হাসপাতালে নবজাতক রেখে মা উধাও
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নবজাতককে ফেলে রেখে উধাও হয়েছেন প্রসূতি মা ও স্বজনরা। শনিবার (৪ মে) ভোরে হাসপাতালের শেখ রাসেল স্ক্যানু নবজাতক সেবাকেন্দ্রে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। রোববার (৫ মে) দুপুর পর্যন্ত তার মা বা কোনো স্বজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের নার্স ইনচার্জ জয়নব বিবি। তিনি বলেন, শনিবার রাতে কোনো এক ক্লিনিকে শিশুটির জন্ম হয়। ৬০০ গ্রাম ওজনের কন্যাশিশুকে ভোরে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালের পর থেকে কাউকে পাওয়া যায়নি। ভর্তির সময় দেওয়া একটি নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। তারা আসার কথা বলেও সোমবার বেলা একটা পর্যন্ত কেউ আসেনি। সকাল থেকে ওই নম্বরে কল করা হচ্ছে, কিন্তু কেউ রিসিভ করে না। ভর্তির সময় শিশুটির মায়ের নাম চম্পা উল্লেখ করা হয়। ঠিকানা দেওয়া হয় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার। বর্তমানে শিশুটি সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। হাসপাতাল থেকেই তার চিকিৎসা ব্যয় করা হচ্ছে। শেবাচিমের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, খবরটি শুনেছি। আমি যাচ্ছি, শিশুটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিশুর ভর্তির সময় দেওয়া নম্বরে কল করলেও কেউ রিসিভ করেননি।
০৬ মে, ২০২৪

মসজিদের অজুখানায় কান্না করছিল ফুটফুটে নবজাতক
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মসজিদের অজুখানা থেকে এক ফুটফুটে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রামের একটি মসজিদের অজুখানা থেকে এ নবজাতক ছেলে শিশুটি পাওয়া যায়।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন রাত ১টার দিকে মসজিদের অজুখানায় নবজাতকটিকে কেউ রেখে যায়। পরে কান্না শুনতে পেয়ে আশপাশের লোকজন সেখানে গিয়ে নবজাতকটিকে দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তানভীর হাসান জিকো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত প্রায় ১টার দিকে হোসেনপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নবজাতকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা ও খাবারের জন্য দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তান রেখে পালালেন মা
কুমিল্লার লাকসামে একটি ক্লিনিকে সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তান রেখে পালিয়েছেন মা। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌর শহরের আমেনা মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। লাকসাম থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। শিশুটির সুরক্ষা এবং তার পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আমেনা মেডিকেল সেন্টারের মালিক সেলিম মাহমুদ বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় এক নারী প্রসবব্যথা নিয়ে ক্লিনিকে আসেন। কিছুক্ষণ পরে  স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। সন্তান জন্মের ১০/১২ মিনিটের মধ্যে নবজাতককে ফেলে মা ও সঙ্গে থাকা তিনজন নারী পালিয়ে যায়। পরে সিসি ক্যামেরা দেখে আমাদের লোকজন তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ধরার চেষ্টা করলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ইমার্জেন্সি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ায় রোগীর নাম-ঠিকানা লেখা যায়নি। তবে নবজাতক কন্যা শিশুটি সুস্থ আছে। লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, নবজাতক শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও দেখাশোনা করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

কেঁদে উঠল মৃত ভেবে নেওয়া নবজাতক
জন্মের পর কান্না না করায় মৃত ভেবে নেওয়া নবজাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ধাত্রীর চেষ্টায় কেঁদে উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে খুশিতে আত্মহারা নবজাতকের স্বজনসহ পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নবজাতকটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নবজাতকটি ব্রাহ্মণপাড়া সাহেবাবাদ ইউনিয়নের নগরপাড় এলাকার আবুল বাশার ও তানজিনা আক্তারের কন্যা সন্তান। জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন তানজিনা আক্তার নামে এক নারী। কিছুক্ষণ পরেই একটি কন্যাশিশু জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর কান্না করেনি নবজাতকটি। উপস্থিত সবাই নবজাতকটিকে মৃত ভেবেছিলেন। পরে হাসপাতালের ধাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নবজাতকটির শ্বাসযন্ত্রে যান্ত্রিকভাবে বায়ুচলাচল চালানোর চেষ্টা করে। কিছুসময় পর নবজাতকটি কেঁদে ওঠে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সুমি আক্তার কালবেলাকে বলেন, নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রসব ব্যথা ওঠার পর ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। তবে এরচেয়ে বেশি সময় অপেক্ষা করলে বাচ্চার স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যহত হয় ও ব্রেইনে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন অবস্থা থেকে কোনো কোনো নবজাতককে আর ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হয় না।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, অধিকাংশ প্রসূতি মাকে গ্রামে অপ্রশিক্ষিত দাই দিয়ে প্রসবের চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হয়ে আমাদের কাছে আসেন। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। এই নবজাতকটির ক্ষেত্রেও এ ঘটনাই ঘটেছে।  তিনি বলেন, আমাদের বিচক্ষণ চিকিৎসক ও ধাত্রীর নিবিড় পরিচর্যায় নবজাতকটি সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে উন্নতির দিকে এসেছে। প্রসূতি মায়েদের সঠিক সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে সেবা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
২৬ মার্চ, ২০২৪

টাঙ্গাইলে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, আশঙ্কায় নবজাতক
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি ক্লিনিকে এক প্রসূতির মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রসূতির মৃত্যুর পর নবজাতকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে তার পরিবার জানিয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন আল মোহনা হাসপাতাল অ্যান্ড ক্লিনিকে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত প্রসূতির নাম রাশেদা আক্তার ওরফে মুক্তি (২৬)। তিনি উপজেলার হিলড়া আদাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। সোমবার প্রসূতির খালাতো ভাই আবির হোসেন জানান, প্রসব ব্যথা নিয়ে রোববার রাশেদাকে জামুর্কি আল মোহনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও এনেথসেথিয়া ছাড়াই ভুয়া চিকিৎসক, নার্স ও আয়া দিয়ে দুপুর একটার দিকে তাকে সিজার করা হয়। সিজারের পর রাশেদার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাশেদা আক্তারের পুত্র সন্তান হলেও পরে তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর নবজাতকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে আবির অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সটকে পড়েছে। এ ব্যাপারে নিহত রাশেদার স্বামী সাইফুল ইসলাম ও তার বাবা হাকিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন- তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ভালো চিকিৎসার নামে ক্লিনিকের ভুয়া চিকিৎসক, নার্স ও আয়া দিয়ে ভুল অপারেশন ও ভুল চিকিৎসায় রাশেদার মৃত্যু হয়েছে। আমরা ক্লিনিকের মালিককে অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে আল মোহনা ক্লিনিকের মালিক জাহিদুল ইসলাম ও শামীম মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা বারবার কল কেটে দেন।   ঘটনা জানতে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, গৃহবধূর পরিবার ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

কন্যার দায় এড়াতে লাখ টাকায় নবজাতক বিক্রি করলেন বাবা
কন্যাসন্তান হওয়ায় এক লাখ টাকার বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। তিন কন্যার পর চতুর্থবার কন্যাসন্তান হওয়ায় চার কন্যার দায় এড়াতে নবজাতককে বিক্রি করেছেন বাবা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নবজাতকের বাবা এবং এ্যাপোলো হাসপাতালের নার্স লাইজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ মার্চ) পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নিজাবাদ গোপালদী গ্রামের ইউপি সদস্য মো. হানিফ মৃধার স্ত্রী মোসা. শাহনাজ বেগম পটুয়াখালী এ্যাপোলো হাসপাতালে একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।  জানা গেছে, এর আগেও শাহনাজ বেগমের  তিন কন্যা হয়েছে। এবারও কন্যাসন্তান জন্ম দেন। তাই চতুর্থ কন্যাসন্তানের দায় এড়াতে এবং আর্থিক লাভবান হতে হানিফ এ্যাপোলো হাসপাতালের নার্স মোসা. লাইজু বেগমের সঙ্গে যুক্তি করে এক লাখ টাকার বিনিময়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেন। শিশুটির মা মোসা. শাহনাজ বেগম জানান, বারবার নার্স লাইজু বেগমের কাছে আমার সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানান, বাচ্চা অসুস্থ চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি সন্তানকে ফিরে পেয়েছি। আমার স্বামীসহ যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিচার চাই। লাইজু বেগম (নার্স) বলেন, পরপর চারজন মেয়েসন্তান হওয়ার কারণেই হানিফ মৃধা তার মেয়েকে বিক্রি করেছেন।  পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. জসিম জানান, শাহনাজ বেগমের অভিযোগ এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী ব্রিজের ওপর থেকে বাচ্চা পাচারের সময় লাইজু বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ মার্চ, ২০২৪

চুরির ৭ মাস পর সেই নবজাতক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
কুমিল্লা থেকে চুরি হওয়া সেই নবজাতককে সাত মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বুর‍্যো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার সদস্যদের অভিযানে সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানী থেকে ওই নবজাতক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নবজাতকদের বাসার ভাড়াটিয়াসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।  গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার নিয়ামতপুর এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রী পারভীন (৩০) ও জেসমিন জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের মেয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ এপ্রিল কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে চার দিনের ওই নবজাতক চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় নবজাতকের বাবা মো. জসিম উদ্দীন (৪৫) কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পিবিআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়। গ্রেপ্তার আসামিদের বরাতে পিআইবি জানায়, পারভীনের সঙ্গে জেসমিন কথোপকথনে জানায়, তার একটি নবজাতক ছেলে থাকলে কতইনা ভালো হতো। এ সময় পারভীনও তার কথা বুঝতে পেরে তাকে বলে যদি ৫০ হাজার টাকা দেয় সে একটি নবজাতক এনে দিতে পারবে। পরে তারা পরিকল্পনা করে নবজাতককে এখানে এনে দিলে জেসমিন তাকে নিয়ে পালাবে। নবজাতকের নানু নুরজাহান বেগম (৬০) তাকে নিয়ে বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করার সময় তাদের বাসার ভাড়াটিয়া পারভীন নবজাতকের শারীরিক সমস্যার কথা বলে বড় ডাক্তার দেখানোর জন্য বলে। নবজাতকের মাকে কিছু না জানিয়ে পারভীম তার নবজাতকসহ নানুকে নিয়ে টিকিট কাউন্টারে যায়। জেসমিন নুরজাহান বেগমকে বলেন, তিনি বৃদ্ধ মহিলা এবং তার কষ্ট হচ্ছে আমার কোলে দেন। বাচ্চা সঙ্গে থাকলে তাড়াতাড়ি টিকিট দেবে। তখন নুরজাহান বেগম সরল বিশ্বাসে নবজাতককে ওই মহিলার কাছে তুলে দিয়ে একপাশে দাঁড়ায়। এই সুযোগে জেসমিন নবজাতককে চুরি করে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে পারভীনকে টিকিট কাউন্টারের কাছে পেয়ে ওই মহিলার কথা জিজ্ঞাসা করলে সে তাকে দেখেনি বলে জানায়। চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পুলিশকে জানান। এ ঘটনার ৭ মাস পর পিবিআই তাকে উদ্ধার করে। পিবিআই কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই নবজাতককে বাচ্চাসহ ঢাকা মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে আসামিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জেসমিনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের সে স্বীকার করে তার সহযোগী পারভীনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে (৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে) ছেলে বাচ্চা মনে করে ক্রয় করে। পারভীন নবজাতকের মায়ের অজান্তে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নবজাতকের নানীসহ জরুরি বিভাগে নিয়ায়ে আসে। পরে কৌশলে জেসমিনের কাছে নবজাতককে বুঝিয়ে দিয়ে টাকা আদায় করে। এ বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।’
০৫ মার্চ, ২০২৪

কবরস্থান থেকে উদ্ধার নবজাতককে দত্তক নিলেন চিকিৎসক দম্পতি
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়কের পাশে থাকা একটি কবরস্থানে কুড়িয়ে পাওয়া এক নবজাতককে দত্তক নিয়েছেন এক চিকিৎসক দম্পতি। সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ওই চিকিসক দম্পতির হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী। তিনি জানান, দত্তক নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত করতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় শনিবার রাতে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা হয়। সেখানে একাধিক আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক দম্পতির আবেদনটি চূড়ান্ত করা হয়। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক অবস্থান যাচাইবাছাই করে তাদের কাছে নবজাতকটি দত্তক দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তা আরও জানান, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ও শিশুটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে একটি নিঃসন্তান এবং সচ্ছল দম্পতিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। এর আগে, নান্দাইলের মুশুলি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ইজিবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি কবস্থানে কান্নার আওয়াজ পান সুরুজ মিয়া। পরে কৌতূহলি ওই ব্যক্তি ইজিবাইক থামিয়ে সেখানে গিয়ে কবরের ওপর একটি নবজাতক দেখতে পান। এরপর ওই নবজাতককে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। নবজাতকের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রশিদ বলেন, শিশুটির বয়স ২-৫ দিন হতে পারে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ ও সবল রয়েছে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

একসঙ্গে চার শিশুর জন্ম দিলেন ফৌজিয়া
সিলেটে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন কানাইঘাটের রাজাগঞ্জের ফৌজিয়া বেগম। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে এ চার শিশুর জন্ম হয়। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশু চারটির বাবার নাম রুহুল আমিন। তাদের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫১ মিনিটে প্রসূতি মা ফৌজিয়া বেগমকে প্রফেসর ডা. রাশিদা আকতারের তত্ত্বাবধানে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই সিজার করা হলে চারটি সন্তানের জন্ম হয়। পরে শিশু চারটিকে নবজাতক নিবিড় যত্ন ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা হয়। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত। এ ছাড়া প্রসূতি মা ফৌজিয়া বেগমও সুস্থ আছেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চুরির আড়াই মাস পর নবজাতক ফিরল মায়ের কোলে
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ক্লিনিক থেকে চুরি হয়ে যাওয়ার প্রায় আড়াই মাস পর সেই নবজাতককে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিভাগ থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরপরই নবজাতককে মায়ের কোলে তুলে দেয় পুলিশ। তবে ক্লিনিক থেকে নবজাতককে চুরি করে বিক্রয়ের অভিযোগে করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আয়শা আকতার আশার এক বছর আগে সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে হয়। সোহেল জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করায় অন্তঃসত্ত্বা আয়শা বেলকুচি গ্রামে নানি আছিয়া খাতুনের বাড়িতে থাকতেন। এই অবস্থায় ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর বেলকুচি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও তার লোকজন আশাকে তার নানির বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। তারা আশাকে শেরপুর শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে আশা সিজারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তান জন্মের পর আশা অচেতন থাকা অবস্থায় রফিকুল নবজাতককে চুরি করে এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় আশা বাদী হয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নবজাতককে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকে পুলিশ। অবশেষে নবজাতককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে থেকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আয়শা বলেন, আমার বুকের ধন আমি ফিরে পেয়েছি। আমি খুবই খুশি। যারা আমার ছেলেকে চুরি করেছিল, আমি তাদের বিচার চাই। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান বলেন, তদন্তের স্বার্থে নবজাতককে উদ্ধারের কৌশল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X