্থী ও জাতি ধ্বংসের এই কারিকুলামের প্রকল্প বন্ধ করুন। দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এ কারিকুলাম বন্ধ করার বিকল্প নেই। সমাবেশে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের দলগত কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অধ্যায়নমুখী করতে হবে। যে ইন্ডিকেটর দিয়ে বাচ্চাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সেটি তো প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রযোজ্য। যারা পড়তে জানে না, সংখ্যা চেনে না... তাদের এসব ইন্ডিকেটর শেখাতে হয়। কিন্তু আমাদের বাচ্চাদের এসব শিখিয়ে তাদের প্রতিবন্ধী করা হচ্ছে। তারা বলেন, নতুন এ কারিকুলামে আমাদের ব্যয়ও বাড়ছে। আমরা এত ব্যায় কুলিয়ে উঠতে পারছি না। প্রতিদিন কাগজ, কলম ও পেন্সিলের পাশাপাশি এখন নতুন নতুন সরঞ্জাম যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যয়ের দিকেও রাষ্ট্রকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ৮ দফা দাবি হলো- নতুন কারিকুলাম বাতিল; নম্বর ভিত্তিক দুইটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা চালু ও ক্লাস টেস্টগুলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হিসাবে গণ্য করা; নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখা; ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি বহাল রাখা; শিখন, প্রজেক্ট ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করা; শিক্ষার্থীদের ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করা; নিবন্ধন ও সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বহাল রাখা এবং সব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করা।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে অভিভাবকদের সমাবেশ আজ
নতুন শিক্ষাক্রম সম্পূর্ণ বাতিল, নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা চালু, নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন রাখাসহ আট দাবিতে আজ শুক্রবার সমাবেশ করবে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল ১০টায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এর আগে গত ১০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। অভিভাবকরা জানান, নতুন শিক্ষাক্রমে তাত্ত্বিক বিষয়ের চেয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তুলে দেওয়া হয়েছে সাময়িক পরীক্ষাও। পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা অধ্যয়নমুখী হচ্ছে না। বইয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় তারা ডিভাইসমুখী হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দলগত কার্যক্রমে। আবার প্রজেক্টের উপাদান হিসেবে চড়া দামে বিভিন্ন জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবকরা। চলতি বছর থেকে দেশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে অভিভাবকদের সমাবেশ শুক্রবার
নতুন শিক্ষাক্রম সম্পূর্ণ বাতিল, নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা চালু, নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন রাখাসহ ৮ দফা দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। সকাল ১০টায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। এর আগে গত ১০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। অভিভাবকরা জানান, নতুন শিক্ষাক্রমে তাত্ত্বিক বিষয়ের চেয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তুলে দেয়া হয়েছে সাময়িক পরীক্ষাও। পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা অধ্যয়নমুখী হচ্ছে না। বইয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় তারা ডিভাইসমুখী হচ্ছে। তারা জানান, নতুন শিক্ষাক্রমে সবচেয়ে বড় সমস্যা দলগত কার্যক্রমে। দেখা যাচ্ছে- স্কুল থেকে প্রদত্ত দলগত কাজটি করতে হচ্ছে স্কুল পিরিয়ডের পর। যে কারণে ছাত্রছাত্রীদের বন্ধু-বান্ধবীর বাসায় বা অন্য কোথাও একত্রিত হয়ে তা সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রী অভিভাবক উভয়কেই। অধিকাংশ অভিভাবক স্কুল ছুটির পর তার সন্তানকে অন্য কারও বাসায় নিয়ে যেতে আগ্রহী নয় এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। অপরদিকে প্রোজেক্টগুলির ইকুইপমেন্ট যন্ত্র না পাওয়া, সেই সঙ্গে চড়া দামের কারণে এগুলি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবকরা। চলতি বছর থেকে দেশে নতন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। নতুন এই শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে ১ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে। আগামী বছর ৩য়, ৪র্থ, ৮ম এবং নবম শ্রেণিতে যুক্ত হচ্ছে এটি। ২০২৫ সালে যুক্ত হবে ৫ম ও দশম শ্রেণিতে। ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে যুক্ত হবে দ্বাদশ শ্রেণিতে। সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ৮ দফা দাবি শিক্ষানীতি বিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে; নম্বর ভিত্তিক ২টা সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নম্বর) চালু রাখতে হবে এবং ফ্রান্স টেস্টগুলো ধারাবাহিক মূল্যায়ন (৪০ নম্বর) হিসাবে ধরতে হবে; নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখতে হবে; ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করে নাম্বার ও গ্রেড ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে; শিখন ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডে সব প্রজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে; শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রজেক্টের কাজে ডিভাইস সুখী হতে উৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে; প্রতি বছর প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি ২টা পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে; সব সময়ে সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রী পরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করতে হবে।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল দাবিতে কর্মসূচি
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা চালু, নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজনসহ আট দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আগামী ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অভিভাবক সমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলে ও স্কুল খোলা থাকলে প্রতিদিন সন্তানসহ স্কুলের সামনে অভিভাবক সমাবেশ এবং ১৪ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেশের সব স্কুলের সামনে অভিভাবক সমাবেশ ও ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। গতকাল সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা। নতুন শিক্ষাক্রমের বাইরে অন্য শ্রেণির অভিভাবকরাও মতামত তুলে ধরেন। মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক পরিচয়ে মুসফিকা ইসলাম বলেন, কোচিং আর গাইড ব্যবসায়ী সারাজীবন থাকবে। বাচ্চাকে কোচিংয়ে যেতে হবে, গাইডও পড়তে হবে। গাইড ও কোচিং ব্যবসা বন্ধের কথা বলা হলেও এই পদ্ধতিতে (নতুন শিক্ষাক্রমে) তা আরও বেড়েছে। এখন ত্রিভুজ পাওয়ার জন্য শিক্ষকদের বাসায় আগের চেয়ে বেশি যেতে হচ্ছে। তবে, কোচিং ও নোট-গাইড নিয়ে প্রশ্ন করায় সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরপরই অভিভাবক পরিচয়ে একদল লোক সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসে। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের আন্দোলনে অভিভাবকদের বিরাট একটি অংশ এদিন সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ হিসেবে জানা যায়, অভিভাবক না হয়েও জাহাঙ্গীর কবির নামে একজন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে কোচিং ব্যবসায় জড়িত থাকা ও আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। তবে সেসব অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ভাগনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে, সে হিসেবে আমিও অভিভাবক। আমি কোনো কোচিং ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত নই, কেউ প্রমাণও করতে পারবে না।
১১ নভেম্বর, ২০২৩
আরও
X